![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
দেশের সত্যিকারের টেকসই উন্নয়নের জন্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন দেশব্যাপী গণমানুষের সম-উন্নয়ন ও আয় বৈষম্য দূরীকরণ। বিগত পাঁচ বছরে দেশে ব্যাংক বেড়েছে ৯টি, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৯টি। ব্যাংকের শাখা বেড়েছে ২ হাজার ৩৫৫টি। বেড়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনও। কিন্তু এর সবই হচ্ছে বিভিন্ন শহরকে কেন্দ্র করে। এ কারণেই সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা না বাড়ায় এখনও গ্রামে আর্থিক সেবায় যথেষ্ট ঘাটতি রয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশে মোট ঋণের ৯০ শতাংশ বিতরণ করা হয় বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে। বাকি ১০ শতাংশ ঋণেরও বেশির ভাগ বিতরণ করা হয় বিভিন্ন উপজেলা ও থানা শহরে। দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র সাড়ে ২৫ শতাংশ মানুষ ব্যাংকের ৯০ ভাগ ঋণ ও ৮০ ভাগ আমানতের সুবিধাভোগী। অথচ দেশের ৬৬ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ এখনও গ্রামে বসবাস করে। চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে ব্যাংকগুলো গ্রাম থেকে আমানত সংগ্রহ করেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে ঋণ দিয়েছে মাত্র ৫৩ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা। বাকি ৯১ হাজার ৩৭৭ কোটি গ্রাম থেকে শহরের অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে। শহর ও অল্প কিছু অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ায় অন্য অঞ্চলে বড় কোনো শিল্প গড়ে উঠছে না। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিও চাঙ্গা হচ্ছে না। এখন সময় এসেছে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবনার। আগামীতে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপে গ্রামীণ অর্থনীতিতে আসবে নব জোয়ার – এটাই সকলের প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.