![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
অভিভাবকহীন অটিস্টিক শিশুদের দায়িত্ব নিচ্ছে রাষ্ট্র,এটি একটি মহৎ উদ্যোগ । অটিস্টিকদের বিকাশের সুযোগ করে দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অটিস্টিকদের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা আছে। সেই প্রতিভা বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। যাতে মেধা বিকাশের মাধ্যমে তারাও যেন সমাজকে কিছু উপহার দিতে পারে। অটিস্টিকসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধী শিশুদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। তাদের মেধা ও যোগ্যতা প্রকাশেরও অধিকার আছে। তাদের সে সুযোগ দিতে হবে। আর অটিস্টিক শিশুদের পিতা-মাতার অবর্তমানে তাদের লালন-পালনের জন্য রাষ্ট্রই উদ্যোগ গ্রহণ করবে। অটিস্টিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতার দ্বার উন্মুক্ত রাখা হবে। অটিস্টিক শিশুদের জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে মায়ের। তাই তাদের মা-বাবা যখন থাকবে না, তখন এদের কি হবে? এরা কোথায় যাবে? বাবা-মা যখন থাকবে না, তখন সরকারের পক্ষ থেকে তাদের লালন-পালনের ব্যবস্থা করা হবে। আজ আর প্রতিবন্ধিতার জন্য মা-বাবাকে দোষারোপ করার সেই সুযোগটা নেই। থাকাও উচিত না। সকলেরই মনটা এখন বড় করা উচিত। পৃথিবীর বিখ্যাত কয়েকজন বিজ্ঞানী এবং মনীষী জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী থাকার পরও স্বীয় প্রতিভাগুণে বিশ্ববরেণ্য হয়েছে। অটিস্টিক শিশুরা যেন অবহেলায় হারিয়ে না যায়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। তারাও মানুষ। তারাও আমাদের সমাজের অংশ, তাদের জন্যও আমাদের কাজ করতে হবে। একটা দেশকে উন্নত করতে হলে সকলকে নিয়ে করতে হবে, কাউকে অবহেলা করে নয়। পরিবারের স্নেহ, ভালবাসা ও পরিচর্যার মাধ্যমে গড়ে তোলা হলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা না হয়ে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনবে। প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়।
©somewhere in net ltd.