নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি রিফাত খারাপ

আমি রিফাত খারাপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংবাদিক নামের মোসাহেব এবং আমাদের কল্যাণমন্ত্রী

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯

না লিখে আর পারলাম না। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এসব বিষয় নিয়ে লিখে আর কারো বিরাগভাজন হবো না। কিন্তু না। না লিখে পারা গেল না। সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক জগললুল আহমেদ চৌধুরীকে নিয়ে তামাশা করা হল। মৃত্যুর পরও তিনি উপহাসের শিকার হলেন। রাষ্ট্রের অপসিস্টেমের গ্যাড়াকলে প্রাণ গেছে তার। গরু-ছাগল চিনলেই ড্রাইভারির লাইসেন্স দেওয়ার অনুমতি দেন যে দেশের মন্ত্রী, সে দেশে দূর্ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলা যায় নির্দ্বিধায়। সে হিসেবে জগলুল আহমেদ চৌধুরীকে হত্যা করেছে ওই বাসের চালক। আর ওই বাসের বেপরোয়া অবিবেচক চালককে অনুমোদন দিয়েছে আমাদের সরকার, রাষ্ট্র। হিসাব পরিস্কার। এ অপসিস্টেম একদিনে গড়ে উঠেনি। এ দায় শুধু আওয়ামী লীগ বা বিএনপির নয়; আমাদেরও। আমরাই লাই দিয়ে মাথায় তুলেছি এ সিস্টেমের কারিগরদের। নইলে প্রয়াত একজন সাংবাদিককে তারই শোকসভায় আমন্ত্রন জানিয়ে চিঠি পাঠানো হতো না। একটি শোকাতুর পরিবারকে নিয়ে ফের উপহাস করা হতো না। (প্রসঙ্গত, এমন একটি চিঠি গত কয়েকদিন ধরে নিউজফিডে ঘুরছে।)
আপনি বলবেন, চিঠি যারা বিলি করেছেন, তারা ঠিকানা আপডেট করেননি। বা চিঠি বিলি করা মন্ত্রীর কাজ না...ইত্যাদি, কেউ কেউ বলছেন, চিঠি ফটোশপ করাও হতে পারে... ইত্যাদি এবং...।
এ কথাগুলো কতটুকু ধোপে টেকে? মন্ত্রী যদি এটুকু নজরদারি না করতে পারেন, কয়েকদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে বলাবলি হচ্ছে, তিনি যদি বিহীত করতে না পারেন, কিভাবে তিনি মন্ত্রী হন? সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়েরই যদি এই হাল হয়, অন্য কল্যান মন্ত্রনালয়গুলোর অবস্থা কি?!
সাংবাদিকতার মান এই সময়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তারা এসব নিয়ে লিখলে দেশ-জাতিরই উপকার হতো। তার নিজের পরিবারের উপকার হতো। মন্ত্রীর উপকার হতো। যারা সাধারণত ক্ষমতায় থাকেন, তারা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। মোসাহেবরা তাই শাসকদের কাছে ভিড়তে পারেন। এ কথা সত্যি। কিন্তু সমালোচনা না করলে শাসক তার ভুল ধরতে পারবেন না। যারা এই কাজ করবেন সেই সাংবাদিকরা আজ একেকজন মোসাহেব নামের আগাছায় পরিণত হয়েছেন। এখন যিনি যতো বড় সাইনবোর্ডধারী সাংবাদিক তিনি ততো বড় মোসাহেব। এই আগাছা দিয়ে সমাজ-রাষ্ট্রের কি উপকার হবে? অথচ অনেক মেধাবী সাংবাদিক আছেন, যাদের সাইনবোর্ড বড় নয়। কিন্তু তারা যা জানেন, বড় সাইনবোর্ডওয়ালারা তা জানেন না।
গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আমি রাত আটটায় পান্থপথ দিয়ে আসছিলাম হেঁটে। স্কয়ার হসপিটালের কিছুদূর সামনের ফুটপাত দিয়ে চলা যাচ্ছিল না। ফুটপাতে তখন গরম চুলায় জিলাপি, সমুচা, পুরি, সিঙ্গারা বানানোর হিড়িক। আমি রাস্তা সামাণ্য ফাঁকা পেয়ে বাঁ পাশ ঘেঁষে হাঁটছিলাম। হঠাৎ লম্বা জ্যাম। সামনে সিএনজি, পেছনে এসে দাঁড়ালো একটি মোটর সাইকেল। দুপাশেও প্রাইভেট কার। কোনোভাবেই বের হতে পারছিলাম না ওই ফাঁদ থেকে। মোটরসাইকেল আরোহী আমার দিকে ব্যাঙ্গাত্মক এক হাসি দিয়ে নির্দেশের মতো করে বলল, ওখানে ফুটপাত আছে, চোখে পড়ে না? আমি মোটরসাইকেলের দিকে তাকালাম। দেখলাম যুবকের মোটরসাইকেলে ৭১টিভির স্টিকার লাগানো। বললাম, আপনি সাংবাদিক হয়ে এভাবে বলতে পারলেন?! আপনার তো জানা থাকা উচিৎ, আমি পথচারি, আমার ফুটপাত আজ কার দখলে? কেন আমি জীবনের ঝুকি নিয়ে রাস্তায়? আপনি কিসের সাংবাদিক? গাড়িতে স্টিকার লাগালেই সাংবাদিক হওয়া যায় না। সেটা বড় জোড় মোসাহেব হওয়া যায়, দুর্বলদের জিম্মি করে মাস্তানি করা যায়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০১

কাহাফ বলেছেন: ডিজিটাল মন্ত্রী বলে কথা................!!!

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪২

ইমরুল_কায়েস বলেছেন: যে সব যানবাহনে মিডিয়ার স্টিকার লাগানো সেগুলোর অধিকাংশই ভুয়া। মিডিয়ার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই (বিশেষ করে সাম্প্রতিক টেলিভিশন গুলোর) তবে ঐ সব প্রতিষ্ঠানের উচু পদের লোকেদের সাথে এদের সম্পর্ক আছে গ্যারান্টি দিলাম।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৪

ফারজানা আলম শম্পা বলেছেন: আজকাল সবচে বড় মাস্তান কারা? পুলিশ, রাজনীতিবীদ আর সাংবাদিক রাই তো.।

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

আলম দীপ্র বলেছেন: কাহাফ বলেছেন: ডিজিটাল মন্ত্রী বলে কথা................!!! B-)

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: ৭১ টিভির স্টিকার লাগানো হুন্ডাওয়ালাকে আপনার সাংবাদিক বলে মনে হয়? আমার তো মনে হয় ঐ টিভিতে যারা মুখ দেখায়, সব এক একটা সার্কাসের জোকার!

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

এনামুল রেজা বলেছেন: এই তো অবস্থা দেশের.. আমরা আদতে নিজেরাও সচেতন না এই অবস্থা সম্পর্কে..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.