![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুক্ষণ আগে আমার রবি সিমে 4878 নাম্বার থেকে ফোন এসেছিলো। আমি এই ধরনের ভ্যালু এডেড সার্ভিস টাইপের কোন নাম্বার রিসিভ না করায় যথারীতি কেটে দিয়েছিলাম। কেটে দেওয়ার কয়েক সেকেন্ড পর সেই একই নাম্বার থেকে আবার ফোন আসলো। এবার জরুরী কিছু ভেবে রিসিভ করলাম। কিন্তু যেই লাউ সেই কদু; এটাও ভ্যালু এডেড সার্ভিস, রবি রেডিও। রিসিভ করতেই একটি গানের দুটি লাইন বাজিয়ে একটি সুরেলা মেয়ে কন্ঠস্বর কথা বলতে শুরু করলো, "আপনি যদি এরকম সুন্দর সব গান সারাদিন মাত্র ১ টাকায় শুনতে চান তাহলে এখনি ১ চাপুন।" এরপর কিছুক্ষণ নীরব থেকে লাইনটি কেটে গেলো, আমিও ফোনটি কান থেকে নামিয়ে হাতে রেখে দিলাম। কয়েক মিনিট পরেই দেখি সেই 4878 নাম্বার থেকে মেসেজ আসছে "You have subscribed for Robi 4878 IVR @ 1.22TK for daily renew. Validity: 1day. Free Min 10min. Unsubscribe korte main menu te gie 0# press korun" আমি কোন কিছু চাপলামইনা তারপরেএ তারা আমায় সার্ভিসটি চালু করে দিলো, সাথে সাথে টাকাও কেটে নিলো! টিনের চালে কাক, আমিতো অবাক! আমি জানি, কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে তেমন কোন লাভ হবেনা; তারপরেও রাগে, ক্ষোভে, কষ্টে তাদের কাছে ফোন দিলাম। আমার সমস্যাটি বর্ণনা করতেই তারা জানালো যে তারা দেখতে পাচ্ছে এটি নাকি আমার সিস্টেম থেকে চালু করা হয়েছে। আবারো টিনের চালে কাক, আমিতো অবাক। আমার ফোনটি একটি এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন। ঐ নাম্বারের ফোনটি রিসিভ করে কানে ধরে থাকার সময় প্রক্সিমিটি সেন্সর চালু ছিল এবং যে কারণে ফোনের ডিসপ্লে লাইটসহ টাচস্ক্রিনটি বন্ধ ছিল। এমতাবস্থায় কোনভাবেই ডায়ালার চালু হয়ে 1 এ চাপ পড়া সম্ভব নয়। এবং যেহেতু ফোনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে না যাওয়া পর্যন্ত আমি কানেই ধরে ছিলাম সুতরাং আমার মাধ্যমে কোনভাবেই সার্ভিসটি চালু হয়নি। তারপরেও তারা বলেছে সার্ভিসটি আমার সিস্টেম থেকে চালু করা হয়েছে। আমি জানি, কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভদের সাথে তর্কাতর্কি করে কোন লাভ হবেনা। তাদের সামনে কম্পিউটার স্ক্রিনে তারা যা দেখতে পাচ্ছে সেটাই আমাদের বলছে। কিন্তু এই দেখানোর কাজটি কারা করছে? নিশ্চয় বাইরে থেকে কেউ এসে এটি করতে পারবেনা। করলে কেবলমাত্র রবির সাথে জড়িত কর্মকর্তারাই এটি করতে পারে। এই ধরনের ঘটনা আমার সাথে এই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১১ সালে একটি সার্ভিস থেকে দুইদিন আমাকে ফ্রি ক্রিকেটের নিউজ আপডেট দিয়েছে। তৃতীয় দিন আমাকে মেসেজ দিয়েছে যে আমি যদি সপ্তাহে এতো টাকা চার্জে সার্ভিসটি চালু রাখতে চাই তাহলে কিছু করতে হবেনা। আর যদি সার্ভিসটি বন্ধ করতে চাই তাহলে এতো লিখে এতো নাম্বারে মেসেজ করতে হবে। মেসেজটি ইংরেজিতে ছিলো এবং আমি বুঝেছিলাম বলেই সাথে সাথে বন্ধ করেছি। তারপরেও বন্ধ করতে আমার ২.৩০ টাকা চার্জ কেটেছিলো। কিন্তু যারা বুঝবেনা বা অনেক বয়স্ক লোকেরা আছে যারা মেসেজ কখনো পড়ে দেখেনা তাদের কী হয়? তাদের অজান্তেই এই ধরনের সার্ভিস চালু হয়ে যায় এবং টাকা কাটতে থাকে। এটা কী ধরনের ব্যবসা? কতটা নিচু এবং বিকৃত লোভী মানসিকতার হলে এই ধরনের সার্ভিস চালু রাখা যায়? বিটিআরসির কারো কি চোখে পড়েনা এসব? নাকি তাদেরও যোগসাজশ আছে এতে? তাদের চোখে না পড়ার মত তো কোন কারণ দেখছিনা। কেননা এসব ভুয়া বেহুদা সার্ভিস প্রত্যেকটি মোবাইল অপারেটরের আছে এবং প্রতিদিনে এসব থেকে যে কতশত কল আর মেসেজ আসে তার হিসাব নাই। এই ডিজিটাল যুগে কেউ যে টাকা খরচ করে কোন নিউজ আপডেট নিতে যাবে বা ফোনে কথা বলার ভয়েসে কেউ যে গান শুনতে চাইবে এরকম ভাবাটা কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত হতে পারেনা। কেবলমাত্র গ্রাহকদের বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেও্য়ার জন্যই এসব ভ্যালু এডেড সার্ভিসগুলো আছে। অন্যান্য দেশগুলাতে যেখানে এসব অবাঞ্ছিত কোন কল বা মেসেজের উপর কড়া নিষেধ থাকে, সেখানে আমাদের দেশে এর পরিমাণ দিনকে দিন আরো বেড়েই চলছে। বিটিআরসির কোন যোগসাজশ আছে কিনা আমার জানা নেই। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো এসব সার্ভিস চালু রেখেও কিভাবে কোন মোবাইল অপারেটর তাদের লাইসেন্স টিকিয়ে রেখেছে? বৈধভাবে হলেও একটা ব্যাপার ছিল, কিন্তু এভাবে গ্রাহকদের অজান্তেই এসব ভুয়া অবাঞ্চিত ভ্যালু এডেড সার্ভিসগুলো চালু করে দিয়ে কিভাবে তারা টিকে আছে? বিটিআরসি, প্রশাসন বা কোন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার চোখে কি পড়ছেনা এসব?
০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫
রিহানুর ইসলাম প্রতীক বলেছেন: আসলে এ ধরনের ব্যাপার এবং প্রশাসনের উদাসীনতা দেখে খুব কষ্ট লাগে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভন্ডামি।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
রিহানুর ইসলাম প্রতীক বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যারা বুঝবেনা বা অনেক বয়স্ক লোকেরা আছে যারা মেসেজ কখনো পড়ে দেখেনা তাদের কী হয়? তাদের অজান্তেই এই ধরনের সার্ভিস চালু হয়ে যায় এবং টাকা কাটতে থাকে। এটা কী ধরনের ব্যবসা? কতটা নিচু এবং বিকৃত লোভী মানসিকতার হলে এই ধরনের সার্ভিস চালু রাখা যায়? বিটিআরসির কারো কি চোখে পড়েনা এসব? নাকি তাদেরও যোগসাজশ আছে এতে? তাদের চোখে না পড়ার মত তো কোন কারণ দেখছিনা। কেননা এসব ভুয়া বেহুদা সার্ভিস প্রত্যেকটি মোবাইল অপারেটরের আছে এবং প্রতিদিনে এসব থেকে যে কতশত কল আর মেসেজ আসে তার হিসাব নাই।
মেজাজ পুরাই বিলা
হিরক রাজার দেশে- আছি যেন!!
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তারানা হালিম কী করে সেটাই দেখার বিষয়...
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গুলো সব চোর।
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৫৫
বিবেক ও সত্য বলেছেন: গ্রামিনে ওফার পেলাম যে 89 টাকা রিজার্জে ১ জিবি ১ মাস মেয়াদে। রিচার্জ করলাম, পেলাম ১ জিবি। তবে সময় না পাওয়ায় ৮/১০ দিন নেটে বসিনি। ৮/১০ দিন পর দেখলাম আমার কোন ডাটা নেয়। কোথায় গেল পুরা ১ জিবি? জানি অভিযোগ করে কোন লাভ হয়না, আমরা প্রতারনার শিকার
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: এরকম চার সংখ্যার বহু নম্বর ওরা বানিয়েছে শ্রেফ টাকা মারার জন্য। আপনাকে বলবে 'আপনি এত টাকা এই গান শোনার জন্য সাবস্ক্রাইব করলেন ধন্যবাদ'? আমারও অনেক টাকা রবি গ্রামীন এরা চুরি করেছে। পরিমানটা খুব বেশি না হলেও। এরকম টাকা গ্রামের শহরের অল্প শিক্ষিত (যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ) মানুষের কাছ থেকে প্রতিটি অপারেটর হরদম কাটছে যার শেয়ার উপরের দিকেও নিশ্চই পায় আর যার কাছ থেকে কাটল তিনি হয়ত জানেনইনা বা খেয়ালই করেননি!! এরকম চুরি বাংলাদেশেই হতে পাা্রে।