নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হইচই, হট্টগোল এড়িয়ে চুপচাপ, নিরিবিলিতে লুকিয়ে থাকতে ভাল লাগে।

রিম সাবরিনা জাহান সরকার

যা-ই লিখি, কাঠবিড়ালীর মত এখানে জমিয়ে রাখি। https://rimsabrina.blogspot.com/

রিম সাবরিনা জাহান সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্তুগালের অলিগলি: পর্ব ৫

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৫


পর্ব ৪ এখানে
১১.
‘এ্যাঁ, হ্যালো, হ্যালো...’। অল্প বয়সী ট্যুর গাইড ছেলেটা মাইক্রোফোন হাতে নড়েচড়ে বসেছে। এতক্ষনে তার অস্তিত্ব জানা গেল। ‘আমরা প্রায় চলে এসেছি। আর মাত্র মিনিট পনেরো। এই ফাঁকে লিসবনের টুকটাক ইতিহাস জেনে ফেললে কেমন হয়? বাই দ্যা ওয়ে, আমার নাম পেদ্রো’। পুরো রাস্তায় কোনো খবর নেই, আর এই দশ-পনেরো মিনিটে সে আমাদের পুরো লিসবনের ইতিহাস গিলিয়ে দেবে, হুঁহ্।

পেদ্রোকে দু’পয়সা পাত্তা না দিয়ে ঠিক আগের মতই গল্প-আড্ডায় বাস কাঁপাতে লাগলাম আমরা। তাছাড়া, মাত্রই ভিভার কাছ থেকে ‘সাফল্যের সহজ পাঁচ তরিকা’ জাতীয় ক্যারিয়ার টিপস্ নেয়া শুরু করেছিলাম। তার বদলে পর্তুগালের অতীত কেচ্ছা-কাহিনী শোনার তেমন খায়েশ নেই আপাতত। ছেলেটা কিন্তু একটুও দমে না গিয়ে তার গাইডগিরি শুরু করে দিল।

‘লিসবন তখন ঐশ্বর্য আর ক্ষমতায় লন্ডন-প্যারিসের কাতারে। হবেই বা না কেন। ব্রাজিলে কলোনির সুবাদে সেখানকার সোনার খনির মালিকনার বদৌলতে পর্তুগীজ সাম্রাজ্য পেট মোটা সোনার কুমির। সেই সময়ের কথা বলছি। সালটা ১৭৫৫।‘ পেদ্রোর অতি চতুর ধরনের কথাবার্তা বিরক্তিকর ঠেকছে। তবুও শুনছি আর কি।

‘পয়লা নভেম্বর। চমৎকার, রোদেলা এক শীতের সকাল। শহর জুড়ে সাজ সাজ রব। কি যেন একটা ধর্মীয় উৎসব সেদিন। ওহ্, ‘অল সেইন্টস ডে’। মানে হ্যালোইনের পরের দিনটা আর কি’। মনে পড়ার ভঙ্গিতে বললো পেদ্রো। ‘বেশুমার মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে ঘরে-বাইরে আর গির্জায়। অলিগলি, রাজপথে ছেলে-বুড়োর হল্লায় টেকা দায়। ঠিক এমন সময়ে ঘটলো অদ্ভূত ঘটনা। পায়ের নিচের মাটি দুলে উঠলো আচমকাই। প্রবল ভূমিকম্প। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গির্জার ঘন্টাগুলো আপনা থেকেই বেজে উঠলো, ঢংঢং ঢংঢং। লাল টালির বাড়িগুলোর দেয়ালে চিড়চিড় শব্দে ফাটল ধরতে লাগলো। ইট-কাঠ খসে খসে পড়লো লোকের মাথায়। জ্বালিয়ে রাখা মোমবাতি-মশাল উল্টে পড়ে আগুন ধরিয়ে দিল মুহূর্তেই। আতঙ্ক আর আর্ত চিৎকারে নরক নেমে এল শহরজুড়ে।‘

গল্পে ডিজাস্টার মুভির এ্যাপোক্যালিপ্টিক ঘ্রান পেয়ে সবাই সোজা হয়ে বসেছি। খেয়াল করে পেদ্রো মুচকি হাসলো। সে বলেই চললো, ‘কেউ জানলো না যে লিসবনের কাছেই আটলান্টিকের গভীরে অজগরের মত ঘাপটি মেরে আছে এক ফল্ট লাইন। যেখানে মিশেছে বিশাল দু’টো টেকটোনিক প্লেট। সেদিন ঘড়ি ধরে সকাল সাড়ে নয়টায় প্লেট দু’টোর একটা আরেকটার উপর উঠে গিয়েছে। সুতরাং, লিসবনবাসীর দুঃস্বপ্ন সবে তো শুরু।‘

‘লোকজন দিগ্বিদিক ছুটতে ছুটতে টাগোস নদীর বন্দরে এসে ভিড় জমিয়েছে। শান্ত টাগোসের তীরেই লিসবনের গড়ে ওঠা। আজকে এই নদী পেরোলেই বুঝি শহর ছেড়ে পালানো যাবে। কিন্তু শান্ত নদী থেকে ধেয়ে এল চল্লিশ ফিট উঁচু এক সুনামি। মুহূর্তেই হাঁ করে গিলে নিল মানুষগুলোকে। তারপর মাটি কামড়ে ছেঁচড়ে ঘেঁষটে নিয়ে গেল সামনে আর যা কিছু পেল। দালানোকোঠা কাগজের নৌকা হয়ে ঢেউয়ের মাথায় ভাসতে লাগলো। তাতে যাত্রী হল হাজারো লাশ। সুনামির ঢেউ নেমে গেলে আগুন আরো তাতিয়ে উঠলো। পাঁচ দিন ধরে জ্বললো সে আগুন। তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেল হাজার ডিগ্রি। বাঁচার আর কোনো উপায়ই থাকলো না। জমকালো লিসবন রাতারাতি পাল্টে গেল গনগনে চারকোল আর কঙ্গালের অঙ্গারে ঝলসানো বীভৎস এক নরক কুন্ডলীতে’।

নরক কুন্ডলীর ধোঁয়ার ঝাঁজ যেন আমাদের নাকেও ঠেকলো। মনের ভুলেই খক্খক্ কেশে উঠলাম কয়েকজন। এদিকে, আলতো ঝাঁকি তুলে বাস এসে থেমেছে লিসবন সিটি সেন্টারে। পেদ্রো রাজপথের ভিড়ভাট্টা দেখিয়ে তার গল্পের ইতি টানলো, ‘কে বলবে ইউরোপের ইতিহাসে ভয়ংকরতম ভূমিকম্পের সাক্ষী এই লিসবন। এক ধাক্কায় ত্রিশ-চল্লিশহাজার মানুষ ভ্যানিশড ইনটু থিন এয়ার। ভাবা যায়?’

বাস থেকে নামতে গিয়ে হাত-পাগুলো ঝেড়ে নিলাম ভাল করে। এতক্ষনের নট নড়ন-চড়নে সেগুলোও চারকোলের মত শক্ত হয়ে গিয়েছে।

১২.
পেদ্রো আমাদের হাতে দুইটা অপশন দিয়েছে। শপিং অথবা ঘুরে ফিরে শহর দেখা। ইতস্তত করছি কি করবো, আর তার মাঝেই ছোকরাটা প্রায় সব্বাইকে নিয়ে লিসবনের হাই-এন্ড ফ্যাশন স্ট্রিটগুলো যেদিকে আছে, সেদিকে পা চালালো। বাকি রইলাম হাতে গোনা ক’জন। সে ক’জনেরও কেউ কেউ দ্রুত হেঁটে এদিক ওদিক সটকে পড়লো নিজের মত ঘুরবে বলে। এবার ডানে-বামে দাঁড়িয়ে শুধু ভিভা লামা আর মরিশিও। মরিশিওর মত আমুদে লোক বাকিদের সাথে গেল না দেখে অবাকই হলাম একটু।

‘শপিং, না কচু! জামা-জুতোর গুষ্ঠি কিলাই। চলো, এগোই’। কারনটা বুঝলাম এবার। ভিভা আর আমি নিঃশব্দে তার পিছু নিলাম। ভিভা তার হাত ব্যাগটা খুব করে বগলে চেপে ধরেছে। আমিও কাঁধের ব্যাগটা ঘুরিয়ে সামনে নিয়ে এসেছি। অবশ্য মরিশিওর কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। অথচ, পেদ্রো বিদায় নেবার আগে পঁইপঁই করে সাবধান করেছে। ‘হঠাৎ দেখবে সুশ্রী দেখতে কোনো তরুন বা তরুনী এসে রাস্তা কি দোকানের হদিস জানতে চাইবে। যেই না হাতের ইশারায় দেখাতে যাবে, অমনি পেছন থেকে তার স্যাঙ্গাৎ তোমার ফোন-মানিব্যাগ-ক্যামেরা সরিয়ে চম্পট। মনে রেখো, লিসবন কিন্তু পকেটমারদের স্বর্গ।‘

কিন্তু তেনাদের দেখা আর মিললো কই। বেশ নির্বিঘ্নেই ঘুরে বেড়াচ্ছি। এর ভেতর অ্যান্টি-শপিং মরিশিওর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ভিভা এক বাক্স মামুলি টাইপ কাঁচের থালাবাটি কিনে ফেলেছে। এখন তার চোখ সুগন্ধী সাবান আর কাঁটাচামচের সেটের দিকে। পর্তুগীজ সাবান নাকি ফরাসী পারফিউমের সাথে ডুয়েল লড়তে পারে অনায়াসে। আর পর্তুগালের কাটলারি শিল্পও নাকি জগদ্বিখ্যাত ছিল এককালে। সেই নমুনা মিশিগান অবধি বয়ে না নিলেই নয়।

অ্যান্টিক চেহারার একটা ঘষামাজা চেহারার ছুরি তুলে পরখ করে দেখলাম। বাবা রে, হাতুড়ির মত ভারী আর বাটালির মত ভোতা। এক টুকরো পনিরও কাটা যাবে কিনা সন্দেহ। মরিশিওর সাথে একটা চোখাচোখি হয়ে গেল। ভিভা এখন কাটলারি সেট কিনলে সেটা তাকে কিংবা আমাকেই আলগাতে হবে।

খানিক পরে দেখা গেল মরিশিও আর আমি মুখ ভচকে বেজার হাঁটছি পাশাপাশি। তার কোলে কাঁটাচামচের বাক্স আর আমার হাতে সুগন্ধী সাবানের বিরাট প্যাকেট। আর আগে আগে চলছে আমাদের বস। কাঁচের ঘটিবাটি হাতে ভিভা লামা।

সবারই যখন হাত জোড়া, ঠিক সেই মোক্ষম সময়ে আকাশ থেকে নেমে এলো ছোট্ট একটা পরী। সাদা লেইসের ঝুল ফ্রকে মেয়েটাকে আসলেই ফুটফুটে পরীর মত লাগছে। এগিয়ে এসে হাসিমুখে বললো, ‘হাই, এদিকটায় কোথাও কফিশপ দেখেছো তোমরা? কিংবা স্টারবাকস্ কি ম্যাকডোনাল্ডস?। সাথে সাথে মরিশিও কাটলারির বাক্সটা আমার আরেক হাতে ধরিয়ে দিয়ে লেগে গেল কফিশপের খোঁজ দিতে। পরীর কফির তেষ্টা পেয়েছে বলে কথা!

পেদ্রোর হুশিয়ারি মনে পড়ে গেল হঠাৎ। কনুই দিয়ে একটা ইশারার গুঁতো দিতে চাইলাম। মরিশিও ততক্ষনে মেয়েটার সাথে দুই পা এগিয়ে গলির মাঝে। কোত্থেকে এক ঢ্যাঙা ভূত উদয় হয়েছে মরিশিও ঠিক পেছনে। লম্বা ছেলেটা দু’আঙ্গুল বাড়িয়ে যেই না ব্যাগ ছুঁয়েছে, অমনি খ্যাক্ করে চেঁচিয়ে উঠলাম, ‘এ্যাইইইইহ্! হচ্ছেটা কি? পুলিশ ডাকবো কিন্তু!’।

পুলিশ ওঝার নাম নেয়ার সাথে সাথে ঢ্যাঙা ভূত এক লাফে তার সাদা পরীকে নিয়ে ভিড় ঠেলে মিলিয়ে গেল ভোজবাজির মত। লিসবন দেখছি ছিঁচকেচোরের রাজ্য। যাহোক, আপদ বিদায় দিয়ে ভিভা আর আমি হাঁপ ছাড়লাম। খালি মরিশিওকে কিছুটা মন মরা দেখাচ্ছে পরী উড়ে যাওয়ায়।

বাক্স-পেটরা নিয়ে লিসবনের উঁচু-নিচু অলিগলি ডিঙ্গোতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এক দফা কফি-কেকের বিরতি নিয়ে বাকিটা সময় উড়িয়ে দিলাম গাছতলার বেঞ্চিগুলোতে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে। ফিরে গিয়ে বাস ধরার তাড়া আছে। নইলে ঝিরিঝিরি বাতাসে বেকার বসে থাকতে বেশ লাগছিল। এই তো আর কিছুক্ষন, তারপরই পর্তুগাল অধ্যায়ের শেষ। পৃথিবীটা আসলে একটা বিরাট বই। আর একেকটা দেশ যেন তার একেকটা পাতা। ইশ্, পাতার পর পাতা উল্টিয়ে যদি পুরো বইটা পড়ে নেয়া যেত এক বসায়, কি দুর্দান্তই না হতো!

চোখ ভরে আরেকবার দেখতে দেখতে ফিরতি পথ ধরলাম। ঠিক তখনি আরো একটা দৃশ্য চোখে আটকে গেল। দারুন হ্যান্ডসাম এক তরুন এসে দাঁড়িয়েছে মাঝবয়সী ভদ্রমহিলার সামনে। ছেলেটাকে বিপন্ন স্বরে বলতে শুনলাম, ‘স্টেশনটা কোনদিকে বলতে পারেন? বাস-ট্রাম যাহোক কিছু ধরতে হবে। খুব তাড়া আমার।‘ বিচলিত ভদ্রমহিলা হাতের ইশারায় রাস্তা বাতলানো শুরু করলেন। আরেকটা হাত সাফাইয়ের কেস ঘটতে যাচ্ছে বোধহয়। কিন্তু পকেটমারির মত স্বাধীন ব্যবসায় বাধা দেবার আমরা কে? তাছাড়া, পকেটটা যখন নিজের না। তাই এক গাল নির্বিকার হেসে মহানন্দে রাস্তা মাপলাম। (সমাপ্ত)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: এত এত মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে- উৎসব টা কিসের? ক্রিসমাস না। তাহলে?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪৬

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: এবার দেখুন তো, রাজীব ভাই।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: তিন দিন আগে লিসবনে আমার এলাকার একটা ছেলে হঠাৎ করে মারা গেলো । লাশ দেশে আসতে নাকি সময় লাগবে । বউ বাচ্চা মা বাপ সবাই খুব কান্নাকাটি করতেছে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫৩

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: খুব দুঃখ পেলাম। আল্লাহ ওনাদের কষ্ট সহ্য করার ধৈর্য্য বাড়িয়ে দিক।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:২৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইউরোপ আমেরিকানরা আনন্দ করতে জানে,আমরা জানি নোংরামি করতে।এরা আনন্দ করে প্রান ভরে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:০৩

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: মোক্ষম বলেছেন ।

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩১

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালো লাগল ভ্রমণ কথা

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:২৮

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ধুন্যবাদ, আপু। আপনার চোখে আমার লেখা পড়লে খুব ভাল লাগে।

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: এ রকম একটা লেখার নিচে চারটা মন্তব্য খুবই অমানানসই। দয়া করে লেখা পোস্ট দেয়ার পর সাদা পরি আর ঢ্যাঙাভুতের মত উধাও হয়ে যাবেন না। তাতে করে আপনার ইন্টারেকশন কমে যায় এবং আপনার লেখাগুলো কম পঠিত হয়। কম পঠিত হলে আপনার নিশ্চয় সমস্যা নেই, এটাতো প্রথমালোর বদৌলতে লাখোকোটি মানুষ পড়ছেই!

তবে আমাদের সমস্যা হলো- এই ব্লগে আড্ডার সদস্য না হলে ঠিক জমে না, আর দই ঠিকঠাক না জমলে বেশি মাছি আসে না। আমার বিশ্বাস- ব্লগের স্বার্থেই এই লেখায় (পড়ুন দইয়ে) বেশি মাছি আসা প্রয়োজন.... সুতরাং মাঝে মধ্যে এই ব্লগের পেদ্রোদের গল্পে ঢুঁ-ঢাঁ মারবেন, তাতে করে লিসবনের জমকালো গল্পের মত কিছু গল্প পেয়েও যেতে পারেন।...

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৩৫

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: "দয়া করে লেখা পোস্ট দেয়ার পর সাদা পরি আর ঢ্যাঙাভুতের মত উধাও হয়ে যাবেন না।" কি যে প্রান খুলে হাসলাম! আমি আজকে থেকে আপনার বিনে মাইনের বাবুর্চী বনে গেলাম। যা বলবেন, তা-ই হবে। জো হুকুম। এরপর থেকে খুব মন দিয়ে ব্লগ রাঁধবো। তিন সত্যি।
ভীষন ভাল থাকবেন।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার ছিল ছোট্ট অথচ মিষ্টি মধুর সিরিজটি। এটা পড়ে ইচ্ছে হচ্ছে পর্তুগাল বেড়াতে যাওয়ার।

বি:দ্র: লেখা পোস্ট দেয়ার পর উধাও হয়ে যাওয়া তো আমার মুদ্রা দোষ ছিল, আপনিও কি সেই দলে নাকি?

তবে পদ্ম পুকুর এর মন্তব্যের সাথে সহমত নই। ব্লগে যখন লগইন করা ব্লগার থাকে ২০-৩০ জনা, তখন কি পোস্ট করে বসে থাকবে পোস্টদাতা, ইন্টারেকশন এর জন্য। :(

=p~ =p~ =p~

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫৩

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ভাই ভালো আছেন নিশ্চয়ই। দেরিতে জবাব দিচ্ছি। মাফ করবেন।
উধাও হতেই ভাল লাগে। পুরানো অন্তর্মুখী স্বভাব। এ যুগের ঢ্যাঁড়া পিটানো রকমটা আমার মত সেকেলে মনের লোকের সাথে ঠিক যায় না।
ব্লগের ব্যাপারে আপনার সাথে একমত। কি করা যায় বলুন দেখি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.