নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা-ই লিখি, কাঠবিড়ালীর মত এখানে জমিয়ে রাখি। https://rimsabrina.blogspot.com/
সাহস করে মলাট ওল্টাতেই সশব্দে খুলে যায় ক্যাফে বোহেমিয়ানের ভারি পাল্লা। তারপর এক কোনে আসন টেনে বসেধোঁয়া ওঠা কফি কাপের আলতো চুমুকে বদলে যেতে থাকে দৃশ্যপট। চার দেয়াল উবে গিয়ে ভেসে ওঠে ছোট্ট সবুজ দ্বীপ। নারিকেলের সারি এলোমেলো মাথা নুইয়ে কুর্নিশ জানিয়ে আবার উদাস দাঁড়িয়ে পড়ে। আশ্চর্য এক ভ্রমন কাহিনীর পাতায় স্বাগতম। যার নাম ‘কোরাল দ্বীপের হীরা-পান্না‘। গল্পটা চিরচেনা বাংলাদেশের আধ চেনা কোরাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন্সের। এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে গেলে ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের পুরোটাই যেন পাড়ি দেয়া হয়ে যায়।
ক্যাফে বোহেমিয়ানের পাতাগুলো আসলে আলাদিনের উড়ন্ত গালিচা। যন্তর মন্তর ফুশ্ মন্তর বলে পাঠককে এবার সে উড়িয়ে নেবে সুদূর অস্ট্রিয়ার তুষার ঘেরা ‘আল্পবাখের বাঁকে’। সেখানকার ভয়ংকর সরু খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে পিলে চমকে উঠবে আচমকাই। আবার খাদ ডিঙ্গোলেই রোদ ঝলমলে স্প্যানিশ দ্বীপ টেনেরিফে। ফ্লামিঙ্গো নাচের আসরে আয়েশী ভঙ্গিতে খানিকটা জিরিয়ে নিয়েই আবার ছুট। গন্তব্য জার্মান শহরতলী টেগের্নসী। এবার ভিড়ে যেতে হবে এক দল বঙ্গললনার সাথে। আজকে তাদের ‘লেডিস ডে আউট’। এক বাক্স সিংগারা-সমুচা নিয়ে তারা ট্রেনের কামরা জাঁকিয়ে বসেছে। চাইলে এক-আধ খানা সমুচা মিলতেও পারে। তাদের পিছু নিয়ে পাহাড়ে আঁচলে আর লেকের পাড়ে আলসেমি করে কাটানো দুপুর গড়ানো বিকালটা মন্দ লাগবে না। তারপর, আবার যদি ঝোলা কাঁধে বেরিয়ে পড়তে মন চায়, তাহলে বিনা টিকেটেই ঘুরে আসা যাবে ভাস্কো ডা গামার পর্তুগালে। বিলবোর্ডে রোনালদোর মুচকি হাসিটাই বলে দেবে এ বড় মজার দেশ। আর প্রফেসর মরিশিওর সাথে দেখা হলে তো কথাই নেই। তার সাথে ‘পর্তুগালের অলিগলি’ ঘুরে সময় উড়ে যাবে কর্পূরের মত। তবে মানিব্যাগ সাবধান। এদেশে আকাশ থেকে পরী এসে হাত সাফাইয়ের ভেল্কি দেখিয়ে যায় কিনা।
ট্রেনে আর প্লেনে চেপে কতই তো ঘোরা হল। এবার লেখকের সাথে তার নড়বড়ে দু’চাকার সাইকেলের পেছনে বসে ঝিরিঝিরি বাতাস কেটে মিউনিখ শহরটা দেখে নিলে ক্ষতি কি। ‘সাইকেল আউর আওরাত’ সে অর্থে ভ্রমনের গল্প নয়। বরং কলমের কালিতে আঁকা লোকালয়ের সকৌতুক স্কেচ। তবে ‘হাড়ি-নারী, হারি-নারি’ আরো কড়া ধাঁচের পোট্রের্ট। কালির বদলে হেঁশেলের খুন্তিটাকে ত্রিশূলের মত বাগিয়ে লেখা হয়েছে একে। করোনাকালের রাগ-ক্ষোভ এখানে প্রকট। তাই পড়তে হবে একেবারে নিজ দায়িত্বে, ঢাল-তলোয়ারের আড়ালে। ঘটনার ঘনঘটা এড়িয়ে দু’দন্ড নিরিবিলিতে পালাতে চাইলে ‘আঠারো নম্বর ট্রোগার স্ট্রিট‘ একটা ভাল জায়গা। ‘মেহেগনি কফিন’ও বেশ শুনশান। এ দু’টো গল্প না হয় চমক হয়েই থাকলো।
প্রথম আলো’র ‘দূর পরবাস’ আর ‘ভ্রমন‘ পাতায় পর্ব আকারে ছাপা হয়েছিল লেখাগুলো। ভবঘুরে গল্পদের এক সাথে জুড়ে দিয়ে একটা স্থায়ী ঠিকানা দেয়া হল। এক কাপ কফি সমেত পাঠকের অপেক্ষায় থাকবে ‘ক্যাফে বোহেমিয়ান’।
মিউনিখ, জার্মানি
০৬ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৪:১১
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: পুতুলাপু, এখন আপনি যদি নিজের জন্যে এক কপি কিনে আর দুই কপি গোবেচারা টাইপ দুই বন্ধুকে গছিয়ে দিয়ে প্রকাশকের দেউলিয়া হওয়া সামান্য ঠেকাতে পারেন, তবেই অভিনন্দনটা গ্রহন করা হবে।
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার একটা বই হাতে আছে । এইটাও চলে আসবে আশা করি ।
আপনার উচিৎ অণ্য সব কাজ গৌণ করে কেবল মাত্র লেখালেখিতে মন দেওয়া । বছরে দুই চারটা বই বের করা !
এখনও সময় চলে যায় নি বুঝেছেন ! পাঠক সমাজকে বঞ্চিত করবেন না ।
০৬ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৪:২৪
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: অপু ভাই, আর ক'মাস আছে বর্তমান চাকরির মেয়াদ। নতুন চাকরিও জোটাতে পারছি না। সব চাট্টিবাট্টি গোল করে ইতং বিতং লিখে পার করা ছাড়া বোধহয় আর উপায়ও নেই।
জোকস্ এ্যাপার্ট, লেখালেখির ক্ষেত্রে একটা কথা আপ্তবাক্য মেনে চলি। মানিক বাবু বলে গেছেন, 'দেখো, দু'টো ডাল-ভাতের সংস্থান না রেখে বাংলাদেশে কেই যেন সাহিত্য করতে না আসে'।
তবে আপনার কথা আমি মাথা তুলে রাখি। অশেষ কৃতজ্ঞতা তাই।
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:১৭
মলাসইলমুইনা বলেছেন: রিম সাবরিনা জাহান সরকার ,
শিরোনামটা 'বোহিমিয়ান' না লিখে বোহেমিয়ান লেখার থেকেই আপনার স্বাতন্ত্র শুরু হয়েছে কিন্তু ।আশাকরি পুরো বইটাতেই আপনার লেখার সেই স্বাতন্ত্র পাওয়া যাবে। ব্লগের লেখাগুলো পড়েছি । সেজন্যই জানি যেগুলো পড়িনি সেগুলোও ব্লগের লেখাগুলোর মতোই বা আরো বেশি চমৎকার হবে । শুভেচ্ছা নতুন বইয়ের জন্য । প্রচ্ছদটা যিনিই করুন না কেন বইয়ের থিমটা পুরোই বুঝে করেছেন মনে হচ্ছে । প্রচ্ছদটা সুন্দর হয়েছে । ওপরে অপু তানভীরের মন্ত্যয় যথাযথ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে কিন্তু । সব মিলিয়ে চমৎকার একজন ব্লগারের চমৎকার একটা বইয়ের অপেক্ষায় রইলাম । বই অর্ডারের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে ।
০৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:২৭
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আমার বই রাখুন, আমি তো বাংলাদেশ এ্যাম্বেসি মারফত আপনার বই হাতে পাবার জন্যে তীর্থের কাক হয়ে বসে আছি।
আর টুকটাক লেখালিখিকে শখ হিসেবে দেখি। তাতে চাওয়া-পাওয়ার হিসেব থাকে না। আর না থাকে সফল হবার আকাঙ্ক্ষা। এক ধরনের একপেশে ভালবাসা। এভাবেই চলুক না বিষয়টা। তবে বই আরেকটা এ বছরই বের করার ইচ্ছে আছে। সংকলন না, কিছু অপ্রকাশিত লেখাও থাকবে হয়তো। দোয়া করবেন।
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: লেখায় যথারীতি সেই রকম স্বাদ (রস-কস-টক-ঝাল-বুলবুলি-সিংগারা )।
আর তাতেই কাত,যাতে মনের সাথে সাথে পেটেরও দফা-রফা (মনের সাথে সাথে পেটের ও ব্যবস্থা হয়ে যায় কোন ফাকে টেরই পাওয়া যায়না)।
শব্দ-বাক্যের বিন্যাসও যে হৃদয়ের সাথে সাথে প্রানঘাতী হতে পারে তা আপনার লেখা না পড়লে বুঝা যায়না।আপনার লেখার প্রতিটা শব্দ চয়ন কিংবা বাক্যের ব্যবহার এমনভাবে হয় যাতে পাঠক টেরই পায়না সে লেখা পড়ছে না লেখার মিসাইল (মজার) আঘাতে প্রানটাই যাচছে ।
এর সাথে যদি আবার সাদা চামড়ার দেশে একঝাক বাদামী চামড়ার বংগললনার দেখা মিলে তাহলেত মনে মনে বেজে উঠে - " আহা সুখ আর সুখ, এত সুখ সইব কি করে"?
আবার সেদিন যদি হয় শুধু লেডিজ ডে আউট " আহা !!! পুরো দিন বংগললনাদের সাথে কাটানোর মওকা তবে তার জন্য সেদিন স্বর্গের অফার ছেড়ে দিয়ে মর্ত্যের অপ্সরাদের সাথে কাটানোকেই অনেকে বেছে নিবে বিদেশ-বিভুইয়ে আল্পবাখের বাঁকে কিংবা আঠারো নাম্বার ট্রোগার স্ট্র্রিটে ঘুরাঘুরিকে আর স্রষ্টাকে বলে বসতে পারে আজ স্বর্গে যাওয়া আমার অমিট । আমি কাল যাব।
আর এসবের সাথে সাথে রসনাপ্রিয় বাংগালীর আরেক প্রিয় আইটেম সিংগারা-সমুচা যদি মিলে তাহলে ভাল না মিললেও সমস্যা নাই । কারন ঘ্রানইত আর্ধেক ভূরিভোজন হয়ে যাবে।আবার এদিকে প্রথমেই লেখার মজায় পেট আগে থেকেই ভরা । জায়গা কোথায় এত ছোটা পেটে এত সব মজার খাবার খাওয়ার?
আর দিনশেষে , বগংললনার সাথে সাইকেলের পিছনে চেপে ইউরোপের অলিগলি ভ্রমন !!!!!!!!!!!!!!! হায় হায় এবার সত্যই খুশিতে-মজায় পাগল হবার দশা। আর এতসব খুশিতে-মজায় দিন কাটিয়ে দিনশেষে যে ঘরে যেতে পারব কিনা তাই চিন্তার বিষয় । আর ঘরে গেলেও ঘরে যে মন বসবেনা এটা নিশ্চিত। বার বার মনে হবে ,ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে - " কে যেন গো ডাকছে আমায়"।
০৮ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: কামরুজ্জামান ভাই, এই মন্তব্য ছবি করে টাঙিয়ে রাখতে হবে বৈঠকখানায়। অথবা স্টিলের ট্রাংকে। কারন এ যে অমূল্য। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন। আর ভাই-বেরাদার যাকে পান বইটা গছিয়ে দেবেন।
ভাল থাকবেন অনেক।
৫| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: বিদেশে থেকে বই কিভাবে প্রকাশ করেন?
০৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: প্রকাশকের আন্তরিকতা ছাড়া সম্ভব হতো না। ওনারা আমার কাছে দ্বিতীয় পরিবারতুল্য।
৬| ০৭ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৩:২৭
সোহানী বলেছেন: ফ্যান্টাসটিক।
আমি জার্মান থেকেই তোমার বই সংগ্রহ করবো। আমার জন্য কিন্তু এক কপি করে রাখবা (অবশ্যই ফ্রি কপি নয় ) । এ সামারে যেতে পারবো না কারন আমার ভাই দেশে যাবে। তাই নেক্সট সামারে দেখা হবে আশা করি।
০৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: আপু, তাহলে আকাশের চাঁদ হাতে পাবার মত আনন্দ হবে। অধীর অপেক্ষায় থাকলাম।
৭| ১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: আজকে মেলা থেকে আপনার ক্যাফে বোহেমিয়ান কিনতে গিয়ে স্টল আর খুজে পাই না । পুরো মেলা দুইবার চক্কার মারার পরে খেয়াল হল যে ঐ স্টলের সামনে দিয়ে আরও কয়েকবার গিয়েছি । তবে শেষ পর্যন্ত খুজে পেলাম !
আপনার বইটা দিয়েই আজকে পড়া শুরু । কোরাল দ্বীপে হীরা পান্না পড়ার পরে মনে হল আমার প্রথম মন্তব্যে কোন ভুল ছিল না । আপনার সব কিছু বাদ দিয়ে কেবল লেখালেখিতে মন দেওয়া উচিৎ !
১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৩:৫৫
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: কি যে বলেন। আপনাকে না জানিয়ে একটা অন্যায় করেছি। একটা স্ক্রীনশট বাবদ আদ্ধেকটা মন্তব্য ছেপে দিয়েছি আমার ফেসবুকে। https://www.facebook.com/rim.sabrina
হাতে বই দেখে শিশুতোষ আনন্দ হচ্ছে। কি দিয়ে এই খুশির দাম দেই?
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৪৬
মিরোরডডল বলেছেন:
লেডিস ডে আউট
মনে হচ্ছে খুবই মজার হবে ।
বইয়ের নামও পছন্দ হয়েছে ক্যাফে বোহেমিয়ান ।
অভিনন্দন রিমাপু ।