নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর বলবো নিজের সম্পর্কে! কিছুই বলার নাই।

I love politics. I want death of those who killed our Army officers.

রিনকু১৯৭৭

দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।

রিনকু১৯৭৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যুৎ বিল রহস্য

২৩ শে জুন, ২০২০ ভোর ৫:৩৯

বারান্দার কোনায় বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে রফিক কি যেন চিন্তা করছে। ১টা মাস হতে চললো সে কাজে যায় না। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে তার অফিস বন্ধ রয়েছে। এদিকে তার এক কলিগ কিছুক্ষণ আগে তাকে ফোন দিয়ে বললো তাদের অফিস থেকে বেশ কয়েকজনকে নাকি ছাটাই করা হতে পারে। চলতি মাসের বাসা ভাড়াটা এখনো দেওয়া হয়নি। দিবে কোথা থেকে? সেতো বেতনই পায়নি এখনো!

রফিক ছোটখাট একটি কোম্পানীতে চাকরী করে। মাসিক বেতন পায় ২০ হাজার টাকা। স্ত্রী, একছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে থাকে উত্তরার দক্ষিণখানের একটি বাসায়। যা বেতন পায় তার বেশীরভাগই চলে যায় বাসা ভাড়ার পেছনে। মাসিক ভাড়াই দিতে হয় ১২ হাজার টাকা। দুই রুম, রান্নাঘর ও একটি বাথরুম। এরচেয়ে কম ভাড়ার বাসা সে অনেক খুঁজেছে কিন্তু পায়নি। ৮হাজার টাকার একটি বাসা পেয়েছিল কিন্তু সেই বাসায় উঠতে গেলে ৩মাসের অগ্রীম টাকা দিয়ে উঠতে হবে। রফিক কষ্ট করে এদিক সেদিক করে টাকাও জোগাড় করেছিল কিন্তু ততদিনে বাসাটি ভাড়া হয়ে গিয়েছে।

ঐ যে বললাম ১২ হাজার টাকা বাসা ভাড়া সেটাতো শুধু বাসা ভাড়া। এরপর রয়েছে পানির বিল, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল। এসব বিল দিতে দিতে সামান্য টাকাই থাকে বাসা চালানোর জন্য। ছেলেমেয়েরা আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। ওদের পিছনেও কম করে হলেও খরচ রয়েছে। টাকা জমাবে কি করে? জমানোর সে সুযোগটাতো থাকতে হবে!

গ্রামের জমিজমা যা ছিল সব হারিয়েছে। সেটা আরেক বিশাল কাহীনি। সৌদি আরব যাওয়ার স্বপ্ন দেখে সে এক রিক্রটিং এজেন্সীর ওপরে টাকার পর টাকা ঢালতেই থেকেছিল। সেটা বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। তার যাওয়া আর হয়নি, আর ঐ টাকাও ফেরৎ পাইনি। এখন গ্রামের ছোট্ট একটি বাড়িতে রফিকের বাবা-মা ও ছোট ভাই থাকে। রফিক মাসে মাসে শুধু বাবা-মায়ের ঔষুধের খরচের টাকা পাঠায় আর ছোট ভাই অল্প পুজি দিয়ে শাক-শব্জির ব্যবসা করে কোনমতে টিকিয়ে রেখেছে।

বউয়ের সামান্য গয়না ছিল সেগুলো বিক্রী করে কিছু টাকা ব্যাঙ্কে জমা রেখেছিল। গত সপ্তাহে শুনে সেই ব্যাংক দেউলিয়া ঘোষনা করেছে। যদিও ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষ বলছে গ্রাহকদের টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হবে কিন্তু রফিকের মন বলছে এসবের কিছুই হবে না। রফিক ভেবেছিল ব্যাংক থেকে টাকাগুলো তুলে সেখান থেকে বাসা ভাড়া দিবে।

আজকে সকালেও বাড়িআলা বলে গেলো ভাড়া দিয়ে দেওয়ার জন্য। করোনা ভাইরাসের কারণে সব কিছুযে বন্ধ সেটা সবাই জানলেও মনে হয়না বাড়িআলারা ও স্কুলগুলো জানেন। বাচ্চাদের স্কুল থেকে এসএমএস এসছে স্কুলের বেতন পরিশোধ করে দেওয়ার জন্য। ঐ দিকে জুলাই মাসে স্কুলগুলোতে যে বাৎসরিক ফি দিতে হয় সেটাও কিছুদিন আগে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে স্কুল।

তবে যাই হোক রফিক যে এতো কিছু নিয়ে চিন্তা করছিল সব চিন্তা বাদ দিয়ে তার মাথায় একটি নির্দিষ্ট চিন্তাই ঘুরপাক খাচ্ছে খানিকটা সময় ধরে। তার বাসায় নেই কোন ডিপ ফ্রীজ, নেই কোনো এয়ার কন্ডিশন, নেই কোনো কম্পিউটার, নেই কোনো দামি ইলেক্ট্রনিক জিনিষপত্র তাহলে কিভাবে তার বিল ২০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা হলো সেটা চিন্তা করেই তার মাথাটা ঘুরে উঠলো। এ এক বিদ্যুৎ বিল রহস্য!!!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আজ কোনো মুভি রিভিউ নেই কেন?
আপনার দেওয়া সব গুলো্মুভিই আমি দেখেছি।

২৩ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: ভাবলাম একটা গল্প লিখি তাই লিখলাম। মুভি রিভিউ লিখবো। আপনাকে ধন্যবাদ সিনেমা দেখার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.