নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রকাশিত ভাবনা

রিওন মনি

জানতে আগ্রহী

রিওন মনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমিকেরা পাগল

২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০২

আসসালামু আলাইকুম, আমি এই ব্লগে প্রথম। আমার এটি প্রথম পোষ্ট। আশা করি সবাই ক্ষমাসুন্দর ভাবে দেখবেন আর উৎসাহ দিবেন। আমি আজ প্রেমিকদের নিয়ে কিছু লিখলাম। দয়া করে প্রেমিকরা মাইন্ড করবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফর্নিয়ার এক প্রতিষ্ঠান টানা বিশ বছর গবেষনা করে দেখেছেন যে, মানুষের হ্রদয় থেকে এক ধরনের ইলেক্ট্রো ম্যাগ্নেটিক ফিল্ড নির্গত হয়।এই তড়িৎ চৌম্বক ক্ষেত্র মানুষের দেহের কয়েক ফুট জুড়ে প্রভাব ফেলতে পারে।এই সীমানা নির্ভর করে আবেগের ধরনের উপর। প্রেমে পড়লে মানুষের গাল লাল হয়ে যায়, হ্রদ স্পন্দনের গতি বেড়ে যায়, হাতের তালু ঘামতে থাকে, এসবই দৃশ্যমান লক্ষন। কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষকদের নজর আরো গভীরে। তাতে দেখা গেছে এমন অনুভুতির ক্ষেত্রে মানুষের শরীরের একেবারে ভিতরে বেশ কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন আসে। এতে কল কাঠি নাড়ে কয়েক ধরনের হরমোন।

১ম ধাপঃ প্রেমে পড়ার প্রথম ধাপে টেস্টেরন, আর অস্ট্রেজন নামে দুটি হরমোন সামনে চলে আসে। এই দুটি হরমোন মানুষকে এমন ভাবে তাড়িত করে যাকে এক কথায় লালসাও বলা যায়। এর প্রভাবে একেবারে মরিয়া আচরণ পর্যন্ত করতে পারে মানুষ। সেটা মহানুভবতাও হতে পারে, আবার হিংস্রতাও হতে পারে।

২য় ধাপঃ প্রেমে পড়ার ২য় ধাপ হল আকর্ষন। এ পর্যায়ে সামনে চলে আসে মনোমাইন নামের একগুচ্ছ স্নায়ু কোষ। এর একটি হচ্ছে ডোপামাইন। অবাক ব্যাপার হল, কোকেন বা নিকোটিন নিলে এই স্নায়ু কোষ যেমন সাড়া দেয়, প্রেমের অনুভুতিতেও তেমনি করে সাড়া দেয়। এরপর বলাই যেতে পারে যে, প্রেমে পড়াটা এক ধরনের নেশায় আসক্ত হবার মত। এ্যড্রিনালিনেরও ভুমিকা আছে। তবে সেরোটোনিনের কথা বলতেই হবে। কারন এটি প্রেমে আসক্ত কাউকে সাময়ীকভাবে প্রকৃত অর্থে পাগল করে দেয়।

৩য় ধাপঃ প্রেমের ক্ষেত্রে মানুষ কখনই শুধু আকর্ষন পর্যন্ত সীমা বদ্ধ থাকতে পারে না। এ পর্যায়ে পৌছালে মানুষ বিয়ে থেকে শুরু করে সংসার পর্যন্ত স্বপ্ন দেখে। তবে সম্পর্কের স্থায়ীত্বের এই অনভুতি আনার জন্য দুটি হরমোন বিশেষ ভাবে দায়ী। এর একটি ফসব্রেসিন অন্যটি আক্সিটোসিন। এই অক্সিটোসিনের কারনে মায়ের সাথে সন্তানের বাধন তৈরি হয়। প্রেম বা ভালবাসার ক্ষেত্রে শুধু দুটো হরমোন নয়, জ্বিন দ্বারাও প্রভাবিত হয় মানুষ।তবে একটা কথা না বললেই নয় গবেষণায় দেখা গেছে প্রেমে পরলের মানুষের ব্রেইন যেভাবে কাজ করে, মানসিক অসুস্থতার সময়ও তার ব্রেইন এই রকম কাজ করে। তাই প্রেমিকদের পাগল মানে, মানসিকভাবে অসুস্থ বলা যেতে পারে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

ভারসাম্য বলেছেন: ঠিক।

+

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.