নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে আমি কোন ব্লগার নই মন চায় তাই লিখি তথ্য-উপাত্ত সবার সাথে শেয়ার করি ।\nজব এর পাশাপাশি এয়ার টিকেট ও ট্রাভেল ভিসার ব্যাবসা করি ।\nধন্যবাদ\n

তানজীর আহমেদ সিয়াম

তানজীর আহমেদ সিয়াম

তানজীর আহমেদ সিয়াম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধ পর্ব-০৩ ( রুহুল আমিন )

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮



মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে রুহুল আমিন চট্টগ্রামে পাকিস্তান নেভিতে কর্মরত ছিলেন৷ একদিন সীমান্ত পার করে তিনি পালিয়ে যান ত্রিপুরায়৷ পরবর্তীতে নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আগরতলায় একত্রিত হয়ে কলকাতায় আসেন আর যোগ দেন ১০ নং নৌ সেক্টরে৷ রুহুল আমিন 'পলাশ' নামক গানবোটের প্রধান ইঞ্জিনরুমে আর্টিফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১০ ডিসেম্বর দুপুরে আকাশে তিনটি জঙ্গি বিমানকে উড়তে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরই প্লেনগুলো আচমকা গুলিবর্ষণ শুরু করে। পাশের গানবোট 'পদ্মা' এই আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়ে যায় আর 'পলাশ' -এর ক্যাপ্টেন তা দেখে নাবিকদের জাহাজ ত্যাগের নির্দেশ দেন। তবে অসীম সাহসী রুহুল উপস্থিত সবাইকে যুদ্ধ বন্ধ না করার আহ্বান করেন। শেষে রুহুল একাই চেষ্টা চালিয়ে যান পলাশ কে বাঁচানোর। হঠাৎ এক গোলার আঘাতে তাঁর ডান হাতটি সম্পূর্ণ উড়ে যায়। পলাশের ধ্বংসাবশেষ পিছে ফেলেই তাই আহত রুহুল আমিন ঝাঁপিয়ে পড়েন রূপসা নদীতে। এই বীর যোদ্ধা একসময় নদীর পাড়েও এসে পৌছান, কিন্তু সেখানে একদল রাজাকার অপেক্ষায় ছিল তাঁর জন্য। আহত এই বীর সন্তানকে তারা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। বেশ কিছুদিন পর স্থানীয় জনসাধারণ বাগমারা গ্রামে রূপসা নদীর পাড়ে তাঁকে দাফন করতে পারে এবং সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করা হয়। বিজয়ের মাসে এই বীরকে জানাই বিনম্র সালাম।

মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে রুহুল আমিন চট্টগ্রামে পাকিস্তান নেভিতে কর্মরত ছিলেন৷ একদিন সীমান্ত পার করে তিনি পালিয়ে যান ত্রিপুরায়৷ পরবর্তীতে নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আগরতলায় একত্রিত হয়ে কলকাতায় আসেন আর যোগ দেন ১০ নং নৌ সেক্টরে৷ রুহুল আমিন 'পলাশ' নামক গানবোটের প্রধান ইঞ্জিনরুমে আর্টিফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১০ ডিসেম্বর দুপুরে আকাশে তিনটি জঙ্গি বিমানকে উড়তে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরই প্লেনগুলো আচমকা গুলিবর্ষণ শুরু করে। পাশের গানবোট 'পদ্মা' এই আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়ে যায় আর 'পলাশ' -এর ক্যাপ্টেন তা দেখে নাবিকদের জাহাজ ত্যাগের নির্দেশ দেন। তবে অসীম সাহসী রুহুল উপস্থিত সবাইকে যুদ্ধ বন্ধ না করার আহ্বান করেন। শেষে রুহুল একাই চেষ্টা চালিয়ে যান পলাশ কে বাঁচানোর। হঠাৎ এক গোলার আঘাতে তাঁর ডান হাতটি সম্পূর্ণ উড়ে যায়। পলাশের ধ্বংসাবশেষ পিছে ফেলেই তাই আহত রুহুল আমিন ঝাঁপিয়ে পড়েন রূপসা নদীতে। এই বীর যোদ্ধা একসময় নদীর পাড়েও এসে পৌছান, কিন্তু সেখানে একদল রাজাকার অপেক্ষায় ছিল তাঁর জন্য। আহত এই বীর সন্তানকে তারা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। বেশ কিছুদিন পর স্থানীয় জনসাধারণ বাগমারা গ্রামে রূপসা নদীর পাড়ে তাঁকে দাফন করতে পারে এবং সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করা হয়। বিজয়ের মাসে এই বীরকে জানাই বিনম্র সালাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.