নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে আমি কোন ব্লগার নই মন চায় তাই লিখি তথ্য-উপাত্ত সবার সাথে শেয়ার করি ।\nজব এর পাশাপাশি এয়ার টিকেট ও ট্রাভেল ভিসার ব্যাবসা করি ।\nধন্যবাদ\n

তানজীর আহমেদ সিয়াম

তানজীর আহমেদ সিয়াম

তানজীর আহমেদ সিয়াম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুড়ানো ( পর্ব -০৪ ) ★\' শহীদ আব্দুল্লাহিল বাকী বীর প্রতীক \' ★

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৯


খিলগাঁওয়ে পাকি জানোয়ারদের হাতে নৃশংসভাবে হত্যার পর, হাত পা বাঁধা অবস্থায় শহীদ বাকী ও তাঁর সহযোদ্ধা শহীদ বাবুলের মৃতদেহ।

ডিসেম্বর ৪-১৯৭১ শহীদ আব্দুল্লাহিল বাকী বীর প্রতীকের ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
স্বাধীনতার মাত্র ১২ দিন আগে, একাত্তরের এইদিনে তাঁকে ও সহযোদ্ধা শহীদ বাবুল'কে রাজাকারদের সহায়তায় নৃশংসভাবে হত্যা করে পাকি হার্মাদের দল।
১৯৭১ সালে আবদুল্লাহিল বাকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ছিলেন। অসহযোগ আন্দোলন ও ২৫-২৬ মার্চের প্রতিরোধ যুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে বাকী ৮ মার্চ গভর্নর হাউসে (বর্তমানে বঙ্গভবন) বোমা নিক্ষেপ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ওই বোমা বিস্ফোরণে আশপাশ এলাকা প্রকম্পিত হয়ে পড়ে।
১৮ এপ্রিল, ১৯৭১ তারিখে একটি চিঠি লিখে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে পাড়ি জমান। সেই চিঠিতে তিনি মাকে লেখেন, ‘...দেশের সংকটময় মূহূর্তে আমি ঘরে বসে থাকতে পারি না।...মা তুমি কেঁদো না। দেশের জন্য এটা খুব ন্যূনতম চেষ্টা।’
ভারতে গিয়ে বাকী মেলাঘরে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়ে মে মাসে কয়েক জনের সঙ্গে ঢাকায় ফিরে আসেন। তাঁরা মতিঝিলের চার স্থানে এক যোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আবার ভারতে চলে যান। এরপর তিনি ভারতের চাকুলিয়ায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে যান। প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে বাকী বাংলাদেশে এসে বৃহত্তর ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেন।
শহীদ বাকী ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রাজাকার বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেন। তিনি ইউনিট কমান্ডার ছিলেন।



নভেম্বরের শেষ দিকে বাকী তাঁর মুক্তিযোদ্ধা দল নিয়ে ঢাকা শহরের উপকণ্ঠেই অবস্থান করছিলেন। ৪ ডিসেম্বর রাতে কয়েকজন সহযোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি খিলগাঁওয়ে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে ফেরার সময় তাঁরা পাকি হায়েনা ও তাদের সহযোগী একদল রাজাকারের সামনে পড়ে যান। পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকার'রা তাঁদের গুলি করে।শহীদ বাকী ও তাঁর সহযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শহীদ বাকী ও তাঁর সহযোদ্ধা বাবুল'কে নৃশংস অত্যাচারের পর হাত- পা বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য তাঁকে ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বীর প্রতীক খেতাব দেওয়া হয়।
আবদুল্লাহিল বাকী অবিবাহিত ছিলেন। তাঁর বাবার নাম মো. আবদুল বারী। মা আমেনা খাতুন। ঠিকানা ২০৩/সি খিলগাঁও, ঢাকা। আব্দুল্লাহিল বাকীরা তিন ভাই ও চার বোন।
গেরিলা ১৯৭১ পরিবার, শহীদ বাকী ও শহীদ বাবুল সহ সকল শহীদের আত্মার চিরশান্তি প্রার্থনা করছি। আমাদের সকলের প্রার্থনায় তাঁরা আছেন।




ধারণা করা হয়, এটি শহীদ আব্দুল্লাহিল বাকী'র শেষ ছবি যা তাঁর মৃত্যুর ঠিক আগের দিন তোলা হয়েছিলো। ছবিটি তুলেছিলেন মরহুম ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ। শ্রদ্ধেয় শহীদ বাকী'র ছোট বোন 'নাজা রুসকিন' তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


এইসব শহীদের পরিবারের জন্য কৃজ্ঞতা রলো; এই শহীদের সাথীরা যদি বাংলাদেশ চালাতেন, সেটাই হতো বাংলাদেশ; আওয়ামী লীগ ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ চালায়েছে পাকিস্তানী ষ্টাইলে

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: জোর যার মুল্লুক তার
বর্তমানে এটাই হোচ্ছে স্টাইল

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

অর্ক বলেছেন: "উদয়ের পথে শুনি কার বাণী , ' ভয় নাই , ওরে ভয় নাই — নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই ।" [কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]

অধীর বুকে অন্তহীন শ্রদ্ধা রইলো এই বীর'র প্রতি! শহীদ বাকী'র মতো মহান বীরদের রক্ত ঘামে পাওয়া এ দেশে জন্ম গ্রহণ করে আমি গর্বিত!
খুব ভালো লাগলো তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে। ছবি দুটো পোস্টকে দারুণ সমৃদ্ধ করেছে। অশেষ ধন্যবাদ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: আল্লাহ তাদের কে জান্নাত নসীব করন
আমীন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.