নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে আমি কোন ব্লগার নই মন চায় তাই লিখি তথ্য-উপাত্ত সবার সাথে শেয়ার করি ।\nজব এর পাশাপাশি এয়ার টিকেট ও ট্রাভেল ভিসার ব্যাবসা করি ।\nধন্যবাদ\n

তানজীর আহমেদ সিয়াম

তানজীর আহমেদ সিয়াম

তানজীর আহমেদ সিয়াম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুড়ানো ( পর্ব ৪৩ )- প্রথম সাধারণ নির্বাচন

১১ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২৯

প্রথম সাধারণ নির্বাচন



ইয়াহিয়া খানের শাসন আমলে ১৯৭০ সালে পাকিস্তানে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের তফশিল ঘোষনা করেন। একজনের এক ভোট, এই ভোটাধিকারের জন্য পাকিস্তানের আপামোর জনসাধারণ সংগ্রাম করেছে। সামরিক তন্ত্রের দিন শেষ হবে। লিগেল ফ্রেম ওয়ার্ক' অধ্যাদেশ জারী করে, দিলেন নির্বাচনী তফশীল।

এবারের নির্বাচন হবে জনসংখ্যার ভিত্তিতে। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ৩০০ আসন। পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা বেশী, ভোটার বেশী, তাই আসন সংখ্যা বেশী, ১৬২ টি আসন পূর্ব পাকিস্তানে ১৩৮ টি পশ্চিম পাকিস্তানে।

মোট ২৪ টি দল '৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশী আসনে মনোনয়ন দেন, ১৭০ আসনে, পূর্ব পাকিস্তানের সবকয়টি ১৬২ টি, ৮ টি দেন পশ্চিম পাকিস্তানে। জমায়াতে ইসলামী ১৫১ আসন।
ইতিমধ্যে মুসলিম লীগ তিন ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। মুসলিম লীগ (কনভেনশন) ১২৪ আসন, মুসলিম লীগ (কাউন্সিল) ১১৯, মুসলিম লীগ (কাইয়ুম) ১৩৩ আসন। পিপলস পার্টি শুধু পশ্চিম পাকিস্তানে ১২০ আসনে মনোনয়ন দেন।
এছাড়া ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, পিডিপি, স্বতন্ত্র, আরো কিছু স্থানীয় দল নমিনেশন সাবমিট করেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য।

একই সাথে, একই দিনে, প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের তফশিলও দেওয়া হলো। প্রাদেশিক পরিষদে, ৩০০ আসন পূর্ব পাকিস্তানে, ৩০০ আসন পশ্চিম পাকিস্তানে।
অক্টোবর মাসে নির্বাচনের সময়, নির্ধারন করা হয়।

আমি ভোটার

কখনো নির্বাচন দেখেনি, দেশ ভাগের পর ১৯৫৪ সালে, প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হয়েছিলো, প্রত্যক্ষ ভোটে। তারপর আর হয়নি, এলো আয়ুব শাহীর বুনিয়াদী গনতন্ত্রের ফরমেটে সামরিক শাসন।
দেশে '৬৬ সালে শেখ মুজিবর রহমান দিলেন ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আয়ুব শাহীর পতন।
২৫ মার্চ, '৬৯ জেনারেল ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা দখল করে, সব ধরণের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষেধ করে দিলেন প্রথমেই।
তারপর, '৭০ সালের জানুয়ারি মাসে নির্বাচনের অঙ্গীকার করেন।

তফশীল ঘোষনা হলো ভোটার তলিকা হাল নাগাদ করা হলো, আমি কলেজে পড়ি আমার নাম এবার ভোটার তালিকায় উঠলো, ভোটার হলাম।
আমি আমার ব্যালট পেপারে সিল মারবো, আমি ভাগ্যবান ভোটার হয়েই পেলাম ভোটের অধীকার।

জয় বাংলা

নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে, সারাদেশে নির্বাচনে তুমুল উত্তাল। পূর্ব পাকিস্তানে এবারের নির্বাচন স্বাধীকারের দাবীতে, স্বায়িত্বশাসনের দাবীতে। বাংলার জনগণ আজ একতাবদ্ধ, শেখ মুজিব আমাদের নেতা।
নৌকা আমাদের মার্কা, জয় বাংলা আমাদের শ্লোগান।

ঝাউতলা

কুমিল্লা শহরে অধ্যাপক খোরশেদ আলম জাতীয় পারিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, এলাকার নাম কোতয়ালি-বুড়িচং, মার্কা নৌকা, আওয়ামী লীগ থেকে, আর প্রাদেশিক পরিষদে আবদুল মালেক।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কাজ চলতো, প্রতিবেশী অধ্যাপক খোরশেদ আলম স্যারের নিজের বাসা থেকে, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিধায় সারা জেলার নেতা কর্মী দের আনাগোনা ছিলো এখনেই।
সৈয়দ আহমাদ ফারুক ভাই ডাকসুর নেতা, এস এম হলের ভিপি, ছাত্রলীগ নেতা।
নিচে সৈয়দ আহমাদ বাকের ভাই খুলেছেন ছাত্র ইউনিয়ন আফিস। আমরা নিয়মিত ফারুক ভাইয়ের কাছে যাই, রাজনৈতিক কারণে।
দেখি ছাত্র ইউনিয়ন' কর্মীদের, আক্লান্ত পরিশ্রম। এহসানুল হক, শেখ শফিক, গোলাম ফারুক, মইনুদ্দিন মামুন, নসিরুল ইসলাম জুয়েল, মিন্টু সিনহা, হুমায়ুন কবির মজুমদার, জাকির হোসেন, ওমর ফারুক, আলী হোসেন চৌধুরী, আরো অনেকে আক্লান্ত পরিশ্রম করছে।
অধ্যাপক মুজাফ্ফরের মার্কা 'কুঁড়েঘর' দ্বেবীদ্বার থেকে নির্বাচন করছেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান ন্যাপের সভাপতি। ছাত্র ইউনিয়নে মেয়ে কর্মীরাও ছিলো ভীষণ একটিভ।

ফারুক ভাই একদিন বললেন, জানিস হুমায়ুন' পদুয়ার বাজার থেকে রোজ সকালে হেঁটে এখানে আসে, আবার সন্ধ্যায় হেঁটে যায় সেই পদুয়ার বাজার, এখন থেকে ৫ মাইল তো হবেই। এতো ভালোবাসে নিজের দলকে। আমাকে নিয়ে গিয়েছিলো তার বাড়ি, আমরা রিক্সায় গিয়েছি।
'এতো দূর থেকে হেঁটে হেঁটে প্রতিদিন আসো?'
'জি ফারুক ভাই বাম রাজনীতি করি, দেশকে ভালোবাসি, দেশের জন্য এতটুকু করতে পারবো না, তাছাড়া আমার আর্থিক অবস্তাতো জনেনই।'
সেদিন ফারুক ভাই অভিভুত হয়ে বলেছিলেন হুমায়ুন' একদিন অনেক বড় নেতা হবে।

কুমিল্লা জেলা ন্যাপের সভাপতি শাহ্ আবদুল ওয়াদুদ সাহেবের বাসা ঝাউতলা, সব কিছু মিলিয়ে, ঝাউতলা এখন নির্বাচনের উত্তাপে মুখরিত।
মুসলিম লীগ নির্বাচনে নমিনেশন নিলেও তেমন ভাবে একটিভ ছিলো না, পরাজয় মেনে নিয়েছেন নৈতিক ভাবে।

শওকত
#যে_স্মৃতি_স্মৃতি_ধূসর_হয়নি

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সঠিক ও ভালো তথ্য

১২ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০৫

তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য :)

২| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো তথ্যবহুল।

১২ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০৬

তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: জ্বী, ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.