নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে আমি কোন ব্লগার নই মন চায় তাই লিখি তথ্য-উপাত্ত সবার সাথে শেয়ার করি ।\nজব এর পাশাপাশি এয়ার টিকেট ও ট্রাভেল ভিসার ব্যাবসা করি ।\nধন্যবাদ\n

তানজীর আহমেদ সিয়াম

তানজীর আহমেদ সিয়াম

তানজীর আহমেদ সিয়াম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুড়ানো ( পর্ব-৪৫ ) - নেক্সট প্রাইমমিনিস্টার অব পাকিস্তান

১৬ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:২০





এলোমেলো সবকিছু, শীতে কাঁপছে স্বদেশ। মাঘের শীত উত্তরের বায়ু প্রবল, তেমনি সময়ে পাকিস্তান সফরে এলেন ইরানের বাদশাহ্ রেজা শাহ্ পাহলভি।
ঢাকায় রমনা পার্কের পূর্ব দিকের ভবনে উঠেছেন, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হাউসে। ব্যাপক সম্বর্ধনার আয়োজন হয়েছে। পাকিস্তান ইরাণ ও তুষস্কে এই তিন দেশেকে নিয়ে আঞ্চলিক উন্নয়নের একটা জোট আছে আর সি ডি নামে, তবে তার সুবাতাস পূর্ব পাকিস্তানে আসেনি। আর সি ডির বিভিন্ন কার্যকর্ম আমাদের পরিলক্ষিত হয়েছে। এস এম হলের ভিপি সৈয়দ আহম্মাদ ফারুক, ফারুক ভাই একবার রাষ্ট্রীয় সফরে ছাত্র প্রতিনিধি হিসাবে, ইরাণ তুরষ্ক সফরে গিয়েছিলেন। রেজা শাহ্ পাহলভির সেবার আর সি ডি ট্যুরে ঢাকায় এসেছেন।
অনেকেই সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন। রাষ্ট্রীয় ব্যাপার প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান একে একে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। শীতঋতু সবাই সুটেড বুটেড, একমাত্র অন্যপোষাকে ছিলেন, শেখ মুজিবর রহমান। চিরচেনা পাইপ হাতে, পাঞ্জাবি পাজামা গায়ে মুজিব কোট। ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবর রহমানকে পরিচয় করিয়ে দিলেন, 'শেখ মুজিবর রহমান, নেক্সট প্রাইম মিনিস্টার অব পাকিস্তান' এই বলে।
পত্রিকায় সেই খবর হেড লাইনে এসেছ ছবিসহ আমরা আনন্দিত, আমারা জয়ী, জয় বাংলার জয় হয়েছে।

পৌষ সংক্রান্তি

বাংলার উৎসব শীতের পিঠা, পূজো পার্বণে, বিভিন্ন আয়োজনে কাঁটছে বেশ। আমরা আয়োজন করেছি পৌষ মেলার, রবীন্দ্র সংগীতে মুখরিত চারিদিকে সেজে আছে, ফুলের বাগানে শীতের বাহারি ফুলের সমাহার।
সবার পরীক্ষার রেজাল্ট আউট হয়েছে, নূতন বইয়ের গন্ধে বিভোর। সেবার জানুয়ারিতে কুমিল্লায় 'কৃষি শিল্প ও বানিজ্য মেলা' হয়নি জলোচ্ছ্বাসের জন্য। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন সমাগত, ফুরফুরে মেজাজে আছি।
আমরাও খদ্দরের মুজিব কোট বানিয়ে নিয়েছি। কুমিল্লার খাদির চাহিদা দেশব্যাপী।
নিয়ম মাফিক নির্বাচনের তিন মাসের মধ্যো জাতীয় পরিষদের সভা ডাকবে প্রেসিডেন্ট, সেই ঘোষনার অপেক্ষায় দেশবাসী।

ভুট্টো

বঙ্গবন্ধুর সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় আসেন ২৮ জানুয়ারি। তিনদিনের আলোচনায় কোন সমঝোতা হয়নি, ভূট্টোর দাবী কেন্দ্রে কোয়ালিশন সরকার। সম্পুর্ণ অযৌক্তিক দাবী, একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সরকার গঠন করবে এটাই গণতন্ত্র। আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, কোয়ালিশন করতে যাবে কেন।
বিফল মনোরথে ভুট্টো ফিরে যায়। ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবকে প্রধান মন্ত্রী বলে সম্বোধন করেছন, সেদিন থেকেই ভুট্টো রয়েছেন উৎকন্ঠায়।

শুধু দু'জনে

আমরা আছি উৎকন্ঠায়, ভুট্টোর আচরণ দেশে- বিদেশে রাজনৈতিক আঙ্গনে সমালোচিত। মঞ্জু মাসির সাথে কয়েক দিন দেখা হয়নি, ওদের কলকাতা যাবার সময় হয়েছ। বিকেলে গেলাম স্বর্ণচাঁপা গাছের নিচে বাগানে, দেশের এই অবস্থায় মাসির কলিকাতা যেতে মন টানছে না, তবুও যেতে হবে আগ থেকেই সব ঠিকঠাক। কলকাতা থেকে বার বার চিঠি আসছে।
শওকত, ভাল লাগছেনা সামনের দিনগুলো কেমন ঘোলাটে লাগছে, তুই সাথে থাকলে বেশ হতো।
অরণি সেদিন পৌষ মেলায় বলেছিল, তুমি চলো তোমাকে নিয়ে কলকাতা ঘুরবো, যাবো কিভাবে দেশের হাবভাব ভাল নয়, অরণি তুমি বেড়িয়ে এসো।
আবার নাহয় যাবো আমাদের পরীক্ষার পরে, শুধু দু'জনে।

#যে_স্মৃতি_ধূসর_হয়নি
#শওকত

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: দেশ ভাগ এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যা এদু'টাই প্রতিটা বাঙ্গালীর কপাল পুড়েছে।

১৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: হুম্ম :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.