নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নময় পথিক। দেখা, শোনা ও জানাগুলিকে ব্লগের পাতায় রেখে যেতে চাই।
একজীবনে সন্ন্যাস, আত্মপীড়ন, নির্লিপ্তির পথে দীর্ঘকাল হেঁটে কবি হেলাল হাফিজ আজকে ৭৩ তম জন্মদিনে পর্দাপন করলেন। শুভ জন্মদিন প্রেম, দ্রোহ, তারুণ্য ও যৌবনের প্রতীক কবি হেলাল হাফিজ। কবিতার জন্যে সব ছেড়েছুড়ে বর্ণিল বিষাদে পুড়ে দীর্ঘ এক নিঃসঙ্গ শিল্পযাত্রা কবির। জুয়ার টেবিল, স্কুল মাস্টারি, সাংবাদিকতা, সরকারি চাকরি প্রত্যাখ্যান, হোটেল বাস, অকৃতদার থাকা, নির্মোহ বৈরাগ্য - এমনকি নিজ মুখে বলেছেন তাঁর জিগোলো হিসেবে দিনযাপনের কথা। বহু নারী তাঁর জীবনে এসেছেন, এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কেউ কেউ কবি হতে পারে। আবার কবিতায় ব্যর্থ হয়েও কেউ কেউ প্রেমিক হতে পারেন। আমি দুই পর্যায়েই সফল। আমার নারীভাগ্য বেশ ভালো। অনেক মানুষের ভালোবাসা আমি পেয়েছি। সুতরাং ব্যর্থতাকে কোনোভাবেই ব্যর্থতা বলতে চাই না। ভালোবাসা সব সময়েই দ্বিপাক্ষিক একটা ব্যাপার। প্রকৃত যে কবি, সে ব্যর্থতাকে শিল্পে রূপান্তরিত করতে সক্ষম। এইটাই হলো চূড়ান্ত কথা।” কবির প্রেম নিয়ে লেখা কবিতাগুলি অসম্ভব জনপ্রিয় –
“এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,
এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে!”
কবি ১৯৪৮ সালের আজকের এই দিনে নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম খোরশেদ আলী তালুকদার, আর মাতার নাম কোকিলা বেগম। ১৯৬৫ সালে নেত্রকোনা দত্ত হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৭ সালে নেত্রকোনা কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পাস করেন। ওই বছরই কবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় ১৯৭২ সালে তিনি তৎকালীন জাতীয় সংবাদপত্র দৈনিক পূর্বদেশে সাংবাদিকতায় যোগদান করেন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন দৈনিক পূর্বদেশের সাহিত্য সম্পাদক। ১৯৭৬ সালের শেষ দিকে তিনি দৈনিক দেশ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক পদে যোগদান করেন । সর্বশেষ তিনি দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত ছিলেন। হেলাল হাফিজ ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন।
তাঁর সম্পর্কে বলা হয়, ‘হেলাল হাফিজ অল্প লিখে গল্প হয়েছেন।’ তাঁর কবিতা সংকলন ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি খ্যাতির চূড়ায় আরোহণ করেন। এই গ্রন্থটির ৩০টি সংস্করণ প্রকাশিত হলেও নতুন গ্রন্থ প্রকাশে কবি ছিলেন নিরব। প্রায় ২৬ বছরের নিরবতা ভেঙ্গে ২০১২ সালে আসে তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’। তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’। শিরোনামের পংক্তি দু’টি ‘‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’’ বাংলাদেশের কবিতামোদী ও সাধারণ পাঠকের মুখে মুখে প্রচলিত -
এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
মিছিলের সব হাত
কন্ঠ
পা এক নয় ।
সেখানে সংসারী থাকে, সংসার বিরাগী থাকে,
কেউ আসে রাজপথে সাজাতে সংসার ।
কেউ আসে জ্বালিয়ে বা জ্বালাতে সংসার
শাশ্বত শান্তির যারা তারাও যুদ্ধে আসে
অবশ্য আসতে হয় মাঝে মধ্যে
অস্তিত্বের প্রগাঢ় আহ্বানে,
কেউ আবার যুদ্ধবাজ হয়ে যায় মোহরের প্রিয় প্রলোভনে
কোনো কোনো প্রেম আছে প্রেমিককে খুনী হতে হয় ।
যদি কেউ ভালোবেসে খুনী হতে চান
তাই হয়ে যান
উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায় ।
এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩২
র ম পারভেজ বলেছেন:
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবির প্রতি শুভেচ্ছা! আপনার প্রতিও, কবিকে স্মরণ করে এ পোস্টটি লেখার জন্য।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪২
র ম পারভেজ বলেছেন: সাথে থাকার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: শুভ জন্মদিন কবি।