![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হারিয়ে যাবে কবি বিলীন হবে কাব্য বলছে বাস্তবতা এটাই ভবিতব্য
-কি করছোতুমি সারারাত?কতবার ফোন দিলাম,ফোন বন্ধ!আর কি বাজেভাবে সিগারেটের গন্ধ আসতেছে তোমার গা থেকে!ছি! কোথায় ছিলা?
-এইতো রাতে...
-আচ্ছা থাক (নাক চেপে ধরে),তুমি এখন সরো তো আমার সামনে থেকে।জানো না আমি এই গন্ধ সহ্য করতে পারি না।গোসল না করা পর্যন্ত আমার সামনে আসবা না প্লিজ।
অনিক,ছোট্ট করে একটা দীর্ঘশ্বাঃস ফেলে হাঁটা দেয়।গোসলটা সেরে আবার আসতে হবে নীলার কাছে।ক্যান্টিনের দরজায় স্নিগ্ধার সাথে দেখা হয়ে গেলো।
স্নিগ্ধা জিজ্ঞেস করে বসলো-কিরে তাড়িয়ে দিলো নাকি?
-তুই তো জানিস,ও সিগারেটের গন্ধ একদম সহ্য করতে পারে না।আর আমিও সারারাত টেনে টেনে......
গন্ধ খুব বেশী লাগতেছে না?
-হুম,গন্ধ তো আছেই।তবে আমি কিন্তু সিগারেটের চেয়ে জোছনার গন্ধ বেশী পাচ্ছি।কোথায় বসে বসে জোছনা দেখলি সারা রাত শুনি?
অনিক কিছু বলল না।চোখে কিছুটা বিস্ময় নিয়ে স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে থাকল কয়েক সেকেন্ড।মনে মনে বলল "তুই আমাকে এত বুঝিস কেন রে? "
দু’জনেই মুচকি হাসলো।অনিক বেরিয়ে গেল।
নীলাকে প্রোপজ করার দুই দিন আগে স্নিগ্ধা মেয়েটা রাস্তায় ফুলের দোকান দেখে অনিকের কাছে গোলাপ কিনে চেয়েছিল,টকটকে লাল গোলাপ।
তখন মাসের শেষ,পকেটের অবস্থা ভালো ছিল না বলে অনিক কিনে দিতে পারেনি।ফুল কিনে দিতে পারেনি,ঠিক আছে।কিন্তু এত বড় বোকামিটা কীভাবে করল ও?নিজের উপর ভীষণ রাগ হলো অনিকের।তখনই কেন বুঝতে পারল না স্নিগ্ধাকে!
ওর এখন স্নিগ্ধাকে গিয়ে বলতে ইচ্ছে করছে “চল তোকে গোলাপ কিনে দিই,টকটকে লাল গোলাপ!”
©somewhere in net ltd.