নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিশিথের নিশাকর

নিশিথের নিশাকর

নিশিথের নিশাকর

জীবনের এক চরম পর্যায় মানুষকে একটা উত্তরহীন প্রশ্নের সামনে দাঁড়াতে হয়।আমার কষ্ট গুলো ঐ প্রশ্নের মধ্যে জড়িয়ে আছে।মরণশীল পৃথিবীতে চলে যাওয়া মানুষগুলোকে বড় বেশি মনে পরে।যাকে ভোলা যায়না শত সুখে-দুঃখ।লিখালিখি করি নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। জীবনের থেকে বেশি ভালবাসি বাবা-মাকে।

নিশিথের নিশাকর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসা অন্ধ...

১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

ভালোবাসা অন্ধ.............

By…. নিশিথের নিশাকর



আমি শ্রাবণ আজ অনেক কষ্ট পেয়ে এসেছি সবার সাথে কষ্টগুলো ভাগ করতে।আমি জীবনে বার বার ভালবাসতে গিয়ে ফিরে এসেছি।এই অসম্ভব খারাপ নিয়মে চলা সমাজে আমি বুজি একাই এতবার ঠকেছি।প্রথম যাকে ভাল লাগলো তার পিছনে তিন বছর ঘুরে জানলাম সে একাধিক ছেলেকে ভালবাসে।মানে কাউকে সে না করে না।অনেক টা খাজা বাবার দরবার এর মতোই।ভাবলাম বাচা গেলো।এভাবে চার নাম্বার পর্যন্ত গেলাম।এক সময় নিজেকে ক্লান্ত মনে হল।জীবনের চরম সময় পার করার সময়, একদিন থমকে দাঁড়ালাম।কিছুদিন পর মনে হল আমার পায়ে কেউ শিকল পড়িয়ে দিলো।সে আর কেউ না, সে হল সাথি।প্রথমে মোবাইলে এস এম এস দিয়ে কথা হল।পরে কল করে কথা বলা শুরু।বেশ ভালোই লাগছিলো মেয়েটাকে।যতটুকু মনের পরীক্ষা নেয়া যায় সবই নিয়েছি।রেজাল্ট হল তাকে ভালবাসার যতেষ্ট কারন আছে।তাছাড়া সাথি কথা একটু কম বলে তবে কথাগুলো মূল্যবান।সাথি আমায় বন্ধু বলে মেনে নিলেও আমি তাকে ভালবাসতে শুরু করি।কিন্তু কেন জানি মনে হল ওর ঠিকানা ভুল বলেছে এটা জানার জন্য আমি আমার এক বন্ধুকে (নাম আতিক) নাম্বার দিয়ে বলি যে, এর নাম সাথি, আমি ওকে ভালোবাসি।ঠিকানা ভুল মনে হচ্ছে তাই ঠিকানা জেনে আমাকে জানা।

আতিক আবার দুটো মেয়ের সাথে কথা বলে, তাই সন্দেহ করার কোন কারন ছিল না।কিন্তু আতিক সেটাই করলো যা ভাবিনি।আতিক কথা বলে কিন্তু ঠিকানা নয়, ওর ভালবাসার কথা বলে।আর সাথিও তাই করলো।আতিক কিছুদিন পর আমাকে বলল আমি জেনো সাথিকে আর কল না করি।তখন মনে মনে সাথিকে বললাম সাথি তুমিও...যেই তোমাকে জড়িয়ে ধরবে তুমি তাকেই জড়িয়ে ধরবে?

আমার বিশ্বাস আতিক সবার সাথে কথা বলে মজা পায়।ভালোবাসা ও বোঝেনা।তাই খারাপ লাগলেও অপেক্ষায় থাকলাম।সাথি আর আতিক এর ভাললাগার শেষ দেখার জন্য।

আমি সাথিকে যদি বলতাম আতিক ভালো না, তাহলে সাথি আমাকেই খারাপ ভাবতো।যে কারনেই হোক যখন কেউ, কাউকে বিশ্বাস করে তখন তাদের কাছে যে কোন একজনের নামে খারাপ বলতে যাওয়ার মতো বোকামি আর দুটো কাজ থাকেনা।চার মাস কথা বলার পর আতিক অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করবে বলে ঠিক করে।অবশ্য মেয়েটাকে আমি দেখেছি।দেখতে ভালো না তাই ভালো বন্ধুর মতোই আমি আতিককে বোঝাই যে ঐ মেয়ের থেকে সাথি অনেক ভালো।তুই সাথিকে বিয়ে কর।কিন্তু আতিক কারো কথা না শুনে বিয়ে করলো।

আমার আর সাথির মাঝে মাঝে কথা হতো।তাই আতিক যে আমার বন্ধু সেটা ও জেনে গেলো।তাই আতিক বিয়ে করার পর সাথি জেনো একটুও নিজেকে একা মনে না করে।আতিককে না পাওয়ার এতটুকু কষ্ট না পায়।সে জন্য সাথিকে আবার কল দেওয়া শুরু করলাম।

আস্তে আস্তে সাথির সাথে আমার সম্পর্কটা আগের মতোই হয়ে গেলো।নিজেকে বড় সার্থক মানুষ বলে ভাবলাম।কেননা আমি সাথিকে বোঝাতে পেড়েছি ওর ভুলটা।একদিন কথা হল......

-হ্যালো সাথি?কেমন আছো?

-এইতো ভালো।তুমি কেমন আছো?কোথায় তুমি?

-ভালো।এইতো বাসায়।কি ব্যাপার তোমার মন খারাপ?

-কেমন করে বুঝলে?

-কেন বোঝার ইচ্ছা থাকলে বোঝা যায়।কি কারনে মন খারাপ?কি আতিকের কথা মনে পরছে?

-জানো আমি অনেক শক্ত মনের মেয়ে।কিন্তু কোথা থেকে কি হয়ে গেলো বুঝতে পারলাম না।আসলে আতিক এমন সব কষ্টের কথা বলেছে আর সব জানার পরে না করতে পারি নাই।

-আরে এতো চিন্তা কিসের, একটা মাত্র মন সেটাই তুমি খারাপ করে রাখবে না কি?মন মানব শরীরের এমন এক স্থান যা খারাপ থাকলে,মানুষের পুরা শরীরকে খারাপ করে দেয়।জীবনে এমন কতো কষ্টকে হাসি মুখে এড়িয়ে চলতে হবে জানো?আসলে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের কাছে নিজের সম্পর্কে কষ্টের কথা বলে একটু সান্ত্বনা পাওয়ার জন্য, একটু সহানুভূতির জন্য।কষ্টের কথা শুনলে সবারি মন দয়াবান হতে চায়।এই সুযোগ টাই আতিক কাজে লাগিয়েছে।তুমি হয়তো একটা ঘোরে ছিলে তাই বুঝতে পারো নাই।কিন্তু বোঝার পর কষ্ট পাওয়া বড় বোকামি নয় কি?

-হ্যা তুমি ঠিকি বলেছো।তোমার কথাগুলো সব ঠিক।কিন্তু আমিই বুঝতে পারি নাই।কি বোকা আমি............

-আর একটা কথা আমার মনে হয় তোমাদের মধ্যে যা ছিল তা ভালোবাসা নয়।কেননা কাউকে না দেখে তাকে ভাল লাগতে পারে, ভালোবাসা হতে পারে না।কেননা মানুষ এক দেখাতেই ভালবাসে,না দেখে নয়।মানলাম ভালবাসো, কিন্তু তুমি তো আতিককে দেখো নাই।দেখার পর যদি তাকে মেনে নিতে না পারো?শোন মনের সাথে চোখের গভীর সম্পর্ক আছে।চোখের অনুমতি না পেলে মন ফাল পারে না।তবে আমরা মানুষ তো তাই আবেগের কাছে অনেকটাই নিজেকে সমর্পণ করেছি।তাই হয়তো এভাবে প্রেম করার পর বিয়ে হয়।কয়েক মাস পরে যখন ভালো লাগা কেটে যায়, তখন সংসার নামক জীবন মঞ্চে নায়ক নায়িকা থাকে না।ওরা আলাদা হয়ে যায়।তাদের বাকী জীবন কাটে কঠিন কষ্টে।কথায় আছে না-আল্লাহ্‌ যা করেন ভালর জন্যই করেন।

-আমি নিজেকে বড় ভাগ্যবান মনে করছি।তোমার মতো বন্ধু পেয়ে।দেখবে তোমার জীবনে কখনো কষ্ট আসবে না।কারন অন্যের কষ্ট যে নিজের করে ভাবে তার জীবনে কষ্ট থাকে না।কোন মেয়ে তোমাকে কষ্ট দিবে না।তোমাকে যে বিয়ে করবে সে খুব সুখী হবে............

-তাই।কিন্তু আমি যে কষ্ট অনেক আগেই কিনে রেখেছি।তা তো আমাকে পেতেই হবে......

-ওকে দেখা যাবে।তুমি কাউকে ভালবাসলে আমাকে বলিও আমি তাকে তোমার সম্পর্কে বলে দিবো।

-আচ্ছা বলে দিয়ো।আজ যে রাখতে হয়।

-ওকে বাই...।

সেদিন সাথির বাই কথাটা এতো সুন্দর লেগেছে যে কয়েক দিন আমি বাই কথাটা শুনতে পেতাম।প্রতিদিন কথা বলি।আমার এক বারো মনে হয়নি এই মেয়েকে আমি ভালোবাসি।শুধু মনে হয়েছে কি করলে সাথি ভালো থাকবে।সাথির ভালো থাকাটা আমার একমাত্র কামনা ছিল।তাই নিজের ভালোবাসা জানাবার মতো সাহস আমার হয়নি।কয়েকদিন পর আবার মন খারাপ।তবে আজ আতিকের জন্য নয়।অন্য কারো জন্য...

-কি আজো মন খারাপ?তুমি একটা পাগলী তুমি জানো?

-পাগলী না হলে কি আতিককে বিশ্বাস করতাম?আসলে আমার একটা সমস্যা হয়েছে।আমার এক কাজিন আমাকে খুব ভালবাসে কিন্তু আমি তাকে ভালবাসতে পারি না।তাছাড়া বাসা থেকে এ সম্পর্ক মেনে নিবে না।তাই সাহস ও পাই না।কিন্তু ও আমাকে অনেক ভালোবাসে।

-আসলে তোমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য পাগলী বলিনি।দেখো প্রত্যেক বাবা-মা তাদের সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে।সাধ্য নেই জেনেও তারা স্বপ্ন দেখে তাদের ছেলে মেয়ে তাদের মুখ উজ্জল করবে।সব সন্তান যেমন বাবার পরিচয়ে বড় হতে বা পরিচিত হতে গর্ববোধ করে।তেমনি সেই বাবা এক সময় তার সন্তানের জন্য গর্ববোধ করতে চায় এবং তা করেও।এই চাওয়াটা বাবা মায়ের ভুল নয়।তাই আমরা যাই করিনা কেন, তাদের কথা একবার ভাবা উচিৎ?দেখো তোমার কাজিন খারাপ তা বলতে চাইনা।তোমার ইচ্ছা, মন যদি চায় তাহলে তাকে ভালোবাসা উচিৎ।

-আরে না আমি ওকে ভালবাসতে পারছি না।আসলে বাবা মায়ের বিরুদ্ধে বা অমতে কাউকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না।আমি বাবা-মাকে কষ্ট দিতে পারবো না।আমি বাবা-মাকে অনেক ভালোবাসি।

-তাহলে বলবো তোমার কাজিনের সাথে যত কম কথা বলবে ততোভাল।কেননা বেশি কথা বললে তার মনে তোমার জন্য একটা জায়গা তৈরি হবে।পরে তোমাকে না পেলে, যে কষ্ট তিনি পাবে তা ভোলার নয়।তখন নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে না আর বাবা মায়ের ভালোবাসা উপেক্ষা করে তাকে ভালবাসাটা তোমার পক্ষে সম্ভব না।

-হ্যা আপনি ঠিকি বলেছেন।সামনে উভয় সংকটে পড়বো।এ জন্যই তোমাকে বলা।আমি জানি তুমি এর সমাধান দিতে পারবে।

-না না।তুমি আমার কথায় তোমার জীবনের কোন সিদ্ধান্ত নিবে না।আমি শুধু কিছু দিক তোমাকে মনে করিয়ে দিলাম।ভাবলাম যদি আবার কোন ভুল সিদ্ধান্ত নাও।আমি ঐ দিন বলেছি না।তোমাকে আর কষ্ট পেতে দিবো না।কারন তোমার কষ্টের জন্য আমি দায়ী।আমি যদি কোন উপায় পেতাম তবে সে ভুলের সমাধান আমিই করতাম।

-ভুল করেছি আমি আর কষ্ট পাচ্ছেন আপনি।আমার কষ্ট গুলো কিন্তু আপনার জন্যই ভুলে গেছি।

-(এই কথা শুনে নিজেকে বড় কিছু মনে হল আমার।কেন জানি মনে হল,বলে দেই আমি তোমাকে ভালোবাসি।কিন্তু না সাহস হল না।)।আচ্ছা যদি কখনো জানতে পারো আমার মতো কেউ একজন তোমাকে দূর থেকে খুব ভালবাসে।তাহলে তুমি কি করবে?

-আগে আসুক পরে ভাববো।তবে আর কাউকে ভালবাসতে চাইনা।বাবা-মা যার সাথে বিয়ে দিবে তাকেই ভালবাসবো।

-হ্যাঁ।এইতো বাবা মায়ের লক্ষি মেয়ের মতো কথা।আমি একমত।(যদিও কথাটা শুনে ভয় পেলাম।)।ওকে রাখি

-ভালো থেকো।

সাথি তুমিত জানো না তোমার অজান্তে তোমাকে ভালবেসে যাই আমি।তুমি কি আমায় মেনে নিতে পার না।যত সময় যাচ্ছে আমার ভালোবাসা জেনো আরও গভীরে সাথিকে খোজে।কিন্তু সাথি তা বুঝতে পারে না।এভাবে কেটে গেলো কয়েক মাস।এখন সাথির আকাশে সাদা মেঘ হয়ে উড়ে বেড়াই আমি।এক সময় মনে করলাম একটা প্রেমিকা তার প্রেমিকের জন্য যা যা করে।সাথি আমার জন্য তাই করে।আমার কোন কিছুতে তার বাধা নেই।(তাই বলে অন্য কিছু নয়)এই সময় মতো খোজ রাখা।রাতে জাগতে বললে সারা রাত জেগে কথা বলে।ধরা পরে মাইর খেলেও আমার কথা মতো কাজ করে।



অতঃপর ............

শ্রাবণের মনের ভাবঃ

জীবনের এই কঠিন পথে চলতে চলতে অনেক সাথির কাছেই তো গেলাম।কিন্তু ভালোবাসা পেলাম না।সাথিকে কি করে বলি তাকে কতটা ভালবাসি?সাথি কি মেনে নিবে আমাকে, আমার ভালবাসাকে?নাকি আমি আবার হেরে গেলাম?তার সাথে যে বন্ধুত্তের সম্পর্কটা আছে তাই বা কম কিসে কিন্তু জীবনে তো কাউকে না কাউকে সঙ্গী করে নিতেই হবে তাহলে সাথি হলে ক্ষতি কি?সাথি কেন মেনে নিতে পারছে না?



সাথির মনের ভাবঃ

শ্রাবণ কি আমাকে ভালোবাসে?ওকি আমাকে চায়?ছি ছি আমি কেন এসব ভাবছি।আমি আজ শ্রাবণের ভালোবাসা বুঝতে পারছি তাহলে অতিতে কেন ভাবিনি?হয়তো শ্রাবণ এ সব ভাবছে না, হয়তো তার প্রতি আমিই দুর্বল হয়ে গেছি।তাছাড়া আতিকের সাথে সম্পর্ক ছিল এটা শ্রাবণ মেনে নিতে পারবে না।পরে অনেক কষ্ট পাবে।আমি জেনে শুনে তাকে কষ্ট দিতে পারবো না।

আমার কি হল শ্রাবণের কাছ থেকে দুরেও থাকতে পারি না আবার ভালবাসতে পারি।



দুই জনের মনে ভালোবাসা থাকলেও কেউ কাউকে বলতে পারে না।

অনেক চেষ্টা করেও সাথিকে বোঝাতে পাচ্ছি না।আমি সত্যি তাকে খুব ভালোবাসি।আজ মনে হচ্ছে এই পৃথিবীতে সত্যিকারের ভালোবাসা কেউ বুঝতে পারে না।সাথি তুমি যদি আমার ব্যথা বুঝতে, তাহলে আজ হয়তো আমাকে এভাবে না ফুটতে ঝড়ে পড়তে হতো না।মনের আকাশ আজ কালো মেঘে ঢেকে গেলো, এই আকাশে আর চাঁদ দেখা যাবে না।নিজেকে বড় মেঘে ঢাকা চাঁদের মতোই মনে হচ্ছে।তোমারি বা কি করার দুই পৃথিবী সামনে তোমার।আজ মনের কথা গুলো বড্ড এলোমেলো লাগছে,নিজেই নিজেকে চিনতে পাচ্ছি না।আবার হেরে যাওয়া মুখটাও দেখতে মন চাচ্ছে না।আমার স্বপ্নগুলো যেন নদীর পারে বালিতে আখার মতো।হাজার যত্ন করে লিখলাম আর ঢেউ এসে তা মুছে দিয়ে গেলো।সাথি সম্পর্কটা ছোট বেলার ঐ খেলার মতো না, যে মাটি দিয়ে ঘর বানানো আর সারাদিন খেলার পর যখন খেলা শেষ হয় তখন তা ভেঙ্গে দেয়া, মনে পরে ছোট বেলার কথা?কবির ভাষায় বলে, হাতের সুখে বানালাম আর পায়ের সুখে ভাঙ্গলাম।আমি কি লোভী দেখো নিশ্চিত পাবো না জেনেও বার বার তোমাকে বোঝাতে চাই ভালোবাসি।তোমাকে ভেবে-ছোট বেলার কথা মনে পরছে।যদি কোন বাচ্চা অনেক দামি কিছু দেখে নিতে চায় তাহলে আমাদের বাবা মা কি করে জানো?ঐ জিনিসটা লুকিয়ে আবার ঐ বাচ্চাকে এই বলে ভোলায় যে ওটা ভাল জিনিস না, অথবা পাখি এসে নিয়ে গেছে।সেদিনের সেই বাচ্চাটা তখন বুঝতে পারে হয়তো সত্যি পাখি নিয়ে গেছে।কিন্তু আমাকে ওভাবে কি বোঝানো যায়?

ভাবছি আমি পাগল হলাম না কেন?তাহলে হয়তো এতটা কষ্ট পেতে হত না।



বিঃ দ্রঃ ভাগ্য আমাকে বার বার একি জায়গায় কেন দার কড়ায় বুঝতে পারি না।সুখের দিনে ভাগ্যের চাকা হাই স্প্রিটে চলে আর কষ্টের সময়ে এসে ভাগ্যের চাকা পামচার হইয়া যায়।আর বার বার আমাকেই মুখ বুঝে তা মেনে নিতে হয়।কি অদ্ভুত জীবন।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.