![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের এক চরম পর্যায় মানুষকে একটা উত্তরহীন প্রশ্নের সামনে দাঁড়াতে হয়।আমার কষ্ট গুলো ঐ প্রশ্নের মধ্যে জড়িয়ে আছে।মরণশীল পৃথিবীতে চলে যাওয়া মানুষগুলোকে বড় বেশি মনে পরে।যাকে ভোলা যায়না শত সুখে-দুঃখ।লিখালিখি করি নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। জীবনের থেকে বেশি ভালবাসি বাবা-মাকে।
অসুস্থ হলে যে মানুষ স্বপ্ন দেখে তা গতকালও জানতাম না।কিন্তু আজ আমি সিউর বউয়েরা স্বপ্নেও ছাড়ে না।
ভাগ্যিস স্বপ্ন বাস্তব হইলে তো মইরাই যাইতাম, জীবনডা ট্যাস পাতা কইরা দিছে।যাক গে, আসল কথায় আসি।
আজ রাতে ঘুমের পরীর সাথে খুব ঝগড়া করেছি, মনে হয় সে জন্য স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে।মাইনা নিলুম কিন্তু,
স্বপ্নে দেহি আমার বিয়ে হয়েছে লাবণ্যের সাথে, এহন কইয়া লই।লাবণ্য আমার স্বপ্ন বালিকা ছিল তাই তার আকৃতি জানা ছিল না।
সে যে ইয়া বড় শরীরের অধিকারী তা ভুলেও ভাবি নাই।তার কাছে গেলে মনে হয় হাতির সামনে খরগোশ দাড়ায় আছে।কি কমু লজ্জার কথা, এই দুঃখে আমি প্রতি রাতেই স্বপ্ন দেখতাম।কোনদিন শিল্পপতির আর কোন দিন কণ্ঠ শিল্পীর তো গতকাল স্বপ্নের ভিতর আবার স্বপ্নে দেহি আমি গায়ক হয়েছি।সবার অনুরোধে একটা গান বলছিলাম।
“আমার ঘরে আমি মেম্বার,
আমার বউ চেয়ারম্যান”
বউয়ে আইসা কাঁথা ধরে টান দিয়ে কইতাছে, হয়েছে হয়েছে এমন শকুনি কণ্ঠে আর গাইতে হপে না।উঠে বাজারে যাও।
—তোমার ভাগ্য যে আমার স্বপ্নের কথা বাহির থেকে বোঝা যায়, আর আমার দুর্ভাগ্য এত দর্শকের মধ্যে তুমি একজন যে আমার সুনাম বলতেই পারো না।
—আহা কি আমার শিল্পী রে।মানুষ শুনলে হাসবে, ছেড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন বন্ধ কইরা বাজারে যাও।
—লাবণ্য তুমি একটু স্লো কথা বলতে পারো না?তোমার টুইটার এমন যে চেই চেই করে কান ঝালাপালা হয়ে যায়।আরে আমার মত আর কেউ আছে না কি?যারা যাজিমে ঘুমায় তারা তো দুঃস্বপ্ন দেহে আর লাখ টাকার স্বপ্ন আমার মত যারা তাগো জন্য বুঝো কিছু?দাও বাজারের লিস্ট দাও।
—এই নাও, সব লেখা আছে।আজ যদি একটা বাদ যায় তাইলে খবর আছে।
বাজারের লিস্ট খুলে দেহি এক হাত লম্বা,বউয়ে সুন্দর করে প্যারা প্যারা করে লিখেছে।শুধু পয়েন্ট গুলো বলছি,
কাঁচাবাজারঃ ৮ পদের।
শুকনো বাজারঃ মানে যা সাপ্তাহিক নেওয়া হয়। ৪ পদের।
ফ্রিজের জন্যঃ ৩ পদ।
কসমেটিকসঃ যা লিখছে তা না বলে, বলা উচিৎ কি বাকী আছে।
ভাবলাম সিউর হয়ে নেই আমারে পথে বসানোর কন্ট্রাক কার সাথে নিয়েছে।এই লাবণ্য, এইটা ইতিহাসের কোন চ্যাপ্টার গো?
—না, ছুটির দিনে ভালো মন্দ না শুনলে তোমার মন ভরবে না।তুমি বুঝতে পারো নাই, লিস্ট নিয়ে রান্না ঘরে আসো।
—ওক কি, বুঝিয়ে না দিয়ে খন্তির ছ্যাংটা দিলো।ওরে বাপ রে বইলা উইঠা দেহি আমি বিছানায়।ভাবলাম এ যাত্রায় বাইচা গেছি।
গুনে গুনে ১২ গ্লাস পানি পান করে একটা বড় নিঃশ্বাস নিলাম।তার পরেই বিয়ের শর্ত হিসেবে লিখে রাখলাম, যে বউ বাজার ব্যাগ দিবো না তারেই বিয়ে করুম।
আর একটু হইলে মাডার কইরা দিতো।ইসস মাইয়া গুলা এত, এত, এত নিষ্ঠুর কিবা করে হয়?
স্বপ্নেও পার পাওয়া যায় না, আর আমি করবো বিয়া!!!!!!বিয়ের কথা শুনলে সে রাস্তাই ত্যাগ করবো।তবু অবুঝের শাসনে নিজেরে বলি দিমু না।আন্নেরা কি কন ভাই সব? মেয়েরা অবুঝ না?
লিখাঃ নিশীথের নিশাকর
©somewhere in net ltd.