![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের এক চরম পর্যায় মানুষকে একটা উত্তরহীন প্রশ্নের সামনে দাঁড়াতে হয়।আমার কষ্ট গুলো ঐ প্রশ্নের মধ্যে জড়িয়ে আছে।মরণশীল পৃথিবীতে চলে যাওয়া মানুষগুলোকে বড় বেশি মনে পরে।যাকে ভোলা যায়না শত সুখে-দুঃখ।লিখালিখি করি নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। জীবনের থেকে বেশি ভালবাসি বাবা-মাকে।
ফেসবুকে একদিন_______
—হাই।
—আসছালামু আলাইকুম।
—হুম।ভালো আছেন ভাবি?
—What?Vabi…..
—কেন সম্বোধন করলাম।
—আমি আপু হতে পারি না?
—না, এমনিতেই আমার অনেক আপু আর লাগবে না।এখন শুধু ভাবি আর ____ লাগে।
—আজব তো।আমি তো বিয়েই করিনি।
—তাইলে কপাল চাপরান আর গর্বিত হন।কেননা কয়জনে আর বিয়ের আগে এই মিষ্টি ডাক শুনতে পারে।
—আপনি দেখছি বদের হাড্ডি।
—জ্বি ভাবি ভাইয়াও তাই বলে।
—চুপ করেন।কিসের ভাবি কোন ভাই?
—ফেবুতে ভাইয়েরও শেষ নাই ভাবিরও কমতি নাই।শুধু আমার সম্পর্ক ধরে ছোট ভাই গুলা কাউকে ভাবি কইতে পারে না।
—হুম এইবার বুঝতে পাচ্ছি।
—আমিও ... হিহিহিহি।
—ঐ আপনি কি বুঝলেন?
—আমার মুখে আপনি ভাবি ডাক শুনতে চাচ্ছেন না কারন তার জন্য আমার ছোট ভাই গুলো তো আছেই।
আর কোন রিপ্লাই নাই।ভাবলাম একটু পরেই লাবণ্য নামটা কালো হয়ে যাবে, নয়তো আর কখনোই কথা বলবে না।ইসস আমি যে কি সেটাই বুঝতে পাচ্ছি না।এত ভাবি মেয়েদের পিছু নেবো না কিন্তু সামনে পরলে আর ঠিক থাকতে পারি না।মন চায় একটু ত্যাড়া কথা বলি, খোঁচা মারি একটু রাগ হোক কারন গুরু বলেছে মানুষ রাগলেই তার সত্যিকারের রুপ প্রকাশ পায়।অবশ্য কেউ রেগে থাকলে তাকে আবারও রাগানো মঙ্গল হবে কি না জানি না।
কয়েক দিন পরে দেখি লাবণ্য আমাকে ম্যাসেজ দিলো।মেসেঞ্জারে নাম দেখেই মন পাখি লাফিয়ে উঠলো।চিৎকার করে কইলো ওরে রবি যা, মঙ্গল গ্রহের রানী তোরে স্বরন করেছে।আমি আবার মেয়েদের রিপ্লাই দিতে না পারলে শান্তিতে থাকতে পারি না, কেননা সিঙ্গেল আছি ডুয়েল হতে হবে না?বিসমিল্লাহ্ বলে মেসেঞ্জারের মাথায় সজরে এক গুতা দিলাম, ওয়াও দেখি ইমো দিয়েছে।
—মেয়ের মাথা সাথে লেখা, হাই।
—কেমন আছো?
—আমি কিন্তু বিলিনি আমাকে তুমি করে বলেন।
—ভাবি যখন হবেন না, তখন এটা শোনার ইচ্ছা তোমার আছে।আচ্ছা ক্ষমা চাচ্ছি।বাই ......।
—উহু না।যাবে না প্লিজ।
—কি?
—সরি ভুলে চলে গেছে।
—ভুল যদি আমার সুখের কারন হয়, তাহলে পারবে প্রতিদিন কিছু ভুল করতে?
—ভেবে জানাবো কেননা ভুল মানুষকে ধ্বংস করে।আপনাকে খুশি রাখতে নিজে শেষ হতে চাই না।আমার নিরাপত্তা কই?
—আমি তোমার নিরাপত্তা দেবো।পুকুরে নামলে ভিজবে কিন্তু ডুবে পানি খেতে দিবো না।
—হাহাহাহা এটাও প্রপোজ?
—কেন “আই লাভ ইউ” বলতে হবে?
—না থাক, মন চাইলে ঐ শব্দটা ছাড়াও একজনকে ভালবাসা সম্ভব।
—হুম ঠিক বলেছ।
—আমাকে কি “লাভ ইউ ঠু” বলতে হবে?
—তোমার মুক্ত ছড়ানো হাসিটা “লাভ ইউ” এর চেয়ে ঢের ভালো।
—আজ আর না।ঘুমাবো
—অবশ্যই, এটা তো বল।ঘুম আসবে?
—জানি না।
—আচ্ছা চেষ্টা কর।... শুভ রাত্রি।
মন্তব্যঃ কিছু কিছু মানুষের জীবনে ভালবাসা আসার জন্য হাত কাটতে হয় না।ভালবাসার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নেই, এক মিনিটেও হতে পারে আবার সারা বছর পর নাও হতে পারে।ভালবাসা হওয়াটা খুব স্বাভাবিক কিন্তু যে সম্পর্ক মনের অগোচরে তৈরি করেছেন তা মানিয়ে বাকি জীবন কাটানোই কঠিন।আবেগ দিয়ে জীবন চলে না আবার আবেগের জন্য মৃত্যুও হতে পারে।তবে মনে রাখবেন, প্রেম আর মৃত্যু দুটোই আসে নিজের ইচ্ছায় আর যাওয়ার সময় একজন নিয়ে যায় মন অন্যজন পুরো জীবনটাই।মৃত্যুকে থামানো যায় না কিন্তু ভালবাসাকে রেখে দেওয়া যায় সমস্ত জীবনের জন্য।ভালবাসাকে ভালবেসেই রাখতে হয়, তবেই চিতার অনলে পুড়তে হয় না।ভালবাসা রাখার জন্য বিশ্বাস, বোঝাবুঝি, মেনে নেওয়ার ইচ্ছা থাকতে হয়।ভালবাসা কখনোই কষ্টের নয়, ভালবাসা সর্বদাই সুখ বয়ে আনে।শুধু আমরাই তিলকে তাল বানিয়ে সুখকে কষ্টে পরিনত করি।দুঃখের জন্য প্রেমিক-প্রেমিকা দায়ী ভালবাসা নয়।
লিখেছেনঃ নিশীথের নিশাকর
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৩
নিশিথের নিশাকর বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ভালবাসাকে রেখে দেওয়া যায় সমস্ত জীবনের জন্য।ভালবাসাকে ভালবেসেই রাখতে হয়,-সুন্দর মন্তব্যটি ভাল লাগলো।।