নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খায়রুল বাসার

খায়রুল বাসার

মোঃ খায়রুল বাসার

ভালোবাসার পিছে ছুটতে ছুটতে কখন যে আমার ভালোবাসাকেই হারিয়ে ফেলেছি নিজেই বুঝিনি।

মোঃ খায়রুল বাসার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গালিব স্যার

১৮ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

তখন ক্লাস সেভেনে পড়তাম।

আমাদেরস্কুলে একজন নতুন

টিচার আসলেন। গালিব।

আসলে উনি টিচার নন ছাত্র।

বিশ্ববিদ্যালয়েপড়েন থার্ড ইয়ারে।

কি একটা গন্ডগোল হওয়ায়

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। এই

ফাঁকে তিনি পড়াতে আসছেন।

নাইন টেনের

স্টুডেন্টরা তাকে ভাইয়া ডা

আমরা স্যারই ডাকতাম। উনার

আচরণগুলো ছিল অত্যন্ত

রহস্যজনক। অন্য

টিচারকে যেখানে আমরা যমের মত ভয় করতাম, সেখানে,

তাকে আমরা একটুও ভয়করতাম

না। একদিন স্কুলে নাআসলে,

পরদিন অন্য টিচাররা মনের

ঝাল মিটিয়ে পিটাতেন।

কিন্তু গালিব স্যার উল্টো আরো আদর করতেন। বলতেন,

কাল নিশ্চয়ই অনেক

মজা করেছো, তাই না?

পড়া না পারলে অন্য সব

টিচাররা আচ্ছামত মারতেন। আর

গালিব স্যার

মুচকি হাসি দিয়ে বলতেন,

ছোটবেলার একটা ছড়া বল,

তাহলে মাফপেয়ে যাবে। উনি আমাদের সাথে ফ্রেন্ডের

মত আচরণ করতেন।

পান্জা খেলে নিজে নিজে হেরে

দেখতে দেখতে টিউটেরিয়াল

পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল।

অন্য টিচাররা ঘাড় ঘুরাতে দেন না। আর গালিব

স্যার

আমাদেরকে চুপি চুপি বললেন

দেখাদেখি করে লেখ।

আমরা তো অবাক।

যাই হোক, উনার এসব আচরণ

দেখে অন্য

টিচাররা নানা বিদ্বেষপূর্ণ

মন্তব্য করতেন। কিন্তু

গালিব স্যার ছিলেন প্রধান

শিক্ষকের খুবই স্নেহভাজন। তাই তার কোন প্রব্লেম হয়

নি। স্টুডেন্টদের কাছেও

তিনি হয়ে উঠলেন অসম্ভব

জনপ্রিয়।

বিশ্ববিদ্যালয় খুলল।

গালিব স্যার চলে যাচ্ছেন।

তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায

দেওয়া হচ্ছে। পুরো স্কুলের

সবার মন খারাপ। গালিব স্যার

বক্তব্য দিতেগেলেন।

কেউ চোখের

পানি ধরে রাখতে পারলো না।

গালিব স্যার বলতে থাকলেন,

উনার একটিমাত্র ভাই ছিল।

ক্লাস এইটে পড়তো। এই

ভাইকে ঘিরেই ছিল তারসব স্বপ্ন। একবছর

আগে স্কুলে যাবার পথে রোড

এক্সিডেন্টে মারা গেছে।

যেখানেই তিনি স্টুডেন্ট

দেখেন, সেখানেই নিজ ভাইয়ের

প্রতিচ্ছবি দেখতে পান।"



গালিবেরা এভাবেই নিজের কষ্ট

লুকিয়ে নানা অস্বাভাবিক

আচরণ করে যান।

বাইরে থেকে আমরা কখনোই

উপলব্ধি করতে পারি না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.