নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় যেখানে যেমন, তেমনি হতে চাই...

রোহান খান

আবারো ফিরে তোমাতে - ভালবাসার ছবি একেছে - জীবনের মাঝপথে আজ আমি বসে, জীবন এর আলো আজ অনেকটা বদলে গেছে - হারিয়ে নিজেকে।

রোহান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষটা কোথায় -

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

অনেক গুলো দাগ জমে গেছে। পুর্ব দিগন্তের সুর্য্য আলো এসে বাধা পায় ঘরমনের জানালায়। কালো রং এর আবোরন দিয়ে ঢেকে দিয়েছি আমার জানালা। ইচ্ছে করে না আর এর বাইরে যেতে। নিজের চারপাশে গোলাকার বৃত্ত পথটি আমার নিজেস্ব সীমানা। বাইরে বের হতে চাইনা। বাইরের জগৎটা প্রচন্ড এলোমেলে। আমার সাথে খাপ খায় না। নতুবা আমি তার সাথে খাপ খাওয়াতে জানিনা। অনেক নিয়ম কানুন কে মনে হয় কোন ধরাবাধা রসায়ন। নিজস্ব আলোকে সমাজ নিজেই তা বানিয়েছে। সমাজকুলের বাইরে এর কোন ব্যাবহার নেই। তাই আমি এদের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি না। যা কিছু শিখেছিলাম সবি ছিলো ধরাবাধা বইয়ের পাতাতে সাজানো কোন গল্প যার সাথে বাস্তবের কোন সাদৃশ্য নেই। সার্থপরতায় গোটা সমাজ ছেয়ে আছে। মাঝে মাঝে মনে হয় কাউকে না জানিয়ে দুরে কোথায় চলে যাই। ভেবে দেখি কোথায়ই বা যাবো। থাকতে হবে তো তার সৃস্টিরই মাঝে। এ এমন এক সীমানা যার বাইরে যাওয়া আমার তোমার কারউ পক্ষে সম্ভব না। তাই নিজেরি একটা বৃত্ত একে দিয়েছি। এর বাইরে যাইনা। আমার বৃত্তটা এমন যে এর ভিতর প্রবেশ অধিকার সংরক্ষিত। যে কেউ চাইলেই তার ভেতর আসতে পারবেনা। এদিকে সময়ের দাগ গুলো একে একে বেড়ে চলেছে। এ দাগেরও কিন্তু সীমানা আছে। আর সীমানা মানে কি? মানে হলো এর ও একটা শেষ আছে। তবে শেষটাই কেন যেন শেষ হয়না। শেষটাকে খুজে পাই কোন নতুনের শুরুতে। এই তো গোলক ধাধা। কেনই বা এমন সবকিছু ? ভেবে দেখি আমার শেষ কোথায়। বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যু। ব্যাস এতটুকুই ! কিন্তু নিজেকেই প্রশ্ন করি এতেই কি শেষ। আর কি কোন অস্তীত্ব থাকবেনা এ দাগের? সরাসরি আসমানি উত্তর চলে আসে - তারপরের পরকাল শুরু। সেখানে আছে আদালত, আছে সুশৃংখ্যল বিচার ব্যাবস্থ্যা, আছেন জর্জ ব্যারিস্টার, আছে প্রমান সরুপ। কিন্তু এখানেও প্রশ্ন - সেই খানেও কি সার্থের বাইরে কিছু আছে? তখন পর্দা অবদমিত হয়। মন থেকে উঠে আসে প্রশ্নে অগ্নিবীনা। কি শিখিয়েছো আমায়। ডাকো আমাকে নিমিত নয়নে, খোজ আমাকে পশ্চিমে চাদর বিছিয়ে। নতুবা তোমাকে আগুনে নিক্ষপ করবে ফেরেস্তাদয়। তাহলে এখানেও সার্থের বাইরে কোন জানালা নেই। তাহলে এজীবনের শেষে আরেক জীবনের সুচনা, শেষটা কোথায়..?



তুমি এসেছো আমার কাছে এতদিন পরে। আসো ভেতরে আসো। আমার ভেতরে সব অর্থহীনের আনাগোনা। তোমাকে ঘুড়িয়ে দেখাই -ঠিক আমার পেছেনে পেছেনে আসো। ঐ জায়গাটা দেখতে পাচ্ছো- ওখানেই রাখা আছে আমার রাগ দুখ আর অভিমান। আর বাম পাশের যে লাল বেগুনী আচলটা দেখছো ওটা হলো ভালোবাসা আর ঐ দিকে দুরে তাকিয়ে দেখ আমি বসে আছি কোন এক অচিন দিকে তাকিয়ে। ওটাই আমি। কি হলো। চুপ করে আছো যে? যেতে চাও কি আমার কাছে? যাবে ! তবে আরও একটু পরে । চল তোমাকে আরও একটি ঘর দেখিয়ে আনি। এ ঘরে আছে কিছু ধুলো পড়া সময়। যেখানে স্কুলের টিফিনের ঘন্টা বাজে, পিতার ভালোবাসায় সন্তান আবেগাপ্লুত হয়। আর শোনাযায় বৃস্টি ভেজা রাতের আকাশে ভেসে যাওয়া পাখির গান। অনেক সুন্দর তাইনা। আর ওপাশটিকে দেখো। ওমা মুখ তুতলে পেছনে যাচ্ছো যে। এদিকে আসো। আমি তোমাকে দেখাই । আমাকে দেখাই। আমাকেই না দেখতে আসছো তুমি। পালিয়ে যাচ্ছো কেন। এই তো আমি তোমারই। কেন আবার পেছনে চলে যাচ্ছো? আসো। আমার কাছে আসো। আমি তো তোমারি !! তোমার সবকিছু। তুমিই তো বলেছিলে। আজ আবার এসেও কেন চলে যাচ্ছো। ও যাতে আমি তোমার কাছে যাই। কিন্তু তা সম্ভব না। মাটির ঘর থেকে কাউকে বর্তমানে মুল্যায়িত করা যায় না। এটাই এ জীবনের শেষ -- এটাই। আর এ শেষটাই হল অতীতে -



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:






মাটির ঘর থেকে কাউকে বর্তমানে মুল্যায়িত করা যায় না।

এটাই শেষ ও সত্য ...

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬

রোহান খান বলেছেন: আমিনুর ভাই তাহলে থিমটা বুজতে পেরেছেন। আসলে শেস লাইলটুকুর জন্যে এত বড় লেখা...।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.