![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবারো ফিরে তোমাতে - ভালবাসার ছবি একেছে - জীবনের মাঝপথে আজ আমি বসে, জীবন এর আলো আজ অনেকটা বদলে গেছে - হারিয়ে নিজেকে।
বাংলাদেশ সরকার নেপালের এই ভয়াবহ দিনে ত্রান দিয়ে সহযোগিতা করতে শুরু করেছে।
বিপদের দিনে প্রতিবেশীর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া একটা মানবিক ব্যাপার।
কিন্তু অন্যের বিপদ দেখে নিজেকে সাবধানতায় দার প্রান্তে নিয়ে যাওয়াটাও কিন্তু একটা বড় মানবিক কাজ, যা মানব সমাজে
যুগ যুগ ধরে চলমান।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যে আমরা এমন বিপদ থেকে কতটুকু নিরাপদ?
আমাদের প্রশিক্ষিত মিলিটারি, বিজিবি,ফায়ার ব্রিগেড - এরকম সময়ের জন্য কতটুকু প্রস্তুত?
ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ও যুগের সাথে তালমিলিয়ে আমাদের প্রিয় ঢাকা নগরী এখন আগের চেয়ে অনেক বড় বড় অট্টালিকায় পরিপুর্ন ।
সেইসাথে গা'য়ের সাথে গা লাগিয়ে বাড়ি তৈরী করার মন মানষিকতা, ঢাকাকে নিয়ে গেছে বসবাসের অযোগ্য নগরীর কাছাকাছি।
এমনতাবস্তায় আমাদের প্রানপ্রিয় এই বাংলাদেশে - যদি নেপালের মত একটি ভুমিকম্প ঘটে তাহলে কি ঘটবে-
তা বলার অবকাশ রাখেনা।
তারপরেও আমরা নিশ্চিত ঘুমে থাকি, অথবা অপেক্ষায় থাকি, সৃস্টিকর্তার কোন সু-দৃস্টির, যেন এমন কিছু না-ঘটে।
এখনো পাশের দেশের ভুমিকম্পের কাপুনিতে আমরা নেচে গেয়ে হেলেদুলে সেলফিতে ভরিয়ে দেই আমাদের ফেইসবুকের ওয়াল।
সরকার নিরাপত্তা ভারে ন্যু-হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার অস্ত্র, যুদ্ধবিমান ইত্যাদি ক্রয় করে।
কিন্তু - বাংলাদেশের ভুতাত্বিক অবস্থান অনুসারে ভুমিকম্পের মত নিশ্চিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা জানা থাকার পরেও
তেমন কোন উদ্ধার কার্য্যক্রমে ব্যাবহিত ভারি যন্ত্রপাতি কেনার বা যোগার করার কোন তোড়জোর বা প্রস্তুতি দেখায় না।
আমাদের ভাগ্যটা এত খারাপ যে, এমন ভুমিকম্পের কালদর্শন যেদিন বাংলাদেশে দেখা দিবে( আল্লাহ না করুক)
সেদিন ধংসষ্তুপের ভেতর আটকেপরা মানুষদের - অন্তত উদ্ধারকারী দলের সাহাযার্থে - প্রানের নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখাটাও কঠিন হয়ে দাড়াবে বলেই মনে করি।
(রানা প্লাজার এক বিল্ডিং এর স্তুপ সরাতে প্রায় ২ মাস লেগেছিলো। ভেবে দেখুন তো সম্পুর্ন ঢাকা সিটির ব্যপারটা এমন হলে কত দিন (বছর, যুগ) লাগতে পারে......)
যখনি আমাদের প্রতিবেশী কোন রাষ্টে ভুমিকম্প হয় তখনি আমাদের দেশের 'জনগন'
দু-তিন দিন লালবাতি জালিয়ে চায়ের কাপে বা কোন 'টক-শোতে' কোটপ্যান্ট পরে হাজির হয়ে চিল্লাচিল্লি করে,
দুদিন পরে নিজেই 'যে লাউ সেই কদু' উপন্যাসের চরিত্র হয়ে যায় - অর্থাৎ ভুলে যায়।
অথচ, ভুত্বক জরীপে দেখা যায় যে -
বহুত আগেই 'আল্লাহ' বাংলাদেশের নিচে লালবাতি জালায় রাখছে -
আর সেই সম্পর্কে আমাদের কোন 'প্রস্তুতি' তো দুরের কথা নজর-ইই নাই।
এবার এ বিপদ আমাদের দিকে আংগুল তুলে তাকিয়ে আছে।
ভুলে যাবেন না - যে, আমরা একদম ফল্ট লাইনের একদম উপরে বসে আছি।
নেপালের মত অমন কিছু এখানে ঘটলে 'ভুমিকম্প' তো মামুলি -
পুরো ঢাকা ৩০-৪০ ফুট 'দেবে' যাওয়ার সম্ভাবনাটা একদম উড়িয়ে দেওয়া যায়না ।
কারন, শহরায়নের ফলে - মাটির নিচ থেকে পানি তুলে ঢাকার নিচে একদম ফাকা করে ফেলেছি।
আর অপর দিকে রাস্তার কার্পেটিং এর কারনে মাটির নিচে এ শুন্যস্থ্যান পুরন হবার কার্য্যক্রমও প্রায় বন্ধ।
এমন অবস্থ্যায় ভুমিধস বা ভুমিকম্প তো সময়ের ব্যাপার মাত্র,
তার সাথে আবার মরার উপর খরার-ঘা হচ্ছে - ফল্ট লাইনের উপর অবস্থ্যানের কারনে মাইকেল জ্যাকসন টাইপ নাচুনির ভয়।
"আর এখন আমরা সব ভুলে, আপন উল্লাস নিয়ে মেতে আছি। আমাদের মত মানুষ রুপি হায়েনারা - সেই ভয়াভহ বিপদের উপর বসে মনের সুখে পহেলা বৈশাকে নারীদের সুন্দর দেহ নিয়ে উল্লাস করি, পুলিশ হয়ে ঘুষ খেয়ে মিথ্যা মামলায় মানুষকে হয়রানি করি, পরকিয়া করি, খুনকরি, গুমকরি, ইভটিজিং করি, প্রতিশোধ নিতে ভাই হয়ে ভাইকে হত্যা করি, লাশ পানিতে চুবিয়ে ইট দিয়ে বেধে দেই, বউরে মাইরি আগুন দিয়ে জ্বালাই দিই, শালিকে নিয়ে পালিয়ে যাই, বুড়ো চাচা টাকা না দিলে তার ফাইল আটকে রাখি, ইত্যাদি ... "
হায়রে বাংলাদেশের মানুষ, ক্ষমা চা-রে তোরা, তোদের আর রক্ষেনেই।
আল্লার বিচার বড় কঠিন সময় এসে গেছে, তওবা করে ঠিক হয়ে যা। তোদের গজব এলো-বলে । কোথাও কোন হাদিসে পরেছি মনে নেই - এমন যে আল্লাহ আগে আশপাশ দিয়ে ছোট ছোট বিপদ নিয়ে মানুষকে সতর্ক করে।
আর আমরা তো পুরা জাতি হিসেবে তরুন, আবাল, বৃদ্ধ, বনীতা সবাই মিলে হয় অন্যায় করছি না হলে অন্যায়কে সয্য করছি, এই তো।
'লুত' জাতির কথা কি মনে আছে? যারা মুসলমান তারা সবাই আশাকরি কমবেশী 'লুত' জাতির কথা জানেন। আর এখণ তো সাইন্সের কল্যানে 'মায়ান' সভ্যতা সহ আরও অনেক সভ্যতার উদাহরন জানি যারা দুনিয়ার বুকে নিশ্চিন্ন হয়ে গেছে আল্লার গজবে।
হয়ত আমাদের জন্যও এমন কিছু অপেক্ষা করছে, যার উপর দাড়িয়ে আমরা সেলফি তুলছি আর অপেক্ষা করছি আমাদের প্রত্যেকের জীবনের শেষ সেলফিটার.....
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৪
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আর আমরা একতাবদ্ধ হয়ে নিজেরা নিজেদের সহযোগিতা করি।
৩| ১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:২৭
রাকু হাসান বলেছেন:
লেখাটি আগে পড়েনি । ঢাকার ভূমিকেম্পর ভয়াবহতা নিয়ে আগেই লিখেছেন । জেনে ভালো লাগছে । সরকার ১৫৯ কোটি টাকার সরঞ্জাম কেনার কথা বলেছিল দু বছর আগে খুব সম্ভবত । কিন্তু আদৌ কি বাস্তবায়ন হলো সে সব ব্যাপারে সু নির্দিষ্ট তথ্য পাই নি । তবে এগুলো অপ্রত্যুল ।
১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪
রোহান খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার এই মুল্যবান মন্তব্যটির জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
সুমন কর বলেছেন: রানা প্লাজার এক বিল্ডিং এর স্তুপ সরাতে প্রায় ২ মাস লেগেছিলো। ভেবে দেখুন তো সম্পুর্ন ঢাকা সিটির ব্যপারটা এমন হলে কত দিন (বছর, যুগ) লাগতে পারে..