![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবারো ফিরে তোমাতে - ভালবাসার ছবি একেছে - জীবনের মাঝপথে আজ আমি বসে, জীবন এর আলো আজ অনেকটা বদলে গেছে - হারিয়ে নিজেকে।
খারাপ মানুষ গুলোর সংখ্যা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। এদের ভিড়ে আমরা সবাই হারিয়ে যাচ্ছি।
সকাল বেলা সন্তানকে স্কুলে দিয়ে আসলাম। স্কুলের পাশের বিল্ডিংটি একটি গার্মেন্টস কারখানা।
অবশ্যই ব্রয়লার আছে সেই বিল্ডিং এ। এমন কি নিস্চয়তা আছে আজকে সেই ব্রয়লার ব্রাস্ট হবে না?
নাই।
্আচ্ছা এগুলো কি চেক হয়।
নাকি বছর পার হয়ে যায় আর এমনি অপেক্ষায় পরে থাকে কবে সেই কালো সাপ হবে বলে।
স্কুলের মোর ঘুরতেই লাল টমেটো দেখতে পেলাম মোরের ঐ তরকারীর দোকানটায়।
কাছে এগিয়ে দিয়ে দাম জিগেস করলাম।
দু কেজি নিলাম। বাসায় যাচ্ছি।
বউ বলেছে একটা পাউরুটি নিয়ে আসতে।
দোকান থেকে মাঝারি সাইজে 'র পাউরুটি নিয়ে কেবল রিকশায় উঠেছি,
তখনি চোখ গেলো পাউরুটির এক্সপায়ার ডেট এর দিকে। এটি এক্সপায়ারড।
দোকানে ফেরত গেলাম ।
প্রথমে দোকানদার এক্সপায়ার্ড ডেটকে ম্যানুফাক্সচার্ড ডেট হিসেবে আমাকে বোঝাতে চাইলো।
আমি বল্লাম এটা 'মেয়াদ' লেখা। এটা মানে এক্সপায়ার্ড।
মেয়াদ মানয়ে উৎপাদন ডেট না।
তিনি হয়তো বিশ্বাস করতে পারলেন না। পাশের দোকানে কর্মচারী কে ডাকলেন।
সেই কর্মচারী ও আমার কথায় প্রথমে লাল চোখে তাকালেও একটু তর্কতেই নতি শিকার করলেন।
এবার পাল্টে দেবার পালা। আশ্চর্য্য হলাম। দোকানে স্টকে থাকা ৬ টি পাউরুটির প্যাকেটি গত কালকে এক্সপায়ার্ড হয়ে গেছে।
আমি প্রশ্ন করলাম তাহলে এগুলো দোকানে সাজায়ে রাখছেন কেন?
দোকানী বল্লো একটু পরে গাড়ি আসলে নিয়ে যাবে।
আমি আর কথা বাড়ালাম না।
টাকা ফেরত নিয়ে চলে আসলাম।
কিন্তু আমার কথা হলো একটু পরে যদি গাড়ি আইসে নিয়াই যায়
তাহলে এগুলো এভাবে সাজায় রাখার মানে কি?
আর আমাকে বা কেন দিলো যদি না কোম্পানতে ফেরত দিবারি থেকে থাকে?
সব ধান্ধা ভাই, রিকশা আলা বলে উঠলো।
এবার আমি শপিং ব্যাগ ঠিক করে নিয়ে ভালো করে রিকশায় বসলাম।
টমেটোর দিকে চোখ যাচ্ছে আমার।
আচ্ছা এটাতে তো কোন না কোন রাসায়নিক দ্রব্য স্পে করা আছে।
এমনো তো হতে পারে সেই রাসায়নিক টা এক্সপারায়র্ড।
এমনি তো বিষ আর বিষ এক্সপায়ার্ড হলে কি বিষ থাকে?
এগুলো দেখার কি কেউ আছে?
রিকশা খুব দ্রত চলছে। সামনে একটা মোড় আছে।
মোড়ের মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে একাকার অবষ্থ্যা। ম্যানহোল বসাচ্ছে ঢাকা সিটি কর্পরেশন।
সেই জন্য রাস্তা এক পাশ দিয়ে কাটা।ঐ বাম দিকে গর্ত আছে।
কিন্তুর পানির জন্য সব এক দেখা যাচ্ছে।
দুই লাইনে যদি রিকশা যাওয়া আশা করে তবে বাম পাশের লাইনের রিকশা গর্তে পড়ার সমুহ সম্ভাবনা।
তাই সব রিকশা আলাই সাবধানে চলছে। সবাই জানে ওপাশে গর্ত আছে কিন্তু ঠিক কোন জায়গায় আছে তা শুধু আন্দাজ করা ছাড়া আরে কোন উপায় নাই।
আমি তাকিয়ে আছি বাম পাশ দিয়ে যাওয়া রিকশা গুলোর দিকে।
বেশীর ভাগ রিকশাতেই স্কুলের স্টুডেন্ট আর তার মা অথবা বাবা বা অন্যকেউ।
তারা কি জানে তারা কত বড় বিপদে পাশ দিয়ে শুধু মাত্র আন্দাজের উপর ভর করে যাচ্ছে।
একটু এদিক ওদিক হলেই ব্যাস।
আর এই সব বাচ্চাদের বাবা- রা কত নিরাপদ মনে করে বাচ্চা কে
এই রাস্তার উপর ছেড়ে দিয়ে অফিসে বসে এই সময়ে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে।
হয়ত এখনি ফোন যেতে পারে - ভাই আপনার স্ত্রী সহ বাচ্চা ম্যান হলের গর্তে পরে ক্লিনিকে ভর্তি।
'আন্দাজ' - এটা কোন শব্দ জানা নেই।
তবে এটার বেশীর ভাগ ফলাফলই ভয়ংকর হয়ে থাকে।
আচ্ছা যেই ইন্জিনিয়ার এই রাস্তা ঠিক করছে
তার কি বাচ্চা বউ বা আত্মীয় স্বজন এই রাস্তা ব্যাবহার করে না?
যদি করতো, তাহলে কি তিনি এই রাস্তাটাকে এমন একটা ডেনজার জোন বানিয়ে রাখতে পারতেন?
তার একটা সঠিক সিদ্ধান্তই এই নড়বড়ে অবস্থ্যার অবসান ঘটাতে পারতো।
একটা বেরিকেড বা দড়ি দিয়ে সীমানা নির্ধারন করে দেওয়া দরকার ছিলো।
শুধু এটা করলেই আন্দাজ উপর এতগুলো মানুষের 'আন্দাজ' এর উপর ভর করতে হত না।
হয়ত বা চায়ে কাপে শুধু চুমুক দিয়ে যেতেন আর সন্ধে হলে ফিরে আসতেন সেই মায়াময়ি সন্তানের বুকে।
আমরা যদি প্রত্যেকে নিজের দায়িত্বটুকু ঠিক মত পালন করি তাহলে আমাদের সমাজ বদলে যাবে।
সবার আগে নিজের বদলানোর প্রয়োজন -
তার আগে নিজেকে ও নিজেদের ভালো বাসার প্রয়োজন।
নিজে ভালো থাকবেন আর অন্যকে ভালো রাখবেন।
আজকের জন্য বিদায় জানালাম।
২| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
কাইকর বলেছেন: ভাবতেছি মিরপুরে নৌকার ব্যবসা করব ভালই চলবে
৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১০
মীর সাজ্জাদ বলেছেন: আমি ডেমরাতে থাকি, কাইকর ভাই আপনি এখানে নৌকার ব্যবসা করে উন্নতি করতে পারে। এখানে ব্যাঙ প্রসাবও করিলে বন্যা হয়ে যায়।
৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫২
হবা পাগলা বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ব্লগে আমি নতুন। আমার ব্লগটা একটু ঘুরে আসার নিমন্ত্রণ রইলো।
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৭
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: বৃষ্টির দিনে চরম দুর্ভোগ হয় নগরবাসীর। বছরের পর বছর একই অবস্থা।