![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবারো ফিরে তোমাতে - ভালবাসার ছবি একেছে - জীবনের মাঝপথে আজ আমি বসে, জীবন এর আলো আজ অনেকটা বদলে গেছে - হারিয়ে নিজেকে।
(প্রায় ১২ বছর বিদেশ বসবাসের পর দেশে এসে প্রথম ইন্টারভিউ ছিলো এটা। যদিও সেই বার মাত্র ০৬ মাসের ছুটি ছিলো।
আমি জাস্ট দেশিয় প্রাইভেট কোম্পানির কাজের এক্সপেরিয়েন্স এর জন্য কর্ম খুজছিলাম। যদিও সেই বার ব্যাক যেতে হয়েছিলো ০৩ মাসের মধ্যেই। ভয়াবহ কিন্তু মজার এক্সপেরিয়েন্স পেয়েছিলাম। সেসব ছোট করে জাস্ট আপনাদের সাথে সেয়ার করলাম । ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন। এরকম ছোট ছোট আরও অনেক মজার ঘটনা আছে আমার লাইফে। কমেন্ট জানালে লেখার জন্য অনুপ্রানিত হবো। ভালো থাকবেন।)
পিলখানার সামনে দাড়িয়ে আছি। গন্তব্য নিউমার্কেট। সকাল সাড়ে ৯ টা। বাসের অপেক্ষ্যা।
রাস্তায় শুধু প্রাইভেট কার আর কার। মানুষ এত টাকা পায় কই যে এত গাড়ি কিনে?
আমি তো নুন আনতে পান্তা ফুরাই অবস্থ্যা। যাইহোক কিছুক্ষন পর বাসের দেখা মিললো।
বাসের ভিতর যেই অবস্থ্যা দেখছি তাতে তো মাথায় হাত দিয়ে দাড়িয়ে থাকা ছাড়া আর উপায় নেই।
কারন? হাতে হাতে ভর্তি হয়ে বাসের হাতল টাই দেখা যাচ্ছে না। শুধু হাত আর হাত-
হায় আল্লাহ! তাহলে ধরবো কি?
তারপরও আমার চেষ্টা এই বাসেই ওঠা, এছাড়া তো আর উপায়ও দেখছি না, কারন একটা বাস এতোগুলো প্রাইভেটের ভিড়ে।
তাই ভিড় ঠেলে ধীরে চলতে থাকা বাসের গেটের পাটাতনের উপর লক্ষ্য স্থির করলাম।
ব্যাস - এক লম্ফ্য, দুই লম্ফ্য, তিন লম্ফ্য দিয়ে সোজা বাসের পাতাতনে এক ইন্চি জায়গায় লান্ডিং করলাম।
(মানে শুধুমাত্র পায়ে বুড়া আংগুল দিয়ে)। তারপর আর আমি আমাতে নেই। কেমনে কিভাবে যেন অটো হয়ে বেশ
খানিকটা ভিতরে চলে আসলাম। অবাক অবস্থ্যা। এয়ারপোর্টের ব্যাগেজ হান্ডেলিং এর অটোমেটিক বেল্ট এর প্রযুক্তি মনে হয়।
বাস ওলারা নয়া ইমপোর্ট করছে । না হলে কিভাবে অটা সার্ভিস পেলাম?
কিন্তু ওমা একি - -- -- - বাস নাকি আর এগোবে না।
সাইন্স ল্যাব থেকে ঘুরে আবার পিছন যাবে।
আহ এত শুখ আর সইলো না।
পাক্কা ত্রিশ মিনিট ধরে রোদের প্রখর তাপ সয়ে তোমায় পেলাম তার তুমি কিনা আবার ব্যাক যাইবা?
এইডা কিছু হইলো।
অগত্যা আর কি, এইবার মোড় থেকে রিকশা ভাড়া মাপতে লাগলাম।
- মামা, যাইবা।
- কই যাইবেন
- এই তো সামনে।
- সামনে কই
- নিউমার্কেট রে বাবা
- চলেন। একশ টাকা দিয়েন।
- আরে একশ টাকা তো উবারেও ভাড়া আসবে না
- তাইলে উবারেই যান।
এবার হাটতে হাটতে মেলোডির সামনে আসলাম। সাইন্স ল্যাবে কয়েকটা গিটার এর দোকান আছে। মেলোডি তাদের মধ্যে
অন্যতম। এবার এখান থেকে রিকশা দেখতে শুরু করলাম।
- মামা, আপনি কি যাবেন।
- আরে মামা, যাইবার লাই লাইন ধরছি, কিন্তু যামু কেনতে>?
দেখছেন কি বড় লাইন লাগাইছে?
আমি রিকশায় উঠে পরলাম।
রিকশা ওয়ালা আচমকা আমায় জিগায়লো ভাই চৌরংগী তরিত যামু ৭০ টাকা দিবেন।
আরে বাপরে, ত্রিশ টাকা ভারা হবার কথা সেখানে না হয় বাপু তুমি ৩৫ বা ৪০ চাও, তাই বলে ৭০ টাকা চাইবা।
এক টাকাও কমাইবো না। একটু আগায় আর হালায় গির গির করে।
না পাইরা ৫ টাকা হাতে ধরাই নামতে গেলে চিল্লায় উৎলো।
আমি পাত্তা না দিয়ে একটু পিছনে আইসা ওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হলাম
আরেকটা বাসে কস্ট করে উটলাম।
সেই বাস জ্যাম থেলে ২০ মিনিটে আমাকে নিউমার্কেট এর সামনে নামাই দিলো।
ঘড়ির কাটা তখন ১১.২০ ছুই ছুই।
যেই অফিসে গেলাম সেই অফিসে নাকি তখন লান্চ টাইম। আমি বল্লাম ল্যান্চ তো দুপুর সারে বারোটায়।
অফিস ডেস্কের অফিসার মেয়েটি বল্লো তার বস নাকি এই সময় লান্চ এ যায়।
ফিরে বিকাল ৪ টায়। হায়রে প্রাইভেট কোম্পানি। আর কিছু পাইলো না।
কি করবো আর ভেবে পাই না। তাই বলে ৫ ঘন্টা ওয়েট করবো? কিভাবে? এটা কি সম্ভব?
ভাইরে, এইটা বাংলাদেশ। সব সম্ভবের দেশ। তাই আমাকেও এই টা সম্ভব করতে হবে।
এই নিজেকে বুজিয়ে টেবিলে রাখা পেপার টা হাতে নিয়ে পাছার তলে ফেভিকল লাগায়ে বসে থাকতে হলো।
বিকার ৪ টার কিছু পর বস এলো, আমাকে রুমে ডাকলেন।
আমি রুমে গেলাম।
দেখি মধ্যবয়সি একজন লোক।
সাধা সার্ট পরে আছেন। বেশ পরিপাটি।
চোখে চশমা। দেখেই বোঝা যায় ৪০ এর উপরে বয়স হবে।
আমি আমার সিভি তার সামনে রাখলাম।
আর বুজতে চেষ্টা করছিলাম উনি আমাকে কি কি বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারে।
আমার সিভিটি হাতে নিয়ে উনি একটু হ্যালান দিয়ে বসলেন। বাম হাতে কফি মগ দিয়ে
কিছুক্ষন পরপর চুমুক দিচ্ছিলেন।
হটাৎ - জিগেস করলেন -
"আপনার আসতে এত দেরি হলো ক্যান?
চাকরি দিলে কি এভাবেই দেড়িতে আসবেন নাকি প্রতিদিন?
আপনার তো সকাল ১১.০০ টায় আসার কথা ছিলো।"
আমি এখন কি বলবো আপনারাই বলেন? দোষ কাকে দিবো বলেন ?
ঐ ব্যাস আলা, নাকি ট্রাফিক জ্যাম, আর নাকি ঐসব রিকশা ওলাদের।
আবার এই ব্যাটাকেও ছাড়তে পারছি না। ব্যাটা তুই তো জানস বাংলাদেশের রাস্ত ঘাটের অবস্থ্যা।
সেখানে ১৫ মিনিট এমন কি আর ব্যাপার হতে পারে। তুই তো কনসিডার করতে পারিস তাইনা। তা করবি কেনো?
তোর কম্পানি, তোর মুল্লুক তো। না কইরা উল্টা ৫ ঘন্টা আমাকে ওয়েট করাইছোস পাছায় ফেভিকল লাগায়া।
আমার চুপ থাকা দেখে ব্যাটা আরেকবার প্রশ্নটি করলেন,
আমি এই বার বলে উঠলাম:-
"ভাইরে এই দেশে ৬-৭ সাত কিলোমিটার পারি দিতে দু ঘন্টায় কম হয়ে যায় সেইটা তো আমার জানা ছিলো না।
জানা থাকলে রাতেই রওনা দিতাম ......।"
০৯ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২
রোহান খান বলেছেন: তবুও আমরা আশা রাখি একটা দিনের জণ্য। যেই দিন আমাদের এই ঢাকাকে আমরা বিশ্বের অন্য দেশের উন্নত সিটি তালিকায় আগে বা পিছে দেখতে পাবো।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: কেন জানি হাসি পাচ্ছে।
১১ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:২০
রোহান খান বলেছেন: কেন ? ভাই , ছিন্নমুল ঘটনা ?
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারপর তার চেহারার রিএকশনটা দেন নাই!!!
এই ডা কিছু হইল
তবে ভাবতেও হাসি পাচ্ছে বেচারার রিএকশনের কথা ভেবে!!!! হা হাহা
১১ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:২০
রোহান খান বলেছেন: এমন মানুষরা রিয়াকশন কি দিবে? রিয়াকশন নামের যে জিনিস আছে সেটা জানা নেই তাদের। থাকলে দেশটা এমন হত না।
৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩৯
জগতারন বলেছেন:
আমার চুপ থাকা দেখে ব্যাটা আরেকবার প্রশ্নটি করলেন,
আমি এই বার বলে উঠলাম:-
"ভাইরে এই দেশে ৬-৭ সাত কিলোমিটার পারি দিতে দু ঘন্টায় কম হয়ে যায় সেইটা তো আমার জানা ছিলো না।
জানা থাকলে রাতেই রওনা দিতাম ......।"
আমারও এক সময়ে আশা ও উদ্দেশ্য ছিলঃ
বিদেশে পড়াশুনা শেষ করার পর বিদেশে বছর পাঁচেক চাকরি করে অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে গিয়ে চাকুরী করবো।
পড়া করেছিলাম 'Aviation Engineering Technology'-তে তার পর চাকুরী করেছিলাম McDonnell Doughlas Aircraft Manufacturing Company-তে সেখান থেকে ছাটাই হবার পর দেশে গিয়ে "বাংলাদেশ বিমানে" চাকুরী করার ইচ্ছা চিরতরে হারিয়ে ফেলেছিলাম।
সে কারন বলতে গেলে এক বিরাট পোষ্ট হয়ে যাবে।
তবে তার কিছু কারন আপনি এখানে সহজেই উল্লেক করে ফেলেছেন।
এমন একটি পোষ্ট দেয়ায় আপনার প্রতি অভিন্দন জ্ঞাপন করছি।
১১ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯
রোহান খান বলেছেন: ধণ্যবাদ জগতারন ভাই, আপনার মুল্যবান কমেন্টির জন্য। এরকম কমেন্ট ব্লগে ফিরে আসার অনুপ্রেরণা জোগায়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: যদি এভাবেই চলতে থাকে, জ্যামে পরিপূর্ণ এ শহর জ্যাম মুক্ত হবে এ কথা আমি মানতে নারাজ।যদি প্রধানমন্ত্রীও বলে থাকেন আমি বিশ্বাস করবো না।