![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবারো ফিরে তোমাতে - ভালবাসার ছবি একেছে - জীবনের মাঝপথে আজ আমি বসে, জীবন এর আলো আজ অনেকটা বদলে গেছে - হারিয়ে নিজেকে।
বার বার সিস্টেম লস দেখিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ালো সরকার।
এত গ্যাস ব্যাবহার হচ্ছে কলকাখানায় যে দেশ এগিয়ে নদীতে পরে যাচ্ছে। তার জন্য আবার এলপিজি আনা হচ্ছে।
তা দিয়ে দেশকে ভাসিয়ে রাখার চেষ্টা করা হবে।
তার ফলাফল হলো দেশএ অভ্যন্তরিন সড়ক যোগাযোগ হলো ব্যায় বহুল।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম গেলো বেড়ে।
মধ্যবিত্তের অবস্থ্যান হলো নিন্মগামী।
এখন কথা হলো সিস্টেম লসটা হলো কি করে? What is system loss?
থ্রী ইডিয়েট সিনেমা দেখেন নি এমন লোক খুজে পাওয়া কস্টকর।
সেই ইডিয়েট্স সিনেমার আমির খানের মত মেশিন এর ডেফিনেশন থেকে সিস্টেম লসের ডেফিনেশন
বার করা মন্ত্রীরা যেভাবে তার সংগা দেয় তা হলো - "সিস্টেমের মধ্যে যদি কোন লস দেখা যায় তা হলো সিস্টেম লস"
যেহেতু সিস্টেমের মধ্যে লস দেখা দিছে তাই তার সিস্টেমকে উল্টো সিস্টেম করে ফেললেই তো লসটাকে যোগার করতে হবে।
আর আমারা হলো সেই সাধারন জনগন যারা সিস্টেমের ভিতরে নিজেরাই সিস্টেম হয়ে লসের যোগানদাতা হচ্ছি
আর আমাদের পকেট খালি করছি।
এটা তো ভালো কথা >?
কিন্তু কথা হলো লস তো হলো তাহলে লসটা যাচ্ছে কোথায় ?
আমি বাবা প্রতি মাসের গ্যাস বিল প্রতি মাসেই সোধ করছি। আমার চাচা, বাবা, খালু, শশুর, পাশের বাড়ির সুন্দরী আনটি ও তার সুন্দরী মেয়ের জামাই মানে আমার পরিচতি সবাই তো গ্যাসের বিল ঠিক মত দিচ্ছে। তাহলে সমস্যা কোথায়?
সেই উত্তর লিখতে হলে লেখাটা বিস্তর হয়ে যাবে?
তবে ১৯-০৮-১৯ তারিখে প্রথোমআলোর একটা রিপোর্ট পড়ে দেখলেই কিছুটা আন্দাজ করা যায়।
(লেখাটি হুবূহু কপি করে দেয়া হলো। সুত্র - প্রথম আলো - আর লিংক নিচে পাবেন)
( কপি লেখার পরও মুল লেখার অনেকটা অংশ পাবেন যার জন্য কপি লেখাটি বোল্ড করে দেয়া হলো)
ঝিলপাড় বস্তিতে দেড় কোটি টাকা সেবা বিল তুলে ভাগাভাগি
রাজধানীর মিরপুরে পুড়ে যাওয়া ঝিলপাড় বস্তির ১৫ হাজার ঘর থেকে মাসে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল ওঠে প্রায় দেড় কোটি টাকা। এই তিনটি সেবা খাতের মধ্যে গ্যাস থেকে সরকার কোনো টাকাই পায় না। আর বিদ্যুৎ ও পানি থেকে খুব সামান্য অর্থ জমা হয় সরকারি কোষাগারে।
বিভিন্ন সেবা সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বস্তিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁরা বলছেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা মূলত এই টাকা তুলে ভাগাভাগি করেন। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই অর্থের ভাগ পান ঢাকা উত্তরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার ও আওয়ামী লীগের নেতা রজ্জব হোসেন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী ওরফে খোকন। ওয়ার্ডের এই দুই নেতা ঢাকা-১৬ আসনের সাংসদ ইলিয়াস মোল্লাহ্র অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝিলপাড় বস্তিতে আগুনে প্রায় ৭০ শতাংশ ঘর পুড়ে যায়। গতকাল রোববার বস্তি এলাকা সরেজমিনে দেখা গেছে, সেখানে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে গ্যাসের লাইন নেওয়া হয়েছে। মাটির ওপর দিয়েই প্লাস্টিকের পাইপে গ্যাস–সংযোগ নেওয়া হয়েছে বস্তির ঘরগুলোতে। আগুন লাগার পর থেকে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ মূল পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে পানি ও বিদ্যুতের সংযোগ চালু আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বস্তিতে ঢুকতেই ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয়। বস্তির একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেখানে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ঘর নির্মাণ করেছেন ওয়ার্ড কমিশনার ও আওয়ামী লীগের নেতা রজ্জব হোসেন। তবে তাঁর ঘরগুলো আগুনে পোড়েনি। একসময়ের পরিবহনশ্রমিক রজ্জব হোসেন এখন অঢেল সম্পদের মালিক। বস্তি লাগোয়া ১২ তলা তৈরি পোশাক কারখানা, একাধিক বহুতল আবাসিক ভবন এবং একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক তিনি।
শুক্রবার ঝিলপাড় বস্তিতে আগুনে প্রায় ৭০% ঘর পুড়ে যায়
বস্তিবাসীরা গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির টাকা ঠিকই দেন
তবে টাকার খুব সামান্য জমা পড়ে সরকারি কোষাগারে
জানতে চাইলে রজ্জব হোসেন টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বস্তিসংলগ্ন আমার ১২ তলা একটি গার্মেন্টস কারখানা আছে, এটা সত্য। তবে বস্তিতে আমার ঘর নেই। বস্তি থেকে চাঁদা তোলার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এসব মিথ্যা অভিযোগ।’
বস্তিতে ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলীরও বেশ কিছু ঘর রয়েছে। তবে প্রথম আলোর কাছে বস্তিতে ঘর থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। বস্তি থেকে সহযোগীদের মাধ্যমে টাকা তোলার অভিযোগের বিষয়ে গতকাল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে শওকত আলী বলেন, ‘আমি চাঁদা তোলার সঙ্গে যুক্ত নই। এসব অভিযোগ মিথ্যা।’
গ্যাস–সংযোগ পুরোটাই অবৈধ
বস্তির ১৫ হাজার পরিবারই অবৈধ গ্যাস–সংযোগ নিয়েছিল। প্রতি বাসা থেকে গ্যাসের জন্য নেওয়া হয় ৫০০ টাকা, মাসে তা ৭৫ লাখ টাকা। এসব অর্থ তিতাসের হিসাবে জমা হয় না, চলে যায় সরকারি দলের স্থানীয় নেতাদের পকেটে।
একাধিক বস্তিবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বস্তিতে নতুন গ্যাস–সংযোগ ও মাসিক বিল সংগ্রহের দায়িত্বে রয়েছেন জিতু, মোন্তাজ ও দুলাল নামে তিন ব্যক্তি।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মিরপুর জোনের উপমহাব্যবস্থাপক মো. মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ছয় দিন আগে এখানে বদলি হয়ে এসেছেন। কারা অবৈধ সংযোগ দিয়েছেন, তা তাঁর জানা নেই।
প্রকাশ্যে চোরাই গ্যাস দিনের পর দিন ব্যবহার হলেও তিতাসের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা তা জানেন না কেন?—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঝিলপাড় অনেক বড় একটি বস্তি। সেটির নিয়ন্ত্রণে থাকেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। সবকিছু তিতাসের লোকদের হাতেও থাকে না। তবে নিচু পর্যায়ের কিছু লোক হয়তো জড়িত থাকতে পারেন। এ বিষয়ে তিতাসের পরিচালক (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা গেলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, তিতাস এলাকায় ১২ শতাংশ সিস্টেম লস হচ্ছে এখন। দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, সিস্টেম লস বলে তিতাসে কিছু নেই। আসলে পুরোটাই চুরি। তিতাস গ্যাস এলাকায় প্রতি মাসে চুরি যাওয়া গ্যাসের মূল্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা, বছরে যা প্রায় ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকার মতো।
পানির বিল ভাগাভাগি
বস্তির বাসিন্দা নুরুন্নাহারের ঘর পোড়েনি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দিনে নির্দিষ্ট সময়ে পানি আসে। প্লাস্টিকের পাইপলাইন দিয়ে পানি সরবরাহ করা হয় প্রতিটি বাসায়। পানির জন্য দিতে হয় মাসে ১০০ টাকা। তবে এখানে পানির অনেক কষ্ট বলে তিনি জানান। দিনের সব সময় পানি পাওয়া যায় না।
জানা গেছে, ১৫ হাজার বাসিন্দার কাছ থেকে পানি বাবদ ১৫ লাখ টাকা তোলে সরকারি দলের সিন্ডিকেটটি। এ অর্থের পুরোটা তারা ঢাকা ওয়াসার কাছে জমা দেয় না। এটাও ভাগাভাগি হয়।
বিদ্যুৎ বিল ৫৫ লাখ, ডেসকো পায় ৫ লাখ
বস্তিবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যুৎ–সংযোগের জন্য প্রতিটি ঘরের বাসিন্দাকে দিতে হয় ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা। একাধিক ফ্যান, বাতি, টিভি এবং ফ্রিজ ব্যবহারের জন্য দিতে হয় মাসে ১ হাজার টাকা। এ রকম পরিবার প্রায় ১০ শতাংশ, তাদের কাছ থেকে আসে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি টিভি থাকলে মাসে ৩০০ টাকা দিতে হয়। এ রকম ৯০ শতাংশ পরিবারের কাছ থেকে অন্তত ৪০ লাখ টাকা তোলা হয়। প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল সব মিলিয়ে ওঠে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা।
বস্তিবাসীদের বৈধভাবে বিদ্যুৎ–সংযোগ দিতে সরকারের সিদ্ধান্তে পোল মিটার বসানো হয়েছে। বস্তিতে ঢোকার মুখে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) একটি পোল মিটার ও ট্রান্সফরমার রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এই মিটার থেকে বস্তির প্রতিটি ঘরে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনারের প্রত্যয়নপত্র নিয়ে বৈধ সংযোগ নেওয়ার কথা। বস্তিতে স্থায়ী ১৬০০ ভোটার রয়েছেন। তবে পোল মিটার থেকে নেওয়া মিটারের সংখ্যা মাত্র কয়েকটি।
ডেসকোর মিরপুর জোনের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, মাত্র কয়েকটি মিটার দিয়ে বস্তিতে ১৫ হাজার ঘরে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এভাবে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া অবৈধ বলেও স্বীকার করেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব কর্মকর্তা বলেন, বস্তির বিদ্যুৎ সরবরাহে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের নিয়ন্ত্রণ থাকায় ডেসকো সেখানে অভিযান চালাতে পারে না। তারা শুধু পোল মিটারে যে বিদ্যুতের বিল আসে সেটি গ্রহণ করে। এর পরিমাণ ৫ লাখ টাকার নিচে।
শফিকুর রহমান নামে বস্তির একজন বাসিন্দা বলেন, তিনি বিদ্যুতের জন্য প্রতি মাসে ৩০০ টাকা দেন ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে। যিনি ‘টাইটেল ফারুক’ নামে পরিচিত। গ্যাসের ৫০০ টাকা নেন দুলাল নামে একজন।
সরেজমিনে জানা গেছে, বিল নিতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা যান না। এই বিল ব্যাংকেও পরিশোধ করা হয় না। বিল দিতে হয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলীর অনুসারীদের কাছে। তাঁরা হলেন মল্লিক, টাইটেল ফারুক, শামসু ও মল্লিক বাচ্চু। নতুন সংযোগ নিতে হলেও যেতে হয় তাঁদের কাছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেসকোর মিরপুর জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শাহ সুলতান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বস্তির মুখেই একটি পোল মিটার ছিল। মিটারে যতটুকু বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় আমরা সেই বিলটি পাই। কিন্তু পোল মিটার থেকে কারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে, তারা কাকে অর্থ দেয়, তা আমাদের জানা নেই। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে কর্মীদের নিরাপত্তার ঝুঁকি আছে।’
এখন আমার সেই পাচটি প্রশ্নে আসি -
০১) তো এখন বলেন এই বিচার আমি কাকে দিবো?
০২) কাদের জন্য আমার পকেট ফাকা হচ্ছে?
০৩) সরকার কি এদের সবার দায়িত্ব নিয়ে বসে আছে?
০৪) খালি সরকার কে দোষারোপ করলেই কি কাজ হবে?
০৫) আমাদের কি নিজেদের কিছুই করার নাই?
উত্তর:
০১) তো এখন বলেন এই বিচার আমি কাকে দিবো?
ডেসকোর মিরপুর জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শাহ সুলতান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বস্তির মুখেই একটি পোল মিটার ছিল। মিটারে যতটুকু বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় আমরা সেই বিলটি পাই। কিন্তু পোল মিটার থেকে কারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে, তারা কাকে অর্থ দেয়, তা আমাদের জানা নেই। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে কর্মীদের নিরাপত্তার ঝুঁকি আছে।
যেহেতু একজন সরকারী কর্মকর্তা তার নিজেরী নিরাপত্তার ঝুকির কথা বলছে।
সেক্ষেত্রে আপনি বা আমি এর বিচার চাইতে গেলে নির্ঘাত মাটির নিচে আপনার বসবাসের নিশ্চয়তা সহ বাড়ি বানিয়ে দিবে।
আপনি সেই বাড়িতে থাকবেন। ভাড়া লাগবে না। কারেন্ট লাগবে না। গ্যাস ও লাগবে না। একদম মুক্ত হয়ে যাবেন।
কিন্তু এই মুক্ত যারা আপনাকে করবে তারা কি প্লুটো বা মার্স থেকে আসছে নাকি?
তারা তো আপনার আমার মত লোকজনের ভাই বা বাবা বা চাচা বা মামা। ধরুন আমার বন্ধু বল্টুর বাবা সেই লোক।
তো বল্টু মিয়া যখন ছোট ছিলো তখন তার বাবা তার জন্য কত খেলনা নিয়ে আসতো।
বল্টু তো বলে তার বাবা সেরা বাবা। আসলে বাবারা তার সন্তানদের কাছে ভালোই হন।
কিন্তু বিপত্তী তখন বাধে যখন সেই বাবা অর্থ উপার্জন করতে অসৎ পথ বেছে নেন।
সন্তানের কাছে তো তার আসল চেহারা প্রকাশ পায় না। তাই সন্তানের কাছে সে ভালো বাবা।
তিনি আপনার বা আমার মতই জীবন জাপন করেন খুব সাধারন।
তারও বৌ বাচ্চা চাচা মামা, খালু, শশুর সবাই আছেন।
কিন্তু মাঝে মাঝে তার উপর থরের থামোস ভর করে।
আর হয়ে যান বিদ্যুৎ চোর বা গ্যাস চোর বা সেই সব চোরদের দেখা শুনার মালিক।
এখানে বল্টুকে এগিয়ে আসতে হবে।
তাই আপনারা বল্টুকে খুজে বিচার দিতে পারেন।
০২) কাদের জন্য আমার পকেট ফাকা হচ্ছে?
"বিল নিতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা যান না। এই বিল ব্যাংকেও পরিশোধ করা হয় না। বিল দিতে হয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলীর অনুসারীদের কাছে। তাঁরা হলেন মল্লিক, টাইটেল ফারুক, শামসু ও মল্লিক বাচ্চু। নতুন সংযোগ নিতে হলেও যেতে হয় তাঁদের কাছে। "
তাঁরা হলেন মল্লিক, টাইটেল ফারুক, শামসু ও মল্লিক বাচ্চু।
এই এদের পকেটেই টাকা গুলো যাচ্ছে। কিন্তু সেই আগের কথা বলি। এরাও কিন্তু মার্স বা প্লুুটো থেকে আসেনি।
তারা এই বাংলাদেশেরি ছেলেপেলে, লোকজন। আপনার বা আমারী ভাই, বন্ধু, মামা, চাচা, খালু।
কিন্তু এতে আমার লজ্জার কিছু নেই। আমি তো খুবি ক্ষমতাবান। কারন এরা আমার আত্মীয়।
আমারে মডু ব্যান মারলে হেগোরে বিচার দিমু। হে: হে:।
তাহলে আমরাই তো আমাদের লজ্জা খুলে বসে আছি। আমরা এদের কর্মকান্ড জানার পরও বিরুদ্ধে কথা বলিনা।
তাই তো এরা দেশ তাকে শেষ করে দিচ্ছে।
এখানে আমাদের সতর্ক হতে হবে, যেনো আমাদের কোন নিকট আত্মীয় এমন কাজ করলে প্রতিবাদ করতে শিখতে হবে।
জানান দিতে হবে সত্যের পথে আমাদের অবস্থ্যান।
তবেই ধীরে ধীরে আমাদের সমাজে এদের মত মানুষের সংখ্যা কমতে থাকবে।
০৩) সরকার কি এদের সবার দায়িত্ব নিয়ে বসে আছে?
সরকার কে জানেন?
সরকার এই যে আমি বা আপনি।
আমরা সরকার বানাই।
কখনো লাল রংয়ের সরকার।
কখনো নীল রংয়ের সরকার। আমরা যেমন মানুষ আমাদের সরকারী শাষণ তেমনি হবে।
আগে আমাদের নিজে থেকে ভালো হতে হবে। মন্দ কাজ আর ভালো কাজের পার্থক্য বুঝতে হবে।
সেসব তো আমরা শিখিনি।
শিখেছি ধরা বাধা বইয়ের কতগুলো পাতায় বন্দী হিসেব নিকেজ।
শুধু এসব হিসেবে দুনিয়া চলে না।
মানুষ হও্য়া যায় না।
সবার আগে নিজের পরিবারের মধ্যে আত্মপরিচয় বোধ গড়ে তুলতে হবে।
সম্মানীয় মানুষ গরীব হলেও তার আত্মপরিচয় যে তার আসল পরিচয় সেটা আগে নিজে থেকে বুজতে হবে।
এভাবে যখন আমরা নিজেরা পরিবর্তিত হবো তখনই আমাদের সমাজ পরিবর্তিত তথা দেশের পরিবর্তন হবে।
ঘরে বসে শুধু সরকারকে দোষ দিলে হবে না। আমরা ভুলে যাই সরকার শুধু মাত্র একটা সিস্টেমের নাম যা আমাদেরই তৈরী।
আমরা নিজেরা ঠিক না হলে সরকার কোন দিনও ঠিক হবে না। এটাই সর্ব সত্য।
০৪) খালি সরকার কে দোষারোপ করলেই কি কাজ হবে?
গুনি লোকেরা বলেন আমাদের মধ্যে দুই ধরনের লোকে বাস।
১ - শাষক শক্তি ।
২ - শোষিত শক্তি।
আমি আবার শোষিক শক্তির লোক।
এই শোষিত শক্তির থেকেই কিন্তু শাষক শক্তি জন্ম তা আমরা জানিই না।
তাই আমরা কাছে বা দুরে কোন দুর্নীতি দেখলে প্রতিবাদ করতে পারিনা।
কারন তখণ আমরা টারমিনেটর ছবি দেখায় ব্যাস্ত থাকি।
তারপর আমাদের বুকে ভয় ধরে যায়। মরার ভয়। প্রতিবাদের ভয়।
তো এই - শোষিত শক্তি আরেকটা বিশেষ কাজ আছে।
বেশির ভাগই সেই কাজে এতটাই ব্যাস্ত্য থাকে যে প্রতিবাদ করার টাইমই পায়না।
সেই বিশেষ কাজটা কি জানেন?
সেই বিশেষ কাজ হলো হলো দো্ষারোপ করা।
এদেরি দোষারোপ করতে দেখবেন।
সরকার কে যেকোনো কিছুর জন্য দোষারোপ করা এদের শিরায় উপশিরায় ঘোরা ফেরা করে।
এদের আপনি দেখবেন কখনো কাছের চায়ের দোকানে, কখনো পাবলিক ট্রান্সপোর্টে,
এমনি টয়লেটে বসে এরা সরকারকে দোষারোপ না করলে এদের পেটের ভাত হজম হয় না।
তবে এই বিষয়টা আমার খুব হাসি পায় কেন জানেন?
কারন যখন দেখি এদেরি ছেলের শশুর বা অন্য কোন নিকট আত্নীয় বউ ৮০ লাখ টাকার ব্যাগ
পাশের বাড়ির ছাদে ফেলে দিয়ে নখ কাটতে বসে যান। সুতরাং সরকারকে দোষারোপ ছাড়ুন।
আগে নিজে আর নিজ ঘরকে ঠিক করে তুলুন। ভুলে যাবেন না এই আপনি বা আমিই আমাদের সরকার।
০৫) আমাদের কি নিজেদের কিছুই করার নাই?
এখনই কিছু করার সময়। এরপর আর হয়ত এই সুযোগটা থাকবে না।
আত্মশিক্ষিত হন।
সন্তানদের সৎ শিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলুন।
সবার আগে নিজ পরিবারে প্রতিবাদী হন। নিজ পরিবারকে দুর্নীতি মুক্ত করুন।
এটাই আমাদের এখণ আসল কাজ।
মনে রাখবেন দুর্নীতি গ্রস্থ্যরা আমাদের মিল্কি ওয়ের বাইরের কেউ না।
এরা আমাদেরী আত্মীয়। আমাদের সামনেই এই সব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সোচ্চার হন।
প্রতিবাদ করুন।
প্রথমে নিজ ঘর থেকে শুরু করতে হবে।
তারপর সমাজে অটোমেটিক পরিবর্তন আসবে।
ভুলে যাবেন না - ছোট ছোট বালু কনা বিন্দু বিন্দু জলই গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।
আমাদের রুট থেকেই আমাদের বদলাতে হবে।
আমরা যদি নিজেরা না বদলাই তা হলে বদলাবে না আমাদের দেশ, আমাদের সমাজ।
ভালো থাকবেন।
লিংক: Click This Link
২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩
রোহান খান বলেছেন: উত্তর দেওয়া আছে - শেষের দিকে দেখে নিন।
২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭
নাসির ইয়ামান বলেছেন: কার্যকরী লেখা লেখেছেন!
ব্লগারদের মধ্যেই এমন অপরাধী পাওয়া যাবে (ব্যতিক্রমবাদে) আর সাধারণ্যে অনেক পাবেন।
আমাদের উচিৎ সবার আগে ব্যক্তিক সংশোধন অতঃপর পরিবার পরিজন!
৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১১
রাজীব নুর বলেছেন: যারা ক্ষমতায় থাকে দেশটা তাদের। তারা তো লুটেপুটে খাবেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২
মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক প্রশ্ন করেছেন।
এতো উত্তর কে দিবে?
সবাই তো সব উত্তর নাও জানতে পারে।