![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক কোণে দাঁড়িয়ে পৃথিবীকে দেখছি। সবকিছু সৃষ্টির মূল পদার্থ হল ভালোবাসা। তাই ভালোবেসে যাই সবাইকে।
বেশকিছুদিন আগে গোলাম মোর্তজার ‘চেপে রাখা ইতিহাস’ পড়ার সময় এ লাইনে চোখ আটকে যায়: “যে জাতির শিক্ষাব্যবস্থা যতো শক্তিশালী সে জাতি ততো উন্নত। যে জাতির শিক্ষাব্যবস্থা যতো নড়বরে সে জাতির শির ততো নিম্নতরে।”
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা শুধু নড়বরে নয় কল্পনাতীত নিম্নতরের। কেন, আপনাদের কি মনে নেই: কোন ভিডিও ভাইরালের কথা?
রাষ্ট্রীয়ভাবে সহশিক্ষার ব্যবস্থা না করে ছেলে মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা শিক্ষাদীক্ষার ব্যবস্থা যদি থাকত, তাহলে আজ এ দেশ সঠিক শিক্ষার ফল ভোগ করতে পারত। সর্বক্ষেত্রে কাযর্দক্ষতার পরিচয়ে দেশকে, জাতিকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত।
শিক্ষাদীক্ষা প্রত্যেক মুসলিমকে বাধ্যতামূলক করতেই হবে। তবে তা কোনভাবেই অমুসলিমদের অনুকরণ করে নয়। মুসলিম জাতির নিজস্বতা পরিত্যাগ করে অন্যের পথে কেন হাঁটবে?
আমাদের যারা শিক্ষাগুরু আছেন তারা কী পারেন না, ইসলামের মৌলিকত্ব সম্পূর্ণরূপে বজায় রেখে নতুন আঙ্গিকে সুপরিকল্পিতভাবে স্কুল কলেজ ভার্সিটি লেবেলের শিক্ষা ব্যবস্থা সাজাতে?
যদি তারা নাইবা পারেন, তাহলে তারা এতদিন ধরে শিক্ষাপণ্ডিতের গুরুত্বপূর্ণ কাজ কীভাবে করে আসছেন!!?
সহশিক্ষার মরণবিষ ও মহামারিতে মুসলিম জাতির (আমাদের) আসল পরিচয় হারিয়ে ফেলেছি। এটি গোপন কথা নয়, প্রকাশ্য ইতিহাস।
এশিয়ায় সর্বপ্রথম বাদশাহ আকবরের কাছে “সহশিক্ষা” উপহার সরুপ নিয়াসেন লর্ড ম্যাকেল। তৎকালিন খৃষ্টীয় ধর্মের প্রধান ক্ষমাধর এলিজাবেথ এই লর্ড ম্যাকেলকে হিন্দুস্তানে খৃষ্টধর্ম প্রচার করার জন্য রাষ্টীয়ভাবে পাঠান।
লর্ড ম্যাকেল যখন বৃটেনে ফিরে যায় তখন রাণি তাকে তার দাওয়াতী কাজের বর্ণনা দিতে বলেন। উত্তরে লর্ড বলেছিল: রাণি, আমি হিন্দুস্তানে কাউকে খৃষ্টধর্মে দীক্ষা দিইনি। রাণি রেগে যান তার অকর্মকর বক্তব্য শুনে। সাথে সাথে লর্ড বলেন, রাণি আপনি উত্তেজিত হবেন না।
কারণ, কাউকে খৃষ্টধর্মে দীক্ষা দিইনি ঠিক কিন্তু হিন্দুস্তানেরে একজন মুসলমানকেও মুসলমানিত্বের ওপর রেখে আসিনি।
ওরা শুধু নামে হবে মুসলমান কিন্তু অন্তকরণে পুরোটাই হবে খৃষ্টান।
রাণি অবাক হয়ে জিগ্যাসা করলেন, এর মূল কারণ কী বল তো?
তখন লর্ড ম্যাকেল বলেন, আমাদের দেয়া হাদিয়া “সহশিক্ষা” হিন্দুস্তানের বাদশাহ গ্রহণ করেছেন। এই সহশিক্ষার ফলে আমরা তাদেরকে যেকোনভাবে পরিচালনা করতে পারব। তারা নিজেরাও বুঝবে না যে অন্তকরণে তারা কখন খৃষ্টান হয়েছে।
মুসলিম জাতির (আমাদের) শিক্ষাদীক্ষার ব্যবস্থাপনা অমুসলিমদের মতো যদি হয় তাহলে মুসলিম জাতিকে কলঙ্কর ভার ততদিন বইতে হবে যতদিন নিজেদের স্বকীয়তার স্বাক্ষর রেখে শিক্ষাদীক্ষার পূর্ণ ব্যবস্থাপনা না করা হবে।
মনের কিছু কথা ব্যাথা রেখে গেলাম।
শেষ করার আগে আরেকটি কথা মনে পরে গেল, যেটি বলেছেন
দার্শনিক আল্লামা ইকবাল। তার কথাটাই তুলে ধরছি:
✔যে,জ্ঞানের প্রভাবে হারায়
নারীত্ব
সে,তো জ্ঞান নয়,সাক্ষাৎ মৃত্যু
নারীর শিক্ষা যদি হয় ধর্মহীন
প্রেম প্রণয় জ্ঞান সবয়ই প্রাণহীন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫০
রোকন_হারুন বলেছেন: আমাদরে আশা যেন পূরণ হয়: রাষ্ট্রীয়ভাবে যেন শুদ্ধ শিক্ষার পরিকল্পনা করা হয় এবং তা বাস্তবায়ন হয়।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১২
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশ-বিদেশের আইনের কথা বলে বই পড়ানো হয়,কিন্তু আল্লাহর আইনের কথা বলে যদি বই পড়ানো হতো, শেখানো হতো তাহলে আজ এতো এতো সমস্যা হত না।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৪
রোকন_হারুন বলেছেন: প্রিয়র প্রতি কৃতজ্ঞ, অতি মূল্যবান বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য করার জন্য।
ইতিহাস কথা বলে: যেদিন থেকে খৃষ্টানরা খেলাফাকে ধ্বংস করেছে সেদিন থেকে মুসলিমরা খড়কুটো হয়ে বেঁচে আছে। আর মুসলমানরা (আমরা) তাদের অনুসরণ করছি। তারা আমাদের পথিকৃৎ।
এ গোলামির শিকল থেকে উদ্ধার করতে পারে কেবল আমাদের সঠিক পরিশুদ্ধ শিক্ষা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ইনশাল্লাহ এখন আর কোনো সমস্যা হবে না।
দীপু মনি চলে আসছেন।