![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্যায়, অবিচার, বৈষম্য, শাসন-শোষণ থেকে মুক্তিলাভের জন্য বাঙ্গালী স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অর্জিত হয় বাঙ্গালীর বহু প্রত্যাশিত স্বাধীনতা। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও দুঃখজনকভাবে স্বাধীনতার পরপরই স্বজাতীয় শাসকশ্রেণীর কাছ থেকে একই রকম আচরণ পেতে জাতির বেশি দিন লাগেনি। মুক্তি আর স্বাধীনতা, স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শব্দগুলো আমাদের গল্পে, নাটকে, গানে, কবিতায় আর বক্তৃতায় উচ্চারিত হয়েছে হাজারবার। কিন্তু আমরা প্রকৃত চেতনাকে বুকে ধারণ করছি না, করতে পারছি না। আমাদের সামগ্রীক কর্মকান্ডে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন হচ্ছে না।
একটি দেশের উন্নতির জন্য অতি প্রয়োজনীয় জাতিগত মিল থাকা সত্ত্বেও আমাদের পিছিয়ে থাকার কোনো কারণ নেই। উপজাতী ছাড়া সারাটা দেশের সবাই বাংলাভাষী, জনসংখ্যার প্রায় নব্বই শতাংশ মুসলমান, খাদ্যাভাস ও গায়ের রং একই রকম প্রভৃতি। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা ভাবলে ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের জাতীয় বৈশিষ্ট্যের কাঠামো সার্বিক উন্নতির জন্য অনেক বেশি ইতিবাচক। তাই আমাদের উন্নতির ও প্রবৃদ্ধির হার আরো বেশি হওয়া উচিত ছিল।
দেশের শাসক শ্রেণি ‘সব কৃতিত্ব আমার, আর সব ব্যর্থতার দায় প্রতিপক্ষের’- এই মানসিকতা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে। যা হয়তো সাময়িকভাবে দেশ শাসন করা যায়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসূভাবে দেশসেবা করা যায় না। স্বাধীনতার জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত এই একপেশে মানসিকতার ঊর্ধ্বে উঠতে কাউকে খুব একটা দেখা যায়নি। রাজনৈতিক শিষ্টাচারের চর্চা তো দূরের কথা বরং রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই দলগুলোর আদর্শ হয়ে উঠেছে। যা আমাদের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। যে বিষয়টি সব অবস্থায় বর্জনীয় তা হলো, সঙ্কীর্ণ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেয়া।
একটি সুস্থ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত কার্যকর বাকস্বাধীনতা, আইন ও শৃঙ্খলা, নাগরিকদের নিরাপত্তা, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনসহ অনেক কিছুই আজ দুর্ভাগ্যজনক। আর এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির পেছনে বড় কারণ হচ্ছে, সবচেয়ে বড় দু’টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্যের অভাব। ঐকমত্য দেখি না জাতিসত্তার ও জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞায়, ইতিহাসের গুরত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর বর্ণনায়, বরেণ্য নেতাদের তালিকায়, বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুর মধ্যে অগ্রাধিকার নির্ধারণ, পররাষ্ট্রনীতির দর্শন ও চর্চায়, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সৎ ও নিঃস্বার্থ নেতার সংখ্যা কমে এসেছে। পুঁজিবাদী ও পেশীশক্তিই এখন রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রধান যোগ্যতা বলে ধরা হয়। সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত, ত্যাগী, নিবেদিত প্রাণ, নিঃস্বার্থ সমাজসেবক অথচ অর্থ নেই এমন ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হলে কেউ তাকে ভোট দেন না। এই মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। স্বাধীনতার সুফল পেতে হলে ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তির হাতে নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে দিতে হবে।
আজ স্বাধীনতার চার দশক পর আমাদের তরুণ প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা, চেতনার ওপর নির্ভর করছে দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নসহ অনেক কিছু। তাদের দেশকে জানার, দেশকে ভালোবাসা, দেশের জন্য কিছু করার আগ্রহ কতটুকু তার ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ।
আমাদের নতুন প্রজন্মের সিংহভাগই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানে না। এ চেতনার সঙ্গে প্রতিনিয়ত নতুন করে পরিচিত হচ্ছে বর্তমান প্রজন্ম। আর তাই কেউ বা মুক্তিযুদ্ধের বই পড়ে আবার কেউ বা দাদা-দাদি, বাবা-মা অথবা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে জেনে নিচ্ছেন সেই সময়ের মুহূর্তগুলো। কীভাবে বাঙালি জাতিকে চিরতরে মাথা নুইয়ে দেয়ার জন্য এ দেশের দোসররা পাক-বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিল। আর কীভাবে নিজের প্রাণ বাজি রেখে এ দেশের দামাল ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও মুক্তিযুদ্ধে বীরদর্পে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ছিনিয়ে এনেছিল চূড়ান্ত বিজয়। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে আজ যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছেন তারা নিজেরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের, মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতির ধারে কাছেও নেই।
অন্যদিকে এদেশে একদল লোক সব সময়ই ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ও রাজনীতি করে আসছে। একই কাজ আজ অন্যরা করছে না তা কিন্তু নয়। একদল করছেন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’র নামে, অন্যদল ‘জাতীয়তাবাদী চেতনা’র নামে। যারা প্রগতিশীল রাজনীতির কথা বলে তারাও রাজনৈতিক স্বার্থে বিভিন্ন সময় আপোষ করতে দেখা গেছে। এভাবে সঙ্কীর্ণ গোষ্ঠীস্বার্থে কিছু সুবিধাভোগী লোক এদেশে আজ ধর্ম কিংবা চেতনার নাম করে প্রকৃতপক্ষে তাদের আখের গোছানোর কাজটি করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাদীরা, অন্তত তাঁদের কেউ কেউ, বর্তমানে তাদের নিজস্ব স্বার্থে ও অর্থে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয় দুটির মধ্যে বিভাজন ঘটাতে চাইছেন তাতে, একাত্তরে যারা রণাঙ্গনে প্রকৃত বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন, অসম সাহসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে রাষ্ট্রের কাছ থেকে খেতাব বা অন্য সম্মাননা পেয়েছেন, পরবর্তী বা পরিবর্তিত রাজনৈতিক অবস্থান বা আনুগত্যের কারণে তাঁদের সমস্ত অবদান বাতিল হয়ে যায়। জাতির ভবিষ্যতের জন্য এটা মোটেও শুভলক্ষণ নয়।
আমাদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামের পেছনে আর যা কাজ করেছিল তা হলো শোষণ ও বৈষম্য থেকে মুক্তির আকাঙ্খা। পাকিস্তান আমলের তেইশ বছর আমরা এই শোষণ ও বৈষম্যের বিরদ্ধে সংগ্রাম করেছি। সেদিন সে শোষণ ও বৈষম্যের একটা রূপ ছিল আঞ্চলিক। অর্থাৎ পূর্ব বাঙলার ওপর পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষণ। দেশের দুই অঞ্চলের মধ্যেকার পাহাড়সম বৈষম্য। কিন্তু এছাড়াও শোষণ ও বৈষম্যের অন্য রূপও ছিল। ছিল শ্রেণি-শোষণ, মানুষে মানুষে বৈষম্য। তবে সেদিনকার পটভূমিতে ওই আঞ্চলিক শোষণ ও বৈষম্যের ব্যাপারটিই আমাদের কাছে প্রধান হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তার মানে অন্য শোষণ বা বৈষম্যের ব্যাপারে আমরা অসচেতন ছিলাম, তা নয়। আমরা সেদিন ‘বাইশ পরিবারে’র শোষণের বিরদ্ধে কথা বলতাম। এই বাইশ পরিবারের কেউ বাঙালি ছিল না। আজ স্বাধীন বাংলাদেশে অবাঙালি বাইশ পরিবারের স্থান নিয়েছে বাইশশো কিংবা হয়তো বাইশ হাজার বাঙালি পরিবার। একেই কি আমরা স্বাধীনতার আকাঙ্খার বাস্তবায়ন ধরবো? সেদিন কিন্তু ‘বাইশ পরিবারে'র বিরদ্ধে বলতে গিয়েও, সবাই না হলেও, অনেকেই আমরা একটা কথা বলতাম। তা হলো, অবাঙালি বাইশ পরিবারের পরিবর্তে বাঙালি বাইশ বা একশো পরিবারের রাজত্ব আমরা চাই না। স্বাধীনতা-পরবর্তী চুয়াল্লিশ বছরে আমাদের সমাজে শ্রেণী শোষণ কি কমেছে? মানুষে মানুষে বৈষম্য কি হ্রাস পেয়েছে, নাকি আরও বেড়েছে? এমন কি আঞ্চলিক বৈষম্যও কি এদেশে ক্রমবর্ধমান নয়? শুধু রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনা করলে আমরা এ প্রশ্নের কী জবাব পাবো।
মনে রাখতে হবে, একাত্তরে গ্রাম-বাঙলার হাজার হাজার স্বল্পশিক্ষিত ও অশিক্ষিত যুবক যারা লুঙ্গি পরে ও কোমরে গামছা বেঁধে একটি স্টেনগান ও দুটি গ্রেনেড সম্বল করে শত্রুর মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল- পেশায় যাদের কেউ ছিল চাষি, কেউ মাঝি, কেউ মুটে বা মজুর, কেউ ছোট দোকানদার, আবার কেউ একবারে বেকার- তারা কিন্তু কোনো গান গাইবার বা উৎসব পালনের অধিকারের জন্য যুদ্ধ করেনি। তাদের এবং আরও কয়েক কোটি সাধারণ মানুষের- দেশের ভেতরে থেকে মৃত্যুঝুঁকি নিয়েও যারা সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের অন্ন ও আশ্রয় যুগিয়েছিল, শত্রুর অবস্থান ও গতিবিধির খবর দিয়ে সাহায্য করেছিল, তাদের কাছে স্বাধীনতার অর্থ ছিল ভিন্ন বা আরও বড় কিছু। কোনো কিছু পাওয়ার আশা নিয়ে বা ব্যক্তিগত লাভক্ষতির হিসাব করে তারা যুদ্ধে যাননি। তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে ছিল নিখাদ দেশপ্রেম, অন্যায়-অত্যাচারের বিরদ্ধে মরণপণ প্রতিরোধ। আগামী দিনগুলোতেও সকল রকম অন্যায়-অত্যাচার, শোষণ ও বৈষম্যবিরোধী চেতনাই হোক আমাদের চলার পথের প্রেরণা। যে আশায় তাঁরা জীবন বিসর্জন দিয়ে আমাদেরকে দিয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র তাঁর রক্তের ঋণ আমাদেরইতো শোধ করার কথা। তাদের আশার বাস্তবায়নতো আমাদেরই করার কথা। তাই নতুন প্রজন্মকে সেই বীর শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান দেখিয়ে, ব্যক্তিগত লাভ ক্ষতির হিসাব না করে নিখাদ দেশপ্রেম নিয়ে, দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে, মানবতার স্বার্থে আন্তরিকভাবে কাজ করে যেতে হবে।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬
সৈয়দ হাসানুজ্জামান (নয়ন) বলেছেন: সত্য বলেছেন ।
মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ।
আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের দরকার হলে কার বিরুদ্ধে করতে হবে ? ভেবে দেখুন ।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০
প্রোলার্ড বলেছেন: আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের দরকার হলে নিজেদের অলসতা ও পরনির্ভরশীল মানসিকতার বিরুদ্ধে করতে হবে নিজেদের গার্ডথস্ ফিরে পাবার জন্য
২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৯
সৈয়দ হাসানুজ্জামান (নয়ন) বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার পরনির্ভরশীল কথাটার সাথে একমত ।
কিন্তু অলসতা এটা সত্য নয় । প্রবাসে সাধারনত আট ঘন্টা কাজ করার নিয়ম । কিন্তু শতকরা ৯০ জন বাংলাদেশী ১৬ ঘন্টা কাজ করার চেষ্টা করে । বাংলাদেশে অলসতা করেও রোজগার করা যায় ।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১৩
তপোবণ বলেছেন: প্রোলার্ড এর সাথে ১০০ ভাগ সহমত, সুন্দর কথা বলেছেন উনি। তবে কিছু কথা কানে বাজে খুব বাজেরকম ভাবে, তা হলো সন্মুখ সমরে যারা যুদ্ধ করেছেন তাদেরকেও ইদানিং রাজাকার বলা হয়। এর মধ্যে সয়ং বঙ্গবন্ধু দ্বারা সার্টিফায়েড মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছেন। আর মুক্তিযুদ্ধের ৬ বছর পর জন্মগ্রহণ করে হয়ে যায় সার্টিফিকেট ধারী মুক্তিযোদ্ধা! চেতনার কোম্পানী খুলে যারা বসেছেন তারা এই সার্টিফিকেট বিলি করে। যেই চেতনা জাতীকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনা বিভক্ত করে ফেলে, সেটা কেমন চেতনা? তাহলে বুঝতে হবে সেই চেতনা সার্বজনীন নয়। মদ গাজা নারী ও হালুয়া রুটির চেতনা ভঙ্গুর হতে বাধ্য কারণ এটা মেকী। আসুন মুখোশধারী চেতনা বিলাসীদের আমরা ঘৃণা করতে শিখি।
লেখককে ধন্যবাদ সত্যকে সন্দুরভাবে উপস্থাপন করা জন্য।
২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৬
সৈয়দ হাসানুজ্জামান (নয়ন) বলেছেন: লেখাটির মুল্যায়ন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
হঠাৎ করেই সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয় । আসুন আমরা সকলে মিলে সঠিক ন্যায়জ্ঞান সম্পন্ন উন্নত নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার চেষ্টা করি ।
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮
বজ্রকুমার বলেছেন: লেখক ঠিক কথাই বলেছেন কেউ ধর্মকে আর কেউ মুক্তিযুদ্ধকে বানিয়েছে সম্বল। আর এরা আগেও ছিল এখন আরো বেড়েছে তাইতো স্বাধীন দেশে চুরি হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর কম্বল।
সত্যিতো এটাই আমরা এখন নিজেদের নিয়ে ভাবতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি তাই দেশকে নিয়ে ভাবার সময় কোথায়?
আর যারা দেশকে নিয়ে ভাবে তাদের অধিকাংশই মূলত নিজের মানিব্যাগের ওজন বৃদ্ধি করার চেষ্টা লেগে আছে। এতকিছুর পরেও আমরা স্বপ্ন দেখি সবাই একদিন দেশপ্রেমিক হবে সবাই দেশকে ভালোবাসবে সবাই দেশের জন্য কাজ করবে ...মানিব্যাগের ওজন বৃদ্ধির জন্য নয়।
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৭
সৈয়দ হাসানুজ্জামান (নয়ন) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আমাদের নতুন প্রজন্মকে কিভাবে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা যাবে সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে । ক্ষমতাসীনদের দিয়ে হবে না । আমাদেরকে করতে হবে, তারপর নতুন প্রজন্মের হাতে দিতে হবে দেশ গড়ার দায়িত্ব ।
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৮
Al Rajbari বলেছেন: ভাববার বিষয়-!!
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৯
সৈয়দ হাসানুজ্জামান (নয়ন) বলেছেন: ধন্যবাদ । ভাবেন, একদিন হয়তো আমরা সমাধান পেয়ে যাবো ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬
প্রোলার্ড বলেছেন: যারা সন্মুখ সমরে যুদ্ধ করেছে , শত্রু সেনাকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে - তারা কি চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করেছে সেটাই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের আসল তথা মূল চেতনা ।
যারা সময় + সামর্থ্য + বয়স থাকা সত্ত্বেও যুদ্ধে না গিয়ে বাবার বাসায় , চাচার বাসায় , দাদাবাবুদের পাড়ায় বেড়িয়েছে - তাদের চেতনা হল পলায়ন মানসিকতার । এরা জাতিকে কোন ভাল দিক নির্দেশনা দিতে পারবেনা কারণ আসল সময়ে তারা তাদের চেহারা দেখিয়ে দিয়েছে।