![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপমহাদেশের ইতিহাসে ঐতিহাসিক ‘লাহোর প্রস্তাব’ যুগান্তকারী প্রভাব রেখেছে। এই প্রস্তাবের অনুসরনে সৃষ্টি হয় পাকিস্তান। জাতিগত সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই এই রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। নতুন সমস্যা দেখা দেয় রাষ্ট্রীয় অধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরনে। উর্দূভাষী জনগোষ্ঠি এবং পাঞ্জাবের অধিবাসীগণ রাষ্ট্রীয় সকল অধিকার ভোগ করতে থাকে বাংলা ভাষাভাষী জনগণের চাইতে অনেক বেশী। এই বৈষম্যের জন্য বাংলার জনগণ মর্মপীড়া অনুভব করতে থাকে। ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে বাংলার মুসলমান জনগোষ্ঠি পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দেয়। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের উত্থাপক ছিলেন অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে ১৯৪৬ সালে নিখিল ভারত মুসলীম লীগের দিল্লী অধিবেশনে ‘পাকিস্তান প্রস্তাব’ উত্থাপন করেন অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী। বাংলার মুসলমান জনগোষ্ঠির এই উদ্যোগ ত্যাগ ও তিতিক্ষা ব্যতীত পাকিস্তান রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ছিল দুরূহ ব্যাপার। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ সঞ্চিত হতে থাকে বাংলার পাট চা তুলা বিক্রয়লব্ধ অর্থে। অথচ এই পাকিস্তানে বাংলা ভাষাভাষী জনগণ সকল রাষ্ট্রীয় অধিকার থেকে হতে থাকে বৈষম্যের শিকার। ব্যবসা বাণিজ্য, সরকারী চাকুরী, ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৈদেশিক বৃত্তি, উন্নয়ন মূলক কর্মসূচী ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই ছিল এই বৈষম্যের ব্যাপ্তি। এই সকল বৈষম্য থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যমে লাহোর প্রস্তাব ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে শেখ মুজিব ৬-দফা দাবী পেশ করেন। সকল বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীন দেশ গঠনের লক্ষ্যে গোপনে সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে কর্মরত ‘নিউক্লিয়াস’ এই দাবীর প্রতি সমর্থন ও একাত্মতা ঘোষণা করে। ফলে ৬-দফা দাবী আদায়ের সংগ্রাম ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে বাংলা ভাষাভাষী জনগণের মাঝে। যার চ’ড়ান্ত রূপায়ন ঘটে স্বাধীনতার মাধ্যমে। ৬-দফা দাবীর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল আঞ্চলিক বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে প্রতিটি নাগরিকের জন্য যৌক্তিক ও সুষম রাষ্ট্রীয় অধিকার নিশ্চিত করা। এই দাবীতে দেশের দুই অংশের সম্পদ যাতে এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে পাচার হতে না পারে তার জন্য সহজে বিনিময় যোগ্য মুদ্রা প্রবর্তন এবং উভয় অঞ্চলের জন্য পৃথক ‘রাষ্ট্রীয় ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব করা হয় । রাজস্ব ও কর আদায়ের সাথে সাথেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার নিদিষ্ট অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে জমা হবে এবং বাকী অংশ জমা হবে প্রাদেশিক সরকারের তহবিলে। এভাবেই হবে আঞ্চলিক বৈষম্যের অবসান। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলার স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে পরিস্থিতির বদল হয়েছে কিন্তু ৬-দফার মর্মানুসারে আঞ্চলিক বৈষম্যের অবসান হয় নাই। এই আঞ্চলিক বৈষম্য বহাল থাকার কারণেই জনজীবনে আজ অভাব অনটন বেকারত্ব হানাহানি বিরাজ করছে।
একটি জাতির মেরুদন্ড তার শিক্ষা ব্যবস্থা। কৃষ্টি সংস্কৃতির বিকাশ ও অগ্রযাত্রার ম্যাধ্যমে জাতি পায় স্বকীয়তা। এর জন্য সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে নিয়ামক শক্তি। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা মান সম্মত নয়। যা ছিল তাও আজ বিলুপ্তির পথে। উপজেলা পর্যায় তো নয়ই জেলা পর্যায়েও আজ মান সম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব প্রকট। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রকল্প আছে। ডাক্তারও নিয়োগ দেওয়া আছে কি›তু তারা প্রায়ই কর্মস্থলে থাকেন না। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দও নাই। কৃষি বিভাগ, মৎস্য ও পশুপালন বিভাগ সবক্ষেত্রেই একই সমস্যা। ফলে নাগরিকগণ রাষ্ট্রের কাছ থেকে তাদের প্রাপ্য নাগরিক সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বিচার বিভাগ উপজেলাতে না থাকায় নাগরিকদেরকে যেতে হচ্ছে জেলা সদরে। আবার ৫,০০,০০০/০০ ( পাঁচ লাখ ) টাকার অধিক তায়দাদের মামলায় যুগ্ম জেলা জজ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সংক্ষুব্ধ হলে দেওয়ানী রিভিশন মামলা দায়ের করার জন্য সংক্ষুব্ধ পক্ষকে যেতে হচ্ছে ঢাকায়। একইভাবে ফৌজদারী মামলায় যুগ্ম দায়রা জজ কর্র্তৃক কোন আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বৎসরের অধিক মেয়াদের সাজা দেওয়া হলে সংক্ষুব্ধ আসামীকে আপীল দায়েরের জন্য যেতে হবে ঢাকায়। অথচ জেলাতে জেলা ও দায়রা জজগণ কর্মরত আছেন, তারা আইনসম¥তভাবে দোষী ব্যক্তিকে যে কোন সাজা (মৃত্যুদন্ডসহ) প্রদান করতে পারেন। তারা ৫(পাঁচ) বৎসরের কারাদন্ডে দন্ডিত আসামীর আপীল মোকদ্দমা নিষ্পত্তি করতে পারবেন না এটা কোন যুক্তির কথা হতে পারে না। যুগ্ম জেলা জজগণ অসীম তায়দাদের মূল্যমানের মামলা নিষ্পত্তি করার এখতিয়ারের অধিকারী। যুগ্ম জেলা জজ গণ সন্তোষজনক বিচারকার্য পরিচালনা সাপেক্ষে সুপ্রীম কোর্টের ‘ফুলকোর্ট’ সভার অনুমোদনক্রমে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি লাভ করেন। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজগণ একই প্রক্রিয়ায় জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তাহলে জেলা ও দায়রা জজ ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজগণ কেন যুগ্ম জেলা জজ কর্তৃক ৫,০০,০০০/০০ ( পাঁচ লাখ ) টাকার অধিক তায়দাদের মামলায় প্রদত্ত রায়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক দায়েরকৃত দেওয়ানী রিভিশন মামলা শুনানীর জন্য গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করতে পারবেন না ? সংবিধানের ৪৪(২) অনুচ্ছেদে বিধান থাকা সত্ত্বেও জেলা পর্যায়ে অবস্থিত আদালতকে তার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে সংবিধানের তৃতীয় ভাগে বর্ণিত মৌলিক অধিকার বলবতের করার জন্য মামলা রুজু করার অধিকার সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রদান করে আইন প্রণয়ন সংসদ করে নাই। সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ বাস্তবায়ন করে ঢাকার বাইরে স্থান বা স্থান সমূহে হাইকোর্ট বিভাগের অধিবেশন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয় নাই। এই অযৌক্তিক বিধান উপনিবেশিক আমল থেকে চলে আসছে। যা উপনিবেশিক শাসকেরা তাদের নিজেদের স্বার্থে প্রচলন করেছিল। নাগরিকেরা প্রতিনিয়ত রাজস্ব কর খাজনা ভ্যাট প্রদান করলেও তারা রাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। নাগরিকদের কাছ থেকে সরকার কর্তৃক সংগৃহীত ও প্রাপ্ত সকল অর্থ ‘সংযুক্ত তহবিলে’ জমা হচ্ছে। এই তহবিল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর সেবা ও উন্নয়নের জন্য পাচ্ছে ৬৫%+২০%=৮৫%। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের জনগণ এই খাতে পাচ্ছে মাত্র ১৫%। তারা সংযুক্ত তহবিলে যা দিচ্ছে প্রতিদানে স্থানীয়ভাবে সেবা ও উন্নয়ন খাতে পাচ্ছে অনেক অনেক কম। এর ফলে নাগরিকদের মধ্যে ‘সংযুক্ত তহবিল’ এর অর্থের সুষম বন্টন হচ্ছে না। সৃষ্টি হচ্ছে আঞ্চলিক বৈষম্যের। নগর গ্রাম নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা থাকলেও রাষ্ট্র এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। বর্তমানে পাবনা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা , চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি অঞ্চলের বুদ্ধিজীবীগণ জাতীয় ক্ষেত্রে অবদান রাখার কোন সুযোগ পান না। এই সব অঞ্চলে বসবাসকারী সুশিক্ষিত ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠির সাথে সম্পৃক্ত মহিলাগণও জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা থেকে প্রায় বঞ্চিত।
সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:
নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবন যাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করিবার উদ্দেশ্যে কৃষি বিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতীকরণের ব্যবস্থা, কুটির শিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগ-ব্যবস্থা জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তরসাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে :
(১) সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন।
(২) মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করিবার জন্য, নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত করিবার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ-সুবিধা দান নিশ্চিত করিবার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
(৩) জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করিবেন।
বাস্তবে এর বিপরীতটাই আমরা দেখতে পাচ্ছি। এর অবসানের জন্য এককেন্দ্রীক শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে ফেডারেল শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা প্রয়োজন। তা করতে হলে বাংলাদেশকে সাত(৭) অথবা নয়টি (৯) প্রদেশে বিভক্ত করতে হবে। তা করা হলে (ক) প্রত্যেক প্রদেশে নির্বাচিত ‘প্রাদেশিক পরিষদ’ (Provincial Assembly) এবং ‘প্রাদেশিক সরকার’ (Provincial Government) থাকবে। (খ) প্রতিটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা অনূর্ধ ১৫০ (এক শত পঞ্চাশ) জন থাকবে। (গ) প্রতিটি প্রাদেশিক পরিষদে ১(এক) জন মুখ্যমন্ত্রীসহ ৭(সাত) সদস্যের মন্ত্রীসভা থাকবে। (ঘ) ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’র সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। একটি প্রদেশ অবশ্যই ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নাগরিকদের নিয়ে গঠন করতে হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সদস্যদের ‘আঞ্চলিক শাসন’-এর ব্যবস্থা করা হবে। (ঙ) জাতীয় সংসদের( পার্লামেন্ট) ‘উচ্চকক্ষে’ সকল প্রদেশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে।(চ) উপজেলা ব্যবস্থাকে নির্বাচিত ও কার্যকর ‘স্ব-শাসিত স্থানীয় সরকার’ ব্যবস্থায় রূপ দেওয়া হবে।(ছ) নির্বাচিত উপজেলা পরিষদে জনগণের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এছাড়াও বিচার বিভাগ পৃথক ও স্বাধীন থাকবে। প্রতিটি প্রদেশে হাইকোর্ট থাকবে। বিচার ব্যবস্থা উপজেলা পর্যায়ে বিস্তৃত হবে। মানবাধিকার বিষয়ে হাইকোর্টে বিশেষ বেঞ্চ থাকবে।
বর্তমানে পাবনা অঞ্চল থেকে সরকার কর্তৃক প্রাপ্ত সকল রাজস্ব ‘সংযুক্ত তহবিলে’ জমা হলেও তার সামান্য অংশই এই অঞ্চলের সেবা ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় হয়। রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা , চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি অঞ্চলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। প্রদেশ গঠন করা হলে এই সব অঞ্চল থেকে যে সব অর্থ ‘সংযুক্ত তহবিলে’ জমা হয় তা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য অংশ বাদ দিয়ে যা থাকবে তা এই সব অঞ্চলে সেবা ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা যাবে। এ ক্ষেত্রে তাই বাড়তি ব্যয়ের আশংকা অমূলক। উপরন্তু পরিবহন খাতের জন্য জ্বালানি বাবদ প্রতিদিন যত ব্যয় হচ্ছে তার অনেকাংশই কমে যাবে। সবাইকে রাজধানী ঢাকায় গিয়ে কর্মের জন্য ধর্ণা দিতে হবে না। বিচার প্রাপ্তির আশায় রাজধানী ঢাকায় যেতে হবে না। নিজ নিজ অঞ্চলে বাস করেই নাগরিকদের কর্মসংস্থান হবে। বিচার পেতে পারবে। এতে তাদের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। তারা নিজ নিজ অঞ্চলে বসবাস করে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অর্থনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কার্যকর অবদান রাখতে পারবে। বর্তমানের উজার হওয়া গ্রাম ও মফস্বল শহর অঞ্চল জনগণের কলকাকলিতে হয়ে উঠবে মুখরিত। নাগরিকদের জীবন হবে গতিময় ছন্দময় শান্তিময়। নাগরিক অধিকার ও জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে প্রচলিত বৈষম্যের ঘটবে অবসান।
এই লক্ষ্য সামনে নিয়েই আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালিত হোক। বর্তমানের রাজনৈতিক সামাজিক অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তির জন্য বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের বিকল্প নাই।
লেখক: সাবেক জেলা ও দায়রা জজ। বর্তমানে এ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট , হাইকোর্ট বিভাগ, ঢাকা এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের অধ্যাপক।[email protected]
©somewhere in net ltd.