![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এখনস্বপ্ন ছেঁড়া স্বপ্নবাজী -ভীষণ নীরব ব্যাথার ডোরে আপন ভুবন বেঁধে রাখি ।
আমার ছিল মেঘের জীবন-
এক চিলতে মেঘ বাঁধন বিহীন ;
উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে
একটা ভীষণ ইচ্ছে নামক আকাশ জুড়ে ।
স্বপ্ন ছিল শিশির হব;
ভোরের শিশির ।
দূর্বা ঘাসের বুকে লুকিয়া থাকা যেমন শিশির;
তোমার মাঝে- বুকের মাঝে লুয়িয়ে থাকা-
তেমনি কোন স্বপ্ন শিশির ।
স্বপ্ন খুঁজে -
বহুদূর পথ হেঁটেছি আমি ;
হিজলের ছায়া - অশ্বথ আর বটের মেলায়
বিলিয়েছি আমার যত ক্লান্তি ।
নির্ঘুম রাতে ঐ শেওড়া গাছের ভূতের সাথেও
কত শত গল্প !
তোমার - আমার গল্প ।
একদিন পৃথিবীর পথ ধরে চলে যাওয়া
জ্যোৎস্নারাও জেনেছিল আমাদের কথা !
জীবনের কত বাঁক ; কত সকাল- সন্ধ্যা;
মায়ামধু বিকেল -
কত সুর স্বরের মোহিনী মায়া ।
ছল ছল জল চোখে চলে যাওয়া সময় ;
পথ ও পথিকের বেদনা বিধুর কত আলিঙ্গন ।
আর কি কিছু চাওয়া হল !
ছুটে চলা - সময়ের সাথে ধীরে নিভে যাওয়া
গোধূলি আলো ।
প্রবাহী জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দের মত
কি যেন কি একটানা বেজেই চলেছে
নিভৃত প্রকোষ্ঠে আলোহীন কুঠুরিতে !
তবু স্বপ্নের লুটুপুটি ;
অসমাপ্ত যত পাণ্ডুলিপি !
অর্ধেক জীবন !
একদিনতো ঠিক নিজেকে আর খুঁজে পাব না !
না তুমি , না আমি ।
শরতের সকাল - শ্রাবণের সন্ধ্যা -
বৈশাখী ঝড়ের রাত্রি -
তখনও কি ঠিক এমনই থাকবে !
তখনও কি রাত জেগে কীর্তনের আসরে
নতুবা মুর্শিদী গানে-
কোন যুবক রক্তাক্ত হবার জ্বালা মেটাবে !
তখনও নিশ্চই আমাদের এই চলার পথের
ধুলিদের ঘুম ভেঙ্গে যাবে সন্ধ্যা বাতাসে !
এখনও তোমাকে খুঁজি ;
ফাল্গুনী বিকেলের ঐ উন্মাদ বাতাসে;
ধানের শীষের দোলনায় - ফিঙ্গের নাচে-
বিস্তীর্ণ নীল সবুজে ।
থিয়েটারের করুণ সংলাপে।
ভাল লাগা কবিতায় ;
হাসি আর বিরক্তির বেতাল নৃত্যে-
অবসাদে- প্রশান্তিতে -
এবং ঘুমের ঘোরে !
তোমাকে খুঁজি-
আনমনে বহুদূর পথ হেঁটে;
অচেনা পথে ।
পদার্থবিদ্যার জটিল সমীকরণে ;
ভাল লাগা গানে-
আর কালো কাজল চোখে ।
শুক্লপক্ষ জ্যোৎস্নার জোনাকিতে
অথবা কৃষ্ণপক্ষ ঘোর অন্ধকারে !
ক্ষুধার যন্ত্রণায় - তৃপ্তির হাঁসিতে;
দূর থেকে ভেসে আসা বেহালা সুরে।
মাতাল হাওয়া রাতে-
ভীষণ একাকিত্বের আনন্দে ।
জীবনের গলিপথে নিরুদ্দেশ নিরুদ্বেগ
স্রোত অথবা নদী তবু বহমান ।
ক্লান্ত পৃথিবীর গভীর ঘুমে
তবু কোন স্বপ্নের বিলাসী জেগে থাকা !
একাকী অন্ধকারের বুকে মাথা গুঁজে
তবু চন্দ্রস্নান !
যেখানে পথিক এসে দাঁড়ায়
ঠিক সেখানে আমাদের স্মৃতি রোমন্থন ।
রাতভর জেগে থাকা পাখির কান্নায়
ভারী হয় প্রিয় অন্ধকার !
যদি এক শ্রাবণ রোদন শেষে
কেঁদেই চলে বুকের গহীন আকাশ তোমার
কোন মাঝ রাত্তিরে ;
তবে অন্ধকারের শরীরে খুঁজে দেখো
নিবিড় কোন ছোঁয়া আছে জেগে -
অনন্ত ঘুমহীন চোখ মেলে !
যদি প্রিয় কোন গানে-
কোনদিন কেটে যায় তাল ;
তবে ভেবে দেখো এই গান ভালবেসে
একদিন কেউ যেন ছিল পাশে ।
তোমাকে নিয়ে লেখা প্রিয় কবিতা
যদি কোনদিন চোখে আনে জল
তবে খুঁজে দেখো শব্দের গন্ধে -
মিশে থাকা শরীর- কত শত না বলা কথা !
মহাকালের ধূলায় মিশে আছে
তবু একটা হৃদয়-
এই পৃথিবীর আলো-ছায়ায় ।
যদি কোনদিন অবেলায় স্নান সেরে
ঘাঁটে বসে চকিত হও জলের ভাষায়;
তবে স্মৃতির আঙ্গিনায় খুঁজে দেখো-
অনেক আগেই জলেরা জেনেছে
সেদিনের সব না বলা কথা !
যদি পাখিটা একাকী চুপচাপ বসেই থাকে
সারাটা বিকেল তোমার আঙ্গিনা পাশে -
তবে তার স্থির দৃষ্টি গভীরে
খুঁজে দেখো- পাবে কারো আজন্ম পিপাসা !
চিৎকার দিয়ে পৃথিবী কাঁপানো সময়ে
যদি চেপে আসে কণ্ঠনালী তোমার !
ধূসর যদি মনে হয় কোনদিন
রঙ্গিন যত স্বপ্ন সকাল !
তবে ছুঁয়ে দেখো গলে যাওয়া সেই রঙ্গিন আলোয়
মিশে আছে নিভৃত কোন ভালবাসা;
ভালবেসে যে একদিন হয়েছিল জল !
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
রোমেন রুমি বলেছেন: হিজল , অশ্বথ, বট , শেওড়া গাছ ...
এই শব্দগুলির কারনেই কি জীবনবাবুর গন্ধ ?
যদি তাই বলেন তা হলে ঠিক আছে ।
কিন্তু জীবনানন্দ শব্দগুলি তার কবিতায় ব্যবহার করেছেন বলে সেগুলি আর ব্যবহার করা যাবেনা তাতো ঠিক না !
জীবনানন্দ ছাড়া অন্য কেউই বোধহয় কবিতায় এই শব্দগুলিকে সার্থকতার সাথে ব্যবহার করতে পারেন নি ।
তাই শব্দগুলি দেখলেই জীবনবাবুর একটা গন্ধ পাওয়া যায় ।
শুধু আপনিই নন আমিও পাই
আপনার সুতীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ভাল লাগল ।
ধন্যবাদ মাক্স ।
ভাল থাকুন
শুভ দুপুর ।
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কবিতায় একরাশ ভাল লাগা রইল।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
রোমেন রুমি বলেছেন: ধন্যবাদ
কান্ডারী ভাই ।
ভাল থাকবেন
শুভ দুপুর ।
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আমার ছিল মেঘের জীবন-
এক চিলতে মেঘ বাঁধনবিহীন
উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে
একটা ভীষণ ইচ্ছে নামক আকাশ জুড়ে
স্বপ্ন ছিল শিশির হব
ভোরের শিশির।
দূর্বা ঘাসের বুকে লুকিয়া থাকা যেমন শিশির
তোমার মাঝে - বুকের মাঝে লুয়িয়ে থাকা -
তেমনি কোনো স্বপ্নশিশির।
স্বপ্ন খুঁজে
বহুদূর পথ হেঁটেছি আমি
হিজলের ছায়া - অশ্বথ আর বটের মেলায়
বিলিয়েছি আমার যত ক্লান্তি।
নির্ঘুম রাতে শেওড়া গাছের ভূতের সাথেও
কত শত গল্প
তোমার-আমার গল্প
একদিন পৃথিবীর পথ ধরে চলে যাওয়া
জ্যোৎস্নারাও জেনেছিল আমাদের কথা।
জীবনের কত বাঁক, কত সকাল-সন্ধ্যা
মায়ামধু বিকেল -
কত সুরের মোহিনী মায়া
ছল ছল জলচোখে চলে যাওয়া সময়
পথ ও পথিকের বেদনাবিধূর কত আলিঙ্গন
আর কি কিছু চাওয়া হল!
ছুটে চলা - সময়ের সাথে ধীরে নিভে যাওয়া
গোধূলি-আলো।
প্রবাহী জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দের মত
কী যেন কী একটানা বেজেই চলেছে
নিভৃত প্রকোষ্ঠে আলোহীন কুঠুরিতে
তবু স্বপ্নের লুটোপুটি
অসমাপ্ত যত পাণ্ডুলিপি
অর্ধেক জীবন।
একদিন তো ঠিক নিজেকে আর খুঁজে পাব না
না তুমি, না আমি
শরতের সকাল - শ্রাবণের সন্ধ্যা -
বৈশাখী ঝড়ের রাত্রি -
তখনও কি ঠিক এমনই থাকবে,
তখনও কি রাত জেগে কীর্তনের আসরে
নতুবা মুর্শিদী গানে
কোনো যুবক রক্তাক্ত হবার জ্বালা মেটাবে!
তখনও নিশ্চই আমাদের এই চলার পথের
ধূলিদের ঘুম ভেঙ্গে যাবে সন্ধ্যাবাতাসে।
এখনও তোমাকে খুঁজি
ফাল্গুনী বিকেলের উন্মাদ বাতাসে
ধানের শীষের দোলনায় - ফিঙ্গের নাচে -
বিস্তীর্ণ নীল সবুজে
থিয়েটারের করুণ সংলাপে
ভাললাগা কবিতায়
হাসি আর বিরক্তির বেতাল নৃত্যে -
অবসাদে - প্রশান্তিতে -
এবং ঘুমের ঘোরে।
তোমাকে খুঁজি -
আনমনে বহুদূর পথ হেঁটে
অচেনা পথে
পদার্থবিদ্যার জটিল সমীকরণে
ভাললাগা গানে-
আর কালোকাজল চোখে
শুক্লপক্ষ জ্যোৎস্নার জোনাকিতে
অথবা কৃষ্ণপক্ষ ঘোর অন্ধকারে
ক্ষুধার যন্ত্রণায় - তৃপ্তির হাসিতে
দূর থেকে ভেসে আসা বেহালার সুরে
মাতাল-হাওয়া রাতে-
ভীষণ একাকিত্বের আনন্দে।
জীবনের গলিপথে নিরুদ্দেশ নিরুদ্বেগ
স্রোত অথবা নদী তবু বহমান
ক্লান্ত পৃথিবীর গভীর ঘুমে
তবু কোনো স্বপ্নের বিলাসী জেগে থাকা
একাকী অন্ধকারের বুকে মাথা গুঁজে
তবু চন্দ্রস্নান
যেখানে পথিক এসে দাঁড়ায়
ঠিক সেখানে আমাদের স্মৃতি রোমন্থন
রাতভর জেগে থাকা পাখির কান্নায়
ভারী হয় প্রিয় অন্ধকার।
যদি এক শ্রাবণ রোদন শেষে
কেঁদেই চলে বুকের গহিন আকাশ তোমার
কোনো মাঝ রাত্তিরে,
তবে অন্ধকারের শরীরে খুঁজে দেখো
নিবিড় কোনো ছোঁয়া আছে জেগে -
অনন্ত ঘুমহীন চোখ মেলে
যদি প্রিয় কোনো গানে-
কোনোদিন কেটে যায় তাল
তবে ভেবে দেখো এই গান ভালবেসে
একদিন কেউ যেন ছিল পাশে।
তোমাকে নিয়ে লেখা প্রিয় কবিতা
যদি কোনোদিন চোখে আনে জল
তবে খুঁজে দেখো শব্দের গন্ধে -
মিশে থাকা শরীর - কত শত না বলা কথা
মহাকালের ধুলোয় মিশে আছে
তবু একটা হৃদয় -
এই পৃথিবীর আলোছায়ায়
যদি কোনোদিন অবেলায় স্নান সেরে
ঘাটে বসে চকিত হও জলের ভাষায়,
তবে স্মৃতির আঙ্গিনায় খুঁজে দেখো -
অনেক আগেই জলেরা জেনেছে
সেদিনের সব না বলা কথা।
যদি পাখিটা একাকী চুপচাপ বসেই থাকে
সারাটা বিকেল তোমার আঙ্গিনা পাশে -
তবে তার দৃষ্টির গভীরে
খুঁজে দেখো - পাবে কারো আজন্ম পিপাসা।
চিৎকার দিয়ে পৃথিবী কাঁপানো সময়ে
যদি চেপে আসে কণ্ঠনালি তোমার,
ধূসর যদি মনে হয় কোনোদিন
রঙিন যত স্বপ্ন সকাল,
তবে ছুঁয়ে দেখো গলে যাওয়া সেই রঙিন আলোয়
মিশে আছে নিভৃত কোনো ভালবাসা -
ভালবেসে যে একদিন হয়েছিল জল।
****
আবৃত্তি-উপযোগী একটা চমৎকার কবিতা লিখেছেন রোমেন ভাই। খুব ভালো লাগলো।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
রোমেন রুমি বলেছেন: ধন্যবাদ
সোনা ভাই ।
কেমন আছেন ?
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন:
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩
রোমেন রুমি বলেছেন:
৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার একটা ভালোবাসার কবিতা। তবে জীবনানন্দের প্রভাব রয়েছে বেশ কয়েক জায়গায়।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
রোমেন রুমি বলেছেন: ধন্যবাদ
হাসান ভাই ।
জীবনানন্দ দাস আমার প্রিয় কবি ।
লেখাটায় কথাগুলি বলার যে ঢং আমি ব্যবহার করেছি সেখানে জীবনানন্দ আমাকে কতটা প্রভাবিত করেছে সেটা বলা মুশকিল। তবে কিছু শব্দ আমি ব্যবহার করেছি যা জীবনানন্দের ছায়া প্রকাশ করে ।
এটা মাক্স এর মন্ত্যব্যের উত্তর দিতে গিয়ে স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছি ।
ভাল থাকুন বস্
শুভ দুপুর ।
৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
নাইস ওয়ান রোমেন।
শিরোনামটা ভাল লাগসে ||
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
রোমেন রুমি বলেছেন: ধন্যবাদ
মুন ।
ভাল থাকবেন
শুভ দুপুর ।
৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ভাল লাগা রইল কবিতায়।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
রোমেন রুমি বলেছেন: ধন্যবাদ
সমুদ্র কন্যা ।
ভাল থাকবেন
শুভ দুপুর ।
৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার!
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
রোমেন রুমি বলেছেন: ধন্যবাদ
স্বপ্নবাজ ।
ভাল থাকবেন
শুভ দুপুর ।
৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪০
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লেগেছে ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
রোমেন রুমি বলেছেন: ধন্যবাদ
মামুন রশিদ ভাই ।
ভাল থাকবেন
শুভ দুপুর ।
১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
টুম্পা মনি বলেছেন: চমৎকার
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
রোমেন রুমি বলেছেন: ধন্যবাদ
টুম্পা মনি ।
ভাল থাকবেন
শুভ দুপুর ।
১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
সোমহেপি বলেছেন: আগেই পড়া তারপর আরো কিছু ঘষামাজা।
আমার ভালই লাগার কথা।কিন্ত্ত বয়সজনিত কারণেই হয়তবা এসব ছেলেমানুষী ভালোবাসার লেখা অহন আর দাগ কাটে না।আর তোর এসব লেখাগুলোও তো আর কোন সাহিত্যের জন্য লিখিস না তাইনা? একান্ত্ত নিজের ..................
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৭
রোমেন রুমি বলেছেন: শালা তুই যে সত্যি বুড়ো হচ্ছিস এই কথা ঢাকঢোল পিটিয়ে জানাতেই হবে !
লিখিতো নিজের জন্যই এ কথা ১০০ ভাগ সত্যি ; কোনদিন কোন কালজয়ী সাহিত্য আমার দ্বারা রচিত হবে । এমন ভাবনা আমার বিন্দুমাত্রও নেই ।
আর কোনটা যে সাহিত্য কোনটা যে অসাহিত্য তা বিচার করাটাকি কম ঝক্কি !
জীবনটাই কি একটা বড় সাহিত্য নয় ! কে লিখে রাখবে এত গল্প ।
যা লিখেছি পুরোটাই আমার আভ্যন্তরীণ সত্যতা ; এক বিন্দুও মিথ্যে নেই ।
ভাল থাকিস ।
১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: লেখক বলেছেন: হিজল , অশ্বথ, বট , শেওড়া গাছ ...
এই শব্দগুলির কারনেই কি জীবনবাবুর গন্ধ ?
যদি তাই বলেন তা হলে ঠিক আছে ।
কিন্তু জীবনানন্দ শব্দগুলি তার কবিতায় ব্যবহার করেছেন বলে সেগুলি আর ব্যবহার করা যাবেনা তাতো ঠিক না !
জীবনানন্দ ছাড়া অন্য কেউই বোধহয় কবিতায় এই শব্দগুলিকে সার্থকতার সাথে ব্যবহার করতে পারেন নি ।
তাই শব্দগুলি দেখলেই জীবনবাবুর একটা গন্ধ পাওয়া যায় ।
শুধু আপনিই নন আমিও পাই -মাক্স ভাইকে বলা এই কথার সাথে আমি একটু যোগ করি। না, এই শব্দগুলো ব্যবহার করলেই জীবনানন্দের প্রভাব হবে বলে মনে করিনা। তবে শব্দগুলোর কিভাবে ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করে জীবনানন্দের প্রভাব পড়ল কিনা। এখানে সত্যি ব্যবহার জীবনানন্দনীয় হয়েছে। তাই। উদাহরণ দেখুন-
বহুদূর পথ হেঁটেছি আমি ;
হিজলের ছায়া - অশ্বথ আর বটের মেলায়
বিলিয়েছি আমার যত ক্লান্তি ।
অথবা,
একদিন পৃথিবীর পথ ধরে চলে যাওয়া
জ্যোৎস্নারাও জেনেছিল আমাদের কথা !
লেখার এই স্টাইলটা কি জীবনানন্দ দাশের নয়? আপনি কিছু মনে করেন না। আমাদের প্রিয়ো লেখকদের ছায়া আমাদের লেখায় থাকবেই। জীবনানন্দ দাশের লেখাতেও কীটসের প্রভাব ছিলো। তাতে কি আসে যায়! সেই প্রভাব থেকেও কতটা রোমেন রুমিয় হলো, সেটাই বড় কথা!
অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন, সব সময়।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
রোমেন রুমি বলেছেন: আপনার কথা ভাল লাগল ।
আর কিছু মনে করার প্রশ্নই ওঠে না বরং আপনার সুতীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণও আমায় মুগ্ধ করেছে ।
হাসান ভাইয়ের মন্তব্যের উত্তরে আরও কিছু স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছি -
"জীবনানন্দ দাস আমার প্রিয় কবি ।
লেখাটায় কথাগুলি বলার যে ঢং আমি ব্যবহার করেছি সেখানে জীবনানন্দ আমাকে কতটা প্রভাবিত করেছে সেটা বলা মুশকিল। তবে কিছু শব্দ আমি ব্যবহার করেছি যা জীবনানন্দের ছায়া প্রকাশ করে "।
এবং আপনার কোড করা লাইনগুলিও ।
এবং এই শব্দগুলি জীবনানন্দ ই যে আমার মাথার মধ্যে ঢুকিয়েছে এই কথাও ১০০ ভাগ সত্যি ।
স্বপ্ন খুঁজে
বহুদূর পথ হেঁটেছি আমি
হিজলের ছায়া - অশ্বথ আর বটের মেলায়
বিলিয়েছি আমার যত ক্লান্তি।
নির্ঘুম রাতে শেওড়া গাছের ভূতের সাথেও
কত শত গল্প
তোমার-আমার গল্প
একদিন পৃথিবীর পথ ধরে চলে যাওয়া
জ্যোৎস্নারাও জেনেছিল আমাদের কথা।
পুরো লেখায় উপরের এই প্যারাটা বাদ দিলে হয়তঃ জীবনানন্দ ছায়া আর খুঁজে পাওয়া যায় না । এটা লেখার পরে আমি নিজেও বুঝেছি ।
আর আপনার ভাষায় -
"জীবনানন্দ দাশের লেখাতেও কীটসের প্রভাব ছিলো। তাতে কি আসে যায়! সেই প্রভাব থেকেও কতটা রোমেন রুমিয় হলো, সেটাই বড় কথা! "
আবার যাই লিখি ; সব লেখায় যে এই ঘটনাটা ঘটাই তা কিন্তু না !
অনেক অনেক ভাল থাকুন ।
শুভ রাত্রি ।
১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
বোকামন বলেছেন:
তবে স্মৃতির আঙ্গিনায় খুঁজে দেখো-
অনেক আগেই জলেরা জেনেছে
সেদিনের সব না বলা কথা !
চিৎকার দিয়ে পৃথিবী কাঁপানো সময়ে
যদি চেপে আসে কণ্ঠনালী তোমার !
আবেগের একাকীত্ব ...... হূম!
খুব সুন্দর লিখেন আপনি !
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো।।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৬
রোমেন রুমি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
বোকামন ।
আবেগের একাকীত্ব .....
ঠিকই বলেছেন ।
প্রবাহী জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দের মত
কি যেন কি একটানা বেজেই চলেছে
নিভৃত প্রকোষ্ঠে আলোহীন কুঠুরিতে !
অনেক ভাল থাকুন ।
শুভ রাত্রি ।
১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৫৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: কবিতাটির আবৃতি শুনতে পেলে চমৎকার হতো।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
রোমেন রুমি বলেছেন: ধন্যবাদ খেয়াঘাট
আবৃত্তি শোনানোর ব্যবস্থা নিয়ে ভাবছি ।
এখানে একটা স্টুডিও হয়েছে কিছু দিন হল ।
ভাবছি কিছু প্রিয় কবিতা, নিজের কিছু লেখা রেকর্ড করব ।
যদি এই ভাবনাটা শেষ পর্যন্ত বাস্তবতায় রূপান্তরিত হয় তাহলে অবশ্যই শুনতে পাবেন ; কথা দিলাম ।
এছাড়া কুমিল্লা যদি আসেন তাহলে জানাবেন
একেবারে লাইভ ( সরাসরি সম্প্রচার ) শোনাব ।
অনেক ভাল থাকুন ।
শুভ বিকেল ।
১৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
শায়মা বলেছেন: মেঘবতীর জন্য মেঘেরা একদিন জল হয়েছিল
তারপর জলেরা আবার মেঘ হয়ে গেলো.......
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১
রোমেন রুমি বলেছেন: ধন্যবাদ আপুমনি ।
তুমি কেমন আছ ?
তারপর জলেরা আবার মেঘ হয়ে গেলো.......
মেঘেরা আবার জল
জলেরা আবার সত্যি সত্যি মেঘ
এবং মেঘেরা আবার সত্যি সত্যি জল
............
.....................
..............................
১৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অনুসরন লিস্ট ট্যাব অন হচ্ছে না
মহা সমস্যা।
দূর্দান্ত কবিতা।
পাঠে স্নিগ্ধ অনুভব হয়।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩১
রোমেন রুমি বলেছেন:
ধন্যবাদ
দূর্জয় ভাই ।
ভাল থাকুন সারাক্ষণ সারাবেলা ।
শুভ সকাল ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১৭
মাক্স বলেছেন: কবিতাভর্তি জীবনবাবুর গন্ধ!