নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

রমিত রহমান

রমিত রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেনমোহর- স্ত্রীর অধিকার

১৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

দুদিন আগে একজনের সাথে কথা বলতে বলতে হঠাত প্রসঙ্গ উঠলো দেনমোহরের ব্যাপারে। কথা বলতে গিয়ে দেখলাম আমরা দুজনেই এ বিষয়ের অনেক কিছু নিয়েই কনফিউশনে আছি। ঠিক করলাম অজ্ঞতা দূর করতে হবে।
এই দুদিনে এ বিষয়ে যতটুকু পেয়েছি পড়েছি, পেপার আর্টিকেল, অনলাইন ব্লগ, নিউজ পোর্টাল, জাতীয় তথ্যকোষ, সরকারী ওয়েবসাইটের তথ্য, বিভিন্ন আইনজীবীদের কলাম ইত্যাদি। পড়ার পর মনে হলো এ বিষয়ে আরো অনেকেরই একই কনফিউশন থাকতে পারে। যা পড়লাম সবার সাথে শেয়ার করা উচিত। তাই যতটুকু পারি প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।

১. দেনমোহর কি?
উত্তরঃ
মুসলিম আইন অনুযায়ী দেনমোহর বিয়ের একটি অন্যতম শর্ত। দেনমোহর স্বামী কতৃর্ক স্ত্রীকে পরিশোধ যোগ্য একটি আইনগত দায়। দেনমোহর স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীর একটি বিশেষ অধিকার। সাধারণত বর ও কনের সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী দেনমোহর নির্ধারিত হয়। মুসলিম বিয়েতে এটি একটি বাধ্যতামূলক শর্ত। দেনমোহর হিসেবে যেকোনো পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করা যায়। দেনমোহর নির্ধারণের সময় সামাজিক মর্যাদা এবং বাবার পরিবারের অন্যান্য নারী সদস্যের দেনমোহরের পরিমাণ বিবেচনা করতে হবে। তা ছাড়া প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে দেনমোহর নির্ধারণ করা যায় কিংবা স্বামী কর্তৃক যেকোনো সময় দেনমোহরের পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায়। মুসলিম বিয়েতে বিয়ের পর অবশ্যই স্ত্রীকে উপযুক্ত দেনমোহর দিতে হবে।



২. দেনমোহর কয় প্রকার?
উত্তরঃ
দেনমোহর দুই প্রকার। যেমন—
ক. মুয়াজ্জল বা তাৎক্ষণিক দেনমোহর: তাৎক্ষণিক দেনমোহর স্ত্রীর চাওয়ামাত্র পরিশোধ করতে হবে। মুয়াজ্জল বা তাৎক্ষণিক দেনমোহর হচ্ছে, নগদে স্ত্রীকে প্রদান করা অর্থাৎ যা বিয়ের আসরে দিতে হয়। বিয়ের আসরে না দিতে পারলে পারিবারিক জীবন চলাকালীন সময়ে দেনমোহরের যে অংশটুকু স্ত্রী চাওয়ামাত্র স্বামী পরিশোধ করতে বাধ্য থাকে।এ ক্ষেত্রে স্ত্রী তাৎক্ষণিক দেনমোহর না পাওয়া পর্যন্ত স্বামীর সঙ্গে বসবাস (দাম্পত্য মিলন) করতে অস্বীকার করতে পারেন।

খ. মু-অজ্জল বা বিলম্বিত দেনমোহর: যে দেনমোহর বিবাহবিচ্ছেদ (তালাক) অথবা স্বামীর মৃত্যুর পর পরিশোধ করতে হয়, তাকেই বিলম্বিত দেনমোহর বলে। এ ছাড়া স্বামী সালিসি পরিষদের অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে স্ত্রী বা স্ত্রীদের দাবিক্রমে বিলম্বিত দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে। সাধারণত দেনমোহরের কিছু পরিমাণ বিয়ের সময় তাৎক্ষণিক দেনমোহর হিসেবে দেওয়া হয় এবং তা কাবিননামায় লিখিত থাকে। বাকিটা বিলম্বিত দেনমোহর হিসেবে ধরা হয়।

৩.দেনমোহর আদায়ের পদ্ধতি কি?

উত্তরঃ
আইন অনুযায়ী দেনমোহর স্বামীকে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। কারণ, দেনমোহর সব সময়ই স্বামীর ঋণ। স্ত্রী পারিবারিক আদালতে মামলা করে দেনমোহর আদায় করতে পারবেন। দেনমোহর দাবি করার পর স্বামী ওই দাবি পরিশোধ না করলে স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে পৃথক থাকতে পারবেন এবং ওই অবস্থায় স্বামী অবশ্যই তাঁর ভরণপোষণ করতে বাধ্য থাকবেন।
এ ছাড়া বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেলে বা স্বামীর মৃত্যু হলে স্ত্রী তাঁর দেনমোহর আদায়ের জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা করে তা আদায় করতে পারেন। তবে অবশ্যই তালাক বা স্বামীর মৃত্যুর তিন বছরের মধ্যে মামলা করতে হবে। স্বামীর মৃত্যু হলেও বকেয়া দেনমোহর একটি ঋণের মতো। এটি শোধ করতেই হয়। স্বামীর উত্তরাধিকারীরা এটি প্রদানে বাধ্য। অন্যথায় মৃত স্বামীর উত্তরাধিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদায় করা যায়।
স্ত্রী আগে মারা গেলেও দেনমোহর মাফ হয় না। স্ত্রীর উত্তরাধিকারীরা এই দেনমোহরের হকদার। তারাও মামলা করার অধিকার রাখে।

৪. স্ত্রী আগে তালাক দিলে কি দেনমোহর দিতে হয়?

উত্তরঃ
অনেক সময় দেনমোহর নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। অনেক ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে। স্ত্রী যদি স্বামীকে আগে তালাক দেন, সে ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়, স্ত্রীকে দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করা হয় না। স্ত্রী যেহেতু নিজ ইচ্ছা থেকে এবং নিজে উদ্যোগী হয়ে তালাক দিচ্ছেন, তাই তাঁর দেনমোহরের টাকা না দিলেও চলবে—এটি ভুল ধারণা। মনে রাখতে হবে, স্বামী বা স্ত্রী যিনিই তালাক দিন না কেন, দেনমোহরের টাকা অবশ্যই স্ত্রীকে দিতে হবে।
তবে বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য জীবনযাপন না হলে কিংবা স্বামীর মৃত্যু হলে দেনমোহরের অর্ধেক পরিশোধ করা যাবে।

৫. দেনমোহর ছাড়া বিয়ে হলে বিয়ে কি বাতিল হবে?
উত্তরঃ
মুসলিম নিকাহ অনুযায়ী একটি শুদ্ধ বিয়ের জন্য দেনমোহর অত্যাবশ্যকীয়। দেনমোহর নির্ধারণ ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হবে না। বিয়ের সময় যদি দেনমোহর নির্ধারিত না হয়ে থাকে, অথবা স্ত্রী কোনো দেনমোহর দাবি করবে না শর্তে বিয়েটি যদি সম্পাদিতও হয়, তবুও স্বামীকে দেনমোহর দিতে হবে স্ত্রীকে। এ ক্ষেত্রে স্বামীর কোনো ধরনের অজুহাত দেখিয়ে স্ত্রীকে দেনমোহর দেওয়া থেকে বিরত থাকার আইনগত সুযোগ নেই। প্রয়োজনে বিয়ের পরবর্তী সময়ে দেনমোহরের পরিমান নির্ধারন করতে হবে।

৬. বিয়ের সময় দেওয়া শাড়ি, গয়না, কসমেটিকসকে কি দেনমোহর বলা যায়?
উত্তরঃ
বিয়ের সময় দেওয়া শাড়ি, গহনা, কসমেটিকস বা অন্যান্য জিনিষপত্র দেনমোহরের অংশ নয়। এগুলো স্বামী বা তার পরিবার কর্তৃক স্ত্রীকে দেওয়া উপহার হিসেবে বিবেচিত হবে না। অনেক সময় বিয়ের কাবিননামায় শাড়ি, গহনার মূল্য ধরে দেনমোহরের একটি অংশকে উসুল ধরা হয়। এটা ঠিক নয়। দেনমোহর স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে দেওয়া কিছু অর্থ বা মূল্যবান সম্পদকে বোঝাবে, অন্য কিছু নয়।

৭.শুধু তালাক দিলেই কি দেনমোহর পরিশোধ করতে হয়?
উত্তরঃ
বিবাহ বহাল থাকা বা বিবাহবিচ্ছেদের সাথে দেনমোহরের কোনো সম্পর্ক নেই। বিবাহ সম্পন্ন হলে উল্লেখিত দেনমোহর স্ত্রীর আইনানুগ পাওনায় পরিণত হয়।
আইনত বিলম্বিত দেনমোহর আদায়যোগ্য হয় ৩ টি ঘটনা সাপেক্ষে -

১) স্বামী মৃত্যুবরণ করলে
২) বিবাহ বিচ্ছেদ হলে
৩) অনুমতি ছাড়া একাধিক বিয়ে করলে


৮.স্ত্রী কি দেনমোহর মাফ করতে পারে?
উত্তরঃ
দেনমোহর নিয়ে আমাদের দেশে অনেকের মাঝেই আছে বিভিন্ন রকম ভ্রান্ত ধারণা। বেশির ভাগই মনে করেন স্ত্রী স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে স্বামীকে তালাক দিলে দেনমোহর দাবী করতে পারে না। আবার সাথে সাথে এরকম ধারণাও আছে যে স্বামী মারা গেলে মাফ হয়ে যায় দেনমোহর।
মূলত মুসলিম আইনে দেনমোহর হলো স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীর পাওয়া এক ধরণের বিশেষ অধিকার। এই দেনমোহর যে কোনো অবস্থায় পরিশোধ্য এবং কোনো অবস্থায় মাফ হয় না।দেনমোহরের ক্ষেত্রে একটা বিষয় পরিস্কার যে, দেনমোহর মাফ হয় না । অনেক কেইস স্টাডিতে দেখা গেছে, বাসর রাতে স্বামী বেশ আবেগে গদ গদ হয়ে ধর্মীয় দোহাই দিয়ে স্ত্রীকে দেনমোহর মাফ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে । সরলা স্ত্রী ইমোশনালী ব্ল্যাক মেইল্ড হয়ে অবগুণ্ঠনে মুখ লুকিয়ে মাফ করে দিয়েছে বটে । কিন্তু তাতে দেনমোহর মাফ হয় না । নারী অথবা পুরুষ তালাক যে - ই দিক না কেন স্ত্রীকে তার প্রাপ্য দেনমোহর বুঝিয়ে দিতে হবে । দেনমোহর আদায়ের জন্য মোহরানা দাবী এবং তা প্রত্যাখ্যান হবার ৩ বছরের মধ্যে মোকদ্দমা করতে হবে । অন্যথায় দাবী তামাদি হয়ে যাবে ।

৯.দেনমোহরের পরিমাণ কিভাবে নির্ধারিত হবে?
উত্তরঃ
দেনমোহর স্বামীর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ রেখে নির্ধারণ করতে হয়। দেনমোহরের পরিমাণ নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে স্ত্রীর পারিবারিক অবস্থান ও স্বামীর আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনা করা প্রয়োজন। দেনমোহর এত অধিক হওয়া উচিত নয় যা স্বামীর পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব নয়; আবার এত কম হওয়া উচিত নয় যা স্ত্রীর আর্থিক নিরাপত্তা দিতে পারে না। কোনো অবস্থায়ই স্বামী ন্যূনতম ১০ দিরহাম বা সমপরিমাণ অর্থ অপেক্ষা কম নির্ধারণ করতে পারবেন না। বিয়ের সময় দেনমোহর নির্ধারণ করা না হলে বিয়ের পরও তা নির্ধারণ করা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে ন্যায্য দেনমোহর নির্ধারণের সময় সামাজিক মর্যাদা ও বাবার পরিবারের অন্যান্য নারী সদস্যের—যেমন, স্ত্রীর আপন বোন, ফুপু ও ভাইয়ের মেয়ের—দেনমোহরের পরিমাণ বিবেচনা করাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তা ছাড়া প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে দেনমোহর নির্ধারণ করা যায় কিংবা স্বামী কর্তৃক যেকোনো সময় দেনমোহরের পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায়।

১০. স্বামীর মৃত্যু হলে কি স্ত্রী দেনমোহর পাবেন ?
উত্তরঃ
দেনমোহর পরিশোধ না করা পর্যন্ত এ অধিকার বহাল থাকবে। প্রয়োজনে স্বামীর সম্পত্তি থেকে স্ত্রী তা আদায় করে নিতে পারবেন।

১১.দেনমোহর সংক্রান্ত মামলা কোথায় দায়ের করা যায়?
উত্তরঃ
দেনমোহর সংক্রান্ত মামলা স্থানীয় সহকারী জজ আদালত যা পারিবারিক আদালত নামে পরিচিত, সেখানে করা যায়।

১২. ধর্মীয় দৃষ্টিতে দেনমোহরের স্থান কি?
উত্তরঃ
দেনমোহর হলো স্ত্রীর প্রতি সম্মানসূচক স্বামীর একটি আবশ্যিক দেনা। মুসলিম আইন অনুযায়ী দেনমোহর হলো কিছু টাকা বা অন্য কোনো সম্পত্তি যা স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে বিয়ের মূল্যস্বরূপ পাওয়ার অধিকারী হয়। একজন নারীর অধিকারপ্রাপ্তিতে প্রথমেই দেনমোহরপ্রাপ্তির বিষয়টি চলে আসে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা নারীদেরকে তাদের মোহর স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে প্রদান করবে, সন্তুষ্ট চিত্তে তারা মোহরের কিয়দংশ ছেড়ে দিলে তোমরা তা স্বচ্ছন্দে ভোগ করবে।’ (সুরা আন-নিসা, আয়াত-৪)। এ ছাড়া কুরআনের আরো এক আয়াতে দেনমোহরের অধিকার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘হে নবী! আমি তোমার জন্য বৈধ করেছি তোমার স্ত্রীদেরকে, যাদের মোহর তুমি প্রদান করেছো।’ (সুরা আল-আহজাব, আয়াত-৫০) দেনমোহর ইসলামে এমন একটি বিষয়, যার মাধ্যমে স্ত্রীর অধিকার পাকাপোক্ত করা হয়। পরিশোধের ভিত্তিতে দেনমোহর দুই ধরনের হয়। যথা- মুয়াজ্জল (আশু) দেনমোহর এবং মু-অজ্জল (বিলম্বিত) দেনমোহর। আশু দেনমোহর চাওয়ামাত্র পরিশোধ করতে হয়। আর বিলম্বিত দেনমোহর হচ্ছে, দেনমোহরের যে অংশটুকু স্বামীর মৃত্যুর পর, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিয়ে বিচ্ছেদ বা তালাকের পর স্ত্রী পেয়ে থাকেন। প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে, তালাকের কারণে দেনমোহর দিতে হয়। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। দেনমোহর বিয়ের শর্ত। তালাকের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই।বিয়ে বিচ্ছেদ হোক বা না হোক দেনমোহর পরিশোধ করা স্বামীর দায়িত্ব।

১৩. দেনমোহর অনাদায়ে আইনী প্রতিকার কি?
উত্তরঃ
দেনমোহর সংক্রান্ত মামলা স্থানীয় সহকারী জজ আদালতে দায়ের করতে হয়। ১৯৮৫ সালের পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৫ ধারা অনুযায়ী এই আদালত দেনমোহর সংক্রান্ত মামলা বিচার করে। মামলা করতে হবে দেনমোহর দাবি করার ৩ বছরের মধ্যে। অর্থ্যাৎ তালাক হয়ে গেলে তালাকের তারিখ থেকে ৩ বছরের মধ্যে এ মামলা দায়ের করতে হবে।
আদালত স্বামীকে স্ত্রীর প্রাপ্য দেনমোহর পরিশোধের আদেশ দেবার পর যদি স্বামী তা পরিশোধ না করে তবে আদালতের আদেশের ৩০ বা ৬০ দিনের মধ্যে (রায়ে উল্লিখিত থাকবে) একই আদালতে ডিক্রি জারির মামলা করতে পারে স্ত্রী। এই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে আদালত এবং দেনমোহর অর্থ আদায় না হওয়া পর্যন্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেবে।

মাহমুদা খাতুন বনাম আবু সাইদ (২১ ডি.এল.আর) মামলায় মহামান্য বিচারপতি কর্তৃক সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে যে, ‘সহবাসের আগে এবং পরে স্ত্রী স্বামীর কাছে তলবী মোহরানার দাবি করতে পারে এবং স্বামী তলবী দেনমোহর পরিশোধ না করলে স্ত্রী তার স্বামীর অধিকারে অর্থাৎ সহবাসে যেতে স্ত্রী অস্বীকার করতে পারেন।’এ অজুহাতে স্বামী স্ত্রী থেকে দূরে অবস্থান করলে তা পরিশোধে বাধ্য (১১ ডি এল আর (ডবলু পি) লাহোর ১২৪। স্বামী এজাতীয় মোহরানা পরিশোধ ব্যতীত দাম্পত্য অধিকারের ডিক্রি পেতে পারে না। যে কোন বিষয় সম্পত্তি মোহরানার জন্য ধার্য করা যায় না। এটি হতে পারে নগদ অর্থ, কোনো বীমা পলিসি বা অন্য কোনো দ্রব্য সামগ্রী। তবে কোনো হারাম বস্তু হতে পারবে না।স্বামীর দখলে নেই এমন কোনো সম্পত্তি হতে মোহরানা হতে পারে না। ভবিষ্যৎ কোনো বিষয়ও এর অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.