![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নবতম এক বিষ্ময় এর নাম।
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমে প্রায়ই ক্রিকেট প্রতিভার দেখা পাই আমরা। তাদের প্রতিভার ঝলকানীতে স্বপ্ন দেখতে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে দলের সমর্থকরা, পড়ে সেই স্বপ্নভঙ্গের বেদনা বড় তেতো লাগে। কোন কোন সময় সেই তেতো স্বাদের তোপটা যায় খেলোয়ারের উপর কোন সময় কোচের উপর আবার কোন সময় ম্যানেজমেন্ট বা বোর্ডের উপর কিবা বলা যেতে পারে নির্বাচকের উপর।
চিহ্ণিত প্রতিভাধর খেলোয়ার মাঝে মাঝে পারফর্ম করতে পারেন না লাগাতার। কখনও বা নির্বাচকদের উদাসীনতায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সুযোগই পান না। এই চক্রে দেশে প্রতিভার ঝলকানীর সরুপ দেশবাসীর ভাগ্যে খুব বেশী সময় জোটে নি।
সেই বুলবুল আকরামদের যুগে প্রতিভাধর ছিলেন আতহার আলী খান। তার ঝলাকানী বয়সের ভাড়ে ক্রিকেট মাঠে অনুদিত হবার সময় পায়নি। পরবর্তী দেশের ক্রিকেট জাগরন যুগে আল শাহরিয়ার রোকনকে ধরা হত ততকালীন সবচাইতে প্রতিভাধর ক্রিকেটার। তার ব্যাটিং এর স্ট্রোক এর বাহারী রুপ দেশের বাকী ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে খুব বেশী পাওয়া যেত না। সেই রোকন খুব বেশী দুর যেতে পারলেন না। জাতীয় দলের হয়ে তার পারফরমেন্স প্রতিভার যোগ্য সাক্ষর রাখল না। নির্বাচকরাও তাকে ডানা মেলার তেমন সুযোগ দিলেন না। দেশের নির্বাচকদের উপর সবসময়ই অভিযোগ, তারা খামখেয়ালী, দলের প্লেয়ারদের নিয়ে তাদের পরিক্ল্পনা অস্থিরতায় ভুগে সবসময়।
পরবর্তী সময়ে আরও কিছু প্রতিভাধর খেলোয়ার নামে পরিচিত খেলোয়ার আমরা পেয়েছি। মেহরাব হোসেন অপি স্ট্রোক মাঠে দর্শক টেনে আনত, সেই অপি ব্যাক্তিগত জীবনে এতই মশগুল হলেন যে ক্রিকেট দর্শক তাকে পেলেন না। এরপর অলক কাপালী, তার কথা তো আমাদের মনে এখনও আছে, দলে থাকার দৌড়ে তিনি এখনও আছেন। কিন্তু প্রতিভার যোগ্য পারফরমেন্স আমরা দেখলাম কই। তার প্রতি সহানুভুতি দেখানো যায় যে তিনি ওত সুযোগ পান নি। দলে তার জায়গা নিয়ে নির্বাচকরা রীতিমত ছেলেখেলা করেছেন।
বোলার হিসেবে দেশের সর্বকালের সবচেয়ে প্রতিভাবান মাশরাফি মাঠেও তার সাক্ষর নিয়মিতই রাখেন, কিন্তু ইনজুরি তাকে প্রায়ই বাইরে রাখে। প্রতিভাধরদের মধ্যে তিনিই পারফর্ম করেন নিয়মিত এবং নির্বাচকদের খামখেয়ালীতে পড়েননি।
হালের আশরাফুলকে দেখেন। জাতীয় দলের হয়ে প্রথম ইনিংস খেলার পরই অতি অপরিচীত আশরাফুল হয়ে গেলেন সবার আশা আকাংখার প্রতীক। এবং সবার মতে দেশের ইতিহাসের সব চাইতে প্রতিভাধর ব্যাটসম্যানদের অন্যতম। কিন্তু তার কাহিনীটাও হতাশার। তার উপর ভরসা করার ভুল এখন দর্শকরা আর করতে যান না। তবে নিতি নির্বাচকদের থেকে ভালই সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু তবুও তার এই পরিনতি কেন?
অনেকেই ধারনা করেন, খুবই অল্প বয়সে আশরাফুলের উপর বেশী আশা করে তাকে প্রচন্ড চাপে ফেলে দেয়া হয়েছিল। এরপর তাকে হুট করে অধিনায়ক করে করা হয়েছে তার সর্বশেষ চুড়ান্ত সর্বনাস।
তার পারফর্মেন্স এর গ্রাফ দেখলেই এটা পরিস্কার। তাকে অধিনায়ক করার পর তার স্বাভাবিক ব্যাটিং কোথায় যে হারিয়েছিল। অধিনায়কত্ব হারানোর পর গত দুই সিরিজে অসাধারন ব্যাটিং করে যাচ্ছেন তিনি।
শুধু দেশের আশরাফুল কেন, বিদেশেও যদি চোখ দেয়া যায়, দলের প্রতিভাধর আর সেরা ব্যাটসম্যানদের অধিনায়ক করার পর পরিনতির দিকে তাকালে আমাদের সামনে সহজ উদাহরন আসে টেন্ডুলকার এর। বর্তমান বিশ্বের সন্দেহাতীতভাবে সেরা এই ব্যাটসম্যানকে অধিনায়ক করে তার ব্যাটিং এর চুড়ান্ত সর্বনাস প্রায় করেই ফেলা হয়েছিল। শেষে তিনি নিজেই এই চাপের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবার পর তার ব্যাটিং আবার ঝলসিয়ে উঠে।
বাংলাদেশ দলে আমরা এখন পেয়েছি সাকিব আল হাসান কে। যাকে প্রথম দেখায় কেউ রোকন, অলক বা আশরাফুলদের দলে ফেলেনি। কিন্তু মাঠে পারফর্মমেন্স করে তিনি তার জাত চিনিয়েছেন। এখন তার ব্যাটিং দেখলে তাকে দেশের অন্যতম প্রতিভাধর ব্যাটসম্যান মনে হতেই পারে। তার পরিমিত কিন্তু বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখে মনে হয় তিনি যেন অনেক বছর ধরে আন্তর্জতিক ক্রিকেট খেলছেন। বাংলাদেশ দলে এক্সট্রা অর্ডিনারী ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে যা হয়, নিয়মিত পারফর্মেন্স করতে না পারা, সাকিব এর ক্ষেত্রে সেটির কোন দেখাই নেই। নিয়মিতই তিনি ভাল খেলে যাচ্ছেন। ক্রিকেট র্যাংকিং এ বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার তো আগেই হয়েছেন, এখন তার পয়েন্টকে এতদুর নিয়ে যাচ্ছেন যে তাকে ধরা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দির পক্ষে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। কি টেষ্ট কি ওয়ানডে বড় বড় ইনিংস খেলছেন সাবলীল ভাবে। আর তার বোলিং দলের আশার প্রতীক। একই সাথে একটি দলের প্রধান ভরসার ব্যাটসম্যান আর প্রধান ভরসার বোলার হয়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। এমন জেনুইন অলরাউন্ডার বিশ্বে বিরল। বিশ্বের আর কোন দলে কাউকে একই সাথে দলের সেরা ব্যাটসম্যান আর অন্যতম সেরা বোলার বলা যায় কিনা খুজলে পাওয়া যাবে না সাকিব ছাড়া। আমরা মনে করতে পারি অনেককাল আগে নেইল জনসন নামে জিম্বাবুয়ের একজন খেলোয়ার এরকম ছিলেন।
আশরাফুলকে পদচ্যুত করার পরে মাশরাফি দলের ক্যাপ্টেন। কিন্তু তার দীর্ঘমেয়াদী ইনজুরির কারনে দলের সেরা প্রতিভাধর ও পারফরর্মার সাকিবের হাতে উঠেছে অধিনায়কত্ব। তিনি তার কাজও করে যাচ্ছেন সাবলীল ভাবে। দলের সবচেয়ে ভাল খেলে যাচ্ছেন তিনি ম্যাচের পর ম্যাচ। তাই স্বাভাবিকভাবেই সমর্থকদের কারো কারো মনে স্বপ্ন জাগছে তিনিই কেন নিয়মিত অধিনায়ক হচ্ছেন না।
ঠিক এখানেই আমরা বড় একটা ভুল চিন্তার দোড়গড়ায়। সাকিব হাসান, আমাদের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ও অন্যতম সেরা বোলার, তাকে অধিনায়ক করে তার উপর অতিরিক্ত প্রেসার দিয়ে আমরা যদি তার পারফর্মেন্স এর উপর প্রভাব ফেলে দিই তা দলের জন্য আত্মঘাতী হয়ে যাবে। আমাদের সামনে আশরাফুলের উদাহরন থেকে গেছে।
তাই আমাদের উচিত সাকিবকে ক্যাপ্টেন করার চিন্তা থেকে সরে এসে তাকে তার মত খেলতে দেয়া স্বাধীন চাপমুক্ত ভাবে। তাহলেই তাতে দলের ভাল।
১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১৬
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আপনার লাইনটা চুরি করলাম।
কিছু মনে নিয়েন না
শুভ কামনা সাকিবের জন্য।
শুভ বুদ্ধির প্রার্থনা টিম ম্যানেজমেন্ট এর জন্য।
২| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১৩
সাইফ হাসনাত বলেছেন: এই বিষয়ে একটা লেখা পোষ্ট করার ইচ্ছা ছিলো, কিন্তু আর লেখবো না। এর ভালো নাও হতে পারে!
আপনার লেখাটা অনেক ভালো লাগলো...
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৪
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: খুব ভালো পরামর্শ।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৪
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১৯
অ্যামাটার বলেছেন: আতাহারের ব্যাপারে একমত। সত্যি বলতে কি স্টিভ টিকোলো'র মত তার প্রতিভা কেবল অপচয় হয়েছে।
আর বাকি যাদের কথা বললেন, সেগুলা ক্রিড়া সাংবাদিকদের অতিরঞ্জনের ফল।
সাকিব জেন্যুইন অলরাউন্ডার, ইতিহাস বলে, বাংলাদেশ টীমে এ'রকম ঝলক দেখানো তারকারা ঠিক ততদিনই পারফর্ম্যান্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে, যতদিন আকিহরে/সেলিব্রেটি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়নি। আর এটা এমনই জটিল এক মানসিক রোগ, পাবলিকের দাবড়ানিই যার একমাত্র চিকিৎসা।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৬
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আমার মনে হয় না বাকী যাদের কথা বললাম তারা ক্রীড়া সাংবাদিকদের প্রডাকশন। বরং তারা সময়মত মিডিয়া সাপোর্ট পায় নি বলেই এত সহজে ঝড়ে পড়েছে।
অলকের খেলা ওর ছেলেবেলা থেকে দেখেছি। রোকনের খেলার নান্দনিকতা এখনও দলের কোন ব্যাটসম্যানের মধ্যে নেই, আশরাফুলের মাঝেও না...এটা নির্দিধায় বলতে পারি।
৫| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:২১
আকাশচুরি বলেছেন: হ
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৬
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: হ
৬| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:২২
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
শুভ বুদ্ধির প্রার্থণা টিম ম্যানেজমেন্ট এর জন্যে --এই কথাটাও পছন্দ হইছে ।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৬
রন্টি চৌধুরী বলেছেন:
৭| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:২৫
তাহের বলেছেন: এই প্রতিভাটির যেন পতন না হয়
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৭
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আমরা সেটার ব্যবস্থা যাতে না করি।
৮| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:২৭
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: হ । ঠিক ।
আসলে ওরে কোন প্রেশারই দেয়া উচিত না । আর খ্যাতি পাইলে কিভাবে খ্যাতই আর স্তুতির চাপ সামলাইতে হয় এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া উচিত ক্রিকেট বোর্ডের।
~~~~~~~~~~~~~~~
আজকের স্তুতি কালকে গালি দুইটাই বিপদজনক ।
সমর্থক হিসাবে আমাগো সবার আগে ঠিক হওয়া উচিত ।
কেউ রে আমারা মাথায় তুলতে দেরী করি না -- আবার বাপ-মা তুলে গালি দিতেও দেরী করি না ।
সর্মথক/ফ্যান হিসাবে আমরা প্রফেশনাল না হইলে পিলিয়াররা প্রফেশনাল হবে কেমন ??
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৩
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: এই পোষ্টের মন্তব্যেও সবাই একযোগে বলছেন, কি সমস্যা ওরে ক্যাপ্টেন বানালে! ও তো ভালই করছে, টাফ গাই!!
কিন্তু দলের উদ্দেশ্য এমনটা হওয়া উচিত না। সাকিব ভাল খেলছে এখন। কেন তাকে অযথা একটা বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে ঝুকি নেয়া? হয়ত সে চাপ সামলাতে পারবে। কিন্তু যদি সেটা সামলাতে গিয়ে পারফর্মেন্সে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়ে তখন?
আমরা সাপোর্টাররা আবেগাক্রান্ত হয়ে যেটা ভাবি সেটা সবসময় উপকারী নয়।
সমস্যা হল নির্বাচকরাও সেমতই ভাবেন। এদের কোন পরিকল্পনা নেই।
৯| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৩৩
এস বাসার বলেছেন: আমাদের কথা নি্রবাচকদের কানে গেলেই হয়। ++
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪০
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: সেটাই।
১০| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৩৮
লুতফুল বারি পান্না বলেছেন: তবে আমার কাছে মনে হয় সাকিব একজন দায়িত্বশীল খেলোয়াড়। অধিনায়কত্বে তার নিজস্ব কিছু টেকনিক আছে।
দেখেন অধিনায়কত্ব কিন্তু তার মাথা গরম করে দেয়নি... কেউ কেউ এমন হয়, অধিনায়কত্ব তাদের দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়... সাকিব তেমন বিরল একজন... তবে এটা ঠিক ৩য় সারীর ওয়েষ্ট ইন্ডিজ আর বর্তমান জিম্বাবুয়ে দলের সাথে... পারফর্মেন্স দিয়ে সব কিছু বিচার করা যায় না.. আমরা রেজাল্ট দিয়ে সব কিছু বিচার করি.. কিন্তু বড় দলের সাথে অত সেটা কঠিন... তবু উজ্জীবিত বাংলাদেশ দলের কাছ থেকে আমরা ভিন্ন কিছু আমা করতেই পারি.. শুধু সেই প্রত্যাশার গ্রাফটা যেন আকাশ না ছুয়ে ফেলে... কারণ-
হতামার জন্ম প্রত্যাশার গর্ভে
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৯
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: হতাশার জন্ম প্রত্যাশার গর্ভে।
চমতকার একটা কথা বললেন।
১১| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৪৬
একরামুল হক শামীম বলেছেন: হুমম....
তবে আমার মনে হয় অধিনায়কত্ব করার মতো গুনাবলী রয়েছে সাকিবের। গত কয়েক ম্যাচ ধরে সে অধিনায়ক। কই তার স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ে তো মোটেও প্রভাব ফেলেনি। বরংচ সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিছে।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৯
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: এখনও সে ক্যাপ্টেন নয়। এখন সে পিকনিক ক্যাপ্টেন। ওর ওপর ক্যাপ্টেনসির কোন প্রেসার এখন থাকার কোন রকম কথা না। কেননা ও প্রক্সি দিচ্ছে। প্রক্সি দুনিয়ার সবচেয়ে সহজ কাজ। কেননা ও ভুল করলেও কোন দায় নেই তাতে। কেননা মাশরাফি নিয়মিত ক্যাপ্টেন।
১২| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৫২
সন্ন্যাসী কবি বলেছেন:
আমি খালি ডরাইতাছি
না জানি কবে থেইকা আবার সাকিব কে আশরাফুলের মতো ধোলাই করা হয়।
ধৈর্য্য ধরে হয়তো আর এক বছর অপেক্ষা করতে হবে
জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমন দেখে আমি হাসমু না কান্দুম বুঝতে পারি নাই
এদের বোলিং রায়ের বাজার ক্রীড়াচক্রের থেকে ও দুর্বল
বাংলাদেশের বোলিং অবস্হা ও সুবিধা জনক না। এক দুই ম্যাচ ভালো বোলিং করাদের কোন ভাবে-ই ভালো বোলার বলা যাবে না। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিন/চারজন আছে(আশরাফু, সাকিব,রাকিবুল,তামিম)আন্তর্জাতিক মানের। বাকীরা তেমন আহামরি কিছু না। শুধু ধারাবাহিকতা তাদের ছিলো না যা এখন হচ্ছে দুর্বল দল গুলোর বিরুদ্ধে। যাই হোক অথচ বাংলাদেশ দলে আন্তর্জাতিক মানের তেমন কোন বোলার নাই মাশরাফি/সাকিবের বিকল্প ও নাই
।
বাংলাদেশে বোলার গড়ে তোলার কোন পদ্ধতি-ই নাই। কিছু কিছু তরুন বোলার হঠাৎ করে আলোড়ন তুলে ছিলো পরে আবার হারিয়ে গেছে। কেউ কেউ ইন্জুরি আক্রান্ত হয়ে যাই হোক যার কারনে আজ মাশরাফির বিকল্প কাউ কে পাওয়া যাচ্ছে না!! এইটা কেমন জাতীয় দল বা আন্তর্জাতিক দল??
মাশরাফির একই সময়ে আরেকটা বোলার ছিলো যার কথা প্রায় আমার মনে পড়ে
পোলাটা কোথায় যে হারিয়ে গেলো! ওয়েষ্ট ইন্ডিজের এন্ডি রবাটস ও মাশরাফির পাশাপাশি তার প্রসংশা করে ছিলো। সেই লম্ব গড়নের তালহা যুবায়ের। মাত্র ১৯/২০ বছরের একটা ছেলে হারিয়ে গেলো!! মাশরাফির বিকল্প হতে পারতো তাপস বৈষ সেও নাই
++++
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৭
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: অনেক ভাল বলেছেন।
এগুলো অনেক আফসোস জাগায়।
১৩| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১৬
দূরের মানুষ বলেছেন: ভালো খেললেই ভালো অধিনায়ক হওয়া যায়না।মাঠে নামলাম খেললাম জিতলাম ,ব্যাস শেষ ,এটাইতো না। প্রত্যাশার চাপ থাকবেই। আশরাফুল সেটা গিলতে পারেনি কারন বয়সের দিক থেকে সে ম্যাচিউর না।রাতারাতি সেলিব্রেটি হয়ে যাওটা হজম করতে পারেনি।বর্তমান দলে সবার বয়সই অবশ্য কম তার পরও একটা দেশের অধিনায়কের যে একটা পারসোনালিটি থাকা দরকার সেটা সাকিবের মধ্যে আছে। হি ইজ আ ভেরি টাফ গাই ! এটা তার বডিল্যাংগুয়েজে বোঝা যায়। আমি কি হনু রে! হওয়ার লোক সাকিব না।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৭
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: কি জানি।আমার মনে হয় এখনই তার অধিনায়ক হবার সময় আসে নি।
আরও অন্তত ৩/৪ বছর ওয়েট করা উচিত। এই সময়টুকু অন্তত আমরা একজন চাপমুক্ত প্লেয়ার পাই!
ক্যাপ্টেন মাশরাফিই থাক।
১৪| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২৪
মাহবুব রনী বলেছেন: আমি বলছি সাকিব খুব ভালো খেলোয়ার এবং অধিনায়ক। ওই একমাত্র যার খেলার মধ্যে আমি কোনো টেনশন দেখি না। সাকিব হবে বাংলাদেশে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২৯
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: হু..এখন তাকে ধরে নিয়ে সব দায়িত্ব দিয়ে দেয়া হল।
দলের ব্যাটিং এ তাকে সামলাতে হবে, বোলিং ও এবং ক্যাপ্টেনসিও।
এতসবের পরে তার খেলায় যদি চাপ পড়ে তাহলে কি তাকে দোষ দেয়া যাবে?
১৫| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২৬
গৌতম রায় বলেছেন: আপনার সাথে একমত। আশরাফুল আরও ভালো করতো, যদি অতিপ্রশংসায় তাঁকে আকাশে উঠিয়ে না দেওয়া হতো। একটু ভালো খেললেই প্রশংসার বন্যায় ভাসানো আমাদের পুরনো অভ্যাস। সেটা বাদ দিয়ে পরিমিত প্রশংসা, উৎসাহ দেওয়া হলে কেউই আত্মতৃপ্তিতে ভুগবে না; বরং স্বাভাবিক খেলাটা দেখানোর প্রয়াস থাকবে তার মধ্যে।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২৮
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: পারফেক্ট বলেছেন।
১৬| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার লিখেছেন এবং সেই সংগে সুন্দর বিশ্লেষন! আমার দৃস্টিতে সাকিব আল হাসান একমাত্র ক্রিকেটার যার খেলার মধ্যে আমি কোনো টেনশন দেখি না। নিশ্চয়ই সাকিব হবে বাংলাদেশে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার। তবে আমরা যেনো সাকিবকেও প্রসংশার তোড়ে আকাশে ভাষিয়ে নাদেই-সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২৮
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: সেটাই।
প্রশংশার তোড়ে তাকে যেন ভাসিয়ে দেয়া না হয়।
নিশ্চই সাকিব হবে একদিন সফল অধিনায়ক।
প্রার্থনা, যেন তাড়াহুড়া করে সেটি না করা হয়।
১৭| ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:০১
সত্যাশ্রয়ী বলেছেন:
প্রথম আলো বাড়াবাড়ি না করলেই হয়। এর আগে প্রথম আলো যাদের নিয়ে মাতামাতি করছে তারাই শেষ, রোকন , অপি, অলক শেষেটা আশরাফুল। আশাকরি কুফা প্রথম আলো সাকিবরে নিয়ে লাফটা একটু কম দিবে।
তবে সাকিবের মেন্টাল গঠনটা বোধহয় অন্যদের চেয়ে শক্ত।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২৭
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: এই ধারনাটাকেই ভয় পাচ্ছি।
সাকিবের মেন্টাল গঠনটা অন্যদের চেয়ে আলাদা, এবং শক্ত।
সে অধিনায়ক হবার জন্যেও উপযুক্ত বলে ভাবাই যায়।
কিন্তু সে জন্যে তো অনেক সময় পড়ে আছে। ওর বয়স এখনও ২২ এর কোঠায়, এই মুহুর্তে তাকে ক্যাপ্টেন না করে স্বাভাবিক খেলার সুযোগ দেয়া উচিত। সে শক্ত মানসিকতার। কিন্তু আমরা তো জানি না স্খায়ী ক্যাপ্টেন করার পরে সে সেই চাপে কিছুটা হলেও বিবর্ণ হবে কিন।
নিরাপদ হল এইটা যে অপেক্ষা করা। পরিনত হোক, তখন দেখা যাবে।
আর প্রশংশার তোড়ে এখন যদি মাশরাফিকে সরিয়ে তাকে ক্যাপ্টেন বানানো হয় তাহলে দলের সংহতির জন্যেও কি এটা ভাল হবে?
১৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪২
ইউটার্ন বলেছেন: দেখবেন, সাকিব আরো ভালো করবে।
১৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৫০
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: আর নক্ষত্রের পতন দেখতে চাই না!
আলোকে ঝলমল করুক তারকারা!
কেমন আছো?
দেখি টেখি না?
২০| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:১৪
তাপু বলেছেন: সাকিব আরো ভালো করবে, সেটা নিয়ে কোনো সংশয় নেই, তারপরও সাকিবকে অধিনায়ক্ত ৩-৪ বছর পরে দিলে ও আরো ভালো করবে।
আতাহার আলীর সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে শ্রেষ্ট ওপেনিং ব্যাটসম্যান। আফতাবের কথা কি এতো তাড়াতাড়ি ভূলে গেলেন ?
সত্যাশ্রয়ী বলেছেন:
প্রথম আলো বাড়াবাড়ি না করলেই হয়। এর আগে প্রথম আলো যাদের নিয়ে মাতামাতি করছে তারাই শেষ, রোকন , অপি, অলক শেষেটা আশরাফুল। আশাকরি কুফা প্রথম আলো সাকিবরে নিয়ে লাফটা একটু কম দিবে।
----- সহমত
২১| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: রোকনরে নিয়া একমত হইলাম না। পুরাই মিডিয়া হাইপ, মাঠে নাইমা ২টা বাড়ি দিলেই ভালো ব্যাটসম্যান হয় না। ক্রস ব্যাটে চালায় আর খতম, আজকাল ক্রিকেটে কেউ একটা ৫০ করলেই তার ভিডিও নিয়া বইসা যায়, ব্যাটসম্যান বা বোলার যে-ই হোক দ্রুত নিজেরে মানাইতে না পারলে ১ বছরও টিকবে না, রোকন সেইটা পারে নাই, গেছে ঠিকই আছে। অপিরে নিয়াও কথা নাই, চাপ সামলানোর মানসিকতা না থাকলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই খেলা উচিত না।
আফতাব আর কাপালী ঠিক হারায়া যায় নাই, সুযোগ এখনো আছে, প্লেয়ার হিসাবেও আমার এদেরকে ভালো মনে হয়, আফতাবের খেলা আমার কাছে আশরাফুলের চেয়েও ভাল লাগে, কখনোই চাপে ভুগতে দেখি না, তবে বেশি নির্ভার থাকাটাই মনে হয় তার সমস্যা, সারাক্ষণই ঠ্যাঙ্গাইতে চায়।
সাকিবের বেলায় একমত। এমনিতে হয়তো অধিনায়কত্ব চাপ লাগছে না কারণ চূড়ান্ত ফর্মে আছে, দল জিতছে, ছোট দলের সাথে খেলা। কিন্তু বড় দলের সাথে এসে যখনই দল হারা শুরু করবে অধিনায়ক সাকিবের উপর চাপ আসা শুরু করবে যেইটা তার পারফর্ম্যান্সেও প্রভাব ফেলতে পারে, কি দরকার এত চাপ দিয়া? আর এমনিতেও এত বেশি বোলিং আর ব্যাটিং করায়া সাকিবের ইনজুরির সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে মনে হয়, এমনকি হালকা ইনজুরি নিয়াও তারে খেলতে হইতাসে, ওরে একটু রেহাই দেয়া উচিত। হালকা ইনজুরি পরে বড় হইলে আরেকটা সাকিব পাওয়া যাবে না, এইটা গাধা গুলার বুঝা উচিত। ক্রিস কেয়ার্নস বা অ্যন্ড্রু ফ্লিনটফের মত বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারদের ক্যারিয়ারও ইনজুরির কারণে আর এমন অতিরিক্ত চাপে সময়ের আগেই শেষ হয়ে গেছে, এইটা মাথায় রাখা দরকার।
২২| ১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০০
ফারহান দাউদ বলেছেন: সাকিব আগামী কিছুদিন অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে ১ থেকে নামতেসে না, হেহে। জিম্বাবুয়ের সাথে পরের ম্যাচটা জিতে সিরিজ জেতা নিশ্চিত হইলে ওরে তারপরের ২টা ম্যাচ ঘুমাইতে দেয়া উচিত, এই টিমের সাথে সাকিবরে ছাড়াও বাংলাদেশের জিতা উচিত মনে হয়। অস্ট্রেলিয়াও কিন্তু এমনকি গুরুত্বপূর্ণ সময়েও তাদের সেরা খেলোয়ারদের বিশ্রামে পাঠাইতো। এরপরে কঠিন সময় আসতেসে, জিম্বাবুয়ের সাথে আবার ৫ ম্যাচের হোম সিরিজ, তারপরে শ্রীলঙ্কা, এরপর ইনডিয়া, সাকিবরে তখন পুরা ফিট দরকার।
২৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৩৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: বাংলাদেশের বোলিংয়ের অবস্থা আসলেই করুণ। মাশরাফি ছাড়া পুরা কানা হয়া যায়। আজকেই টের পাওয়া গেছে, আড়ং ধোলাই খাইলো। ইনডিয়া আর শ্রীলংকা তো স্পিন ভালো খেলে, ঐখানে কি হইবো কে জানে! মাশরাফির পরে এমনকি ওর মানেরও পেসার বাংলাদেশ পায় নাই।
২০ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:০১
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: সেই মাশরাফিরেই তো বাদ দিবার পুরা ষড়যন্ত্রের ইন্তেজাম করে ফেলেছে আমাদের সাকিব।
২৪| ২০ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:০২
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: হায়রে সাকিব!!
কাকে নিয়ে লেখাটা লিখেছিলাম। বেচারা এখন বাংলাদেশের ক্রিকেট পলিটিক্সের জনক হয়ে গেল।
২৫| ২০ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৪১
জুহো. বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগলো।
তবে সাকিবকে দেখে যেমন মনে হয়, তাতে আমার ধারনা সে নয় বরং তাকে নিয়ে মিডিয়াগুলোই পলিটিক্স এ মেতে উঠেছে। লক্ষ করবেন, সে এখনোএত সহজ সরল যে ভিতরের খবরগুলোও অকপটে বলে দেয়। (যদিও একটা টেস্ট প্লেয়িং দলের ক্যাপ্টেন হিসাবে তাকে এখনই এটাও শেখা দরকার কোথায় কতটুকু বলতে হয়)।
নিচের লেখাগুলোতে আমি বাংলাদেশের সকল খেলোয়াড়দের মধ্যে সেরা কারা তা দেখিয়েছি।
বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের ক্রমতালিকা -ও.ডি.আই. (এ যাবতকালের সকল ব্যাটসম্যান)
টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান কে? (সকল ব্যাটসম্যানের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে)
সেখানে দেখবেন অনেক ভাল কিম্বা বলা যায় ঝলক দেখানো খেলোয়াড়ই অল্প সময়েই বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে হারিয়ে গিয়েছে।
২৬| ২০ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৪৬
নিরব হাসি বলেছেন: ++++
ভাল লিখছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১৩
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
সাকিব আল হাসান, এই প্রতিভাটির যেন পতন না হয় অসময়ে ।
শু ভ কা ম না ।