নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত আকাশ

এমএইচ রনি১৯৭১

আমি মার্কসীয় সমাজতান্ত্রিক আর্দশে বিশ্বাসী একজন মানুষ ।

এমএইচ রনি১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুলিনি ভয়াল সিরিজ বোমা হামলা

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

ভুলিনি সিরিজ বোমা হামলার ভয়াল ১৭ আগস্ট। ২০০৫ সালের এই দিনে মুন্সিগঞ্জ ছাড়া দেশের ৬৩টি জেলার প্রায় ৫০০ স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় দুজন নিহত এবং স্পিলন্টারের আঘাতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামিক সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এ ঘটনা ঘটিয়েছিল। ওই হামলা পরিচালনার পর জেএমবির ৬৬০ সদস্যকে আসামি করে সারাদেশে ১৬১টি মামলা দায়ের করা হয়। এগুলোর মধ্যে ইতোমধ্যে ১০৩টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকি ৫৮টি মামলার বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।আদালতের রায়ে ১৫ জন জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড, ১১৮ জনের যাবজ্জীবন, ১১৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং মামলা থেকে খালাস পেয়েছে অপর ১১৮ জন। জেএমবি প্রধান শায়েখ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, থিংক-ট্যাক আবদুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ ও সালাহউদ্দিনকে গ্রেফতার এবং ঝালকাঠি জেলায় দু’জন বিচারক হত্যা মামলায় ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর থেকেই জেএমবির সাংগঠনিক কার্যক্রম শিথিল হয়ে পড়ে। এতে আত্মতুস্টিতে ভুগতে থাকা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা প্রায় বলেন দেশে কোন জংগী তৎপরতা নেই । ছোটখাট কিছু ঘটনা যারা ঘটাতে তৎপর তাদের দমন ও নির্মুল করা হয়েছে। কিন্তু আদৌ কি জঙ্গিদের দমন ও পুরোদস্তর পরাস্ত করা সম্ভব হয়েছে ?
জেএমবির অনুসারীরা এখনো নানান সংগঠনের ব্যানারে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। জঙ্গিরা মুক্তমনা ব্লগারদের একের পর এক হত্যা করছে । জেলায় জেলায় তালিকা তৈরী করে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে চলেছে । পুলিশ প্রশাসনকে বলার পরেও অনেকের অভিযোগ সাধারন ডায়েরীতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না । ব্লগার নীলয়কে প্রাননাশের হুমকি দেয়ার পর থানায় থানায় ঘুরেছেন সাধারন ডায়েরী করার জন্য ।উল্টো থানা থেকে নীলয়কে পরামর্শ দেয়া হয়েছিলো বিদেশ চলে যাবার জন্য । ঘাতকের হাতে প্রান দিয়ে নীলয় প্রমান করে গেছেন জঙ্গিরা কত শক্তিশালি । রাজীব, অভিজিৎ ,ওয়াশিক হত্যাকান্ডের পরও তারা কিভাবে সবসময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় !
সাংবাদিক প্রবীর সিকদার রাজাকারদের বিরুদ্ধে লেখালেখির কারনে বারবার জীবননাশের হুমকি পেয়েছেন । তিনিও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পাননি । উল্টো তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি আইনে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি রাস্ট্র ক্ষমতায় । একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে লেখালেখির জন্য প্রবীর শিকদারকে যদি জেলে যেতে হয় এর চেয়ে বড় লজ্জা কি হতে পারে ?
মিডিয়ার সামনে জঙ্গি দমন নিয়ে বড় বড় কথা বলে লাভ নেই । ২/১ টা জঙ্গি গ্রেফতারের ছবি মিডিয়ায় দেখিয়ে আত্মতুস্টিতে ভোগার মধ্যেই যে ডুবে যাবারসমুহ সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে , সেই কথা ভুলে গেলে চলবে না । জংগিদমনে শুধু সংগঠন নিষিদ্ধ নয়, আর্দশিকভাবেও তাদের পরাস্ত করতে হবে । এ জন্য সরকারকে প্রথমেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে । ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টিকারী গোস্টিকে চিহ্নিত করে জংগীদমনে পুলিশ ,র‍্যাব সহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে আন্তরিকভাবেই কাজ করতে হবে । একজন সাধারন মানুষ হিসেবে সরকারের কাছে এর চেয়ে আর বেশী কিছু চাওয়ার কিছু নেই !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.