![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিরিয়ায় আইএস’র ধর্মীয়যুদ্ধের নামে উন্মাদনায় তৈরী সংকটে সেই দেশের লাখো লাখো মানুষ শুধু বিপদে পড়েনি , উদ্বিগ্ন হয়েছে গোটা দুনিয়ার শান্তিকামী মানুষও । সবচেয়ে বেশী সংকটে পড়েছে ইউরোপ ।কয়েক লাখ শরনার্থীদের চাপ সামাল দিতে গোটা ইউরোপ
আজ হিমশিম খাচ্ছে ।
গত পঞ্চাশ দশকের ইতিহাস বলছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কখনোই এরকম সংকটে পড়েনি ।কিন্তু সবচেয়ে দুঃখজনক হলো এইরকম কঠিনসময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভালোভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেনি ৷ রাজনৈতিকভাবে নীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়া ছিলো বেশ মন্থর ৷ তাদের এই ‘ধীরে চলো' নীতির বেশ সমালোচনা হলেও এক জার্মান ছাড়া কেউই শরনার্থী বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি । খোদ ইউরোপেই মানবতাবাদী জনগন দাবী তুলেছে ‘ধীরে চলো' নীতির দ্রুত সংস্কার ৷
জার্মানী তার অতীতের কথা বিবেচনা করে শরণার্থীদের প্রতি যে উদার্য দেখাচ্ছে তার সঙ্গে ইউরোপের আর কোনো কিছুর তুলনা চলে না৷ দেশটি চলতি বছর সম্ভবতঃ আট লাখ থেকে এক মিলিয়নের মতো শরণার্থীকে আশ্রয় দিচ্ছে ৷ তবে ইউরোপের অন্য কিছু দেশ, বিশেষ করে হাঙ্গেরি এবং পোল্যান্ড হয় সাহায্য করতে অনীহা দেখাচ্ছে অথবা শরণার্থীদের শুধুমাত্র অন্য দেশে সরিয়ে দিচ্ছে৷ আর গ্রীস এবং ইতালির মতো দেশগুলো শরণার্থীদের সংখ্যার সঙ্গে নিজেদের আর মানিয়ে নিতে পারছে না৷ ইংল্যান্ড এক্ষেত্রে তাদের মনোভাব পরিবর্তন করেছে, যদিও অনেক দেরিতে ৷ কিছু বলকান রাস্ট্র মুসলিম শরনার্থী বলে এইসব অভিবাসীদের আশ্রয় দিতে অনীহা প্রকাশ করেছে । যা প্রকারন্তরেই ধর্মীয় বৈষম্যকেই উস্কে দেয়ার নামান্তর ।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেই আমরা দেখছি জীবনের মায়া ত্যাগ করে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেস্টা করছে । তাদের এই স্রোত কি শুধুই উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে আশ্রয় নিতে চাইছে ? নিশ্চয়ই তা নয় । আগেই উল্লেখ করেছি সিরিয়ায় আইএস ধর্মীয় যুদ্ধের উন্মাদনায় মধ্যপ্রাচ্য সংকট তৈরী করেছে । নির্বিচারে নিরীহ মানুষ হত্যা করছে । মানুষ ভয়ে ,আতংকে জীবন বাঁচাতেই ইউরোপের পথে সাগর পাড়ি দিচ্ছে । এ বিষয়টি ইইউকে অবশ্যই মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনায় নিতে হবে ।
এই শরনার্থীদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়ার কোন অধিকার কোন রাস্ট্রের নেই ।আইএস ,তালেবান তো আমেরিকা-ইউরোপের ধনী দেশগুলির সৃষ্টি । তাদের উদ্দেশ্য আজ সবার সামনে পরিস্কার ।মধ্যপ্রাচ্যে আইএস ,তালেবান গোস্টির মাধ্যমে স্থিতিশীলতা নস্ট করে তেল সম্পদের উপর দখল নেয়ার পাঁয়তারা ।একই সাথে মুসলিমদের জংগী হিসেবে চিত্রিত করারও একটা চেস্টা সবসময়ই চোখে পড়েছে ! এ কাজে পশ্চিমারা বহু আগেই তাদের সাফল্য পেয়েছে । কিন্তু মাঝখান থেকে সাধারন মানুষগুলো বাস্তুভিটা ও দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে । এখন এই অভিবাসীদের স্রোত কেন ঠেকাচ্ছেন ? এতো মানবাধিকারের কথা বলেন অথচ এদের আশ্রয় দিতে আপনাদের কার্পন্যতা কেন ? যুদ্ধ বাধিয়ে দেশে দেশে লুটতরাজ করেছেন ,তাদের সম্পদ ভোগ করবেন কিন্তু এই মানুষগুলোর দায় নিবেন না , তা কি করে হয় ! এ দায় আপনারা পশ্চিমা বিশ্বকেই নিতে হবে ।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভলকান তুর্কি ও আরবদের ভয়ে ভীত ছিল হাজার বছর।
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮
এমএইচ রনি১৯৭১ বলেছেন: ভাই, তালেবান আমার মতন ক্ষুদ্র মানুষদের সৃষ্টি হবে কেন? এই ক্ষমতা তো আমার নাই ! সবাই জানেন এইটা আমেরিকার সৃষ্ট সংগঠন ।
৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮
জুনজুন বলেছেন: এটা হলপ করে বলা যেতে পারে পস্চাত্য আর ইউরোপের স্টক এক্সচেন্জের অস্ত্র ব্যবসায়ি কোম্পানিগুলোর শেয়ার ব্যবসা আর উৎপাদন বন্ধ করা গেলে মধ্য প্রাচ্য সহ আনেক যুদ্ধের দামামা বন্ধ হয়ে যেত চিরতরে।
৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
@এমএইচ রনি১৯৭১ ,
তালেবানের সৃস্ট হয়েছে সেই সব মানুষদের থেকে যারা আপানর মতো ভাবে যে, ইউরোপ, আমেরিকা সব নিয়ে গেছে!
আফগানিস্তানের বালু পাথর কে নিয়ে গেছে? আপনাি আকারে ছোট, ভাবনায়ও ছোট; কিন্তু গুহা মানবের সৃস্টি করেন আপনারা।
ছবিতে রিফিুজীদের কাপড় চোপড় দেখেন, আপনার থেকে ভালো।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫০
এমএইচ রনি১৯৭১ বলেছেন: @ চাঁদগাজী ভাইজান, আফগানিস্তানের বিষয়টি শুধু লুটতরাজের বিষয় নয় । এইখানে ইন্টারন্যাশনাল জিও পলিটিক্স যুক্ত। এই অঞ্চলে জংগীবাদের উত্থান ঘটিয়ে আমেরিকা তার ইন্টারভেশন করার পথ সুগম করেছিলো । ভারতীয় উপমহাদেশে আমেরিকা তার শক্ত মিত্র পাকিস্থানে স্থায়ী ঘাঁটি করে ভারত,চীন কে কোনঠাসা রাখার অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে মুসলিম জংগীবাদের উত্থান ঘটাতে চেয়েছে । এইটা এখন পুরোপুরি পরিস্কার । এর আগে যেভাবে ইরাককে দিয়ে ১৯৯১-৯২ সালে কুয়েত দখল করিয়েছিলো ।
আরেকটি বিষয় ,রিফিউজিদের কাপড় আমার থেকে অবশ্যই ভালো ।
আর সন্দেহ নেই আমি ভাবনায় আপনার থেকে হয়তো ছোট । কিন্তু এতটুকু বুঝি বিশ্বজুড়ে মার্কিনী ও তার মিত্রদের দস্যুতার কারনে দেশে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরী হয়েছে । এটা বোঝার জন্য আমাকে বেশী জ্ঞান অর্জন করতে হয়নি ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২
শিপন মোল্লা বলেছেন: বিপদগ্রস্ত মানুষের পরিচয় হওয়া উচিত শুধুই মানুষ। আশা করি ,প্রত্যাশায় আছি বিশ্ব সব জাতীস্বত্বা ছাড়িয়ে শুধুই মানুষের পরিচয় হয়ে মানুষ।
৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এখন এই অভিবাসীদের স্রোত কেন ঠেকাচ্ছেন ? এতো মানবাধিকারের কথা বলেন অথচ এদের আশ্রয় দিতে আপনাদের কার্পন্যতা কেন ? যুদ্ধ বাধিয়ে দেশে দেশে লুটতরাজ করেছেন ,তাদের সম্পদ ভোগ করবেন কিন্তু এই মানুষগুলোর দায় নিবেন না , তা কি করে হয় ! এ দায় আপনারা পশ্চিমা বিশ্বকেই নিতে হবে ।
++++++++++++++
৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৪
রামন বলেছেন: নটের গুরু তো দুরে বসে মুখ টিপে হাসছে আর মজা লুটছে। তাকে তো কেউ ধরতে পারছে না!
যাইহোক ইউরোপ ইউনিয়নের গনতান্ত্রিক দেশগুলোর নৈতিক মূল্যবোধ ও আদর্শ হচ্ছে বিপদগ্রস্থ মানুষদের আশ্রয় দেয়া। আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে জনগনের মধ্যে মতভেদ থাকলেও অধিকাংশ নাগরিক যুদ্ধ পীড়িত অসহায় শরণার্থীদের সাহায্য দানে সম্মত আছে৷আর যারা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের ধারণা শরণার্থীদের ভীড়ে মুসলিম জঙ্গিরা সুযোগ নিয়ে দেশগুলোতে প্রবেশ করে ভবিষ্যতে মাদ্রিদ ট্রেন ম্যাসাকার, লন্ডন বাস বিস্ফোরণ, ফ্রান্সের চার্লি হোবসের মত আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে। এরপরও শরণার্থীদের আশ্রয়ের বিষয়ে জার্মানীর উদ্যোগ প্রশংসানীয়। বলা বাহুল্য আজকে জার্মানীর কারণে ইউরোপের অন্যান্য দেশসহ অভিবাসন প্রশ্নে কঠোর অবস্থানে অবস্থানকারী যুক্তরাজ্যের টোরি সরকার পর্যন্ত নমনীয় হতে বাধ্য হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্য।
৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
"লেখক বলেছেন: @ চাঁদগাজী ভাইজান, আফগানিস্তানের বিষয়টি শুধু লুটতরাজের বিষয় নয় । এইখানে ইন্টারন্যাশনাল জিও পলিটিক্স যুক্ত। এই অঞ্চলে জংগীবাদের উত্থান ঘটিয়ে আমেরিকা তার ইন্টারভেশন করার পথ সুগম করেছিলো । ভারতীয় উপমহাদেশে আমেরিকা তার শক্ত মিত্র পাকিস্থানে স্থায়ী ঘাঁটি করে ভারত,চীন কে কোনঠাসা রাখার অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে মুসলিম জংগীবাদের উত্থান ঘটাতে চেয়েছে । এইটা এখন পুরোপুরি পরিস্কার । এর আগে যেভাবে ইরাককে দিয়ে ১৯৯১-৯২ সালে কুয়েত দখল করিয়েছিলো ।
আরেকটি বিষয় ,রিফিউজিদের কাপড় আমার থেকে অবশ্যই ভালো ।
আর সন্দেহ নেই আমি ভাবনায় আপনার থেকে হয়তো ছোট । কিন্তু এতটুকু বুঝি বিশ্বজুড়ে মার্কিনী ও তার মিত্রদের দস্যুতার কারনে দেশে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরী হয়েছে । এটা বোঝার জন্য আমাকে বেশী জ্ঞান অর্জন করতে হয়নি ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । "
-এসব জিও মিও পলিটিকস আপনাদের মাথায় আসে, আমেরিকানরা কাজ করে ভাত খায়। নিজেরা জিও মিও আবিস্কার করেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
"।মধ্যপ্রাচ্যে আইএস ,তালেবান গোস্টির মাধ্যমে স্থিতিশীলতা নস্ট করে তেল সম্পদের উপর দখল নেয়ার পাঁয়তারা ।একই সাথে মুসলিমদের জংগী হিসেবে চিত্রিত করারও একটা চেস্টা সবসময়ই চোখে পড়েছে ! "
-তালেবান ফালেবান আপনাদের মতো লোকের সৃস্টি।