![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমেরিকায় বৃষ্টি হয়েছে , ঢাকায় ছাতা ধরতে অসুবিধা কি ?-এই শিরোনামে 'হোমো সেক্সচুয়ালকে সমর্থন করি না' বিষয়ে একটা স্ট্যাটাস পোস্ট করেছিলাম বেশকিছুদিন পূর্বে । যা ছিলো সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব মতামত । আপনি যা অপছন্দ করেন, যা সঠিক মনে করেন না , তা আপনি নির্দ্ধিধায় প্রকাশ করতে পারেন ।আমি বা অন্য কেউতো বাঁধা দিচ্ছে না ।
তাহলে সমস্যাটা কোথায় ?
সমস্যাটা হচ্ছে ,আপনি আমার মতামত ও বিশ্বাসকে সহ্য করতে পারছেন না । আমি কেন এই বিষয়ে আমার মতামত পোস্ট করেছি ,তা আপনার সহনশীলতার বাঁধকে ভেংগে দিয়েছে মনে করছেন বলেই কয়েকজন আমাকে ইনবক্সে গালাগালি করেছেন । স্বনামধন্য এক অভিনয়শিল্পী আমাকে ফেসবুকে ব্লক করেছেন । একজন আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছেন,' বাড়াবাড়ি করেন কেন ? দেশ কি আপনার একার ? সমাজ-সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে মধ্যযুগীয় চিন্তা চেতনা ছাড়ুন ।'
আশ্চর্য কারো ধর্ম বিশ্বাস যদি মধ্যযুগীয় চিন্তাচেতনা হয় , এ নিয়ে আমার বলার কিছু নেই । দেশ আমার একার, আমার লেখার কোথাওতো এটি বলা হয়নি । হোমো সেক্সচুয়ালকে সমর্থন করি না বলে আমি প্রগতিশীলতার বিরোধী ! কি অদ্ভুত প্রগতিশীলতা ! এটা তারা কোন কিতাবে পেয়েছেন ?
১৯৯১/৯২ সালে যখন ব্লাসফেমি আইনের দাবীতে জামায়াত ইসলাম ও অন্যান্য ইসলামী দল হৈচৈ করেছে তখনতো এর বিরুদ্ধে রাস্তায় আমরাই ছিলাম । আমাদের রক্ত ,ঘামে প্রতিরোধে দেশে সেদিন ব্লাসফেমি আইন করতে পারেনি ততকালীন সরকার । আজকে যারা আমার সামান্য এ লেখাটির বিরোধিতা করছেন, জানতে চাই তখন তারা কোথায় ছিলেন ?
প্রগতিশীল আপনি না আমি সে বিচার করা আমার দায়িত্ব নয় ।
আপনি আমার মত পছন্দ হয়নি বলে বিরোধীতা করে মতামত প্রকাশ করতে পারেন । কিন্তু গালাগালি , হুমকি ,যা তা বলতে পারেন
না । আমিতো আপনাদের কারো বাড়াভাতে ছাই দেইনি । আপনাদের কথিত প্রগতিশীলতা আপনাকে ক্ষুদ্রতার উর্দ্ধে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে । আমার ধর্মবিশ্বাসে আপনি আঘাত করার কে ?
আমার মাঝে যতটুকু সহনশীলতা ,অপরমতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আছে -তার ছিটেফোঁটাতো আপনাদের আচরন ও লেখায় প্রকাশ পায়নি ।
আশা করি, যার যার মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধাবোধ ,সহনশীলতাটুকু এখনো সমাজ থেকে হারিয়ে যায়নি ।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
নীচে দেয়া হলো ফেসবুকে আমার পোস্টকৃত স্ট্যাটাসটি-
২...
আমেরিকায় বৃষ্টি হয়েছে , ঢাকায় ছাতা ধরতে অসুবিধা কি ?
-------------------------------------------------------------------
ফেসবুক বন্ধুদের অনেকের প্রোফাইল পিকচা্র রংধনুর ছোঁয়ায় সয়লাব। কিন্ত কেন ? আমি নিজেই এর উত্তর খোঁজার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়ে এক কলিগের কাছে জানতে পারলাম , বিষয়টা কি ।
অনেক বন্ধু হয়তো এরমধ্যে ভাবছেন নিজের প্রোফাইল পিকচারেও রঙের ছোঁয়া লাগাবেন? সেটা না হয় লাগালেন, কিন্তু ফেসবুকে রংধনু প্রোফাইল কেন , তা জানেন কি ?
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সে দেশে সমকামী বিয়েকে বৈধতা দেওয়া হয়। আর সেই উপলক্ষেই জাকারবার্গ চালু করলেন নতুন এই টুল। এ খবর জানিয়েছে ফোর্বস।
সমকামী বিয়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে জাকারবার্গ ফেসবুকে নিজের এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি আমার সব বন্ধু এবং কমিউনিটির লোকজনের জন্য আনন্দিত, যাঁরা এখন প্রকাশ্যে নিজেদের ভালোবাসার কথা সবাইকে জানাতে পারবেন এবং ভালোবাসা উদযাপন করতে আর কোনো বাঁধা থাকবে না। আইনের চোখে এখন সবাই সমান অধিকার পেল। তবে এখনো সমতাভিত্তিক সমাজ গড়তে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। তবে ভয় নেই, কারণ আমরা সঠিক পথেই আছি।’
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শুধু ফেসবুকই নয়, অ্যাপলও সমকামীদের সহায়তা দিয়ে আসছে। ১৯৯৩ সাল থেকেই নিজেদের লভ্যাংশের একটি অংশ তারা সমকামীদের কল্যাণে ব্যয় করে থাকে। অ্যাপলের সিইও টিম কুক অনেক আগেই প্রকাশ্যে নিজেকে সমকামী বলে দাবি করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন এ নিয়ে তিনি গর্বিত। এ ছাড়া গুগল, অ্যামাজন এবং মাইক্রোসফট এ বিষয়ে নিজেদের সমর্থন জানিয়েছে।
সমান অধিকার প্রতিস্টার নামে কিন্তু ধর্ম ও নৈতিকতার কোন পর্যায়েই এই সমকামী বিবাহ গ্রহনযোগ্য নয় । পশ্চিমা দেশগুলির বেশিরভাগই এই ধরনের সঙ্গ বা বিবাহ সমর্থন করে না।
এই ধরনের অনৈতিক সম্পর্ক কখনোই আমাদের সমাজ সমর্থন করেনি এবং করতে পারেও না। না জেনে ,না বুঝে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো কি ঠিক ? আমেরিকার সব কিছু কি ভালো ! তাদের সব কিছুতে আমাদের সমর্থন দিতে হবে !
আমেরিকায় বৃষ্টি হয়েছে, ঢাকায় ছাতা ধরতে অসুবিধা কি - আজ এই মানসিকতারও পরিবর্তন প্রয়োজন ।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৮
মানবী বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশের এক শ্রেনীর মানুষ বরাবর আধুনিকার নামে পাশ্চাত্যের সব নেতি বাচক ব্যাপারগুলো আঁকড়ে ধরে। সত্যিকারের আধুনিকতা বা প্রগিশিলতা সম্পর্কে এদের কোন ধারনা নেই। পশ্চিমা সভ্যতা কেনো আধুনিক, কেনো অনুকরনীয় সে সম্পর্কে কোন জ্ঞান না রেখেই শুধু নগ্নতা, লাম্পট্য, মাদকাসক্তি আর অধুনা সমকামিতার মতো বিকার গ্রস্থতাকে এরা আধুনিক হবার, নিজেকে প্রগতিশীল প্রমান করার উপায় বলে মনে করে।
গে ম্যারেজ বা সমকামিদের (?)বিবাহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঙ্গরাজ্যে অনুমোদন পেলেও এখনও এদেশের অধিকাংশ মানুষ একে পারভার্সন বলেই মনে করে। সমকামির পক্ষের চেয়ে বিপক্ষের জনসংখ্যা আজও এখানে সংখ্যা গরিষ্ঠ! গত সপ্তাহে কেনটাকির কাউন্টি ক্লার্ক কিম ডেভিস, যিনি তাঁর এলাকার বিবাহের লাইসেন্স ইস্যু করার দায়িত্বে নিয়োজিত, সমকামির বিয়ের লাইসেন্স ইস্যু করতে অপরাগতা জানান। তিনি এমন গর্হিত কাজ(তাঁর ধর্ম বিশ্বাস মতে) করার যে জেলে যাওয়া ভালো মনে করেন এবং গ্রেফ্তার হন।
কয়েক মাস আগে ইজরাইলের জেরুজালেমে এক র্যাবাই বা ইহূদী পাদ্রী গে প্যারেডে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান ধর্ম বিরোধী পারভার্সন প্রমোট করার প্রতিবাদে।
হিন্দু অধ্যুসিত ভারতে আর্টিকেল ৪৭৭ অনিযায়ী সমকামিতা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
সমকামিতার বিরোধিতা শুধু মুসলিম নয় বরং অধিকাংশ ধর্মপ্রাণ মানুষ করে থাকে। আর সমকমিতা নিজেই একটি শুধু মধ্যযুগীয় নয় বরং আরো প্রাচীন বর্বরতা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে তা্হলে এর বিরোধিতা করলে তাঁকে মধ্যযুগীয় আখ্যা দেয়া নিতান্তই মূর্খতা !
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ এমএইচ রনি১৯৭১
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৫০
জাহিদ হাসান মিঠু বলেছেন:
সহমত।
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫০
শ্মশান বাসী বলেছেন: সহমত।
৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০২
এম. আরাফাত মাহমুদ বলেছেন: ভালো লিখেছিলেন
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৭
আমি মিন্টু বলেছেন: ঠিক বলেছেন ব্রাদার ধন্যবাদ ।

যে বেটারা অ্যামেরিকার কথা কয় ওগো দেশ ছাইড়া অ্যামেরিকা যাইতে কন