![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ থেকে নানান পন্থায় মানুষ পাচার হয়ে মধ্যপ্রাচ্য, দুর প্রাচ্য হয়ে ইউরোপ - আমেরিকা যাচ্ছে। কখনো কখনো এইসব ক্ষেত্রে দালালদের অত্যাচার, মুক্তিপন আদায়ের নির্মম ঘটনা মিডিয়াতে চলে আসে। দুর দেশের সীমান্তরক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে হতভাগা মানুষগুলি। তাদের স্বপ্ন ভেংগেচুরে নি:শেষ হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে পরিবার পরিজন জানতে পারে না মানুষটির জীবনে কি ঘটেছে। এর জন্য একশ্রেনীর অর্থলোভী আদম পাচারকারী দালাল গোস্টি দায়ী। এদের জন্য আমাদের দেশের ভাবমুর্তি নানাভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমার দীর্ঘ দিনের ইউরোপ, আমেরিকা বা পাশ্চাত্যের দেশ ঘোরার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বিভিন্ন দেশের এয়ারপোর্টে বাংলাদেশী সবুজ পাসপোর্ট দেখলেই ইমিগ্রেশন অফিসারের চান্দি গরম হয়ে যায়। কেমন সন্দেহের চোখে দেখে ভিসা জেনুইন কি না, পাসপোর্ট জাল কি না, ছবি কি বাহকের কি না। তারপর আছে কেন যাচ্ছি, কতদিন থাকবেন, যাওয়াটা কি জরুরী ইত্যাদী ইত্যাদী। মাঝে মাঝে মেজাজ খারাপ হলেও ঠান্ডা মাথায় জানতে চাই, বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেখেই কি এ সব জিগেস করছো?
কখনো কখনো ভদ্র উত্তরও মেলে।
হ্যা। তোমাদের সম্পর্কে অনেক অভিযোগ। লিগ্যালি এসে অনেকেই ইলিগ্যালি থাকো। অনেকেই ইলিগ্যালি ঢোকার চেস্টা করো।
আমি বলার চেস্টা করি, ২/১টা ঘটনা হয়ত আছে। কিন্তু আমার দেশের মানুষকে তুমি এইভাবে হ্যারেস করতে পারো না। তোমাদের পুর্ব ধারনা পাল্টাও।আমার দেশে এখন অনেক কর্ম সংস্থান, অনেক শিল্প কল কারখানা গড়ে উঠছে। আমরা এখন অনেক ডেভেলপ করছি।
খুব গর্ব করে এই সব কথা বলি।
কিন্তু সম্প্রতি থাইল্যন্ড ও ভুমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ধরা পড়েছে অসং্খ্য বাংলাদেশী। লা পমের বাসায় বসে শর্ল দ্যা গল কিংবা ফ্রাংকফ্রুট বা কুয়ালামপুর এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন অফিসারদের কথা মনে পড়ে গেল।
যদি কখনো এদের কারো সাথে দেখা হয় আমি কি মাথা উচু করে, সিনা টান টান করে কথা বলতে পারবো !
আদম পাচারকারীদের বাইরে আরেকটি গ্রুপ ইউরোপ, আমেরিকায় বিভিন্ন অনুস্টানের নামে, নাটক, সিনেমার শ্যুটিংয়ের নামে দেশ থেকে অখাদ্য কুখাদ্য শিল্পী নামধারীদের সাথে আদম পাচার করে। যাদের মুল লক্ষ্যই থাকে আদম পাচার। অনুস্টানের নামে তথাকথিত শিল্পী এনে রমরমা সেক্স ব্যবসার ঘটনাও শোনা যায়। এইসব ঘটনার অনেক কাহিনী আরব্যরজনীর কাহিনীকেও হার মানায়।
দেশের ভাবমুর্তির স্বার্থে কোন শিল্পী, কলাকুশলীকে এসব অনুস্টানে আসার আগে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় ও গোয়ান্দা বিভাগের ছাড়পত্র সহ পররাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে বিদেশ যাওয়া উচিত। কারন সত্যিকারের শিল্পী কখনোই জানতে পারেন না তার টিমমেট হয়ে কোন কলাকুশলী যাচ্ছেন। আয়োজকরাও অনেক ক্ষেত্রে সচ্ছতার পরিচয় দেন না বলেই গোলমালটা বাঁধে।
বিদেশে শিল্পী ,কলাকুশলী যাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিস্ট মন্ত্রনালয়কে আর কঠোর পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে ছাড়পত্র দেয়া উচিত ।
©somewhere in net ltd.