নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত আকাশ

এমএইচ রনি১৯৭১

আমি মার্কসীয় সমাজতান্ত্রিক আর্দশে বিশ্বাসী একজন মানুষ ।

এমএইচ রনি১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় ফুটবল , দু:খজাগানিয়া ফুটবল

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২০


অনেকদিন পর ঢাকা স্টেডিয়ামে অাবাহনী-মোহামেডান ফুটবল ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলাম । প্রিয়দল অাবাহনী যোগ্যতর দল হিসেবেই ৩-০ গোলের পরিস্কার ব্যবধানে জয়লাভ করলো ।ইংলিশ ফুটবলার লি-টাক বা চিতার অসামান্য নৈপুন্য মন ভরিয়ে দিয়েছে ।দেশ সেরা হেমন্ত ভিনসেন্টের খেলায় মুগ্ধ হয়েছি।কিছু মিস না হলে এই ব্যবধান অারো বড় হতে পারতো।
অামি জানতাম না, ঠিক ৩৪ বছর আগে ১৯৮২ সালের এই ২১ সেপ্টেম্বরেই এই মাঠে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ দেখেছিলাম । এই কথাটি মনে করিয়ে দিল প্রথম অালো। সকালে খেলার সংবাদ পড়তে গিয়ে চমকে উঠলাম। নিউজটি পড়তে পড়তে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছিলাম ।তখন অামি ক্লাস সিক্সে পড়ি। বাসাবো থাকি । স্কুল ফাঁকি দিয়ে ছোটকাকার কাছ থেকে টাকা নিয়ে , টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে নিয়মিত অাবাহনীর খেলা দেখি।সেটা ফুটবল হোক কিংবা ক্রিকেট হোক । অাবাহনীর খেলার দিন ঝড় বৃস্টি অামাকে অাটকে রাখতে পারতো না ।যাহোক সেদিন কী ঘটেছিল ঢাকা স্টেডিয়ামে ?
সেদিন লেফট উইঙ্গার কোহিনুরের দেয়া ১ গোলে এগিয়ে থাকা মোহামেডানের জালে শেষ দিকে বল পাঠান আবাহনীর অধিনায়ক কাজী আনোয়ার। সেই গোল নিয়ে মোহামেডানের জোর অাপত্তি এবং একজন কর্মকর্তার উস্কানিতে মোহামেডানের দর্শকরা পশ্চিম গ্যালারি ভেঙ্গে অাবাহনীর অংশে ঢুকে মারামরিতে লিপ্ত হয় । মাঠের ভিতর খেলোয়াড়দের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মাঠে মারামারিতে মোহামেডানের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় অলোক অাবাহনীর বেশ ক'জন খেলোয়াড়কে বেধড়ক মারধোর করে ।আবাহনীর সালাহউদ্দিন ,চুন্নু এবং মোহামেডানের গাফ্ফার কোনভাবেই উত্তেজিত খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি। ফলে খেলা পন্ড হয়ে যায় । স্টেডিয়াম তখন রনাঙ্গনে পরিনত হয়েছে। পুলিষের কাঁদনে গ্যাসের ঝাঁজে অামার মতন হাজার দর্শককের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা ।গুলিতে ৩জন দর্শক মারাও যায় । স্টেডিয়াম এলাকার পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে অামি সহ অনেকেই ,যারা প্রিন্স হোটেলে জান বাঁচাতে পালিয়ে ছিলাম , বেড়িয়ে অাসি ।সেদিন অনেক ঘুরে বাসায় পেৌছাতে প্রায় ১১টা বেঁজে যায়।
এরপরের ঘটনা ভয়াবহ ।
সামরিক বাহিনীর প্রধান এরশাদের মদদপুস্ট মোহামেডানের কতিপয় কর্মকর্তার প্ররোচনায় মতিঝিল থানার পুলিশ রাতেই অাবাহনীর বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করে ।বাফুফে বা ঢামফাও অভিযোগ দায়ের করে । মাঠের এই তুলকালাম কাণ্ডের জেরে রাতেই অাবাহনী ক্লাব থেকে গ্রেফতার করা হয় ৪ ফুটবলার কাজী সালাহউদ্দীন , অাশরাফউদ্দীন চুন্নু , কাজী অানোয়ার হোসেন ও গোলাম রাব্বানী হেলালকে।
এরশাদের ক্যাঙ্গারুকোট সংক্ষিপ্ত সামরিক অাদালতে একদিনের বিচারে বিভিন্ন মেয়াদে জেল হয়েছিল আবাহনীর এই চার ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন, আশরাফউদ্দিন চুন্নু, কাজী আনোয়ার ও গোলাম রাব্বানী হেলালের।
৩৪ বছর পরের দৃশ্যপট পুরোপুরি ভিন্ন।পাড়া মহল্লায় এখন অার কেউ প্রিয়দলের পতাকা উড়ায় না । বন্ধুদের মাঝে এই দুইদল নিয়ে কোন অাগ্রহ ,তর্ক-বির্তক নেই।খেলারদিন দুপুর থেকে স্টেডিয়ামে দর্শকদের ভীড় লক্ষ্য করা যায় না।গ্যালারি এখন খা খা করে।
নব্বই দশকের পর বছর বছর আবাহনী-মোহামেডান খেলে বটে, সেই খেলা নিয়ে কোন উত্তেজনা-শিহরণ নেই!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীদর শারীরিক শক্তি আগের মতো নেই, এখন টেলিভিশন দেখে ঘুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.