নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত আকাশ

এমএইচ রনি১৯৭১

আমি মার্কসীয় সমাজতান্ত্রিক আর্দশে বিশ্বাসী একজন মানুষ ।

এমএইচ রনি১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্যবেক্ষন : অামেরিকান প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেট

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২


বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাতটায় অামেরিকায় অনুষ্ঠিত হলো বহুল প্রতীক্ষিত হিলারি ক্লিনটন বনাম ডোন্যাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেট।অনেক অাগ্রহ নিয়ে সকালের ঘুম হারাম করে বিছানায় মটকা মেরে শুয়ে শুয়ে দেখেছি ।কিন্তু প্রচন্ড হতাশ বললেও ভুল হবে। এই ডিবেট দেখে আমি রীতিমতন আতংকিত। ডোন্যাল্ড ট্রাম্প যে অাস্ত পাগল তার প্রমাণ মিলেছে তাঁর উদ্ধত্যপূর্ণ কথা ,ভুলভাল উত্তর ও অস্বাভাবিক অাচরনে।
অামার জানামতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের এই ডিবেটই সাধারণত ভোটারদের সিদ্ধান্ত গ্রহনে এবং সর্বশেষ জনমত গঠনে বিরাট ভুমিকা রাখে। তাই এই ডিবেট হয়ে থাকে সবার অাগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু । বছর দেড়েক যাবত চলে অাসা রাজ্যে রাজ্যে গনসংযোগ ,বির্তকের ফলাফল সবকিছুই উল্টেপাল্টে যায় এই ডিবেটে ।তাই প্রার্থীরা থাকেন খুব সর্তক ,সজাগ । এই ডিবেটে একজন প্রার্থীকে প্রমাণ দিতে হয় যে, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশটার নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা এবং যোগ্যতা তার রয়েছে।
রাস্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে অামেরিকার রাজনীতি সম্পর্কে যতোটুকু ধারনা রাখি সেই অালোকে বলতে পারি ,ডোনাল্ড ট্রাম্প এ যাত্রায় নিজেকে প্রমানের সুযোগ কাজে লাগাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর কথার ধরনে পরিস্কার ফুটে উঠেছে যে ,তিনি আমেরিকার ফরেন পলিসি সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ । আত্মঅহমিকা অার মুসলিমবিদ্বেষপূর্ণ এই মানুষটির ফরেন পলিসি সম্পর্কে একফোটাও জ্ঞান নেই, অাছে শুধু যুদ্ধংদেহি মনোভাব !

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা এই ডিবেটে যে প্রজ্ঞা, যে বিনয়, যে ব্যক্তিত্ব সাধারণত দেখায়, ট্রাম্প খুব করুণভাবে পিছিয়ে আছেন তা থেকে। এরকম একজন মানুষের হাতে যদি নিউক্লিয়ার বোমার বাটন থাকে, বাকি পৃথিবীর মানুষ শান্তিতে একদিনও ঘুমোতে পারবে না বলেই আমার ধারণা। মানুষের প্রতি তার যে কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই, সেটা ট্রাম্প বিতর্কেই প্রতি পদে পদে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল একটা, সে উত্তর দিয়েছেন তার মতো করে ,অনেকটা পাশ কাটানোর মতন।
প্রথম মুখোমুখি ডিবেটে ট্রাম্প নিজের সাফল্য বর্ণনা করায় ছিলেন ব্যস্ত । তার মতো একজন উদ্ধত্য এবং অসংযমী ব্যক্তিকে আমেরিকানরা প্রেসিডেন্ট হিসাবে মেনে নিতে পারবে বলে মনে হয় না। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে তারা সবসময় একজন ঠাণ্ডা মাথার প্রত্যয়ী এবং প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিত্বকেই আশা করেন।
ট্রাম্পের মতো একটা ট্রাশ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবে না বলেই আমার বিশ্বাস। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কালো প্রেসিডেন্টের পর, প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট দেখার সৌভাগ্য হয়তো আমাদের খুব কাছ দিয়েই ঘোরাফেরা করছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.