![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুবই স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। আদিকাল থেকে এই বিতর্ক চলে আসছে। আসলেই আমাদের সামনে সব বিতর্ক শেষে এই আত্মজিজ্ঞাসা বা উপলব্দি হয় আমাদের তথা মানুষের জন্য ধর্ম নাকি ধর্মের জন্য মানুষ ? অনেকেই কুযুক্তি করেন ধর্মের জন্যই মানুষ। এটা ভুল প্রমানে যাবার আগে বিজ্ঞান অনুসারে ধর্ম হচ্ছে বিশ্বাস !
মানুষের প্রথম পরিচয়-মানুষ, ধর্ম নয় | মানুষের পরিচয়ে মানুষ সেরা, ধর্মীয় পরিচয়ে না | ধর্মগুলোর প্রধান শর্ত ও একমাত্র অবলম্বন ‘বিশ্বাস’ | ধর্মগুলোকে কখনো যুক্তি দ্বারা প্রমাণ করা সম্ভব হয় না,আর প্রমাণ করা যায় না বলেই হয়ত তা ধর্ম, নইলে তা পরিণত হত বিজ্ঞানে | “মানব ধর্ম’-ই এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের ধর্ম – যেখানে আমরা সকলেই এক প্রজাতি ।
এবার জানবো ধর্মীয় গ্রন্থানুসারে ‘মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ’ বিষয়টি কি।
ইসলাম ধর্মের মতে আল্লাহ আদম ( আঃ) সৃষ্টির আগে থেকে নির্ধারণ করেছিলেন যে, তিনি হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে সৃষ্টি করবেন। যার পবিত্র ছোঁয়ায় আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগের বিভিন্ন পাপাচারে লিপ্ত মানব সম্প্রদায় নতুন করে বেঁচে উঠবে, রক্ষা পাবে মানবজাতি। তারা কীভাবে সামনের সময়ে তাদের জীবনযাত্রা সঠিকভাবে পরিচালিত করবে, সেই সমস্যার সমাধান দিতেই উৎপত্তি ধর্মের। তাই বলা চলে মানুষের সঠিক পথের নির্দেশনা দিতেই ধর্ম অর্থাৎ মানুষের জন্যই ধর্ম।
আবার সনাতন ধর্মের ( মহাভারত) কৌরব প্রধান দুর্যোধন ও পান্ডব প্রধান যুধিস্তরের মাঝে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয় তার মূলমন্ত্র ছিল সত্যকে রক্ষা এবং মিথ্যার বিনাশ করা।
এখানে সত্য বলতে ধর্মকেই বোঝানো হয়েছে এবং এই সত্যি মানব সম্প্রদায়ের জন্যই।
খ্রিস্টধর্মের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয় তাঁর সত্য প্রচার থেকে বিরত রাখতে।
বৌদ্ধধর্মের মূল বানী অহিংসা অর্থাৎ মানবজাতির মধ্যে কোন ধরনের হিংসা হানাহানি থাকবে না।
যার মূলকথা কিন্তু মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে। এটাই প্রমান করে ধর্ম মানুষের ভাল থাকার রক্ষাকবচ বা মানুষের জন্য তাঁর উৎপত্তি।
কলির যুগ, মৎস্যন্যায়ের যুগ, বিভিন্ন অবতারের বর্ণনা সবই বেদগ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে কয়েক হাজার বছর আগে থেকেই। তাহলে কি প্রমান হলো ধর্মের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্যই ধর্ম এসেছিল।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: ধর্মের অংশ দুটো।
১) আল্লাহর প্রতি আনুগত্য (হাক্কুল্লাহ);
২) সৃষ্টির সেবা (হাক্কুল ইবাদ)।
দুটোর কোনটিই উপেক্ষা করা যাবে না।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭
কুয়াশাচ্ছন্ন তুহিন বলেছেন: Dhormo k somman kori,so no talk.
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম আর আফিমের মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখি না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫
আবু তালেব শেখ বলেছেন: ধর্মবিশ্বাস করি পরকাল আছে বলেও মনে করি।