![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটু বড় লেখা! যাদের ধৈর্য্য কম তারা এড়িয়ে যেতে পারেন!
গত ১৮ মে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে, ফলাফলের পরিসংখ্যান এ রকম:
মোট চৌদ্দ লক্ষ ছাব্বিশ হাজার নয়শত তেইশ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে মোট তের লক্ষ তিন হাজার তিনশত একত্রিশ জন উত্তীর্ণ, গড় পাশের হার ৯১.৩৪% যাদের মধ্যে সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার দুইশত ছিয়াত্তর জন। অর্থাৎপ্রতি একশ জনে প্রায় দশজন সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে!!
আমাদের সময়ে পাশের হার এতো ছিলো না, তাই যারা সকল বোর্ডে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হতো তাদের ইন্টারভিউ টেলেভিশনে দেখানো হতো! এখন ভালো ফলাফল এতো বেশি যে মনে হয় কেউ ফেল করলে তার ইন্টারভিউ প্রচার সহজ হবে!!
প্রতিবছরের মতো এবারও টেলেভিশনে ফলাফল প্রকাশ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া দেখছিলাম- ভালো লেগেছে কোমল কিশোর কিশোরীরা ডাক্তার বা প্রকৌশলী হয়ে দেশের সেবা করতে চায়! ভালো লাগার আরও একটা কারন হলো সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সাথে , ছাত্র ও সাংবাদিকদের যা হচ্ছে তার জন্য এই কিশোর- কিশোরীরা চিকৎসা সেবার মতো মহান পেশা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিচ্ছে না। তাদের অবিভাবকরাও সেরকমই ইচ্ছে পোষন করেছেন।
এখন যে দু'টি বিষয় আমাকে ভাবাচ্ছে তা হলো:
১. ধরে নেই, তাদের সবার আশ পূর্ণ হবে এবং প্রত্যেকেই চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক বা উন্নয়ন কর্মী হিসেবে নিজেকে বিকশিত করবে। এই যে তের লক্ষ তিন হাজার তিনশত একত্রিশ জন উত্তীর্ণ হলো এই সংখ্যাটিই একটি দেশকে অবকাঠামোগতভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট। বিশ্বাস করি এরা তা একদিন করবেও। এরা সৎ, মেধাবি এবং কর্মঠ তাই এদের ব্যর্থ হবার কোন কারন দেখিনা। তাহলে আমাদের দেশকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য আমলাতান্ত্রিক দুর্নীতির যে চক্রটি কাজ করে তার সাথে সৎ, দেশপ্রেমিক মনের এই ভালো মানুষগুলোর কখন দেখা হয়? কেন তারা লড়াই করার বাসনা হারিয়ে ফেলে নিজেদেরকেও দুর্নীতির সেই চক্রে আবদ্ধ করে রাখে?
২. ভয়ের কথা, আশঙ্কার কথা, তবু বলছি- এই যে উত্তীর্ণ তের লক্ষ তিন হাজার তিনশত একত্রিশ জন তারা সবাই কিছু না কিছু হয়ে দেশের ও দশের সেবা করতে চায় তবে কেউই রাজনীতি করতে চায়না! তাদের অবিভাবকদের তেমনই ইচ্ছে!! তাহলে আমরা এই সমাধান রেখায় চলে এসেছি যে, আর যে পেশায় যাই হোক রাজনীতি দিয়ে এ দেশের ভালো করা যাবে না!
আমরা আমাদের জীবনের পরিকল্পনাগুলো রাজনীতিকে বাদ দিয়েই করতে শিখে গেছি, যারা আসছে তাদেরও একই শিক্ষা দিচ্ছি- আর যাই করো, রাজনীতি করো না!!
তাহলে মাননীয় অবিভাবক, রাজনীতি খারাপ হলে আপনি কেন প্রত্যাশা করেন রাজনীতি আপনার সন্তানের জন্য নিরাপদ কর্মসংস্থান দেবে, আপনি বার্ধক্যে এলে আপনাকে ভাতা দেবে, বিনামূল্যে আপনাকে চিকিৎসা দেবে?
প্রিয় মেধাবী, তুমি তো রাজনীতি করবে না তাহলে তুমি কেন আশা করছো এই রাজনীতি তোমার মেধার মূল্যয়ন করবে??
আমরা যখন স্বীকার করেই নেই রাজনীতি দিয়ে কিছু হবে না সেই সাথে আমরা রাজনীতিকে দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা থেকে মুক্তিও দিয়ে দেই!!
শেষ করছি জন এফ কেনেডি (যারা রাজনীতি পছন্দ করেননা তাদের তো এ খবর রাখার কথা নয় তাই তাদের জন্য বলছি জন এফ কেনেডি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন) 'র একটি বিখ্যাত উক্তি দিয়ে-
"আমরাদের সবার অবিভাবকরা চান তাদের সন্তান বড় হয়ে রাষ্ট্রপতি হোক, কিন্তু রাষ্ট্রপতি হবার জন্য প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে যে রাজনীতি করা প্রয়োজন, তারা কেউই চান না তাদের সন্তান তা করুক"
২| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৮
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: লেখাটি ভাল লেগেছে। অণুমতি পেলে আমাদের অনলাইন পেপারে ছাপাতে পারি।
ইচ্ছে থাকলে আপণার নামসহ দিবেন।
৩| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
রনী মুরাদ বলেছেন: অবশ্যই পারেন! তবে কোথায় প্রকাশ করতে চান জানতে পারলে ভালো হতো।
আমি মুরাদ রনী নামে লিখি এবং এই নামেই অধিক পরিচিত
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।