নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা মনে আসে তাই লিখি।

স্বর্ণবন্ধন

একজন শখের লেখক। তাই সাহিত্যগত কোন ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

স্বর্ণবন্ধন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমর্থিত পংক্তিসমূহ-০২

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ২:৪৯


(৯)
ওই দ্যাখো নারী বলতে না বলতে-
এসো গেলো দাবানল!
পাখির পালক পুড়ে যাবে বলে,
অচিন কষ্ট মুড়ে নেশাতুরা হলে!
অথচ আমার কাছেই ছিল সমস্ত দমকল!
আমিই কি তবে নিশাচর হায়েনা?
পুরূষ তো অস্থির,
সামান্য তর সয়না!

(১০)
সোনার আপেল মধ্যে গড়ায়,
লোভে ঝিকিমিক রমণীর চোখ!
আমি কে ভাই বিচার করার-
আফ্রোদিতি-এথেনা-হেরার?
প্রেমলালসায় কার শরীর,
দিচ্ছে কতো ইলেকট্রিক শক?
এই মরণশীলের কপালে তো-
জুটবে শুধু দাহ্য নরক!


(১১)
তুমি আমি রাজা রাণী পাশে শুয়ে ভাবি,
এতোটা দূরে কেন সবই?
একটা স্রোতস্বিনী আছে ঠিক- মাঝামাঝি;
সেতুর পিলার টেকেনা সে খরস্রোতে,
তাইতো সে ঘূর্ণিতে নামেনা শিকারে,
সমুদ্র বিলাসী কোন মাঝি!

(১৩)
ইন্দ্রের ঐরাবত চান্দেরে ঢেকে দিলে,
মেঘে, উত্তুরে ক্ষ্যাপাটে বাতাসে,
খুলে দিয়ে বুক, বলেছি আকাশে,
এসো আমার এথেনা! এসো আফ্রোদিতি!
হুট করে তুমি এলে চোখ ভরা জল,
আমিতো তাতেই স্বর্গ পেয়েছি,
তুমি সর্বময়ী হলে কি হতো এমন ক্ষতি?

(১৪)
প্রাচীন ভাস্কর্য প্রবীণ বৃদ্ধের মতো ছিল ধ্যানে,
ভাবলাম শুনে আসি কোন গুপ্ত জ্ঞান তারা জানে?
বলো-
'আমার ভিতরে আর কোন সত্তা থাকে চুপিসারে?
বজ্র নিনাদ এলো- মূর্খ তুই!
ভাংগালি কেন রে ভাই হাজার বছরের ঘুম?
ওই যে দেয়ালে দেখিসনি ঝুলানো আয়না!
ওখানেই নিজেকে দ্যাখ,
কাঁচা ঘুম ভাংগিয়ে করিসনা ভুতুড়ে কোন বায়না!

(১৫)
শুনছো নাকি! এই যে, আকাশ বাড়ির মেয়ে,
তোমার জন্য সূর্যমুখী; চোখের মাঝে কষ্ট কিসের?
প্যান্ডোরার বাক্সে কার স্মৃতি পুরে,
হলে ধ্রুপদী নায়িকার মতো দুঃখী?
আকাশ বাড়ির মেয়ে কিছুক্ষণ চেয়ে,
বললো-
'জানোনা তুমি কষ্ট সেতো সর্বব্যাপী!'
সবার চোখেই বেঁধেছে বাসা অল্প বা বিস্তর,
জলপট্টি দিয়ে বুঝি নামিয়ে রেখেছ জ্বর!
আমিতো এখনো রাখিনি হাত তোমার চোখের কোণায়,
তবে কে পরালো দুঃখ কাজল?
এমন করে যত্নে মায়ায়!

(১৬)
শুকনো ঘাসে আলতা ছড়িয়ে,
সবুজ আইলে, কোথায় হারালে অরুণিমা?
ছটফট করে দেখে পেটকাটা সন্ধ্যার ঘুড়িরা,
ভাবলাম শোক করি;
সেটাও হলোনা পুরোটা করা,
প্রতিটি বিচ্ছেদই যে মুক্তির স্লোগানে ভরা!

(১৭)
সকাল বেলা ক্যালকুলাসে বিকেল বেলা কোয়ান্টাম,
হিসাব মেলেনা, ভালোতো বুঝিনা! তত্ত্ব মিশে ঘোল,
প্যাঁচ লেগেছে সমীকরণে অদ্ভুত সব প্রশ্ন কিনে,
প্রেমিক কেন পাগল হবে? প্রেমিকা কেন বিনোদিনী?
যে যারে চায় তারে কেন পায়না পুরো নির্বিবাদ?
প্রশ্ন শুনে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছেন হাইজেনবার্গ!

(১৮)
নাবিকের সাথে কি কখনো ডুবেছে শঙ্খচিল?
আমিতো তোমার সাথেই ডুবেছি,
সাগরসংগমে!
ডুবুরীর সাথে ডুবে গেলো কিনা মর্ত্যের অণুজীব,
হিসাব রাখেনা কেউ তার লগবুকে,
তবুও আমি ডুবেই গেলাম তোমার গন্ধ শুঁকে!

(১৯)
আমিতো ভালোই থাকি আজকাল,
খানিকটা জলের মতো গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ি!
মাঝে মাঝে অবসরে,
ভিজাতে আসে তৃষ্ণার্ত ঠোঁট পুরাণের পাখি!
নাকি কোথাও আসলে নেই কেউ,
শুধু ছলনাময়ী তুমি চলে আস অগোচরে!

(২০)
বন্ধ করেছি হাজার দুয়ারী,
তবুও থরথর কাপছে এই অন্তঃপুর!
যদিও জানি লাভ নেই কোন,
গেটেতে ঝুলিয়ে মস্ত তালা!
আয়ুটা যে ভাই আস্ত কর্পুর,
খাদকের মতো খেয়ে করছে শূন্য,
অষ্টব্যঞ্জনে ভরা থালা!

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:০৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জয় হোক প্রতিটি নারীর।

০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: বিউটিফুল।

০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.