![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্রমেই সমবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তৈরি পোশাক রফতানি, কৃষি ক্ষেত্রে অভাবনীয় অগ্রগতি, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার সাফল্য, দারিদ্রতা দূরীকরণ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের এই উন্নতি এখন বিশ্ববাসীর কাছে এখন রোলমডেল। আমরা গর্বিত হই প্রতিটি স্বীকৃতিতে।
আমাদের এই উন্নয়নের গতিকে বহুল ভাবে ত্বরান্বিত করেছে তথ্য প্রযুক্তি। এ কথা অনস্বীকার্য যে আজকাল প্রযুক্তি ছাড়া মোটেও দৈনন্দিন জীবন ধারন সম্ভব নয়। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভব হয়েছে। এই তথ্য প্রযুক্তি খাত থেকেও বাংলাদেশ প্রতি বছর বিপুল পরিমান অর্থ অর্জন করছে যা ক্রমেই বাংলাদেশের প্রধান উপার্জন খাতের দিকে এগুচ্ছে। আমাদের বর্তমান সরকারের দূরদর্শিতার প্রশংসা করতেই হয়। কারন বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে এই খাতে কাজ করার জন্য মেধাবীদের প্রেশনা দেওয়া হয়েছে। যার ফল আমরা ভোগ করতে শুরু করে দিয়েছি। নিজেদের দেশে ত বটেই, ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনায় বিদেশেও আমাদের সফটওয়ার রফতানি হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দরবারে তথ্য প্রযুক্তিতে বেশ সমীহ জাগানো দেশ।
আমাদের দেশে তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে খুব বেশী উচ্ছাস কখনই ছিলোনা। ধারনা ছিল, এটা খুব ই খরুচে এবং জটিল বিষয়। এই ধারনা ক্রমেই বিলুপ্ত হচ্ছে। এখন বর/মাঝারি প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানেই ব্যবহার করা হচ্ছে সফটওয়্যার। যা প্রাতিষ্ঠানিক কাজ কে করেছে নির্ভুল এবং গোছানো, সময় বাঁচাচ্ছে অবরত এবং অপ্রয়োজনীয় খরচও বাঁচাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় অনেক কমে যাচ্ছে এইসব সফটওয়্যার ব্যবহার করে। সবচেয়ে বড় কথা কাগজের ব্যবহার অনেক অনেক কমে যাচ্ছে যা আমাদের পরিবেশ রক্ষায় অনবদ্য ভূমিকা রাখছে। আধুনিক শিল্প কোনোভাবেই তথ্য প্রযুক্তি ব্যতিরেখে উন্নতি করতে পারেনা, বিশ্ব বাজারে তাকালে এখন সেটাই প্রতীয়মান হয়।
বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত সরকারি অফিস গুলোকে ডিজিটাল প্রযুক্তির (অটোমেশন) আওতায় আনার কাজ ছলছে। এতে নাগরিক সেবার মান অনেক বৃদ্ধি পাবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তো বেশ আগেই এর আওতায় এসেছে। কিন্তু মুশকিল হল একদম আপামর জনগনের কাছে তথ্য প্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দেওয়া। এই সুফল পৌছুতে সবচেয়ে সহজ উপায় হতে পারে আমাদের বিদ্যালয় গুলোকে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসা।
বাংলাদেশে প্রায় ২০০০০০ (দুই লক্ষ) বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয় রয়েছে। আরও রয়েছে প্রায় ১২০ (একশত বিশ) সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও শতাধিক মেডিক্যাল কলেজ এবং হাজার খানেক ডিপ্লোমা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল কলেজ ছাড়া কেউই তেমন ভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তির (অটোমেশন) এর আওতায় নেই। যার ফলে দেশের অনেক বড় অংশের জনগন বুঝতেই পারছেনা যে ডিজিটাল প্রযুক্তি কি করে তাদের জীবনকে সমস্যাহীন করে তুলতে পারে।
আমার মনে হয় সরকারের এই খাতে আরও নজর দেবার প্রয়োজন রয়েছে। কারন সাধারন জনগোষ্ঠী ওতপ্রোত ভাবে শিক্ষার সাথে জড়িত। অর্থাৎ শিক্ষাঙ্গনে যদি ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশ হয় তাহলে বাচ্চা থেকে বড়, সবাই বুঝবে যে ডিজিটাল প্রযুক্তি তাদের জীবনকে কত সহজ করে দিতে পারে। সেই সাথে প্রাতিষ্ঠানিক চাপ কমবে শিক্ষক দের উপর এবং তারা আরও ভালো ভাবে শিক্ষা দান করতে পারবেন। শিক্ষা খাতে হবে গুনগত উন্নয়ন।
কিন্তু এই ডিজিটাল প্রযুক্তি হতে হবে সুলভ এবং সহজে পরিচালন যোগ্য। নয়তো সবাই আগ্রহ হারাবে। আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট দের অনুরোধ করতে চাই এই বিষয়টি ভেবে দেখতে। নয়তো ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন অনেকটাই অধরাই থেকে যাবে।
©somewhere in net ltd.