![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ কি করলে অনিরুদ্ধ?
নিজের হাতে গড়ে তোলা উদ্যানটায় আগুন লাগিয়ে দিলে?
কেমন প্রেমিক তুমি, কেমন তোমার ভালোবাসার অহমিকা?
শেষবার যখন মালবিকা'কে দেখলে,
তখন আমি তোমার বুকপকেটের ফাঁক গলে স্পষ্ট দেখেছিলাম ভেজা নয়নজোড়া।
অন্যের হাতে হাত রেখে পদক্ষেপ বাড়ানো প্রেমিকাটির হাসিমুখ দেখা সে কান্নার ঢেউ এখনও আমার গতরে এসে তুমুল আঘাত হানে।
মনে আছে, যেদিন প্রথম দেখলে মালবিকা নাম্নী ষোড়শীকে।
মনে পড়ে? নীল সাদা ইশকুল ড্রেস আর খোঁপায় লাল ফিতে মোড়ানো চঞ্চলাকে পাশ কাটিয়ে যাবার সময় রোজ ভারী হয়ে যেত তোমার সাইকেলের প্যাডেল।
সে নিয়ে বন্ধুমহলে কি তুমুল হাসাহাসি। মনে পড়ে সে দিনগুলো?
কতোবার তোমায় অভয় দিয়ে বললুম, অনেক তো হলো অনুভুতির চর্চা; এবার সাহস করে বলেই ফেলো 'ভালোবাসি।'
পারলেনা; একটিবারও কাঁপা হাতগুলো জড়ো করে তাকে গিয়ে বলে দিতে পারলেনা, " মালবিকা, তুমিবিহীন এই বুকপাঁজরে রোজ রাত্তিরে কি তুমুল সুনামি ঘটে।"
মনে পড়ে অনিরুদ্ধ, কলেজ বাসের পেছন সিট হতে রোজ গোপন প্রেমিকার হাস্যোজ্বল বদনখানা মাপতে।
একটিবার তো পার্কের মোড়ের ফুল দোকানগুলো হতে একখানা তাজা গোলাপ এনে দাঁড়াতে পারতে তার সম্মুখে।
বুকেএ ঢিবঢিব বন্ধ করেও অনুবাদ করতে পারতে চার অক্ষরের 'ভালোবাসি' শব্দটা।
শেষবার তাকে অন্যের হতে দেখে হু হু করে কেঁদেছিলে বাচ্চাদের মতোন করে। শুধু তুমি নয়, ল্যাম্পপোস্টের আলোয় তোমার গাল বেয়ে পড়া অশ্রুধারার স্রোতে ভিজেছিলেম আমিও।
তোমার হৃদপিণ্ড হয়ে এই না পাওয়ার জ্বালা নিয়েই বাঁচতে হবে আমায়, রক্তক্ষরিত হয়েই নিরস থাকতে হবে ধরণীর বাকি ক'টা বসন্ত। অম্লজান আর রক্তকণিকার সাথেই জমাতে হবে ভাব।
অথচ, তুমি চাইলেই পুরোদস্তুর একজন প্রেমিক হতে পারতে।
আমাকে নিয়ে কাঁপন তোলানো বরষার বারিধারার বুকে শতাব্দীকাল জ্বলবে এ অনল।
©somewhere in net ltd.