নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়াপথ পেরিয়ে খুঁজে ফিরি স্বর্গের সিঁড়ি...

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র

আমার তো ছিলো সবইজন্ম, মৃত্যু, ক্রোধ, অবিনশ্বরএখানে এসে ক্ষয়ে গেছে সবঅশ্রুহীন চোখ জমাট পাথর!

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলচ্চিত্রের শৈল্পিক যৌনদৃশ্য বনাম বাংলা ছবির অশ্লীলতা

০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৫০

স্টার মুভিজ কিংবা এইচবিও চ্যানেলের কোন একটি হলিউড মুভির কথা চিন্তা করি। একটা বয়সে কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে কিছু মানুষ বিশেষ কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে ঢুঁ মেরে রোমান্টিক ধাঁচের হলিউড মুভি দেখে বিশেষ কিছু দৃশ্যের জন্য, যেগুলোকে সচরাচর আমরা Sex Scene বা যৌনদৃশ্য বলি। পাশ্চাত্যের একটা চলচ্চিত্রে এ ধরণের দৃশ্য থাকাটা অতি স্বাভাবিক। ঋতুপর্ণ ঘোষের একটা স্বগতোক্তি না করে পারছি না। আগে সন্তান জন্মদানের জন্য ভারতের নারীদের যৌন নিপীড়ন করা হতো। এ সত্যটিকে উপলব্ধি করে ঋতুপর্ণ ঘোষ তাঁর একটি ছবিতে যৌনদৃশ্য উপস্থাপন করেন। এতে অনেকেই তাকে বলেন, তিনি নাকি পর্নোগ্রাফী তৈরী করেছেন! ঋতুপর্ণ ঘোষ তখন বলেন, পর্নোগ্রাফী আর চলচ্চিত্রের যৌনদৃশ্য এক না। পর্নোগ্রাফীর কাজ মূলত মানুষকে শারীরিকভাবে উত্তেজিত করা। আর চলচ্চিত্রে মানুষের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই প্রদর্শিত হয়। এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে, যৌনতা জীবনের অপরিহার্য অংশ। তাই এটা চলচ্চিত্রেরও অংশ। তবে আমি এসব বাদ দিয়েই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি। ঋতুপর্ণ ঘোষের এই উক্তি কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা জানি না, তবে এটা বলতে পারি, এই উপমহাদেশে যৌনদৃশ্যের প্রচলন ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে হলিউড কিংবা বিদেশি ছবির অনুকরণেই। তবে একেবারে রাখঢাক না রেখে যৌনদৃশ্যের প্রচলন মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবিগুলোতে কখনোই দেখা যায় নি। ফুল ন্যুড যৌনদৃশ্য এখন পর্যন্ত ইন্ডিয়ার মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবিগুলোতে প্রদর্শিত হয়নি। ফ্যাশন (২০০৮) ছবির একটি দৃশ্যে একজন মডেল (কঙ্গনা রনৌত) কে ক্যাটওয়াকিং এর সময় উর্ধ্ব বসন খুলে পড়ে যেতে দেখা যায়। তবে দৃশ্যটা ব্লার (ঝাপসা) করে দেয়া এবং বুকের অংশ বোঝার উপায় নেই!



সম্প্রতি দেখা একটি ছবির কথা উল্লেখ করি। কেট উইন্সলেট অভিনীত 'হলি স্মোক' ছবিতে যৌন উত্তেজক কিছু দৃশ্য আছে। তবে সেগুলো রাতের অন্ধকারে ধারণ করা এবং লাইটিং এফেক্ট দিয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখা হয়েছে। তারপরও দৃশ্যগুলোর আবেদন অতিমাত্রার স্বীকার করতেই হয়। সেখানে অরগাজমের কথা বলা হলেও তা দেখানো নিষিদ্ধ। অনেক নিষিদ্ধ কথা-বার্তাই হলিউড ছবিতে আমরা শুনি। Fuck শব্দটা চিরপরিচিত হলিউড মুভির নায়ক-নায়িকার কণ্ঠে। পাশ্চাত্যের শব্দ, ইংরেজি গালি তাই আমাদের কাছে তা স্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত এই শব্দ বলিউডের কোন ছবিতে শোনা যায়নি। কিন্তু বাংলাদেশের সস্তা বাণিজ্যিক ছবির অশ্লীল গালিগুলো শুনতে শুনতে কান পচে যায়, একঘেয়েমি ও বিরক্তির সৃষ্টি হয়। এর কারণ কী?



জাঁদরেল কিংবা নষ্টা মেয়ের কথা উল্লেখ করতেই হয়। বিকৃত গানের কথার তালে তালে নারীদেহের সম্পূর্ণ নগ্ন দৃশ্যের ধিকৃত প্রদর্শন আর উন্মত্ত ধর্ষণদৃশ্য...উফ! আমাদের রুচিবোধকে দারুণভাবে আহত করে। অনেকে ক্ষেত্রে নায়িকার অনুমতি না নিয়ে তার শরীরের মুখের অংশ প্রদর্শনের পাশাপাশি ডামি মেয়েদের নগ্ন শরীর জুড়ে দেয়া হয় এবং তা বিকৃতভাবে প্রদর্শিত হয়। বাসররাতের স্বাভাবিক যৌন কার্যকলাপের দৃশ্যগুলোও বাংলা চলচ্চিত্রে প্রদর্শিত হয় অস্বাভাবিকভাবে। ডিপজল কিংবা মিশা সওদাগর এর বাংলার পাঁচ মার্কা অভিনয়, গুটিকয়েক নায়ক-নায়িকার ছিনালিপনা সবমিলিয়ে বারোটা বাজা বাংলা চলচ্চিত্র সুস্থ ধারার মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়ে রিক্সাচালক শ্রেণীর মানুষদের কাছে এখন পর্যন্ত জনপ্রিয়। আমাদের কেন বিদেশের ছবি দেখতে হয় স্বদেশের ছবির চাইতে? কেন বাংলা চলচ্চিত্র অসুস্থ পথে হাঁটছে? এই প্রশ্নের পাশাপাশি আশা জাগানিয়া উত্তর পাই যখন ওরা ১১ জন, নিরন্তর, শ্যামল ছায়া'র মতো সুস্থ ধারার চলচ্চিত্রগুলোর কথা ভাবি।

হুমায়ূন আহমেদের জনম জনম উপন্যাস থেকে তৈরী আবু সাইয়ীদ পরিচালিত নিরন্তর ছবি প্রসঙ্গে আসি। জনম জনম একটা সার্থক উপন্যাস এবং প্রাণছোঁয়া, বাস্তবধর্মী। সে দিক থেকে নিরন্তর একটু হলেও মূল উপন্যাস আঙ্গিক থেকে দূরে সরে গেছে। আর বাংলা চলচ্চিত্রে পুরনো মুখ দেখতে দেখতে চোখ প্রায় অন্ধ হবার জোগাড়! নতুন মুখ পাবোই বা কী করে? পরিচালকদের চরিত্র ভালো না, এফডিসি ভালো জায়গা না, সিনেমার নায়িকাদের স্ক্যান্ডাল সব মিলিয়ে বাণিজ্যিক ফিল্ম মিডিয়া আসলেই কী বাণিজ্যিক হয়ে গেছে? শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থে অশ্লীল কিংবা 'গরীবের ছেলে' টাইপ ছবি নির্মিত হবে সেকেলে জিনিসপত্র দিয়ে?নিরন্তর ছবিতে একটি কৌশলী যৌনদৃশ্য আছে। অবাক লাগে, যখন ডিভিডির দোকানে যুবক ছেলেরা ছবির ডিভিডি নিতে চায় শুধুমাত্র সেই দৃশ্যটার কারণে! কষ্ট লাগে, আমার বয়সীরা নিরন্তর ছবির মূল ভাবটাকে উপলব্ধি না করে সেই বিশেষ দৃশ্যটাই উপজীব্য হিসাবে দেখছে।



তাহলে এটাই দাঁড়াচ্ছে যে, বাংলা চলচ্চিত্র স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক যৌনদৃশ্যের জন্য এখনো প্রস্তুত না। এখনো অনেক পরিবার আছে, যেখানে ধর্মীয় আলাপ ব্যতীত হলিউডের ছবি দেখা তো দূরের কথা, বেদআতি যে কোন কাজ-কর্মই হারাম! যৌনদৃশ্যসংবলিত সিনেমা কোন চ্যানেলে প্রদর্শিত হলে চ্যানেল পাল্টে অন্য চ্যানেল অন করার মনোভাবাপন্ন পিতা-মাতার অভাব নেই এদেশে। এ থেকে কিশোর-কিশোরীরা কি শিখবে? এতে করে তাদের স্বাভাবিক একটা জিনিসের প্রতি কৌতূহল থেকেই যাবে। এর উত্তর খুঁজতে তারা এক্স-রেটেড ছবিগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হবে। বিকৃত যৌনাচরণ তাদের সহিংস করে তুলবে। তাই বাংলা চলচ্চিত্রে এতদিন আমরা যৌনতার শৈল্পিক উপস্থাপন দেখি নি যতটা না দেখেছি গণধর্ষণদৃশ্য, ফায়ার ছবিতে পলির বস্ত্রহরণদৃশ্য আর অহেতুক ছিনালীপনা। হলিউডের বাণিজ্যিক ছবিগুলোর যৌনদৃশ্য স্বাভাবিক মনে হয়, কেননা পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি আর বাঙালি সংস্কৃতি এই দুটো যোজন যোজন দূরের বিষয়। আমরা আমাদের নারীদের পর্দায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখতে চাইনা বলেই সুস্থধারার চলচ্চিত্রে যৌনদৃশ্যের স্থান নেই। যেটা আছে সেটা কৌশলী। কোনরকমে বুঝিয়ে দেয়া। খোলামেলা নয়। টেকনিক্যাল। কনডম এর বিজ্ঞাপনগুলো যেরকম। কিন্তু জাঁদরেল কিংবা ফায়ার এর মতো ভায়োলেন্ট বাংলা চলচ্চিত্রগুলো একেবারেই 'লাগামছাড়া ঘোড়া'র মতো। চলচ্চিত্র নির্মাণের কলা-কৌশল সব ছাপিয়ে সেগুলোর পরিচালকরা যেন একটা থার্ড গ্রেডেড বাংলা সেক্স কালচার তৈরী করেই যাচ্ছেন। তাইতো অশ্লীলতা ঠেকাতে আমাদের প্রয়োজন অশ্লীলতাবিরোধী টাস্কফোর্স, সিনেমা হলগুলোতে ভ্রাম্যমান বারবনিতাদের পদচারণা...বাণিজ্যিক ছবি মানেই ব্যবসা, গোঁফওঠা কিশোরদের স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে ব্রোথেল হাউসগুলোর মতো সিনেমার হলেও উঁকি-ঝুঁকি করা। তাইতো,বাংলা চলচ্চিত্রের অস্বাভাবিক যৌনদৃশ্যগুলো অশ্লীলতা আর পাশ্চাত্যের চলচ্চিত্রগুলো আন্তর্জাতিক ভাষায় Sex Scene. এই সেক্স জিনিসটাকেই চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা তাদের নেই তাইতো বিকৃতিঢঙে নারীদেহ উপস্থাপন, তাও আবার গানের তালে তালে!



আমরা অপেক্ষা করছি একটা সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়...

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৩৫/-১

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৫৫

আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: হুম ভালা পুস্ট

২| ০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:০৩

জয় সরকার বলেছেন: ভালোই লিখেছেন ভাই......ভালো লাগলো।

০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:০৯

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:০৫

তন্ময় হাসান বলেছেন: +

৪| ০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:০৯

বুলবুল আহমেদ পান্না বলেছেন: ভালো লিখেছেন +

০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:১৭

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:১৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ...কিন্তু জাঁদরেল কিংবা ফায়ার এর মতো ভায়োলেন্ট বাংলা চলচ্চিত্রগুলো একেবারেই 'লাগামছাড়া ঘোড়া'র মতো। চলচ্চিত্র নির্মাণের কলা-কৌশল সব ছাপিয়ে সেগুলোর পরিচালকরা যেন একটা থার্ড গ্রেডেড বাংলা সেক্স কালচার তৈরী করেই যাচ্ছেন।

শিল্পটা নতুন প্রজন্মের মুঠোয় যাওয়ার অপেক্ষায় ...এ ছাড়া তো উপায় দেখি না ...

০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:২৫

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: সব কিছুরই নিজস্ব ব্যাকরণগত ভাষা আছে। চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সেটা আরো ভালোভাবে আয়ত্ত করা প্রয়োজন। সস্তা কমেডি আবার একইসাথে কান ফাটানো গগনবিদারী দুর্দান্ত অ্যাকশন-দারুণ বেমানান। ঠিক তেমনি বিকৃতরুচির মানুষদের তৈরী অশ্লীল চলচ্চিত্র...অনেক রাজনৈতিক প্যাঁচ আছে এখানে। ক্ষমতার জোর-দখল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কোন জায়গাটাই নেই?
আমিও আশাবাদী, নতুন প্রজন্ম চলচ্চিত্রমাধ্যমকে বিশ্বের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে সক্ষম হবে। যেমনটা করতে পেরেছিলেন সত্যজিৎ রায়...

৬| ০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:১৯

কুয়াশা ভোর বলেছেন: অপেক্ষা করছি একটা সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়.........

ভাল লিখেছেন !

৭| ০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৬

বিডিআর বলেছেন: কি মন্তব্য করব ভাবতে পারছি না

৮| ০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৬

ফয়েজ ০৮ বলেছেন: বলেছেন: +

৯| ০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৭

মুক্ত বয়ান বলেছেন: চমৎকার ভাবনা। ++

১০| ০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৭

ফয়েজ ০৮ বলেছেন: +

১১| ০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৭

চাচামিঞা বলেছেন: আমাদের মুনমুন/মৌসুমি মার্কা ধুমসি নায়িকাদের দেখলে চলচ্চিত্রের যৌনদৃশ্যর শৈল্পিক পালায়া যায়।

১২| ০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৪৩

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: চাচামিঞা বলেছেন: আমাদের মুনমুন/মৌসুমি মার্কা ধুমসি নায়িকাদের দেখলে চলচ্চিত্রের যৌনদৃশ্যর শৈল্পিক পালায়া যায়।

হা... হা.... হা

লেখককে +++++++++

১৩| ০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫৪

ঈশান৭২৮৫ বলেছেন: একটা সময়ে বেশ দারুন কিছু বাংলা ছবি হত। কিন্তু এখন দর্শকের অভাবে আর ভালো ছবি তৈরী হয় না। ভালো লাগল আপনার পোস্ট পড়ে।

১৪| ০৭ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:০১

আকাশ_পাগলা বলেছেন: ভাল বলেছেন।
+
---------------------------------
অফটপিকঃ
আমি একটু অন্য এঙ্গেলে ভাবছি ২ দিন। আন্তর্জাতিক মুভিগুলাতেও সেক্স সীনে যেসব মেয়ে অভিনয় করেছে তাদের কথা। মানে, মুভিটা না, অভিনেত্রীদের কথা ভাবছি আমি।
এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?
আরো পরিষ্কার করে বলতে, ফায়ার আর হলি স্মোকের পার্থক্য কতটুকু সেটা সবাই বুঝি।

কিন্তু, মুনমুন মৌসুমী আর কেট উইন্সলেটের যৌন দৃশ্য ব্যাপারে চিন্তাধারার পার্থক্য কতটুকু। ব্লার করে ঢেকে দিলে আমরা দেখি না, কিন্তু তারা নগ্ন ত ঠিকই হয়।ঠিক না?

এ ব্যাপারে কিছু বলেন।

০৭ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৩

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: তাদের কালচার আর আমাদের কালচারে পার্থক্য রয়েছে। হলিউড কিংবা পাশ্চাত্যের ছবিতে একজন অভিনেত্রী অতিমাত্রার যৌনদৃশ্য এমনকি ধর্ষণদৃশ্যে (সোফিয়া লরেন, টু উইমেন) অবলীলায় অভিনয় করেন/করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। মনিকা বেলুচ্চির ছবি নিশ্চয়ই দেখেছেন। ব্যতিক্রমী সব ছবিতে ব্যতিক্রমী যৌনদৃশ্যে তিনি অবলীলায় অভিনয় করেছেন।

তাদের অভিনয় হলো সম্পূর্ণ বাস্তবভিত্তিক তবে আশ্চর্যের বিষয় যত্ত সব কল্পকাহিনী/কৃত্রিম প্রযুক্তি সব্বই হলিউডের মুভি থেকে আগত!

সেক্স সিনে যেসব মেয়ে অভিনয় করে এ প্রসঙ্গে বলতে গেলে, সিনেমার শুটিং কিন্তু একটা জটিল বিষয়। যৌনদৃশ্যগুলোও কিন্তু শ্যুট করা হয় এবং সেটাও বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার! আর্ট ডিরেকশন বলে একটা ব্যাপার আছে। শিল্পনির্দেশনায় যিনি থাকবেন তিনি শট বুঝিয়ে দেবেন। ফলে লাগামছাড়া বাংলা যৌনদৃশ্যের মতো পাশ্চাত্যের দৃশ্যগুলো নয়। সেইসব দৃশ্যে অনেকক্ষেত্রে বারবার শট দিতে হয়। বাংলা অশ্লীল চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে কে কীভাবে নির্দেশনা দেয়, কে সেট ডিজাইন করে জানা নেই!

ফিল্ম বা চলচ্চিত্রকে আমরা ওপেন মিডিয়া বলতে পারি যেখানে খোলাখুলি সব উপস্থাপন করা হয়। অর্থাৎ শব্দ ও ছবি একইসাথে। চিন্তাধারার পার্থক্যটাও সংস্কৃতির ওপর ডিপেন্ড করে। হলিউডের ছবির মতো যৌনদৃশ্যে অভিনয় করতে অনেকে আপত্তি জানালেও নিরন্তর ছবিতে সেরকম দৃশ্য আছে। মোরশেদুল ইসলাম এর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক 'আগামী' স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেও একটি যৌনদৃশ্য আছে। তবে তা কৌশলভিত্তিক। আর এটা একটা পেশা, অভিনয় করলে সম্মানি বা টাকা মিলবে, যারা এটার সাথে জড়িত তাদের কাছে অভিনয় এবং টাকা দুটোই সমান। কারো কারো কাছে হয়তো টাকার ব্যাপারটাই মুখ্য। ফিল্মের সবই টাকার ওপর চলে।

আমরা ব্লার করে ঢাকা কোন কিছু দেখতে পাই না। কিন্তু তারা নগ্ন হয় চরিত্র কিংবা চলচ্চিত্রের স্বার্থে, ডিরেক্টরের নির্দেশে। সব দৃশ্য সবার জন্য নয়, আবার ক্যামেরার পেছনে যারা থাকেন, তারা যদি তা উপভোগ করেন-এমন দাবী কেউ করে, তাহলে বলবো, এখানেও ভিন্নতা আছে।

কিছু চলচ্চিত্র/চলচ্চিত্রনির্মতা অন্ধকারের বিরুদ্ধে, কেউ অন্ধকারকে উপজীব্য করে মানুষের মধ্যে ঘৃণাবোধ জাগ্রত করেন আবার কেউ কেউ অন্ধকারকেই নতুন করে রূপায়িত করেন।

১৫| ০৭ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:২৬

ট্রুথ ফাইন্ডার বলেছেন: ব্যাপার একই... পার্থক্য রুচির..........

১৬| ০৭ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৩১

রিফাত হোসেন বলেছেন: +

১৭| ০৭ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৪০

অসমাপ্ত-মহাকাব্য বলেছেন: @আকাশ_পাগলা

ফ্রান্স এ প্রতি বছর ছেলে মেয়েদের নগ্ন ছবি তোলার ১ টা আন্তরজাতিক অনুষ্ঠাণ হয়,যেখানে অনেক মেয়ে ,অনেক ছেলে নিজের ইচ্ছায় নুড পোজ দেয়।

কিছুদিন আগে টিভি তে দেখলাম,দিনাজপুরের ওইদিকে ১ টা সিক্স এ পড়া মেয়েকে দোকানের ভিতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করা হয়েছে এবং তার পর তার নগ্ন ছবি তোলা হয়েছে।

দুইটা ঘটণার মদ্ধে পার্থক্ক বুঝতেছেন??

১ টা হলো শিল্প,আরেক টা নিছক কু রুচি পুর্ণ ্যৌনতা।

০৭ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৪:২২

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: সহমত। বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষরা সব জায়গাতেই আছে। গণধর্ষণের ভিডিওচিত্র আমাদের উপভোগের সামগ্রী না হয়ে আমরা যেন নিরীহ মেয়েটার ওপর এরকম পাশবিক ও ঘৃণ্য নির্যাতনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারি। তেমনি সুমন-পিন্টু নামক উচ্চশ্রেণীর অপরাধীদেরও কথা ভুলে গেলে চলবে না। এমন ধ্বজাধারীদের গণধোলাই প্রযোজ্য। আর না হয় ধিক্কার ওদের...

১৮| ০৭ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:২১

আকাশ_পাগলা বলেছেন: @অসমাপ্ত মহাকাব্য

আপনার সাথে অর্ধেক সহমত।
কিন্তু আপনি বোধহয় আমার কথা বুঝেন নি।
ইংলিশ আর বাংলা কোন খানেই নায়িকাকে জোর করা হয় না। আমি এই দুই নায়িকার তুলনা দিয়েছি।

দ্যা রিডার, হলি স্মোক আশা করি ছবি গুলো দেখেছেন।
ওখানে কেট নগ্ন হয়েছেন। এই সিন গুলা ছাড়া মুভিটা হত না ???
এই সিনগুলা ছাড়া আমি মনে করিনা মুভিগুলোর শিল্প মান একটুও কমত।

এই সীনে যদি শিল্প থাকে, কেট তার কতটুকু বুঝে ? কেটের পার্সোনাল লাইফ নেটে ঘাটলেই পাবেন। দেশী মুনমুনের সাথে কেট এর জীবন প্রণালীর পার্থক্য কী? তারা ইন্টারন্যাশনাল বলেই তারা সঠিক?

@লেখক
অসমাপ্তের কথা গুলো খেয়াল করেছেন?? ফ্রান্সে প্রতি বছর ছেলে মেয়েরা নিজের ইচ্ছায় ন্যুড হয়ে পোজ দেয়।
শেষের লাইনে উনি বলেছেন সেটা শিল্প।
আপনি কি এটা খেয়াল করেই উনার সাথে সহমত জানিয়েছেন?
আশা করি পরিষ্কার উত্তর দিবেন।


সিক্সের মেয়েকে দোকানে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই মেয়েটার সেই অবস্থায় ছবি তুলে যদি রাখা হয়, পরে সেটা যদি পাওবলিশ করে, নাম দেয়,'একটা মেয়ের কষ্ট' সেটা কী শিল্প হবে নাকি অসুস্থ মনমানসিকতা হবে ?

ফ্রান্সে ন্যুড পোজ দিতে আসাটা কী তাহলে শিল্প নাকি অসুস্থ মনমানসিকতা ??
অসমাপ্ত এটাকে শিল্প বলেছেন।
আপনার পোস্ট পড়ে অন্যরকম ভেবেছিলাম
এখন প্রশ্ন একটাই, আপনি কি খেয়াল করে উনার সাথে সহমত করেছেন?? যদি তাই হয়, তাহলে আপনার লেখাটা আমি বুঝি নাই কিছুই। আমি এখন অফ গেলাম।

০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৩৪

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: ন্যুড সম্পর্কে আপনাকে আরো জানতে হবে। ন্যুড একটা শিল্প। আপনি কি জানেন যে যারা ফাইন আর্টস নিয়ে পড়াশোনা করেন তারা ছাত্রজীবনে প্রচুর ন্যুড ছবি আঁকেন একটা সময়, প্রতিষ্ঠিত শিল্পীরাও ন্যুড আঁকেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী, আমাদের বাংলাদেশের চিত্রশিল্পী শহীদ কবির। তিনি নিজে প্রচুর ন্যুড এঁকেছেন এবং তাঁর আঁকা ন্যুড সম্পর্কে তিনি বলেছেন, সেগুলো তিনি এমনভাবে আঁকতে চেষ্টা করেছেন যাতে সেগুলো মানুষের মনে যৌনাবেগের সৃষ্টি করে। একটা কাগজে আঁকা রঙ-তুলির ছবি মানুষের অনুভূতিকে নাড়া দিতে পারে... আশ্চর্য এই মতাটা একটু ভেবে দেখুন তো!
গণধর্ষণের ঘটনাটা সম্পর্কে তো বলেছিই। আপনি খেয়াল করেননি হয়তো, জোরপূর্বক যৌনক্রিয়াই ধর্ষণ। আর আপনি যা বলছেন সেটা নিয়ে কোন আলোচনা গ্রো করেনি, সেই কমেন্টের লেখক নিজেই কোনটা শিল্প, কোনটা কুরুচিপূর্ণ বলে দিয়েছেন। আমি তার সাথে সম্মত হয়েছি। এখানে যে ব্যাপারটা উহ্য ছিলো সেটা হলো, সাংস্কৃতিক। ফ্রান্স এর সংস্কৃতি আর বাংলাদেশীয় সংস্কৃতি এক না এই কথাটা অনেকবার বলা হয়েছে। ফ্রান্সের জন্য সেটা শিল্প। আমাদের দৃষ্টিতেও সেটাকে শিল্প হতে হবে কেননা আমরা যদি মাথায় রাখি সেটা ফ্রান্সে আমাদের এই দেশের শিল্পী, ফটোগ্রাফারদের চাইতে Expert মানুষদের দ্বারা সম্পাদিত হচ্ছে। এসব বুঝতে হলে ফাইন আর্টস, শিল্পকলা, চিত্রকলা, গ্রাফিক্স সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানতে হবে। জানার কোন শেষ নেই। আমি নিজেও সবকিছু জানি-এমন দাবি করতে পারি না।


১৯| ০৭ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:২১

কেল্টূ দা বলেছেন: + +

২০| ০৭ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:২৫

আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: @ আকাশ_পাগলা, কমেন্টে প্লাস !! ;)

২১| ০৭ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:২৬

আকাশ_পাগলা বলেছেন: নিজে ন্যুড পোজ দেয়া যদি এতই শিল্প হয়, অসমাপ্ত কি সেখানে নিজের বউ বোনকে পাঠাবে ??? উনারাও একটু শিল্প দেখাক।
আমরা স্পন্সর খুঁজার জন্য বিগপ্তি দেই। বাংলাদেশ থেকে যাবেন উনারা। দেশের গর্ব। শিল্প বলে কথা।

-----------------------------
শিল্প এত সোজা না রে ভাই। নিজের ইছায় ন্যুড পোজ দিয়ে শিল্প হয় না। তবে সেই দেশে মডেল হয়। তাদের উদ্দেশ্যও সেটাই থাকে। আমাদের দেশের অতি শিল্পীরা মনে করেন, সেটা শিল্প।

২২| ০৭ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

জুনাইদ কবীর তন্ময় বলেছেন:
আকাশ_পাগলা ভাই, পোষ্টটা নিছক সমালোচনামূলক একটা পোষ্ট ছিলো। কেন এটাকে ব্যাক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন? আপনার কমেন্টটা খুবই আক্রমনাত্নক এবং কুরুচিপূর্ণ। এটা যদি আপনার শিল্পভাবনার সাথে মিলে তো আমার কিছু বলার নাই। তবে অনুরোধ থাকবে কমেন্টটা মুছে দেবার এবং সে ক্ষেত্রে আমরা আরো ক্লিন ডিসকাশনে যেতে পারি টপিকটা নিয়ে।

২৩| ০৭ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪

অসমাপ্ত-মহাকাব্য বলেছেন: @ পাগলা

আপনি আসলে আমার কথায় বুঝেন নাই,খামাকা ফাল পারতেছেন।

নিজে নিজে নুড পোজ দেয়া টা শিল্প বোঝাতে বলা হয় নাই,টপিক টা ছিল রুচি বিষয়ক। কোথায় জিনিস টা কিভাবে উপস্তাপিত হচ্ছে তার উপর নিরভর করে অনেক কিছু।

১। রিডার কিংবা হলি স্মক এ কেট এর নুড পোজ দরকার ছিল কি ছিল না এটা যদি আপনার মত মানসিকাত নিয়ে দর্শক বিচার করতে বসতো ,তা হলে এ বছর ও বোধ হ্য় কেট এর ভাগগে অস্কার টা জুটতো না!
আর নুড পোজ এর দরকার আছে কিনা সেটা কেট এর চাইতে ওই ছবির পরিচালকের বেশি ভাল বঝা উচিত।

২। ফ্রান্সে প্রতি বছর যে নুড পোজ দিয়ে ছবি তোলা হয়,সেটাকে শুধু ১ টা উদাহরণ হিসাবে আনতে চেয়েছিলাম আপনাকে রুচি জিনিস টা কি সুধু সেটা বোঝানোর জন্ন্য। আপনার সভাব অনুযায়ী আপনি মাছের মাথা ছেড়ে লেজের দিকে নজর দিয়েছেন। দিলেন ই যখন তখন অফ টপিক এ কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি।

নিচের লিঙ্ক টা তার আগে যদি পারেন তো একটূ দেখে বুঝে আসেন নুড ফটোগ্রাফী ব্যাপার টা কি।

http://en.wikipedia.org/wiki/Nude_photography

১ টা লাইন দেখছেন???
Nude photography is a style of art photography which depicts the nude human body as a study. Nude photography should be distinguished from erotic photography, which has a sexually suggestive component.

আপনি আপনার বউ ,বইন রে পাঠাবেন না জন্নে কোন কিছুর সংজ্ঞা পালটে যাবে না।
ফটোগ্রাফীর ১ টা পার্ট হচ্ছে নুড ফটোগ্রাফী,আন্তরজাতিক ভাবে যা এখন প্রতিষ্ঠীত। যৌন আবেদন তইরী করা এর উদ্দেশ্য না।তেম্নি মুভি তে যেসব দৃশ্য আপনার মতো বোন,বউ প্রেমী দের ব্যাথিত করে,সেগুলার ব্যাবহার কাহীনির বিন্যাস,আবহ এবং জীবন কে ফুটিয়ে তোলার কাজেই করা হয়,
যৌন চুল্কানি দেয়ার জন্নে না। সে রকম চুল্কানি দেয়ার মতো পর্ণ স্টার দের অভাব পশ্চিম এ খুব ১ টা নেই।
এর ব্যতিক্রম ও আছে,যারা চলচ্চিত্র কে সেই কাতুকুতু দেয়ার মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার করে। তাদের বিরুদ্ধেই লেখকের এই লেখা টা ছিল বলে আমার ধারনা।

শেষে ১ টা কথা,দুনিয়ায় এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে ভাই তার বোনের কিংবা সামী তার বউ এর বোরখার বাইরের সৌন্দর্য এর কথা ভাবতেই পারে না,তার মানে এই না যে এর বাইরে সৌন্দর্য থাকতে পারে না। আপনার আমার কাছে যা সহ্য হবে না,সেটাই ভুল ,এই শংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে আসেন।
মন টা একটু বড় করেন,দেখবেন শিল্প আর রুচি জিনিস টা বুঝতে পারতেছেন আশ্তে আশ্তে। জদিও আমি এই ব্যাপারে খুব ১টা আশাবাদী না !!!

আর আপ্নারে ১ খান কথা বলি,সব পোস্ট এ গিয়া ,কথার ভাউ না বুইঝা আজাইরা ব্যাপার নিয়া গেজানো আপনার ১ টা সভাব। নুড ফটো এখানে মুক্ষ ছিল না,যা মুক্ষ্য ছিল,ওইটা আপনার মাথায় ঢূকবে বলেও মনে হয় না,তাই আমার এই পোস্ট এর আপনার রিপ্লাই এর রিপ্লাই আমি মনে হয় দিব না। আমি এইখানেই অফ গেলাম।

২৪| ০৭ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

অসমাপ্ত-মহাকাব্য বলেছেন: @জুনাইদ কবীর তন্ময়

বলতে দেন ভাই,এর কাজ ই এটা ।
এনার মতো মতামত আছে জন্নেই আমাদের বোন বউ রা সেইফ আছে !!!!!!!!!!!

২৫| ০৭ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮

অসমাপ্ত-মহাকাব্য বলেছেন: @ পাগলা

আরেকটা কাজ করেন,কেট এর সাথে মুনমুন এর পার্থক্য কই এই বিষ্য় টা নিয়ে গবেষণায় নামেন,আমি আপনার উজ্জল ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছি।

আপনার মুগধো করা রুচির ঝলকে অন্ধ হবার আশায় থাকলাম :)

২৬| ০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৩১

গুরুভাই বলেছেন: আখাছ ছাগলার কমেন্ট পড়ে হা হা হে দিলুম :D

@অসমাপ্ত-মহাকাব্য
আপনি কানা কলসীতে জল ঢালতেছেন ;)

২৭| ০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৪৪

আকাশ_পাগলা বলেছেন: @অসমাপ্ত
দুঃখিত, হয় আমি আপনাকে বুঝাতে পারছিনা, নয়ত আপনি পারছে না।

আপনি রুচির ব্যাপারটা বুঝাতে চাচ্ছেন, সেটা খুব খারাপ এঙ্গেলে বলেছেন(আমার ব্যাক্তিগত ধারণা)। মানে, দেখেন, নিজেই ন্যুড দিতে আসে, এমন ছেলে মেয়ের কথা বললেন, পরে বললেন সেটা শিল্প।
নিজের পোস্ট টা পড়েন। আমি অবাক হয়ে গেছিলাম।

এখানে রুচির কথা আমি বুঝেছিলাম এভাবে, যে, ওই ছেলে মেয়েদের বিকৃত রুচিকে আপনি শিল্প বলছেন।

আপনার কথায় যা বুঝা যায়, সেটাই বলেছি।


আমি কিন্তু, প্রথমেই বলে নিছি যে, আমি অন্য এঙ্গেলে ভাবছি।(মানে, অফটপিক)।ব্যাপারটা এমন। মুভি না অভিনেত্রীদের নিয়ে ভাবছি।(আগেই বলেছি, লেখকের মন্তব্য জানতে চেয়েছিলাম শুধু।)এটুকুই ছিল ব্যাপারটা।মুভি না অভিনেত্রীর কথা বলেছি।

ব্যাপারটা এড়িয়ে গেছেন। কেট কী ভাবে, তা না বলে ,পরিচালকের কথা চলে গেছেন। আমি কিন্তু কেটের কথাই ভেবেছি। দ্য রিডার কেন অস্কার পেল, আমি জানি না ভাই।
হলি স্মোক আর দ্য রীডারে কী ওই সীনের দরকার ছিল? আপনি কী করে শিওর হলেন যে পরিচালকের খারাপ উদ্দেশ্য নাই ওখানে?

কেট আর মুনমুনের ব্যাপারটা নিয়েও ফান করলেন শুধু। আসল ঘটনা কিন্তু ছুলেন না। এখানে, এদের দুজনের মন মানসিকতার পার্থক্য কী? অপ্রিচালকের কথাই ত দুজনে শুনল। ঠিক না? এটার সাথে রুচি জড়িত না, শিল্পের নামে যেসব মুভিতে লফালাফি হয়, সেটার ভিতরের কথা ধরতে চাচ্ছি।

আর, বউ বোনের কথা সার্বিক ভাবেই বলা। উইকির ন্যুড শিল্প বুঝার পেজটাতেই কী কেউ এদের পাঠাবে মডেল হতে? আপনাকে হার্ট করার জন্য বলা না। বুঝানোর জন্য বলা। এড়িয়ে যেয়ে লাভ কী? খোলাখুলি আলচনা করলে সমস্যা ত নাই।

আপনার প্রথম কমেন্টে যা লিখেছেন, সেটায় যা বুঝাইছে তাই বলছি তখন। প্লিজ, আমার প্রথম পোস্ট টা আরেকবার পড়েন। আপনি বোধহয় বোঝেন নি তখন। ইচ্ছা করে ন্যুড হয়ার সিস্টেম আমাদের দেশে হলে কেউ সেটা শিল্প বলত? মানুষ ওখানে যেতে আপনজনকে উতসাহ দিত? না হলে, কেন? আপনি তখন কী বলতেন?
ব্যাপারটা এভাবেই ভাবেন।

ব্লগে এসে কথা পার্সোনালি নিয়েন না ভাই। আমি রুচির বিপক্ষে যাই নি। আমি বলেছি, শিল্প এত সোজা না। ব্যাপারটা এটুকুই। আশা করি, আমার প্রথম পোস্টটা পড়বেন আবার।

আসেন ঝগড়াঝাটি বাদ দেই। এরপরেও যদি বুঝাতে না পারি, তাহলে ভাই থাক।

০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:২৬

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: এত উদ্বিগ্ন হবার তো কারণ দেখছি না। একটা কথা কিংবা পোস্টের পক্ষে/বিপক্ষে অনেকরকম কথা আসতেই পারে এটাই তো ব্লগ! এর জন্য্ তো ব্লগে আসা। সবাই যদি একচেটিয়াভাবে শুদ্ধ বলতে পারতো তাহলে তো ব্লগ নিরানন্দকর একটা জায়গা হয়ে যেত!
আপনার পয়েন্টটা বুঝতে পেরেছি। আপনি বোঝাতে চাচ্ছেন, হলিউডের কেট আর বাংলার মুনমুন এর মধ্যে তেন একটা পার্থক্য নেই এবং ইন্টারনেটে উল্টো আমাকে সার্চ দিতে বলছেন কেট এর স্ক্যান্ডাল খোঁজার জন্য! স্ক্যান্ডাল কম-বেশি সব বিখ্যাত মানুষেরই আছে। তার মানে ঠিক এই না যে, তারা বিখ্যাত বলেই সঠিক। তবে হ্যাঁ তাদের প্রতিভা আছে। কেট উইন্সলেট এর আছে সে প্রতিভা, অভিনয় করার যোগ্যতা যেটা আমাদের দেশের মুনমুন কিংবা শাবনুর এর নেই। তাদের ভেতরে ঢং করার অভিনয় প্রবণতা বেশি কিংবা বাংলা চলচ্চিত্রগুলো তৈরীই হচ্ছে নীচু স্তরের দর্শকদের জন্য। ন্যুড একটা শিল্প। এটা বুঝতে হলে ফাইন আর্টস সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।

২৮| ০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৫১

অসমাপ্ত-মহাকাব্য বলেছেন: @আ.পা.

আমার ধারণা লেখক আপনার যে নায়িকাদের মানসিকতা বিষয়ক প্রশ্ন ছিল তার উত্তর দিয়ে দিয়েছেন ভালোভাবে।

আর ন্যুডিজম নিয়ে না হ্য় আর নাই বলি!!!!!

২৯| ০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:০৫

আকাশ_পাগলা বলেছেন: হমমম।

কেটের অভিনয় ভাল। ভাল লাগে।
ন্যুড যে শিল্প সেটা আমি বুঝি নি। তাই উপভোগ করতেও পারি না। এটা আমার দুর্বলতা হতে পারে।

@ লেখক।
আপনি আমার কথাটা বুঝেছেন। ভাল লাগল। আমি অফটপিকে ভালছিলাম। আগেই বলে নিয়েছি। সেটা সহজভাবে নিয়েছেন বলে ধন্যবাদ।
আমি এই পয়েন্টাতেই ভাবছিলাম। হতে পারে, ন্যুড শিল্প, কিন্তু যারা এই শিল্পে অভিনয় করে,তারা এর কতটুকু বুঝে? তাদেরকে বড় ভাবার কিছু নাই। এটাই বলতে চাচ্ছিলাম।
পরিচালক আর অভিনেত্রীর পার্থক্য এখানেই।

---------------------
অফটপিকের অফটপিকঃ ফ্রান্সের কোথায় হয়? আমি দেখতে যেতে চাই (খেক খেক)।মুনমুনকে দাওয়াত কার্ড দেয়া যায় না?

০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৪৩

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: একটা ভালো ফিল্ম বানাতে প্রথমে দরকার পড়ে বিশাল বাজেট!
নির্ভরশীল প্রযোজকের... প্রযোজনা সংস্থার...
ভালো চিত্রনাট্যের...তারপর ফিল্মটা পরিচালনা করার জন্য একজন ভালো পরিচালক... ভালো সহকারী পরিচালক... তারপর দক্ষ ক্যামেরাম্যান... সেট ডিজাইনার... শিল্পনির্দেশক... সাউন্ড রেকর্ডিস্ট...
বুম অপারেটর... আরো কত কী!
অভিনেতা-অভিনেত্রীর ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ এবং গুরুত্বহীনতার মাঝামাঝি বলে মনে করি। কারণ অনেকক্ষেত্রেই অভিনেতা পরিবর্তন অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়। তবে এটা অনস্বীকার্য যে, মূল খেলোয়াড় অভিনেতা-অভিনেত্রী! বাকি সব গুরুত্বপূর্ণ মানুষগুলো কিন্তু ক্যামেরার পেছনে কাজ করেন!
চলচ্চিত্রে একটার সাথে আরেকটা ওতপ্রোতভবে জড়িত। রঙ ছাড়া কী ছবি হয়? কাগজ-কলম ছাড়া কবিতা হয়? হয় না। চলচ্চিত্র আরো বড় মাধ্যম। তাই এর পরিসরও ব্যাপক!
(বি:দ্র: কাগজ-কলম ছাড়া কিন্তু কবিতা হয় বোধহয়! কি-বোর্ডে, মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে... হা: হা:)

শুধু পরি

৩০| ০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:১৬

অসমাপ্ত-মহাকাব্য বলেছেন: হায়রে পাগল,জাতে মাতাল তালে ঠিক!!!!!!

আকাশ_পাগলা বলেছেন:ন্যুড যে শিল্প সেটা আমি বুঝি নি। তাই উপভোগ করতেও পারি না। এটা আমার দুর্বলতা হতে পারে।

অফটপিকের অফটপিকঃ ফ্রান্সের কোথায় হয়? আমি দেখতে যেতে চাই (খেক খেক)।

----------------------------------------------------

আপনি যে নুডিজম উপভোগে কত টা অপারগ তা আমরা দেখতে পাচ্ছি :)

৩১| ০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:২২

অপরিচিত_আবির বলেছেন: @আকাশ পাগলা: রিডার ছবিটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। তবে আমার কিন্তু কখনোই সেক্স সীনগুলো আউট অফ প্লেস মনে হয় নি। কখনো মনে হয় নি আরোপিত কিছু করা হচ্ছে। আর মনে রাখতে হবে রিডার ছবিটার কাহিনীরই একটা অংশ ছিল যে কেট গল্প শোনার বিনিময়ে একজন কিশোরকে যৌনসুখ দিচ্ছে, কাজেই এই সিনগুলো সিনেমাতে না থাকলে চলত বলে মনে হয় না। মনে রাখতে হবে ফায়ার জাতীয় ছবিতে সেক্স সিন রাখা হয় কাহিনীর স্বার্থে নয় বরং কিছু নির্দিস্ট শ্রেণীর দর্শকদের টানার জন্য অথচ হলিউডের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক বিপরীত। মাইকেল এঞ্জেলো, রাফায়েল দের নুড ভাস্কর্যগুলো দেখে কি আমাদের অশ্লীল মনে হয়? এখানেই রিডার আর যেকোন এক্সএক্সএক্স মুভি বা শিল্প এবং অশ্লীলতার পার্থক্য। আর ভালো পোস্টের জন্য প্লাস।

০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৪৫

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: উপলব্ধি করার জন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও প্লাস!

৩২| ০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ২:২৬

এ মায়া প্রপঞ্চময় বলেছেন: যৌনতা নিয়ে খুব সমস্যায় আছেন সবাই

৩৩| ২০ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:১৯

আকাশ_পাগলা বলেছেন: আবির ভাই বলেছেন,

আর মনে রাখতে হবে রিডার ছবিটার কাহিনীরই একটা অংশ ছিল যে কেট গল্প শোনার বিনিময়ে একজন কিশোরকে যৌনসুখ দিচ্ছে, কাজেই এই সিনগুলো সিনেমাতে না থাকলে চলত বলে মনে হয় না।


কাহিনীটা আমি বুঝেছি। কিন্তু, আমার আপত্তি কাহিনী না, আমার আপত্তি কাহিনীর চিত্রায়ন। যৌন সম্পর্ক বুঝানোর জন্য আসলে কী ন্যুড হওয়া লাগে??
মারামারির সীনের জন্য কী আমাদের মানুষ মারতে হয়?
আরো ডজন ডজন ছবি আছে, যেখানে যৌনতাকে খোলামেলা ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, অথচ অশ্লীল সীন ছাড়াই।

জনপ্রিয়তা কী গ্রহণযোগ্যতার মাত্রা হতে পারে??

@লেখক
বড়ো বাজেট, ত? তাই অশ্লীলতা থাকতে হবে? কাহিনীতে যৌনতা আসা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। যেহেতু, সমাজ জীবনের এটা একটা অঙ্গ। কিন্তু, সেটার চিত্রায়ন এমন হবে কেন??
একদম স্বাভাবিক একটা মানুষের জীবনেও যৌনতা তার মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে, সেই কাহিনীর চিত্রায়নে সেই লোকটাকে উলং হতে হবে কেন?
সেই চিত্রায়ন কী উলঙ্গ হওয়া ছাড়া কোন পরিচালক কোনদিন তৈরি করেন নি?
সবচেয়ে বড় কথা, কেট কত পাক পবিত্র এমনটা ভাবার কী কারণ? সে ছবির শিল্প বুঝে এই ছবিতে ন্যুডে রাজী হইছে? হা হা হা, একটা মারদাঙ্গার ছবিতেও টাকার বিনিময়ে ও একই কাজ করতে রাজী হত।


অনেক অনেক গুণী পরিচালক আছেন যারা যৌনতা নিয়ে অনেক খোলামেলা কাজ করেছেন। ছবির উদ্দেশ্য কী থাকে? দর্শকদের একটা বোধের মাঝে নিয়ে আসা, কিছু একটা বুঝানো, একটা প্লাটফর্মে দাঁড় করিয়ে দেয়া। সেটার জন্য সেক্সকে সরাসরি উলঙ্গ হওয়া ছাড়াও উপস্থাপন করা যায়।

আবারো একই প্রশ্ন, জনপ্রিয়তা কী গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠি হতে পারে?

এই ধরণের মুভি এখন জনপ্রিয়, শিল্পবোদ্ধারা বুঝেন, ত?

ছবি বানানোর উপর ২টা ওয়ার্কশপ করেছিলাম। খুব হায়ার দিগ্রী নেয়া ৪ জন স্যার ছিলেন ওখানে। ৩ জন দেশী। উনারা শর্টফিল্মের উপর কাজ করেন।
কোর্স শেষে বললেন, তোমাদের যা শিখানো দরকার, শিখানো হল। শিখে যদি কেউ ব্লুফিল্ম বানাতে চাও, বানাতে পার। সেটা যার যার মনমানসিকতা।
কথাটা সত্যি কিন্তু। কেট শিল্প মূল্য বুঝে ন্যুড হয় নি, টাকার জন্য হইছে। মারদাঙ্গা ছবিতেও হত। খুন না করেও যেমন খুন বুঝানো যায়, সেক্স সীনে কোন মেয়েকে উলং না করেও সেটা চরিত্রের জীবনে সেক্সের ভূমিকা বুঝানো যায়।

এগুলা আসলে নারীকে পণ্য বানানো। পরিচালকরা এটা ঠিকই মাথায় রাখে যে অনেকেই শুধু কেটের ন্যুড দেখতে আসবে। এটা তাদের প্ল্যানে রাখতে হয়, কারণ আপনিই ত বললেন, বড় বাজেট।

শিল্প এত সহজ না। রেইপ সীনে ফুটিয়ে তুলতে হবে মেয়েটার কান্না, মেয়েটার উলঙ্গ দেহ না।

৩১ শে মে, ২০০৯ রাত ১০:২৮

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: চলচ্চিত্রে যে মারামারির দৃশ্য থাকে, সেটার জন্য মানুষ মারতে হয় না সত্য, তবে পরিশ্রম কিন্তু ঠিকই করতে হয়। আমি জানি না স্টান্ট সম্পর্কে কতটুকু জানা আছে আপনার। কোয়ান্টাম অব সোলেস ছবিতে মারপিটের ভয়াবহ দৃশ্যগুলো এতটা বাস্তব সম্মতভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাওয়া হয়েছিলো যে এতে একজন স্টান্ট শুটিং স্পটেই নিহত হন। এছাড়াও র‌্যাম্বো সিরিজের ফার্স্ট ব্লাড এ অভিনেতা স্ট্যালোন অমানুষিক পরিশ্রম করেছিলেন এবং জঙ্গলের মারদাঙ্গা দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করতে গিয়ে তার মুখমন্ডল, হাত-পা সব ছিলে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে গিয়েছিল। আপনার এই প্রশ্নের সাথে সেক্স সিনের তুলনা হাস্যকর মনে হলো বৈকি!
না, পাক-পবিত্র ইত্যাদি ধর্মীয় টাইপ কথা-বার্তা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক এখানে। কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ঘাঁটতে গেলে সেটা ছেলেমানুষি।
ছবি বানানোর উপর আপনি যদি ২টা ওয়ার্কশপ করেই থাকেন এবং সেখানে কোর্স পরিচালকেরা ‘চাইলে ব্লু ফিল্ম বানাতে পারো’ টাইপ থার্ড কাশ কথা বলে থাকেন তাহলে একটু জানতে ইচ্ছে করছে কোন মহৎ (!) পরিচালকের তত্ত্বাবধানে আপনি দীা নিয়েছেন এবং এমন ধৃষ্টতামূলক কথা তারা কোথায় শিখেছে? চলচ্চিত্র আর ব্লু ফিল্ম দুটো ভিন্ন ব্যাপার। পর্নোগ্রাফি শুধু মানুষের একটা বোধকেই জাগাতে পারে, চলচ্চিত্র বা ফিল্ম সবগুলো বোধকেই নাড়া দেয়, হৃদয়কেও, আত্মাকেও। আর ২টা ওয়ার্কশপে সবকিছু শিখানোর মতো পরিচালক এই দেশে আছেন সেটা আগে জানতাম না তো!
শিল্প এত সহজ না...শিল্প সহজ না কঠিন সেটা নির্ধারণ করবেন ঐ শিল্পের শিল্পী। মানুষের কাছে তা তুলে ধরার দায়িত্বও তার। সব চলচ্চিত্র যেমন সবার জন্য না, সব গল্প-উপন্যাসও সব বয়সীদের জন্য না। এর কারণ কী? তা সংশ্লিষ্ট দর্শক-পাঠক ব্যতীত অন্য কারো কাছে বোধগম্য না।
চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে যৌনদৃশ্য এসেছে পাশ্চাত্যের ছবিগুলোতে। সে ছবিগুলো ততটা অস্বাভাবিক মনে হয় না যতটা আমাদের বিকৃত বাণিজ্যিক বাংলা ছবি দেখে মনে হয়। আর একটা কথা, চলচ্চিত্রের কোর্স যেহেতু করেছেন এটাও নিশ্চয় জানা উচিত বাণিজ্যিক ধারার ছবির অর্থই হলো দর্শকদের প্রোগৃহমুখী করা। চলচ্চিত্র যেমন শিল্প তেমন অবশ্যই এটা বাণিজ্য। এর উপর অনেকের জীবিকা ডিপেন্ড করে।
টু উইমেন ছবিতে রেইপ সিন আছে... ইরিভার্সিবল এ আছে। ছবিগুলো দেখুন। রেইপ সিন বাংলা ছবিতেও আছে। দুটোর পার্থক্য বের করুন। মিলিয়ে দেখুন। একটা রেইপ সিনে রেইপ বোঝানোরও কিছু ক্যাপাসিটি আছে। সেক্স সিনেরও আছে। কয়েক সেকেন্ড কিংবা মিনিটের একটা সেক্স সিনে অনেক রাখ-ঢাক রেখে প্রদর্শন করা হয়। মিডনাইট কাউবয় ছবিটা অবশ্যই দেখবেন। পুরোপুরি উলঙ্গ বা বিকৃত যৌনদৃশ্যের অর্থ ব্লু ফিল্ম বা পর্নো ছবি। সেটা থেকে চলচ্চিত্রের েেত্র মিনিং আলাদা। তার মানে তো এই না পুরো ছবিতেই নগ্ন নারীদেহ প্রদর্শিত হবে, নারীর ভাবমূর্তি নষ্টকারী কিছু দেখানো হবে। সেক্সকে উলঙ্গ ছাড়াও কীভাবে উপস্থাপন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে না এখানে। সেক্স সিন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

৩৪| ২০ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:১৪

ভূজ বলেছেন: লেখক এন্ড পাগলা_আপনাদের আলোচনা টা ভাল লাগছে_
নগ্নতা_একটা শিল্প কখন-আপনার বডি (যে নগ্ন হচ্ছে) যখন আর্টিস্টিক এবং সেটার সুন্দর উপস্থাপন। @ পাগলা।

আর ক্যাট যখন টাইটানিকে ন্যুড অইছে সেটা শিল্প এবং দি রিডার ও হলি স্মোকে যেটা করেছে সেটা অবশ্যই বাণ্যিজিকতা @ লেখক।
একান্তই আমার ভাবনাটা বললাম। পোষ্ট ভাল লাগছে +++++

৩৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:২৫

স্পর্শের বাহিরে বলেছেন: Click This Link

দেখুন

৩৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৮

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: একটা কথা খেয়াল রাখতে হবে, এখন বাংলা ছবির নির্মাতা কারা এবং তারা কতটুকু শিক্ষিত? ছবি নির্মাণ সম্পর্কে সামান্যটুকু জ্ঞানও তাদের আছে বলে মনে হয় না। বাংলা ছবি এখন তৈরী হয়ই রিকশাওয়ালাদের জন্য।

১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:২৩

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: বিকল্পধারার নির্মাতারাও আছেন, যেমন ফারুকী। তবে তারাও মাঝে মাঝে কিছু বিকৃত রুচির একঘেয়ে ভিডিও ছবি আমাদের উপহার দেন। তবে ব্যতিক্রমটা তারেক মাসুদ, ফারুকীদের কাছ থেকেই এসেছে। তাও ভালো যে একশ্রেণীর দর্শক, আপনার ভাষায়, রিকশাওয়ালারা ছবি দেখছে হলে গিয়ে। তাও তো কিছু বাণিজ্য হচ্ছে... তবে সুস্থ রুচির মানুষদের জন্য ভাববার সময় এসে গেছে।

৩৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৪৬

সবাক বলেছেন:
আমি একবার "নিষিদ্ধ প্রেম" নামের একটা মুভি দেখি। তারপর বেশ কয়েকদিন বান্ধবীদের সাথে দেখা করা বন্ধ রেখেছিলাম। অকপটে স্বীকার করতে দোষ নেই যে, মেয়েদের উপর থেকে ভক্তি উঠে গেছিলো। ভাগ্যিস কোন প্রেমিকা আছিলো না। তাইলে কি যে হইতো !!!

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:২২

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: হা: হা: এইসব নিষিদ্ধ প্রেম আর নষ্টা মেয়ে নামক উদ্ভট ছবিগুলো থেকে কিন্তু এখন কিছুটা হলেও দূরে আছি আমরা (মনে হয় আর কি!)

৩৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪২

ইশতে আশিক বলেছেন: বাঙ্গালিরা খালি টাকা বুঝে । টাকা ছারা নাকি ছবি ভাল হয়না। কেন ভাই ইন্ডিপান্ডেন্ট ভাল ছবি কি বের হচ্ছে না। আর প্রম ছাড়াকি ছবি হয়না?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: সহমত।

৩৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৫

এরশাদ বাদশা বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৬

এরশাদ বাদশা বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

৪১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৬

কৃষ্ণ তরুণ বলেছেন: ভালো ভাবনা, ++

আসুন তুলি সুর..

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৩

অবাধ্য ভ্রূকুঞ্চন বলেছেন: খুবই সুন্দর লেখা ও উপস্থাপনা।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩৫

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.