![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
• ৫ই জুলাই
আজকে আমার প্রথম গার্হস্থ্য অর্থনীতি ক্লাস ছিল।
কে যেন বললো,”এটাতো মেয়েদের জিনিষ!” আর টিচার খুব রেগে গেল।
উনি বললেন,”ছেলেদেরও আজকাল রান্নাবান্না, ঘরের কাজ এসব করতে হয়!”
আমাদের প্রথম ক্লাস রান্নার ক্লাস ছিল।
এক গ্রুপ ভাত বসালো।
আরেক গ্রুপ মিসো সুপ বানালো।
আরেক গ্রুপ বানালো মাংসের তরকারি।
আমি মাংসের তরকারি রাঁধতে শিখলাম।
আমার ভয় লাগছিল যখন ছুরি দিয়ে আলু আর গাজর কাটতে হল।
টিচার বলল, “ছুরি আস্তে ধীরে চালাও , নাহলে আঙুল কেটে যাবে।”
আমি আলু আর গাজর আর পিঁয়াজ কাটলাম। চপ চপ চপ! তারপর মাখানো মাংসের ভেতর ঢেলে দিলাম। আর তার কিছুক্ষণ পর তরকারি রান্না হয়ে গেল!
স্কুলের পরে আমি হাসপাতালে গেলাম। আম্মুকে যখন বললাম আমি মাংস রান্না করেছি আম্মু শুনে হেসে দিল। আম্মু বাসায় নেই বলে আমার খারাপ লাগে। তবে আম্মু বলল খুব তারাতারি বাসায় চলে আসবে।
তখন আমার যে কত্ত খুশি লাগলো।
আম্মু বলল, “তোমার ছোট্ট বোনকেও বাসায় নিয়ে আসবো!”
আমার বোনের নাম তোমোয়ো।
আম্মু হাসপাতালে কারণ তোমোয়ো এসেছে।
আমি বললাম, “আমি তোমোয়োর জন্য রান্না করবো, কেমন?” আম্মু বলল,”ও আরেকটু বড় হলে ওর জন্য রান্না করবে।”
আমি তোমোয়োর জন্য অনেক অনেক মাংসের তরকারি রান্না করে খাওয়াবো।
- - - - - - - - - - - - -
• ৮ই জুলাই
আম্মু আর তোমোয়ো বাসায় এসেছে। আব্বু অনেক খুশি। আমি বললাম আমি সবার জন্য মাংসের তরকারি রান্না করতে চাই।
আব্বু বলল, “আচ্ছা ঠিকাছে। কিন্তু আজকে না।” এই বলে আমাকে কিছুই করতে দিল না।
আমি ভেবেছিলাম আম্মু এতদিন পরে আমার সাথে খেলবে, কিন্তু সে সারাক্ষণ তোমোয়োকে নিয়েই খেলতে লাগলো।
- - - - - - - - - - - - -
• ১০ই জুলাই
শিনস্কে চাচ্চু, কাওরি আন্টি আর দাদু-দাদী বাসায় এসেছিল। হঠাৎ একদম ঈদ ঈদ লাগছিল।
আমার শিনস্কে চাচ্চুর সাথে খেলা করতে অনেক ইচ্ছা করছিল। কিন্তু চাচ্চু আমার সাথে খেলতে চাইলো না।
আমি কাওরি আন্টিকে একটা গল্পের বই পড়ে শোনাতে বললাম। আন্টি বই পড়ে শোনালোই না।
দাদু আর দাদীও আমার সাথে খেললো না। সবাই তোমোয়োকে নিয়ে খেলায় ব্যস্ত।
সবাই আমাকে বলল, “নিজের ঘরে গিয়ে খেলা করো গিয়ে।”
- - - - - - - - - - - - -
• ১২ই জুলাই
আন্টি, চাচ্চু, আর দাদু-দাদী শুক্রবারে আবার বাসায় এসেছিল। তারা সবাই আবার তোমোয়োকে অনেক আদর করলো। আমাকে কেউ পাত্তাই দিল না।
আম্মু তোমোয়োকে বলল,”মামুনিটা আমার এত্ত ফুটফুটে দেখতে হয়েছে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করে!”
আব্বু বলল, “আসলেই এত্ত সুন্দর বাবুটা।”
আম্মু বলল, “মেয়েটা আমার সবচে কিউট!”
- - - - - - - - - - - - -
• ১৮ই জুলাই
আমি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে চুলায় মাংসের তরকারি বসিয়ে দিলাম। আমি অনেক ভালো করে সবজি কেটে দিলাম। কিন্তু মাংসটা রান্না করা কঠিন ছিল। অনেক বেশিই নরম ছিল তাই কাটতে অসুবিধা হচ্ছিল।
“তোমোয়ো কোথায়! তোমোয়ো!” আম্মু তোমোয়োর খোঁজ করতে লাগলো।
তারপর সবাই বাসায় এসে জড়ো হল। মাংস সিদ্ধ হল খুব তারাতারি। ঝোল ফুটতে লাগলো
“তোমোয়োওওওওওও!”
আসলেই ও এত্ত ফুটফুটে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।
(গল্পটি ইন্টারনেটে বহুল প্রচারিত জাপানি গল্প থেকে অনূদিত।)
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ভূত কই?
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮
রুফিয়াস মিলেনিয়াম বলেছেন: ভৌতিক গল্প তো নয়, অদ্ভুত গল্প। তবে ঐ বাচ্চাটা মরে ভূত হয়ে যেতে পারে, বলা যায় না। ;-)
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: জানতাম, এমন কিছু হবে!
কনফেশন্স পড়েছেন?
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:২৮
রুফিয়াস মিলেনিয়াম বলেছেন: না, পড়িনি। লিস্টে টুকে নিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২১
রুফিয়াস মিলেনিয়াম বলেছেন: ছবিটির আর্টিস্ট প্রোফাইল লিংক