নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবতার জয় হোক

শান্তির জন্য সংগ্রামী

রুমি আলম

মানবতার জয় হোক

রুমি আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনে নিন কারা আওয়ামীলীগ এবং কারা বিএনপি'র রাজনীতি করে

০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ১১:২১

এ্দেশ বরাবরই জটিল আর জটিল তার মানুষের ভিতরটাকে বোঝা। তবে একটু ইতিহাস ঘেটে দেখলেই পরিষ্কার চোখে অনেক কিছুই দেখা যায়।

শিরোনামে উল্লিখিত দুটি রাজনৈতিক দলের নাম বর্তমানে এদেশের প্রতিটি মানুষের অত্যান্ত সুপরিচিত। কারন এদেশের মানুষ অনেকদিন থেকেই এই দুটি দলকেই ক্রমান্বয়ে তাদের ভাগ্যের পরিবরতন হওয়ার আশায় একের পরিবরতে অন্যকে সমর্থন ও ভোট দিয়ে তাদের শাসন করার সুযোগ দিয়ে আসছে। এবং অসংখ্য নেতা ও কর্মী এই দুটি দলের রাজনীতির সঙ্গেও ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু সেই দুটি দলের প্রত্যক্ষ অনেক কর্মীরাই জানেনা কারা এবং কী উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি'র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অথবা তাদের সত্যিকার রাজনীতি শেখার ও বোঝার জন্য ঐতিহাসিকভাবে কে সমৃদ্ধ ও সমর্থন প্রাপ্তির দাবীদার। এই লক্ষ্যেই আমার এই ব্লগটি লেখা।

খেয়াল করলে দেখা যাবে সাংগঠনিক ভাবে ব্রিটিশ ভারতে প্রথম ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস জন্মলাভের মধ্য দিয়েই মুলত রাজনৈতিক দলের উৎপত্তির শুরু। ক্রমান্বয়ে মুসলিম লীগ ব্রিটিশ ভারত বর্ষে ১৮৮৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস গঠিত হয়। এর আগে ভারত বর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে বা রাজ্যে অনেক আঞ্চলিক দল বা সমিতি বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে উঠেছিল। সেগুলোর একত্রকরনেই মুলত কংগ্রেস জন্ম নেয়।

নিখিল ভারতের একমাত্র রাজনৈতিক দল হিসেবে কংগ্রেস যখন বিভিন্ন দাবি দাওয়ার প্রশ্নে ব্রিটিশ সরকারকে হুমকীর সম্মুখীন করে তুলছে তখন ব্রিটিশরা লর্ড মিন্টোর মাধ্যমে উগ্র মুসলিমদের দিয়ে ১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর গঠন করালেন নিখিল ভারতীয় মুসলিম লীগ, এরপর ক্রমান্বয়ে গদর পারটি, নিখিল ভারত হিন্দু মহাসভা, সাউথ ইন্ডিয়ান পিপলস এসোসিয়েশন, রুশ বিপ্লবের পরে ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি(সিপিআই), অকালী দল, স্বরাজ পার্টি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, খুদা-ই খিদমতগার ও আনজুমান-ই-নওজোয়ান-ই-সরহাদ, খাকসার আন্দোলন, কংগ্রেস সোস্যালিস্ট পার্টি, নিখিল বঙ্গ ক্রিষক প্রজা পার্টি, ফরোয়ারড ব্লক, রেভলিউশনারী সোস্যালিস্ট পার্টি, র‍্যাডিক্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, জামায়াতে ইসলামী হিন্দ এরকম আরও অনেক পার্টিই ব্রিটিশ ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে যুক্তবাংলায় 'অনুশীলন' ও 'যুগান্তর' নামে দুটি গোপন বিপ্লবী গ্রুপের অস্তিত্বও পাওয়া যায়। এইসব জাতীয়তাবাদী, কমিউনিস্ট, ধর্মভিত্তিক যারাই যে উদ্দেশ্য গঠন হয়ে থাকুক ২/১টি দল বাদে অন্যসব দলই স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। কেউ সরাসরি ইংরেজের বিরুদ্ধে আবার কেউ ইংরেজের সঙ্গে সমঝোতায়। কেউ কেউ ইংরেজের বিরোধীতাকারী দলের বিরোধীতা করতে গিয়ে ইংরেজের সঙ্গেও আতাত করেছিল। এহেন ঘটনা পরিক্রমায় ১৯৪৭ সালের আগস্টে ইংরেজ ভারত বর্ষ ছেড়ে বিদায় নেয়, কিন্তু রোপন করে যায় 'দ্বিজাতি তত্বে'র বিষবাষ্প।

১৯৪৭ সালে তথাকথিত 'দ্বিজাতি তত্বে'র ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্থান বিভক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করলে সেইসব রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাই রাজনৈতিক অবস্থান ও আবাসস্থল পরিবরতন করে।

যেমন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ একসময় হিন্দু মহাসভা নামের আড়ালে পরবর্তীতে বিজেপি নামে সংগঠিত হয় এবং জামায়াতে ইসলামী হিন্দ পরিবর্তন হয়ে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্থান এরকম নামের পরিবর্তনও অনেকেই করে।

১৯৪৭ সালের পর সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী ও চেতনাগত পরিবর্তন হয় পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্থান অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশে। ১৯৩০ ও ১৯৪০ এর দশকের তরুন ছাত্র যুবক শ্রেনী যারা স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখে রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিল তাদের খুব অল্প সংখ্যক কমিউনিস্ট পার্টিতে ও কংগ্রেসে এবং ব্যপক সংখ্যক যোগ দেয় মুসলিম লীগে। কেননা, তিরিশ ও চল্লিশের দশকে বাংলায় বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক(স্বল্প সময়), হোসেন শহীদ সোহরাওয়ারদী, আবুল হাশিম ও মওলানা ভাসানী। এদের বিশেষত সোহরাওয়ারদী ও আবুল হাশিমের উদার রাজনৈতিক মনোভাব ও তার প্রতিফলনে বাঙালি মুসলমান তরুন ছাত্র, যুবক ব্যপকভাবে মুসলিম লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পাকিস্থান স্বাধীন হওয়ার পরে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। একদা পাকিস্থান আন্দোলনে যেসব নেতা ও ব্যক্তি নিজের জীবন যৌবন বিসর্জন দিয়ে সংগ্রাম করেছে তারাই নিজেদের আবিষ্কার করেছে স্বাধীন পাকিস্থানে পরাধীনরুপে। একদা যারা পাকিস্থান আন্দোলনের চুড়ান্ত পর্যায়ে স্বাধীন যুক্ত বাংলার জন্য দাবি তুলেছিল তারাই নিজেদের আবিষ্কার করেছে ক্ষমতায় আসীন লুটেরা শ্রেনী গোষ্ঠীর পদানত রাজনৈতিক শ্রমিক হিসেবে।

এইসব ঘটনার প্রেক্ষিতে পাকিস্থানের স্বাধীনতা লাভের অল্পদিনের মধ্যেই পূর্ব বাংলার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেনীর ভিতরে ঘটে তুমুল রাজনৈতিক পরিবর্তন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সাংস্কৃতিক সংগঠন তমুদ্দুন মজলিশ গঠিত হয়। কিন্তু মুসলিম লীগের সমর্থক প্রগতিশীল ছাত্ররা রাজনৈতিক অবস্থান নিশ্চিত করার অভিপ্রায়ে ১৯৪৮ সালে গঠন করে ছাত্রলীগ। যে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনটি কোন অবিভাবক ছাড়াই নিজেরা পরিচালিত হয় প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রদান কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে। আগেকার মুসলিম লীগ দখল করে জমিদার ও সামন্ত শ্রেনীর ক্ষমতালোভী গোষ্ঠীটি। কমিউনিস্ট পার্টিও নতুনভাবে কাজ শুরু করে। ১৯৪৯ সালে প্রতিক্রিয়াশীল মুসলিম লীগ পরিত্যাগ করে গঠিত হয় আওয়ামী লীগ। ‘৫১তে গনতান্ত্রিক যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ থেকে কিছুসংখ্যক ব্যক্তি বেরিয়ে আগেকার কমিউনিস্ট পার্টি সমর্থিত ছাত্র ফেডারেশন নতুনভাবে জন্ম নেয় ছাত্র ইউনিয়ন নামে। মুসলিম লীগের ইসলামী জাতীয়তাবাদীরা গঠন করে খেলাফতে রব্বানী পার্টি। আওয়ামীলীগ অসাম্প্রদায়িক দলে উন্নীত হওয়ায় প্রথম ভাঙ্গনের মুখোমুখি হয়। মধ্য পঞ্চাশের দশকে ছাত্রলীগ থেকে একদল ছাত্র বেরিয়ে গঠন করে ছাত্রশক্তি নামক ছাত্র সংগঠন। পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয় ন্যাপ(ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি)। বাঙালি জাতীয়তাবাদের পুরোধা সংগঠন আওয়ামী লীগের ভিতরে বাস করা কমিউনিস্টরাই মুলত ন্যাপে চলে যায়। আইয়ুব ক্ষমতায় এসে মুসলিম লীগকে ভাগ করে নিজের দখলে রাখেন কনভেনশন মুসলিম লীগ ও আরেক অংশ কাউন্সিল মুসলিম লীগ নামধারন করে। ক্ষমতাসীন কনভেনশন মুসলিম লীগের ছত্রছায়ায় গঠিত হয় ছাত্র সংগঠন এনএসএফ(ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশন)। আওয়ামী লীগ আবার বিভক্ত হয়ে পিডিএম(পাকিস্থান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট)পন্থী নামধারন করে যা পরবরতীতে পাকিস্থান ডেমোক্রেটিক পার্টি নাধারন করে যেখানে আওয়ামীলীগ ও মুসলিম লীগের অনেকেই আশ্রয় নেয়। এই সময় গনতান্ত্রিক পার্টি নামেও একটি দল গঠিত হয়। ব্রিটিশ আমলের কংগ্রেস ক্ষীনকায় চলতে থাকে, ধর্মভিত্তিক জামায়াতে ইসলামী ও নেজামে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম দল গুলোও ক্রীয়াশীল ছিল। জুলফিকার আলী ভুট্টো আইয়ুবের কনভেনশন মুসলিম লীগের সাধারন সম্পাদকের পদ থেকে বেরিয়ে গঠন করে পিপিপি। কমিউনিস্টদের মধ্যে মস্কো ও চীনাপন্থী এই দুইভাবে বিভক্ত হয়ে মুল ন্যাপে(ভাসানী) থেকে যায় চীনাপন্থীরা বেরিয়ে আরেকটি ন্যাপ(মোজাফফর) গঠিত হয়। কমিউনিস্ট পার্টির ভিতরের চিনাপন্থীরাও বিভিন্ন উপদলে ভাগ হয়ে যায়। চিনাপন্থী উগ্র মাওবাদীরা গঠন করে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি(মতিন-আলাউদ্দিন), পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি(দেবেন-বাশার), কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের পূর্ব বাংলা সমন্বয় কমিটি, পূর্ব বাংলার সরবহারা পার্টি(সিরাজ সিকদার) ইত্যাদি। ছাত্র ইউনিয়নেও ভাঙ্গন আসে চীনা ও মস্কোপন্থী এই দুই ধারায়। ছাত্রলীগের ক্ষুদ্র একটি অংশ পিডিএম পন্থীদের ছত্রছায়ায় গঠন করে বাংলা ছাত্রলীগ।

এইসব রাজনৈতিক দলের অনেকগুলোই পাকিস্থান আমলেই তাদের জীবিত সত্ত্বা হারিয়ে ফেলে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ঘটনা পরিক্রমায় ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুস্টিত হয় পাকিস্থান জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনেই '৬৬ এর ঐতিহাসিক ছয় দফা এবং '৬৯ এর গন অভ্যুত্থানের সফল নেতৃত্বদানের ধারাবাহিকতায় পূর্ব পাকিস্থানের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল হিসেবে আবির্ভূত হয় আওয়ামী লীগ। শুর হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে পরিচালিত মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক দলই যোগ দেয়। এদের মধ্যে দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকা মস্কোপন্থী কমিউনিস্ট পার্টি, মস্কোপন্থী ন্যাপ(মোজাফফর) এবং কংগ্রেস সর্বতোভাবে যোগ দেয়। মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাপের শুধু ভাসানীর অনুসারীরা আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব মেনে যুদ্ধে যোগ দেয়। কিন্তু ভাসানী ন্যাপের একটী বৃহৎ অংশসহ অপরাপর সকল রাজনৈতিক দলই আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধে যোগদিতে অস্বীকার করে। চীনাপন্থী কমিউনিস্টদের অন্যান্য দলগুলোও যুদ্ধ করে তবে শুধু পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়, তাদের যুদ্ধ ছিল মুক্তিবাহিনী, গেরিলা বাহিনী ও মিত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে। জনগন রায় দিয়েছিল আওয়ামীলীগের পক্ষে কিন্তু চীনাপন্থী ও ধর্মভিত্তিক দলগুলোসহ অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো সেই জনমতকে অস্বীকার করে। এদের মধ্যে জামায়াতে ইসলাম, নেজামে ইসলাম, পিডিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, কনভেনশন ও কাউন্সিল মুসলিম লীগ, মুসলিম লীগ প্রভৃতি সরাসরি যুদ্ধের বিরোধীতা করে। কমিউনিস্টদের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের নিজেদের সুত্রানুযায়ী বহুমুখী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।

এধরনের নানাবিধ সমস্যার মধ্যদিয়েই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের ভিতরের সকল বাঙালি শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ। জয়লাভ করে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে পরিচালিত মহান মুক্তিযুদ্ধ ও এদেশের জনতা।

স্বাধীন বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করা বিভিন্ন দলকেই নিষিদ্ধ করা হয়। বন্ধ করা হয় ধর্মভিত্তিক রাজনীতি। ক্ষমতাসীনদের মধ্যকার ব্যক্তিগত নেতৃত্বের দ্বন্ধের বিরোধ থেকে জন্ম নেয় বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের তকমাধারী জাসদ। যেখানে সমাজতন্ত্র নিজেই বিজ্ঞান সেখানে ‘বৈজ্ঞানিক’ শব্দটি জুড়ে দিয়ে হাসরসের সৃষ্টি করলেও তারা অনেকটাই সংগঠিত হতে থাকে।

স্বাধীন বাংলাদেশে গোপন রাজনৈতিক খেলা শুরু হয় এখান থেকেই। একঝাক তরুন মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্বে গঠিত জাসদের ভিতরে গোপনে আশ্রয় ও প্রশ্রয় পেতে থাকে স্বাধীনতা বিরোধী বিভিন্ন দলের নিষিদ্ধরা। জাসদও তাদের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিজেদের কালিমালিপ্ত করতে থাকে। সি আই এ'র টাকায় পরিচালিত হয় তাদের গোপন গানবাহিনীর প্রশিক্ষন কেন্দ্রের কর্মসুচী।

বিভিন্ন ঘটনা পরিক্রমায় স্বাধীন বাংলাদেশে রচিত হয় রক্তের হোলি উৎসব। দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রে হত্যা করা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিকে। হত্যাকরা হয় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া বীরদের। ক্ষমতায় আরোহন করে আওয়ামীলীগের ভিতরে বাস করা বাঙালি জাতীয়তাবাদীর লেবাসধারী খন্দকার মোশতাক গং। খালেদ মোশাররফের হঠকারীতায় ক্ষমতায় স্থায়ী আসনে বসে জাসদের তথাকথিত বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান।ক্ষমতা দখল করেই জিয়া তার পূর্বহিসাব অনুযায়ী এবং চীনাপন্থী কমিউনিস্টদের পরামর্শে জেলে ভরতে শুরু করে জাসদের নেতা কর্মীদের। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে মোশতাককেও জেলে ভরে বোঝানোর চেস্টা করে সে আওয়ামীলীগের শত্রু নয়। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে রাজনীতির ময়দানে আওয়ামীলীগের প্রকাশ্য প্রতিদ্বন্ধী ও শত্রু ছিল জাসদ এবং ’৭৫ পরবর্তী সময়ে মোশতাক গং। এই দুই পক্ষকেই ধরাশায়ী করে জিয়া আওয়ামী লীগকে বোঝানোর চেস্টা করে সে আওয়ামী লীগের মিত্র। সেই ধারাবাহিকতায় জিয়া দল গঠনের লক্ষ্যে সারাদেশ সফরের নামে বিভিন্ন জেলা ও থানা পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাদের সার্কিট হাউজে ডেকে বৈঠক করে তাকে সহযোগিতা করার জন্য বোঝানোর চেস্টা করে। কিছু কিছু নেতা বিভ্রান্ত হয়ে তার সঙ্গে যোগও দেয়। সার্বিকভাবে আওয়ামী লীগকে কাছে টানতে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে শুরু করে। মিলিটারী ডিক্টেটররা আওয়ামী লীগকে ভেঙ্গে ফেলে। রাজনীতির ময়দানে, সংবিধানে এবং বহিবিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনেও গ্রহন করে পূর্বে আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া স্বিদ্ধান্তের বিপরীত স্রোতে। দৃশ্যত সে সফলও হয়। গঠন করে জাগদল পরে নাম বদলিয়ে জাতীয়তাবাদী দল। জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা এই তকমাকে কাজে লাগায় ব্যপকভাবে। দীর্ঘদিন গোপনে থাকা মাওবাদী সমাজতন্ত্রীদের একটি প্রকাশ্য গ্রুপ মশিউর রহমান জাদু মিয়ার নেত্রিত্বে যোগ দেয় জিয়াউর রহমানের দলে এবং মাওবাদীদের অন্যরাও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। যারা ’৭০ এর নির্বাচনে পিডিপি, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলাম, নেজামে ইসলাম অর্থাৎ আওয়ামী লীগের স্বায়ত্বশাসন তথা স্বাধীনতার দাবির বিরুদ্ধে ভোট প্রদান করে গ্রাম গঞ্জের সেই অংশটাও উঠেপড়ে লাগে জিয়ার দল গঠনে। গর্তের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে বিচারপতি বি এ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মুসলীম লীগ এবং ধর্মভিত্তিক জামায়াতে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম।

১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডের পর ক্ষমতা দখল করে এরশাদ। সেও প্রথমে জিয়ার পদাংক অনুসরন করে আগায়। জিয়া ছিল আওয়ামীলীগের শত্রু এই তত্বকে সামনে নিয়ে প্রথমেই হাত বাড়ায় আওয়ামীলীগের দিকে কিন্তু ব্যর্থ হয়। তারপর দৃষ্টি দেয় জাসদের দিকে দৃশ্যত সফল হয় এবং বিএনপিরও একটা সুবিধাবাদী চক্র এরশাদের দলে যোগ দেয়। বাস্তবিক অর্থেই এরশাদ আওয়ামী লীগকে কাছে টানতে না পেরে আওয়ামী লীগের উপর চালায় স্টীম রোলার।

জিয়া এবং এরশাদ উভয়েই আওয়ামীলীগ বিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও মাওবাদী তথাকথিত বিপ্লবী শক্তিকে পুরোপুরি কাছে টানে। তাদের সময়েই ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলসমুহ এমনকি বঙ্গবন্ধুর খুনীরাও দল গঠন করে।

উপরোক্ত তথ্যাবলীর উপর নিরভর করে নিশ্চিতভাবেই স্বিদ্ধান্তে পৌছা যায়…

***আজকের যে আওয়ামীলীগ সেখানে স্পস্টতই মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামীলীগের নেতা, কর্মী, সমর্থক এবং তাদের উত্তরসুরীরার নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই দলে অনেক মস্কোপন্থী কমিউনিস্টরাও যোগ দিয়েছে যারা মুলত একাত্তরে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব মেনে নিয়ে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে অংশ নিয়েছিল তারা এবং তাদেরই উত্তরসুরীরা।

***বর্তমানের বিএনপিতে মাওবাদী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতারা যাদের প্রায় সবাই একাত্তরে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব মেনে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়নি এবং তাদেরই উত্তরসুরীরা। তাদের নিজস্ব নেতা তৈরির কারখানা ছাত্রদলের রাজনীতিতেও জড়িত হয় মুলত একাত্তর পূর্ববর্তী সময়ের মুসলিম লীগার, পিডিপি, নেজামে ইসলাম, ছাত্রশক্তি প্রভৃতি সংগঠনের নেতা, কর্মী ও সমর্থকের সন্তানরাই। এমনকি মোশতাকের সঙ্গে হাত মেলানো সাবেক আওয়ামী লীগারদের অনেকেই যোগ দিয়েছিল। এখনো সারাদেশে খোজ নিলে জানা যাবে সত্তরের নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল তারা এবং তাদের উত্তরসুরীরাই বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ও নেতৃত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে যেটুকু উদাহরন হিসেবে অনেকেই দেখাবে সেটুকু মুলত ব্যতিক্রম এবং সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বার্থসংশ্লিস্ট কারনে বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অথবা একদা মাওবাদীদের দ্বারা প্রভাবিত পরিবারের উত্তরসুরীরা ছাত্রদলে নাম লেখায়। এবং একদা শেখ মুজিবের ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বগুনের কাছে পরাজিত হওয়া দিশেহারা ব্যক্তিবর্গ ও তাঁদের উত্তরাধীকারগন।

এখানে বললে অত্যুক্তি হবেনা যে, বর্তমানের ছাত্ররাজনীতিতে কর্মী সংগ্রহের ক্ষেত্রে সংগঠনসমুহের নেতারা আদর্শের চাইতে বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে আকৃষ্ট করে থাকে। এবং এই প্রক্রিয়া আশির দশক থেকে জিয়াউর রহমানের ছাত্রদল শুরু করলেও দু’দলেই বিষফোড়া হয়ে বেড়ে উঠছে মুলত এরশাদের পতনের পর গনতন্ত্রায়নের সময় থেকে। যেকারনে বর্তমানের নতুন নতুন ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসা নেতা কর্মীদের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। নিশ্চয়ই ব্যতিক্রম এখানেও আছে।

উল্লেখ্য যে, বর্তমানে যে জোট গঠনের বিষয়টি অনেকেই আলোচনায় নিয়ে আসেন। এই বিষয়টি সম্পূর্ণই ভোটের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত।



বি দ্রঃ এই লেখাটি লেখকের বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ ও সম্পূর্ণ নিজ উদ্যেগে মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত একটি জরিপ ও গবেষনার ফলাফল মাত্র।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ১১:৪০

রাফা বলেছেন: বি,এন,পি-তে মুল ভুমিকা রাখছে ৭১-এর পরাজিত শক্তি।তাই বি,এন,পি-কে জামাতের বি টিম বললেই সঠিক মুল্যায়ন হবে।

আর বর্তমান আওয়ামি লিগের নেতৃত্বে আছে সুবিধাবাদি শ্রেনী।প্রকৃত আওয়ামি লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ কর্মিরা অবহেলিত।

০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ৮:৫৭

রুমি আলম বলেছেন: এমন দিনেরই প্রত্যাশা যেদিন সকল মানুষই সত্য মিথ্যা নির্ণয় সাপেক্ষেই তাঁদের মতামত ব্যক্ত করবে। সেই সমাগত দিন আনয়ন করতে পারলেই সর্বত্র সুব্যবস্থাপনা কায়েম হবে ইনশাল্লাহ।

২| ০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ১১:৫১

আমার জীবন বলেছেন: এতা কুব বাল পস্ত :)

০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ৮:৫৯

রুমি আলম বলেছেন: ইতিহাসের আলোকে অন্য কোন বক্তব্য, মতামত, বিতর্ক বা বিশ্লেষন থাকলে উপস্থাপন করুন।


ভাই গোপনে জিজ্ঞাসি, আপনি কোন শ্রেনীর বিএনপি/জামায়াত??

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ১২:২৪

তীর্থযাত্রী বলেছেন: ভালো লাগলো।
++++++++++++++++++



আসলে বিএনপি মুলত আওয়ামী বিরোধী একটা সেন্টিমেন্ত। বঙ্গবন্ধুর সাথে যারা রাজনীতি তে টিকতে পারেনি তারাই এই দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ৯:০১

রুমি আলম বলেছেন: সম্পূর্ণ সহমত এবং খুব উৎসাহিত বোধ করছি। ধন্যবাদ।

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ১২:৫৪

sumon3d বলেছেন:
চমৎকার বিশ্লেষন।++++++++++
আশা করছি আপনার কাছে এধরনের আরো পোষ্ট পাবো।


বর্তমান আওয়ামিলীগের নেতৃত্বে আছে সুবিধাবাদি শ্রেনী। প্রকৃত আওয়ামিলীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ কর্মীরা আজ অবহেলিত। সহমত।

০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ৯:০৩

রুমি আলম বলেছেন: দোয়া করবেন যেন আপনা/আপনাদের এই ক্ষুদ্র প্রত্যাশাটুকু লেখনীর মাধ্যমে পূরণ করতে পারি। আমার সাধ্যের সরবোচ্চ চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।

এমন দিনেরই প্রত্যাশা যেদিন সকল মানুষই সত্য মিথ্যা নির্ণয় সাপেক্ষেই তাঁদের মতামত ব্যক্ত করবে। সেই সমাগত দিন আনয়ন করতে পারলেই সর্বত্র সুব্যবস্থাপনা কায়েম হবে ইনশাল্লাহ।

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ১:০৫

বেঈমান আমি বলেছেন: পইড়া কমেন্ট করতাছি :)

০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ৯:০৬

রুমি আলম বলেছেন: জানেনতো অপেক্ষা খুব কষ্টের। তারপরও আছি

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৩

বেঈমান আমি বলেছেন: বাংলাদেশে আসলে ২ দল।একটা হলো আওয়ামিলীগ আরেকটা হলো আওয়ামিলীগের বিরোধীরা।পোস্টে +++

০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ৯:০৫

রুমি আলম বলেছেন: সহমত। অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ৯:০৭

নির্লিপ্ত বাঁধন বলেছেন: পোস্টে +++

০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ১০:৩৭

রুমি আলম বলেছেন: X( X( X(

৮| ০৫ ই জুন, ২০১২ সকাল ৮:৪৪

এস্কিমো বলেছেন: এক টানে পড়ে ফেললাম। প্যারাগ্রাফগুলো আলাদা করলে ভাল হতো। আর যদি সাবহেডিং বানিয়ে টাইম লাইন দিতে তাইলে একদম প্রফেশনাল হতো।

একটু বেশী চাইলাম নাতো!

চমৎকার করে ইতিহাস বলা একটা দক্ষতা - আপনার মধ্যে এই দক্ষতাটা আছে। লেখে যান।

ধন্যবাদ।

০৫ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৫২

রুমি আলম বলেছেন: এস্কিমো ভাই আপনি সিনিয়র ব্লগার। আমাদের জন্য অনুকরনীয় অবশ্যই।

আপনাদের সহযোগিতায় চেস্টা করবো সাধ্যের সবটুকু উজার করে দিতে। দোয়া রাখবেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৯| ০৫ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১:৪৬

তীর্থযাত্রী বলেছেন: @এস্কিমো,

আপনার সাথে সহমত।

০৫ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৫৩

রুমি আলম বলেছেন: এস্কিমো ভাইকে দেয়া উত্তরের কপি আপনাকেও প্রেরন করলাম।

আপনাদের সহযোগিতায় চেস্টা করবো সাধ্যের সবটুকু উজার করে দিতে। দোয়া রাখবেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১০| ০৭ ই জুন, ২০১২ সকাল ৯:৩২

কাদা মাটি জল বলেছেন: ভালো লাগা পোস্টে
আওয়ামী লীগে এখন সত্যি সংকট ভালো নেতার ।

০৭ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৫৯

রুমি আলম বলেছেন: সত্যি বলতে পচাত্তরের পর থেকেই রাস্ট্রীয়ভাবেই দেশে দেশপ্রেমিক নেতা তৈরির সব পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উপরন্তু আগের নেতাদের চরিত্র নস্ট করার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে নানাবিধ পরিকল্পনা। যার ফলে সমগ্র রাস্ট্রব্যবস্থাতেই নৈতিকতার স্থলন ঘটেছিল। বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রে একসময় মুলধারার রাজনীতি বা রাজনৈতিক চেতনার চেয়ে বিপরীত ধারার রাজনীতির অবাধ চারনভুমি থাকায় সবখানেই সংকট ঘনীভুত হয়েছে। এটা যে এখন শুধু আওয়ামী লীগ বা রাজনীতিতেই শুধু, তা নয় সবখানেই সংকট।
তাছাড়া আমাদের প্রত্যাশা যে মানের নেতা বা রাস্ট্র, আদতে সেই প্রত্যাশার দ্বারপ্রান্তে পৌছার জন্য শুধু দলসমুহই নয়, বোধকরি রাস্ট্রেরও ঘাটতি আছে। অথবা অদ্রিশ্য কোন প্রতিবন্ধকতা আছে!
আমাদের প্রত্যাশা শুধু আমাদের মতোই।

আমর মতো অনেকেই আওয়ামী লীগকে ভোট দেই- দলটি বাংলাদেশ রাস্ট্রজন্মের নেত্রিত্ব দিয়েছে। এবং বঙ্গবন্ধু সেই দলটির মাধ্যমেই দেশের মানুষকে স্বাধীনতার মুলমন্ত্রে উজ্জীবীত করেছিলেন। স্বাধীনতার পরের রাজনৈতিক দলগুলোর জন্মের ইতিহাস বড়ই করুন, শুধুই আওয়ামীলীগ বিরোধীতা। ধন্যবাদ।

১১| ১১ ই জুন, ২০১২ ভোর ৪:০৬

মেহেদী পরাগ বলেছেন: সব সময় ইতিহাস দিয়া কাম হয়না। বর্তমানও লাগে। বুঝলাম আলীগ আগে ভাল দল আছিল কিন্তু এখন আর তার লেশ মাত্র নাই। গতবার আলীগরে ভোট দিসিছিলাম বিএনপির দূর্ণীতিতে অতিষ্ঠ হইয়া। কিন্তু কোন লাভ পাইনাই। বরং অবস্থা আরও খারাপ হইছে। যেই ভালোর জন্য আলীগরে ভোট দিলাম সেই ভাল না পাইলে বিম্পিই ভাল এই কারণে যে বিম্পি যত বালের দলই হউক অন্তত ভারতের কাছে দেশটা বেইচ্চা দিবনা। খালি জামাত নিয়াই একটা সমস্যা। তবে আশা করি নির্বাচনের আগে জামাতরে খেদানোর সৎসাহস না পাইলেও নির্বাচনে জিত্যা সুযোগ মত ঠিকই জামাতিগো উষ্ঠা দিব বিম্পি। যাই হোক না কেন হাছিনার মতন নির্লজ্জ মিথ্যাবাদী আর হিংসুটে মহিলা যে কেমনে বঙ্গবন্ধুর ঔরষ থাইকা জন্মাইল সেইটা ভাইবা কুল কিনারা পাইনা। এই মহিলারে ভোট দিয়া যেই পাপ করছি সেই পাপ মোচনের উপায় খুজতাছি।

১২| ১১ ই জুন, ২০১২ ভোর ৪:৪৯

রুমি আলম বলেছেন: আন্তরজাতিক ক্ষেত্রে সকল দেশই চায় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পরক বজায় রাখত এবং সেটা অবশ্যই পারস্পরিক সুবিধা/অসুবিধার ভিত্তিতেই।

*শেখ হাসিনা কিভাবে দেশ বিক্রি করেছে সেটা উল্লেখ করেন নি।
*শেখ হাসিনা কোথায় মিথ্যা বলেছে বা হিংসা দেখিয়েছে সেটাও উল্লেখ করেন নি।
*উপরোক্ত তিনটি অভিযোগের সত্যতা স্বরুপ সরকারী কোন ফাইলে এমন প্রমান আছে সেটা উল্লেখ করুন।

জনাব, আপনার মনোভাব বুঝতে আমার বাকী নেই। তারপরও আলোচনা করতে আমার আপত্তি নেই। আমার পোস্টেই দেখিয়েছি কারা কারা কোন দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আপনিও হয়ত পোস্টে উল্লিখিত কোনো দলভুক্ত হবেন। এমনটাই স্বাভাবিক।

মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে পাওয়া স্বাধীন বাংলাদেশে নিশ্চয়ই আপনার যেকোন দলের রাজনীতি করার ও ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে।
আপনার অজানা নয় যে, বাংলাদেশে দল দুইটা। একটা আওয়ামী লীগ আর অপরটা আওয়ামী লীগ বিরোধীতাকারীদের দল। এটাই ঐতিহাসিক ও বাস্তব সত্য।
আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার দোষ থাকতেই পারে, তাই বলে বিএনপির জন্মসময়ের নস্টামীর কথা কী ভুলে যাওয়ার উপায় আছে? নাকি আওয়ামী লীগের দোষের কারনে বিএনপির দোষ মাফ হয়ে যাবে?
আপনার ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, পরকালেও মানুষের পাপ ও পুন্যের হিসেবের সময় যে যতটুকু পাপ করে যাবে সেটুকুর জন্য অবশ্যই শাস্তি ভোগ করার পরেই আসবে পুন্যের জন্য শান্তির দিন। তারমানে পাপের শাস্তিই আগে হবে, পুন্যের জন্য প্রাপ্য আসবে পরে।
যারযার পাপ পুন্যের হিসেব আলাদা খাতায়ই হিসেব হবে। একজনের অন্যায়ের রেফারেন্স দিলেই আরেকজনের অন্যায় ক্ষমাযোগ্য হয়না।
সুবিধাবাদী চরিত্রের অংশীদার যদি কেউ হতে চায়, আল্লাহ তার জন্য সকল সুযোগ রেখেছেন। বিষয়টা বুঝেছেন নিশ্চয়ই!

১৩| ১১ ই জুন, ২০১২ সকাল ৯:৪৫

মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমার মনোভাব আপনি আসলে বুঝতে পারেননি। আমি বিএনপি ঘরণার কেউ নই। যেকোন অন্যায়কে আমি অন্যায় হিসেবেই দেখি। তবে ব্লগে মাঝে মাঝে কিছু অন্ধ লীগ বা বিএনপি সমর্থক দেখলে বেশ ব্যথীত হই।

মেডাম গতবার যে দূর্ণীতি করেছেন এবং তার প্রশ্রয় দিয়েছেন তার নিন্দা আমি সবসময়ি করব। সেই কারনেই গতবার আমি লীগকে নিজের জীবনের প্রথম ভোটটা দেই। জেনারেল জিয়ার ছেলেকে অন্য অনেকের মতই আমি তারেইক্যা চোরাই বলে থাকি। জামাত শিবির আমার দুই চোখের বিষ। তবে বিশ্বাস করি যে একক ভাবে তারা কখনোই ক্ষমতায় যেতে পারবেনা, তাই তাদের নিয়ে এখনো চূড়ান্ত মাত্রায় ভীত নই।

ভারতের সাথে অন্যায্য চুক্তির জন্যই দেশ বিক্রীর কথা বলেছি। ফারাক্কা তো অনেক পুরানো ইস্যু। জনগন সচেতন না হলে এতদিনে টিপাইমুখ বাঁধ হয়ে যেত। হাছিনা সরকার তো এটার পক্ষেই বলে যাচ্ছে। বন্দর ব্যবহার করার বিনিময়ে টাকা চাওয়া অসভ্যতা, নদীর উপর দিয়ে বাঁধ দিয়ে ভারতের ট্রাক চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া ইত্যাদি ঘটনা দিয়ে দেশ বিক্রী ইঙ্গীত করেছি। এই সরকারের শুরুর দিকে হাছিনার ভারত ভ্রমণে কি চুক্তি করে এসেছে তা সংসদেও কেন আলোচনা করেনাই সেটার কি জবাব দেবেন? এসব জানার অধিকার জনগনের আছে। দেশ বিক্রীর চুক্তি করে আসেনিতো?

আমি জামাতিদের মত ভারত বিদ্বেষী নই। তবে ন্যয্যতার ভিত্তিতে সুসম্পর্কে অবশ্যই সমর্থন করি। কিন্তু সেটা কোনদিন দেখব বলে আর বিশ্বাস হয়না। তিস্তার পানি কি আদৌ কোনদিন পাব আমরা? আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে যে নদীতে অর্ধশতাধিক বাঁধ দিয়ে আমাদের ঠকাচ্ছে ভারত তার কি হবে? সীমান্ত হত্যা? আমাদের ইলিশ আমরা খেতে পাইনা কেন যেখানে ভারতীয়রা সস্তায় খাচ্ছে? যদি খালি এই কয়টা দাবী মেনে নেয় ভারত তাহলে বাংলাদেশ থেকে যে সুবিধাই চাক সব দিলেও আমি খুশি থাকব।

এবার শেষ প্রসঙ্গে আসি। //বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ বিরোধী দলে গেলেও আর হরতাল করবেনা// এই বানীটা কি মনে আছে? পরে যখন এই বানী তাকে শুনানো হল তার ভেটকী দেখে মেজাজ খুব খারাপ হয়েছিল। তিনি ভেটকি দিয়ে বলেছিলেন যে সরকার এই কথা প্রচার করে তার হরতালেরই প্রচার করছেন। ৮৬ এর স্বঘোষিত জাতীয় বেঈমান এর কথা মনে আছেতো? আর ১০ টাকা কেজি চাল? এইসব কি সত্য না মিথ্যা কথা? হিংসামীর উদাহরণ হচ্ছে খালেদাকে বাড়ি ছাড়া করা। যুদ্ধপরাধীর বিচার ইস্যুতেও হিংসামী দেখছি। শুধু বিরোধী দলের যুদ্ধপরাধী কেন তার দলের যুদ্ধপরাধী কি অপরাধী নয়? এইখানে এসে হাছিনার উদ্দেশ্য আমার কাছে অন্তত প্রশ্নবিদ্ধ। আমি সত্যি চেয়েছিলাম সকল যুদ্ধপরাধীর বিচার হোক।

আপনার শেষ কথাগুলো খুব ভাল লেগেছে।

//আওয়ামী লীগের দোষের কারনে বিএনপির দোষ মাফ হয়ে যাবে? //

অবশ্যই না। তবে বিএনপির দোষের কারনেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে গতবার। তো সেই একই দোষ যদি তারাও আরো বেশী মাত্রায় করা শুরু করে তখন? তখন ইতিহাসের দোহাই দিয়ে আপনি লীগের পক্ষে ভোট দিতে বলবেন। আর আমি বলব বিএনপিকে ভোট দিতে কারণ তাতে আইন শৃঙ্খলা তুলনামূলক ভাল হবে। রাস্তা ঘাটে ছিনতাই এখনকার চাইতে কমবে। ভারত এক তরফা সুবিধা পাবেনা। এমন আরও অনেক কিছুই লিখা যায়।

//একজনের অন্যায়ের রেফারেন্স দিলেই আরেকজনের অন্যায় ক্ষমাযোগ্য হয়না। //

একমত। তবে এই কথাটি আমাকে না বলে হাছিনা কে বলেন। এই কাজটি আপনাদের সরকারই বেশী করছে সেটা কি চোখে পড়েনা? এইতো কিছুদিন আগে সাংবাদিক হত্যার বিষয়ে হাছিনা হিসাব দিয়ে বললেন যে বিএনপির আমলেও অনেক সাংবাদিক হত্যা হয়েছে, কিন্তু তখন মিডিয়াতে আসেনাই, খালি লীগের আমলেই সব মিডিয়াতে আসে। এই কথাটা এখন আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখে কি এই কথা মানায়? আরেকজনের অন্যায়ের রেফারেন্স দিয়ে নিজের অন্যায়কে ক্ষমাযোগ্য করার চেষ্টা নয় কি?

১২ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৩৬

রুমি আলম বলেছেন: আমি অনেক যায়গাতেই বলেছি যে, আজকের বাংলাদেশে যে অন্যায়, অনিয়মের খেলা চলছে সেগুলোর ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল মুলত ১৯৭১ সালে। তখন পাকিস্তানী ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা যেসব ভয়ংকর কুকাজের নমুনা দেখিয়েছে অবরননীয়। এবং পরে বিভিন্ন কারনে বিচার বিলম্বিত হওয়ায় আজকের স্বাধীন বাংলাদেশে অন্যায় বিষফোড়ায় পরিনত হয়েছে।

ভারতের সঙ্গে বংলাদেশের সম্পরক বরাবরই স্পরশকাতর বিষয়। ভারতকে আওয়ামী লীগ বেশি সুবিধা দেয় এই কথাটি এযাবত কালের সবচেয়ে সফল মিথ্যাচার ও প্রপাগান্ডা। আপনি খেয়াল করে দেখুন, বঙ্গবন্ধু সরকার বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি নামক যে চুক্তিটি করেছিল সেসময় এবং পরেও এটাকে কুতসাকারে উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো, বঙ্গবন্ধুর পরে জিয়াউর রহমান, বিচারপতি সাত্তার, হোসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছেন অথচ কেউই চুক্তিটি বাতিল করেনি। এখানেই প্রমান হয়েছে যে, অপপ্রচার কেবলই ভোটের জন্য ও আওয়ামী লীগকে হেয় করার জন্য। আমার অবাক লাগে আপনার মতো বিচক্ষন ব্যক্তিও ঐসব অপপ্রচারের স্বীকার। আমি নিশ্চিত এটার জন্য আপনার কোনো দোষই নেই, সফলতা হলো আওয়ামী বিরোধীদের এবং অসফলতা হলো আওয়ামী লীগের।

শেখ হাসিনার মিথ্যাচার নিয়ে বলেছেন, দেখুন রাজনীতিতে অনেক প্রশ্নেরই সরাসরি উত্তর দেওয়া অসম্ভব। ইতিহাসের প্রেক্ষিতে কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যাদানের মধ্য দিয়েই ঘটনার বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হয়। তাই বলছি, ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিব(তখনো বঙ্গবন্ধু হননি) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটক অবস্থায় ইয়াহিয়ার গোল টেবিল বৈঠকে যোগদানের বিষয়ে প্রথমে কিন্তু উনি প্যারোলে মুক্ত হয়েই যেতে রাজি বলে ইয়াহিয়াকে জানিয়েছিলেন, কিন্তু একেবারে শেষবেলায় এসে সরাসরি বললেন, মামলা তুলে না নিলে তিনি জেল থেকে বেরুবেন না এবং গোল টেবিল বৈঠকেও যাবেন না। তারপরে ইয়াহিয়া কিন্তু বেকায়দায় পড়ে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এই ঘটনায় ইয়াহিয়ার নিকট শেখ মুজিব মিথ্যাবাদী হতে পারেন, কিন্তু সমগ্র বাঙালি তাকে মুকুটহীন সম্রাটে পরিনত করেছিল। আপনার হয়ত মনে থাকবে যে, ২০০১ সালের বিএনপি জোট আমলের শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ ও সংখ্যালঘুদের উপর যে অত্যাচার চালিয়েছিল, শেখ হাসিনার হরতাল ছাড়া কী প্রতিবাদের অন্যকোন ভাষা ছিল? নিশ্চয়ই ছিলনা। সেসময়ের বাস্তবতা উপলব্ধি করে দেখুন। খাদ্যে স্বয়ংসম্পুরন রাজকোষ দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়লেন কিন্তু তারা ক্ষমতায় এসেই তখন সারাদেশে আওয়ামী লীগ, সংখ্যালঘু, সাবেক এমপি, মন্ত্রী, শামসুন্নাহার হলে আক্রমন, ২১ আগস্ট, ১০ ট্রাক অস্ত্র, কানসাট আন্দোলন, জঙ্গীবাদ ইত্যাদি বিষয়গুলোর কথা নিশ্চয়ই আমাদের ভুলে যাওয়ার নয়। সেই প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার জন্য এরচেয়ে(হরতাল না করার কথা যদি সত্য হয়ে থাকে) ভয়ানক মিথ্যাচার করে হলেও প্রতিবাদ করতেই হতো এবং আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ না করলে এইদেশ ধবংস হতে বাকী থাকতো না।

১৯৮৬ এর নিরবাচনে শেখ হাসিনা সম্পরকে এটি ডাহা মিথ্যাচার। আসল ঘটনা ছিল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলই নিরবাচনে যাবে যৌথ সিদ্ধান্ত এমনই ছিল। কিন্তু ভোটের হাওয়া আওয়ামী লীগের দিকে এবং বিএনপি'র অনেক নেতা এরশাদের দলে চলে যাওয়ায়, অনেকেই দুরনীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে নিরবাচনে অযোগ্য ছিলেন তাই ৩০০ আসনে যোগ্য প্রারথী না থাকায় বিএনপি নিরবাচনে একেবারে শেষ মুহুরতে যায়নি। এক্ষেত্রে বিএনপি দুই জোটের যৌথ সিদ্ধান্ত বরখেলাপ করেছিল। যদিও পরে নিরবাচন নিরপেক্ষ হয়নি।
অবাক ব্যাপার হলো, এই ক্ষেত্রেও এরশাদ বরাবরই আওয়ামী লীগকে প্রতিদন্ধী ভাবতো তাই হেয় করার জন্য কুতসা করে এবং বিএনপির কট্টরপন্থী(রাজাকার ও সাবেক চীনাপন্থী কমিউনিস্ট গ্রুপ) নেতারা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে একাত্তরের প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্য অপপ্রচার চালিয়ে আগের মতোই সফল হয়। যার প্রমান আপনি নিজেই।
দশ টাকা কেজি'র বিষয়টি সম্পুরন মিথ্যা। এটি আগের একটু ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে কুমিল্লার একটি জনসভার ছবি জুড়ে দিয়ে করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার বাড়ি ছাড়ার বিষয়টি একেবারেই আইনগত। এখানে হিংসা অমুলক প্রতীয়মান হয়েছে। তাছাড়া খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধী হলেও কারো মধ্যেই হিংসা আছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনের এখনো কেউ উল্লেখ করেনি। এটা প্রধানত সুশীল সমাজের কতিপয় ব্যক্তির অপপ্রচার। রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদেরকে জনগনের সামনে হেয়প্রতিপন্ন করার সুগভীর চক্রান্তের অংশ মাত্র।

পত্রিকার সংবাদের বিষয়ে শেখ হাসিনা যা বলেছেন, এইক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কট্টর সমালোচক সৈয়দ আবুল মকসুদের একটি কথার উল্লেখ করছি, 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে অনেক সমস্যা ও সংকটের মধ্যেই বাক-স্বাধীনতা ও সাংস্ক্রিতিক করমকান্ড করার সুযোগ অনেক বেশিই পাওয়া যায়'। শেখ হাসিনার এই কথাতেও আমি বলবো, উনি মুলত সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার কথাই বলেছেন।

আপনার বিশ্লেষন ভুল। আপনি কোনোভাবেই এখনকার অবস্থাকে একটি 'সতন্ত্র' সময় হিসেবে ধরতে পারেন না। বরতমানের সকল কিছুই আগের সঙ্গে সম্পরকিত, আগেরটা তার আগের সঙ্গে। ঠিক এভাবে একটা চক্রাকার সাইকেলের মতো ক্ষমতার রদবদলের বিষয়টি। আমি ভুল বলেছি এজন্য যে, বিএনপি প্রধানত ১৯৭৫ এর হত্যাকান্ডের ফসল। এবং ১৯৭১-৭৫ সময়ের আওয়ামী লীগের "অসম্পুরন কাজগুলো" সম্পন্ন করার কথা বলে জনগনকে তাদের দিকে টেনেছে। অথবা এভাবেও বলা যায়, আওয়ামী লীগের শাসনের 'ফাকগুলো' ভরাট করার প্রতিশ্রুতি এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগের 'নীতির বাধ্যবাদকতা'র সুযোগ নিয়ে গড়ে উঠেছে।

একটি ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে গেলে অবশ্যই পুরবের ঘটনাপ্রবাহ আসবেই। কারন বরতমানতো অতীত থেকেই এসেছে।
আজকের আওয়ামী লীগ ও বিএনপি'র রাজনৈতিক হিসাব কোনোভাবেই নিরদিস্ট কোনো সময়কে গননায় ধরে করা যাবেনা। দল হিসেবে যেমন জন্মের শুরু থেকেই আমলে নিতে হবে, পাশাপাশি শাসনকালের হিসাবেও অতীতের সকল সময়ের ঘটনার প্রেক্ষিতেই করতে হবে। তানাহলে সেটা ইতিহাসের অজ্ঞতাই বলতে হবে।

"বাংলাদেশের সমগ্র ইতিহাসের মধ্যে একাত্তর সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায়। একাত্তরের পর থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসের মোড় ভিন্ন দিকে এগিয়েছে। সেটা শ্রুত কথার চিরাচরিত ধারা থেকে তথ্যসম্রিদ্ধ দলিল দস্তাবেজের উপর আসন নিয়েছে। কাজেই এখন আর শ্রুত কথায় বিশ্বাসের সুযোগ নেই। তথ্য প্রমানের ভিত্তিতেই অতীতের সকল ঘটনার সত্যাসত্য উদ্ঘাটন করতে হবে এবং মুল্যায়নও সেই আলোকেই করতে হবে।"

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ১২ ই জুন, ২০১২ ভোর ৪:২৫

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

১২ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রুমি আলম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ১২ ই জুন, ২০১২ ভোর ৪:৩৬

মামুন মুনতাসীর০০০ বলেছেন: আপনার লেখা দেখে মনে হচ্ছে ইতিহাস হালার পুতে যাই কউক না কেন তারে আপনি আপনার পক্ষে আইন্যা ছাড়বেন।
৮৬র নির্বাচন নিয়ে যে যুক্তি দিলেন তা মনে হয় হাসিনারও জানা নাই। আপনার কাছ থেকে একটা যুক্তি পাইলো সেইটা এখন দিতে পারব।

নিজের ব্যাপারে সত্যি কথা বলি। গত নির্বাচনে আমি মনে প্রানে চাইছি আম্লিগ জিতুক, আর এই সাড়ে তিন বছর পরে আমার সবচেয়ে অপছন্দ হল হাসিনা শব্দটা।
হাসিনার কাছে দেশের মানুষের যে আশা ছিল তার কানাকড়ি মেটানোর ইচ্ছাও তার নাই
আমার এখন বিশ্বাস হাসিনা রাজনিতিতে আসছে শুধু এবং শুধুমাত্র পিত্রিহত্যার শোধ নিতে, its nothing but revenge which brought her into politics.

১২ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:১২

রুমি আলম বলেছেন: আপনি আমাকে বা আমার লেখা নিয়ে কথা বলতেই পারেন। কিন্তু ইতিহাস! সেতো ধ্রুব সত্য। ঘটনা থেকে সময়ের দুরত্ব যতই বাড়ে ইতিহাসের সত্যাসত্য ততই উজ্জ্বল থেকে উজ্জলতর হয়। ১৯৮৬ এর নিরবাচনের বিষয়ে যথাযথ মুল্যায়ন করার জন্য আপনি এরশাদ সরকারের সাবেক তিন প্রধানমন্ত্রী মরহুম আতাউর রহমান খান(প্রধানমন্ত্রীত্বের নয়মাস), মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরী(রাজনীতির তিনকাল) এবং ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের(চলমান ইতিহাস জীবনের কিছু সময় কিছু কথা ১৯৮৩-১৯৯০) লেখা গ্রন্থগুলো দেখতে পারেন। একবার চোখ বুলিয়ে নিবেন সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ড মোহাম্মদ হান্নানের লেখা ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস বইটিতে। এবং ১৯৮৬ সালের নিরবাচনের আগে ও পরের পত্রিকাগুলোও দেখে সেসময়ের বাস্তবতা ও সত্যাসত্য উদ্ঘাটন ও উপলব্ধি করতে পারবেন আশাকরি।
আপনি নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন যে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিস্টানের বা সরকারের নিরদিস্ট কোনো ঘটনা বা সময়কে মুল্যায়ন করলে সেটা অসম্পুরন থেকে যাবে। কাজেই শেখ হাসিনার সরকারের অনেক অসফলতা বা জনগনের সবটুকু প্রত্যাশা পুরনে অসাফল্য থাকলেও শেষ বিচারের জন্য মেয়াদকালের বাকী সময়টুকু পরযবেক্ষন করার অনুরোধ রইল।
বঙ্গবন্ধুর বিচার বা যুদ্ধাপরাধীর বিচার এটা শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের দাবী হতেই পারে, কিন্তু এদেশের সকলেরই প্রত্যাশা হলো, যেকোন অন্যায়ের বা হত্যাকান্ডের বিচার হওয়া জরুরী।
যা মানুষ হিসেবেই আমাদের দায়িত্ব। অন্যথা জাতি হিসেবে এটা আমাদেরই দৈন্যতা বলতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ১২ ই জুন, ২০১২ ভোর ৬:৪৭

মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি অনেক কিছুই বুঝানোর চেষ্টা করলেন, কিন্তু একবার বিবেচনা করে দেখবেন কি আপনার যুক্তিগুলো নিরপেক্ষ কোন লোককে গেলানো সম্ভব? আপনার যুক্তিগুলো কেবল অন্ধ আওয়ামী লীগ সমর্থকের পক্ষেই মেনে নেয়া সম্ভব, তার কারণ বলছি।

আপনি ভারতের প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর করা চুক্তি কেন টেনে আনলেন তা আমার বোধগম্য নয়। এটা তো কোন গাণিতিক সমীকরণ নয় যে এভাবে বুঝিয়ে দেবেন। বঙ্গবন্ধু কে শ্রদ্ধা করি এবং বিশ্বাস করি তিনি দেশের ভাল চাইতেন। কিন্তু আমার সমস্যা তো তাঁকে নিয়ে নয়। সমস্যা হাছিনাকে নিয়ে। আপনি টিপাইমুখ, তিস্তা, আর জানুয়ারী মাসে করা চুক্তি নিয়ে কিছু বলেন। আপনার দাবী অনুযায়ী এগুলো যদি মিথ্যা প্রোপাগান্ডাই হয়ে থাকে তাহলে সত্য প্রকাশ করতে তাদের বাঁধা কোথায়? তা না করে কেন চুক্তি করে সেটা জনগণকে জানানো হচ্ছে না? কোন সমীক্ষার ভিত্তিতে বলা হচ্ছে যে টিপাইমুখ বাঁধে বাংলাদেশের ক্ষতি হবেনা? বর্তমানে আলোচিত আওয়ামী লীগের ভারত বান্ধব কাজ গুলোর অন্তত একটা কি আপনি প্রমাণ করে দেখাতে পারবেন যে এটা প্রোপাগান্ডা? আপনি কি আমাকেও নিজের মত অন্ধ আওয়ামী লীগ সমর্থক বলে চিন্তা করতে শুরু করে দিয়েছেন? বুঝতে চেষ্টা করুন জনাব, সঠিক যুক্তি ও তথ্য না দিলে আমাদের মত নিরপেক্ষদের সমর্থন আগামী নির্বাচনে আপনারা হারাবেন।

আপনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটি বিষয় বুঝাতে চাচ্ছেন যে বিএনপির জন্মেই গলদ আছে। আমি যেহেতু এই ব্যাপারে বিশারদ নই তাই তর্কে যাবনা। আমি আপনার কথা বিশ্বাস করলাম যে বিএনপির গোড়াতেই গলদ। তাতে কিন্তু আমার সমস্যা মিটেনা। এইসব বিষয় আমাদের সাধারণ জনগণের কাছে অর্থহীন। আমরা চাই আমাদের নাগরিক সুবিধা। যে দল আমাদের সুবিধা দিবে আমরা সেই দলের কাছেই যাব। বিগত সরকারের চাইতে এই সরকার কোন অংশেই সাধারণ নাগরিকের সুবিধা হয় এমন ভাল কিছুই দিতে পারে নাই। উলটো যোগ হয়েছে রাস্তা ঘাটের অনিরাপত্তা, আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি (আমি বিগত সরকারকে এইক্ষেত্রে ভাল বলছিনা তবে তুলনামূলক বিচারে অবশ্যই ভাল), সন্ত্রাসের উত্থান, জ্বালানী/দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ইত্যাদি। আমি বিশ্বাস করি সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এগুলোর এই রকম অবনতি অবশ্যই ঠেকানো সম্ভব। আওয়ামী লীগ এই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ তাই ইতিহাস বিবেচনায় তারা আমার কাছে কোন ফেভার পাবেনা। আমার দরকার নিজের অধিকার, ইতিহাস আমার দরকার নাই। এবং আপনার জানা আছে যে আমাদের মত ভোটারগনই নির্বাচনের ফলাফলের উপর বড় নিয়ামক।

এবার পরের পয়েন্টে আসি। বিএনপি সমর্থকেরা মেনে না নিলেও আমি নিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে মেনে নিচ্ছি যে হরতালের ব্যাপারে আর ১০ টাকায় চালের ব্যাপারে আপনি সঠিক বলেছেন। কিন্তু জ্বীনের বাদশার পোস্টটা এইখানে (নিচে) কপি পেস্ট করে দিলাম। এই মিথ্যাগুলো কিন্তু আমার মত নিরপেক্ষরা কোন যুক্তিতেই মেনে নিবেনা। হাছিনা যদি সত্যিই ভাল লোক হতেন তাহলে এইসব মিথ্যা বলার সত্যিই কি প্রয়োজন ছিল?

Click This Link

//১. (জ্বীনের বাদশার এই পয়েন্টটা কেটে দিয়ে সরাসরি আমি ২ নং এ চলে গেলাম।)


২.
কদিন আগে প্রধানমন্ত্রী সরকারের তিন বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে ভাষন দিলেন। আগ;রহ নিয়ে ইউটিউবে দেখতে বসলাম। প্রথম ছয় মিনিট ভালোই চলছিলো, কিন্তু মোটামুটি আট-ন' মিনিটের মাথায়ই উৎসাহ চলে গেলো, কারণ, এরই মধ্যে গন্ডাখানেক মিথ্যে সংখ্যা তিনি উপস্থাপন করে ফেলেছেন। আর দেখার উৎসাহ বোধ করলামনা, যে কয়টা ডাহা মিথ্যে তিনি বললেন, সেগুলো টুকে রাখার প্রয়োজনবোধ করলাম।

চালের দাম
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁরা ক্ষমতায় আসার আগে মানুষ যে চাল খেতো কেজি ৪০-৪২ টাকা, এখন নাকি সেই চাল মানুষ খায় কেজি ২৬ থেকে ৩০ টাকায়!

এবার দেখি কথাটা কতটুকু সত্যি।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার মাসখানেক পরে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম সিন্ডিকেটিং বন্ধ করতে পারলে চালের দাম কত হতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনার জন্য। সেখানে তথ্য উঠে এসেছিলো (শওকত হোসেন মাসুম ভাই জানিয়েছিলেন), ২০০৯ এর শুরুতে ইরি চালের দাম ছিলো ২৫-২৬ টাকা কেজি। এটা গরীবেরা খেতেন। মিনিকেট চাল ৩২-৩৬ টাকা, এটা সাধারণ মধ্যবিত্তরা খেতেন।
পক্ষান্তরে, এখন ২০১১ এর ডিসেম্বরের বাজার দর হলো, মোটা ইরি ৩৬-৩৮ টাকা, মিনিকেট ৫৫-৫৮টাকা!

প্রধানমন্ত্রীর এই কতটা ডাহা মিথ্যা।
নাকি তিনি বুঝাতে চেয়েছেন যে তখন যারা সবচেয়ে দামী চালটা ৪০-৪২ টাকায় খেতো, তারা এখন আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় মোটা চাল খেতে শুরু করেছেন? এতেও তো হিসেব মেলেনা!
তাহলে কি লোকে এখন ৮০০ গ্রাম ইরির সাথে বাকী ২০০ গ্রাম ইট/পাথর মিশিয়ে কেজি ৩৬ টাকার চাল কেজি ৩০ টাকা হিসেবে খাচ্ছেন?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, চালের নিয়ে দাম নিয়ে চাপাবাজি করা মানে গরীবের পেটে সরাসরি লাথি মারা।



দারিদ্র‌্য বিমোচন
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর শতকরা হার নাকি গত তিন বছরে ৪০% থেকে কমে ২৩% এ নেমেছে। এই উপাত্ত তিনি কোথায় পেলেন? একটা সংখ্যা মাথায় এলেই কি সেটা বলে দিতে হবে? তিনি কি মনে করেন তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগেও গোয়েবলসের মতো একটা মিথ্যে সংখ্যা দশবার বললে লোকে সেটা বিশ্বাস করা শুরু করবে?

এবার দেখি পরিসংখ্যান কি বলে?

সিআইএ ফ্যাক্টবুকে ২০১০ সাল শেষে বাংলাদেশে দারিদ্র‌্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের শতকরা হার দেয়া আছে ৪০%! এখানেও আছে । মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী কি বলতে চাচ্ছেন যে গত একবছরে তিনি দারিদ্র্য প্রায় অর্ধেক কমিয়ে ফেলেছেন? গত বছর কি এমন ঘটেছে যে দেশের গরীব মানুষেরা হঠাৎ অগরীব হয়ে গেছেন? কোথায় পান তিনি এসব সংখ্যা?
আমি তো বরং বলবো তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের হাতে ঘটা শেয়ারবাজার জালিয়াতির ফলে বেশ ভালো সংখ্যক নিন্ম মধ্যবিত্ত ব্যক্তি দারিদ্র‌্যসীমার নিচে চলে গেছেন।
দারিদ্র‌্য কমানোর স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী দেখছেন হয়তো, সাধুবাদ জানাই। তবে কোনটা স্বপ্ন আর কোনটা বাস্তব সেটা তো বোঝা উচিত, তাইনা?



বিদ্যুৎ উৎপাদন
বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে শেখ হাসিনা মিথ্যাচার করে আসছেন আজ বহুদিন!তাঁর কথাবার্তায় মনে হয় ২০০১ থেকে ২০০৮ এ আমরা বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে বাস করেছিলাম, এবং এখন তাঁর আমলে বিদ্যুতের সাগরে সারা দেশ ভাসছে।
তিনি বলেছেন আগের সাত বছরে এক মেগাওয়াট বিদ্যুতও জাতীয় গ্রিডে সোগ হয়নি, আর গত তিন বছরে আড়াই হাজার থেকে চার হাজারের বেশী মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে।

এবার দেখি পরিসংখ্যান কি বলে:
ইনডেক্সমান্ডির এই পেজে দেখুন। বছরভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপাত্ত দেয়া আছে।
হতাশাজনক হলেও যেটা সত্য, তা হলো, রাজনৈতিক সরকারের আমলে গড়ে প্রতিবছর মাত্র ১ বিলিয়ন কিলোওয়াট-আওয়ার উৎপাদন বাড়লেও, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বেড়েছে প্রতিবছর ২.৭ বিলিয়ন কিলোওয়াট-আওয়ারের কাছাকাছি।
একইসাথে শেখ হাসিনার জন্য যেটা হতাশাজনক, তা হলো, মুখে যতই মিথ্যাচার করুননা কেন, বাস্তবে তাঁর এই আমলে এই বৃদ্ধির হার বিএনপির গত আমলের চেয়েও কম!!


মাথাপিছু আয়
শেখ হাসিনা বললেন এই আমলে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় সাড়ে ছয়শ থেকে বেড়ে নাকি আটশো আটাশ ডলার হয়েছে!

আবারও আসুন দেখি পরিসংখ্যান কি বলে?
ইনডেক্সমান্ডির এই পেজে পিপিপি পারক্যাপিটার বছরভিত্তিক ডেটা আছে। পেজের ডেটাগুলো দেখলে কষ্ট পাবেন। মাথাপিছু আয় কমছে! কারণ জিডিপি ৬% হারে বাড়লেও, মুদ্রাস্ফীতির গড় হার ৮% এর বেশী।

প্রধানমন্ত্রী অবশ্য যে ৮২৮ ডলারের কথা বলেছেন, সেটা পিপিপি পার ক্যাপিটা ইনকাম না, সেটা হচ্ছে প্রকৃত মাথাপিছু আয়।


এবার আসুন কিছু হিসেব করে বের করি ২০১১ তে আমাদের মাথাপিছু আয় আসলে কত হতে পারে (শকিং!):

সিআইএ ফ্যাক্টবুকে বাংলাদেশের জিডিপির ২০১০ সালের উপাত্ত দেয়া আছে। ইউ এস ডলারে জিডিপি বা মোট আয় (প্রকৃত), ১০৪৯০ কোটি ডলার, এবং এখান থেকে হিসেব করলে,
প্রকৃত মাথাপিছু আয় হবে, (১০৪৯০ কোটি/১৬ কোটি) = ৬৫৫ ডলার।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট ছিলো ৭০.৪৭ টাকা। মানে, বাংলাদেশী টাকায় দেশের জিডিপি দাঁড়ায় (১০৪৯০ * ৭০.৪৭) = প্রায় ৭ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা।

আইএমএফের উপাত্তে ২০১১ তে প্রবৃ্দ্ধির হার ৬.৪%।
ফলে, ২০১১ তে বাংলাদেশী টাকায় দেশের জিডিপি দাঁড়ায়, ৭৪০০০০*১.০৬৪ = ৭৮৭৩৬০ কোটি টাকা।

এখন এই টাকাকে ডলারে বদল করলে (১ ডলার = ৮২ টাকা) পাই,
৭৮৭৩৬০/৮২ = ৯৬০০ কোটি ডলার।

মাথাপিছু প্রকৃত আয় দাঁড়ায়, ৯৬০০/১৬ = ৬০০ ডলার!!

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপাত্তগুলো শুনতে ভালোই শোনায়, কিন্ত হিসেবগুলো মেলেনা।//

১২ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৩২

রুমি আলম বলেছেন: নিরপেক্ষতা আপনি কীসের উপর ভিত্তি করে নিরনয় করবেন সেটা অবশ্যই প্রত্যেকের নিজস্ব দ্রিস্টিভঙ্গি ও মনোচেতনার উপর নিরভর করে।
চুক্তির বিষয়ে ভারত-পাকিস্তান মৈত্রী চুক্তির উল্লেখ এজন্যই করেছি যে, সেটার বিরুদ্ধে যে কত বড় অপপ্রচার/ প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছিল শুধু সেটা বুঝানোর জন্যই। এখনো যেকোন চুক্তির আদি অন্ত না জেনেই আমরা বিরোধীতা করতে শুরু করি। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে সেসব বিরোধীতা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। এক্ষেত্রেও যে তেমনই হবে এটাই বুঝাতে চেয়েছি।

আপনি বরতমান রিয়েলিটির কথা বলেছেন, বরতমান রিয়েলিটিতো জন্ম নিয়েছে অতীত থেকেই। তাইনা? তাহলের অতীতের শুদ্ধতা চাইবো না? এই আধুনিক যুগেও যদি আমাদের কলংকিত অতীত নিয়েই চলতে হয় তাহলে পরবরতী প্রজন্মও আপনার মতোই বিভ্রান্ত হবে অন্তত গুরুত্বপুরন কিছু বিষয়ে। এবং তারাও তাদের পুরবপুরুষদের ক্ষমা করবেনা। এজন্যই আমি অতীত শুদ্ধিতার কথা বলেছি মাত্র। এটা এজন্যই দরকার, যে জন্য ব্যক্তি পরযায়ে আমরা আমাদের পরিবারের পুরবপুরুষের কথা জানতে চাই, স্ম্রিতি ধরে রাখতে চাই। ব্যক্তির ভাবনাগুলো যখন অন্যসকলের জন্য প্রয়োজনীয় ও বাস্তব হিসেবে গ্রিহীত হয়, সেটাইতো পরে রাস্ট্রীয় দাবী ও বাস্তবায়নে রুপ নেয়। এভাবেই ব্যক্তির ভাবনা পরিবারে, পরিবারের ভাবনা সমাজে, সমাজের ভাবনা রাস্ট্রের চাহিদা নিরুপনে ভুমিকা রাখে। অবশ্য এসব বিষয়গুলো আমার চেয়ে আপনিই ভালো উপলব্ধি করতে পারবেন।

আপনার তথ্য, পরিসংখ্যান ও মুল্যায়নের বিষয়ে আরেকটি মন্তব্যে নীচে লিখছি।

১৭| ১২ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৩৬

রুমি আলম বলেছেন: মেহেদি পরাগ@ আপনার প্রতিটি বিষয়ের আলাদা আলাদা উত্তর দেওয়া খুবই কস্টসাপেক্ষ। আমি চেস্টা করছি আমার সংগ্রিহীত তথ্যগুলো দিতে।

প্রথমেই বিদ্যুৎ খাতঃ
গত তিন বছরে সারাদেশে প্রায় ২২ লাখ গ্রাহককে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ লোক নতুনভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এসেছে।
বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ৫৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এসেছে। যা ২০০৯ সালে ছিলো মাত্র ৪৭ শতাংশ। ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৩শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়েছে।
জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত কর্তৃক উপস্থাপিত আগামী (২০১২-১৩) অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে পথনকশা : দ্বিতীয় হালচিত্র’ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের চেয়ে বর্তমানে লোডশেডিংয়ের মাত্রা দৈনিক গড়ে প্রায় ৭শ’ মেগাওয়াট কমেছে। ২০১০ সালে লোডশেডিং ছিল দৈনিক গড়ে ১২শ’ থেকে ১৫শ’ মেগাওয়াট। বর্তমানে তা কমে এসে ৫শ’ থেকে ৮শ’ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে।
২০১০ সালের এপ্রিল থেকে ২০১১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পায় ২শ’ মেগাওয়াট এবং সে সময় উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ৮শ’ মেগাওয়াট। ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছিল ১ হাজার মেগাওয়াট এবং সে সময় উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছিল ২ হাজার মেগাওয়াট। এর ফলে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। তবে এই সময়ে বিদ্যুতের সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তা পর্যায়ে লোডশেডিং হ্রাসের সুবিধা আনুপাতিকভাবে দৃশ্যমান হয়নি।
অপর দিকে ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে শিল্পখাতে সংযোগ ছিল ২ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৩টি এবং সেচ সংযোগ ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার ২৬০টি। যা ২০১২ সালে তা বেড়ে যথাক্রমে ২ লাখ ২১ হাজার ৯৮৮টি এবং ২ লাখ ৯০ হাজার ৩শ’টিতে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ গত এক বছরে শিল্পখাতে ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং কৃষিখাতে ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ সংযোগ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ২২০ কিলোওয়াট আওয়ার। যা ৩ বছরে বেড়ে ২৬৫ কিলোওয়াটে উন্নীত হয়েছে।
২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলে ৯ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে যা মোট বাজেটের ৫ শতাংশ। গত ২০১১-১২ অর্থ বছরের চেয়ে এবার ১ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ২৯৪ মেগাওয়াট নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারি ও বেসরকারি খাতে মোট ৫২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০১৩-১৪ সালের মধ্যে এ কেন্দ্রগুলো বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলে আশা করা যায়।
এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি খাতে ৫ হাজার ৬শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরো ৩০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য কার্যাদেশ প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এগুলো ২০১৫-১৬ সাল নাগাদ ঊৎপাদনে আসবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালের ফেব্র“য়ারি নাগাদ গ্যাসভিত্তিক পুরাতন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করে আরো ৭শ’ থেকে ৮শ’ মেগাওয়াট অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এ ছাড়া বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ২০১৩ সালে ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। ২০১৬ সাল নাগাদ যৌথ বিনিয়োগে ২ হাজার ৯৩৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
২০৩০ সালের মধ্যে নিউক্লিয়ার এনার্জি থেকে প্রায় ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, এ যাবৎ সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে প্রায় ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। ২০২০ সাল নাগাদ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৩ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে বলে আশা করা যায়। পাশাপাশি শতভাগ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে ৫৬ হাজার ৪১৫টি প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে।

১৮| ১২ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:২০

রুমি আলম বলেছেন: বাজেট বক্ত্রিতা থেকে বিদ্যুৎ বিষয়ের কথাটুকু দিলাম উপরে। বেসরকারীভাবে বা অন্যকোনোভাবে এর ভিন্নতা থাকলেও থাকতে পারে।
আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় চালের ব্যাপারে বলতে পারি, হাতিরপুল বাজার থেকে 'মিনিকেট চাল' ৪৩-৪৫ টাকায় নিয়মিত কেনা যায়।
অন্য বিষয়গুলোর অনুপুংখ বিশ্লেষন ও ব্যাখ্যাস্বাপেক্ষে উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে আপাতত অসম্ভব।
তবে বাস্তবতা উপলব্ধি থেকে বলা যায়, তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নতির কল্যানে মানুষ দুনিয়ার এইমাথা থেকে অন্যমাথার খবর খুব সহজেই রাখতে পারে। আমাদের দেশের মানুষও সেটার অন্যথা নয়। তাই উন্নত দেশগুলোর সুযোগসুবিধা দেখে আমরাও প্রত্যাশা করি সেইরকমটাই এবং এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা, অধিক জন্মহার ও সরকারি-বেসরকারী সবখানেই অব্যবস্থাপনা ইত্যাদির দরুন সেই প্রত্যাশিত যায়গায় দ্রুত পৌছে যাওয়া অসম্ভব ব্যাপার। সেটা যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক! তাছাড়া বিশ্ব আরথ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে আমাদের মতো অনুন্নত/উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শক্তিশালী দেশগুলোর প্রভাব থাকবেই। এইসব অনেক যৌক্তিক কারনেই কোনো সরকারই মেয়াদ শেষে জনগনের মন পাওয়া দুষ্কর! এক্ষেত্রে যেটা মুল্যায়নের বিষয় সেটা হলো, কোন দলীয় সরকারের দ্রিস্টিভঙ্গী কী? কারা কীভাবে শাসন প্রক্রিয়া চালাতে চায়? দুরদ্রিস্টি কোন দলের বেশি এইগুলো।
তবে এটা ঠিক কোনো একক দল নয় বরং সকল অসম্পুরনতার দায়ভার রাজনীতিকদেরই নিতে হবে, কেননা তারাই সমাজের নেত্রিত্ব দেয়।

আমাদের মনে রাখতে হবে, সুশিক্ষায় শিক্ষিত নৈতিক ও মানবিক মুল্যবোধসম্পন্ন জনগোস্টী ব্যতিরেকে গনতন্ত্র মুল্যহীন।

১৯| ১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ১:২১

মামুন মুনতাসীর০০০ বলেছেন: ২০১০ সালের চেয়ে বর্তমানে লোডশেডিংয়ের মাত্রা দৈনিক গড়ে প্রায় ৭শ’ মেগাওয়াট কমেছে। ২০১০ সালে লোডশেডিং ছিল দৈনিক গড়ে ১২শ’ থেকে ১৫শ’ মেগাওয়াট। বর্তমানে তা কমে এসে ৫শ’ থেকে ৮শ’ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে।

আপনি যদি মুহিত সাহেবকে জিগান যে সে এইটা বিশ্বাস করে কি না তাহলে সেও না বলবে নিশ্চিত থাকেন। ৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং মানে বুঝেন? সারাদেশে সর্বোচ্চ দিনে ১-২ ঘন্টা লোডশেডিং হইত।
পরিসংখানের ভেলকিবাজি খুব দেখানো যায়, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।
ঐ দিন দেখলাম শেখ হাসিনা বলল দেশে নাকি এখন দারিদ্র্যের হার ২৩%। অথচ আমার গ্রামেই এই হার কমপক্ষে ৫০%। তারুপরে গত তিনবছরে টানা ১০% এর উপর মুল্যস্ফিতি থাকায় নতুন করে আরো বহু মানুষ দরিদ্র হয়েছে যারা আগে ছিল নিম্ন মধ্যবিত্ত।
কয়দিন আগে পরিসংখ্যান ব্যুরুর এক রিপোর্ট এ দেখলাম দেশে নাকি বেকার মোট সংখ্যা ২৪ লাখ, শুনে হাসমু না কাদমু বুঝটে োারছিলাম না, এতই বোকা আমরা জনগন? ২৪ লাখ যদি বেকার হয় এই দেশের ১৬ কোটি মানুষে তাইলে হলফ করে বলতে পারি আমাদের অবস্থা আমেরিকা, কানাডা থেকে বহুত ভাল।
আসলেই কি তাই?


আবার হাসিনা বলল গত তিন বছরে নাকি ৬৮ লাখ কত হাজার কত জনের কর্ম সংস্থান হইছে। আমি নিশ্চিত হাসিনা এই সংখ্যা স্টেজে বসে বানাইছে। তারে আবার যদি বলটে বলেন এই সংখ্য তাইলে নিশ্চিত ফেল মারবো!

১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ২:১১

রুমি আলম বলেছেন: আপনি যখন স্থির থাকবেন যে, অন্যে যা বলবে বা আপনি যাদের মজ্জাগতভাবে পছন্দ করেন না বা খন করেন না ব্যক্তিস্বারথের কারনে, তখন নিশ্চিত বলা যায় আপনার নিকট আইন, সত্য বা যেকোনো পরিসংখ্যান ভুল ও মিথ্যা হতে বাধ্য।
আপনার এই মন্তব্যে আপনি নিজেই সকল প্রশ্নের 'আপনামত'বা উত্তর দিয়েও দিয়েছেন। কাজেই আপনার সঙ্গে এখন সরকারী পরিসংখ্যান বা সেটার সত্যতা নিয়ে বিতরক করা ফিলসোফিকেলি আনমেরিট।

দয়াকরে, আমার পোস্টের কথা এবং এই ব্লগের অপরাপর মন্তব্যের উত্তরগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন, আমি ইতিহাসের অন্যায় ধারাক্রমের ভিত্তিতে রচিত বরতমানের বেচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীন, তাই অতীতের শুদ্ধিতার প্রয়োজনীয়তা এবং সেই অশুদ্ধিতা কারা ও কীভাবে আনয়ন করেছে, কিভাবে বিস্তার লাভ করেছে এই বিষয়গুলো সাধ্যমতো উপস্থাপনের চেস্টা করেছি। এবং আমি নিশ্চিতভাবেই জানি এহেন অশুদ্ধিতার বিস্তার লাভের ফসল এখনকার অনেকেই। যারা হুজুগে বা না বুঝে অথবা ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বারথে জড়িত হয়েছে। এটাই ছিল আমার এই ব্লগের মুল প্রতিপাদ্য বিষয়।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ১৩ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৫৯

মামুন মুনতাসীর০০০ বলেছেন:
আমার সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন তার কোন গুরুত্বই এখানে নেই।

আমি শুধু প্রশ্ন করেছি আপনি কি বিশ্বাস করেন বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ২৪ লাখ, গত তিন বছরে ৬৮ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করেছে সরকার, দেশে লোডশেডিং মাত্র ৫০০ মেগাওয়াট???? আপনি যেহেতু সরকারের দেয়া হিসেবের কথা বলেছেন তাই আমি তার বাস্তবতা নিয়ে জানতে চেয়েছি।

তারো আগে আমার প্রশ্ন আপনি আদৌ বাংলাদেশে থাকেন তো??

ইচ্ছে না হলে জবাব দেয়ার দরকার নেই, কিন্তু কতগুলো এবস্ট্রাক্ট কথা আমাকে শুনানোর দরকার নেই।
ধন্যবাদ।

১৪ ই জুন, ২০১২ রাত ২:২১

রুমি আলম বলেছেন: দেখুন, আপনার সম্পরকে মুল্যায়নকে আপনি গুরুত্ব না দিলেও আমার নিশ্চয়ই গুরুত্ব দিতে হবে। কারন, কে কী উদ্দেশ্য কোন কথা বলে সেটা অনুধাবন করা আমার প্রয়োজন পড়তেই পারে। অবশ্য বিষয়টি যার যার ব্যক্তিগত।

আমি এইসব বিষয়ের পরিসংখ্যান দিয়ে সত্যাসত্য নিরুপন করতে সক্ষম নই। কারন, সেজন্য রীতিমত মাঠ পরযায়ে জরিপ ও গবেষনা চালাতে হবে। যা আমার পক্ষে অসম্ভব বটে!

আর প্রধানমন্ত্রী/মন্ত্রী বা সরকারের অন্য কেউ যখন কোনো বিষয়ে তথ্য দিয়ে কথা বলে নিশ্চয়ই সেটা অফিসিয়ালি কালেকটেড তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতেই বলে। এটাই যেকোন সরকারের জন্য সাভাবিক।
তবে বাস্তবতা হলো, সরকারের অন্যান্য বিষয়ের কাজের উপর নিরভর করে, জনগন তাদের দেওয়া তথ্য কতটুকু বিশ্বাস করবে অথবা অবিশ্বাস করবে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগের ক্রমউন্নতিতে এটা খুবই সাভাবিক যে, বেকারের সংখ্যা দ্রুত কমেছে। সকল সেক্টরেই প্রচুর নিয়োগ হয়েছে এটা অবশ্যই সত্য। তবে সংখ্যা আমার বলার সুযোগ নেই। তাই সরকারেরটাই রেফারেন্স। এবং চাকুরীর ক্ষেত্রে শধু সরকারী খাতের কথা কোনো সরকারই বলবে না। এক্ষেত্রে সরকারের সময়সীমার মধ্যে শিল্প কারখানা স্থাপন এবং সেখানে সরকারের সহযোগিতার দরুনই যে চাকুরীর সুযোগ তৈরি হয়, সরকারগুলো সাধারনত সেই সবগুলোর পরিসংখ্যানই উল্লেখ করে।

হ্যা, আমি বাংলাদেশের ঢাকা শহরেই থাকি।

যেহেতু ব্লগ লিখি, তাই অবশ্যই নৈতিক দায় থেকেই উত্তর দেওয়ার চেস্টা করি। শুধু সময় ও সাধ্যের সমন্বয়ের জন্যে যেটুকু দেরি।

আমি বরং যৌক্তিক বিতরক খুবই উপভোগ করি। এই ব্লগে এবং অন্যদের ব্লগেও আমার করা মন্তব্য/প্রতিউত্তরই তার প্রমান।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.