নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্কুল পালানোর গল্প

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭


তৃতীয় শ্রেণিতে উঠার পর স্কুল পালানো শুরু। টিফিনের পর কয়দিন ক্লাস করেছি, মনে পড়ে না। ঘন্টা পড়ার পর শার্টের নিচে হাফপ্যান্টের সঙ্গে বইগুলো চেপে ভোঁ দৌড়।

যেদিন বই বেশি থাকত, জানালা দিয়ে বাইরে সেগুলো ফেলতাম। তারপর প্রস্রাব করার বাহানায় বাইরে এসে বইগুলো নিয়ে পাশের জঙ্গলে ঢুকতাম। তারপর কে আমাকে পায়!

চারটার আগে বাড়িতে গেলে মা বকবে, তাই টইটই করে সারা গ্রাম ঘুরতাম। চারটা বাজার পর বাড়িতে যেতাম। বইগুলো রেখে খেয়েদেয়ে আবার বাইরে বেরোতাম। সন্ধ্যে পর্যন্ত খেলাধুলা চলত।

আমাদের কমন খেলা ছিল দাঁড়িয়াবান্ধা। এছাড়া কাবাডি খেলতাম, ক্রিকেটও খেলতাম। ব্যাট হিসেবে ব্যবহার করতাম তালপাতার ডগা। জাম্বুরা দিয়ে ফুটবল বানিয়ে ফুটবলও খেলা হতো।

সন্ধ্যের পর সাড়ে আটটা পর্যন্তু চলত পড়ালেখা। তারপর টিভি দেখা। টিভি বলতে বিটিভি। বিটিভিতে তখন ভালো ভালো নাটক হতো। ধারাবাহিক নাটকগুলোর পর্ব দেখার জন্য সপ্তাহ করে অপেক্ষা করতে হতো।

আমাদের বাড়িতে যখন টিভি ছিল না, তখন পাশের বাড়িতে চলে যেতাম। সেখানে যদি ব্যাটারিতে চার্জ না থাকত, দেড় কিলোমিটার পথ হেঁটে পাশের গ্রামে চলে যেতাম। শুক্রবারে চলা বাংলা সিনেমা তো কখনোই মিস করতাম না।

পুকুরে সাঁতার কাটা ছিল নিত্যদিনের অভ্যাস। দেখা যেত দিনে এক-দু ঘন্টা সময় সাঁতার কেটেই কাটত। জাল দিয়ে মাছ ধরতাম। অনেক সময় বরশি দিয়ে।

বাড়ি থেকে বেশ দূরে একটা খাল ছিল। কিশোর বয়সে বহুবার সেখানে জাল নিয়ে মাছ ধরতে যেতাম। খালুইয়ে করে ছোট মাছ আনতাম।

আমাদের গ্রামটা বেশি বড় নয়। প্রায় সব বাড়িতেই যাতায়াত ছিল। আমার বাবাকে সবাই চিনত। স্কুলে যাওয়ার সময় এক পোস্ট মাস্টারের বাড়ির ওপর দিয়ে যেতে হতো। ওই বাড়িটাকে কেউ কেউ উচালিবাড়ি বলত। উচালি জিনিসটা কী; এটা কখনও জানা হয়নি।

চতুর্থ, পঞ্চম বা আরও ওপরের ক্লাসে উঠার পর খুব কমই স্কুল মিস করেছি। স্কুল পালালেও স্কুলে যাওয়া কিন্তু কমেনি। ন্যূনতম টিফিন পর্যন্ত ক্লাস করেছি। বৃষ্টি-বাদলও স্কুলে যাওয়া থামাতে পারেনি। ছাতা না থাকলে দেখা গেছে কলাপাতা মাথায় দিয়ে স্কুলে গেছি।

পঞ্চম শ্রেণিতে বাংলায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছিলাম। গণিতে বরাবরই দুর্বল ছিলাম। হাইস্কুলে ইংলিশে ভালো করতে শুরু করি। এই ধারাবাহিকতা কলেজ পর্যন্ত থাকে। কিন্তু গণিতের ভয় কখনও কাটেনি। কলেজে উঠার পর হিসাববিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁক বাড়তে থাকে।

হাইস্কুলে উঠে বেশ চাপে পড়ি। হাতের লেখা না নিলে নীল ডাউন করে রাখা হতো। পড়া না পারলে মার। পড়ার জন্য মার কমই খেয়েছি, তবে হাতের লেখা না নেওয়ায় নীল ডাউন হওয়া কমন ছিল। আমার লেখা নিতে মনে থাকত না। অনেকদিন লেখা লিখেও ভুলে বাড়িতে রেখে গিয়েছি।

দশম শ্রেণিতে পড়ি তখন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় দু’দিন স্কুলে যেতে পারিনি। সুস্থ হয়ে স্কুলে যেতে ভয় লাগছিল। কারণ, তখন নতুন নিয়ম হয়েছে ক্লাসে। একদিন না গেলে দশ টাকা জরিমানা, সাথে মার ফ্রি। তৃতীয় দিনও মিস গেল। স্কুলে যাব কী যাব না, ভাবছি। তিনদিনে ত্রিশ টাকা জরিমানা। ত্রিশটা বেত্রাঘাত।

ভয়ে স্কুলেই গেলাম না দেড় মাস। ক্লাস টিচার দ্বিজেন স্যারের মার খাওয়ার শখ হয়নি। বাড়িতেই পড়তাম। সহপাঠীদের কাছ থেকে পড়া জেনে নিতাম। এরপর বেশিদিন ক্লাস ছিল না অবশ্য। সামনে নির্বাচনী পরীক্ষা। একেবারে সে সময়ই স্কুলে গেলাম।

ছবি: ইন্টারনেট

আরও পড়ুন: পুরানো সেই দিনের কথা (ছেলেবেলার পোংটামি)

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: তৃতীয় শ্রেণিতে থাকতে স্কুল পালাবার ভূত মাথায় চাপলো কেন? সাধারণত এটা হয় নবম দশম শ্রেণীতে।

ভালই লাগলো প্রকৃতির সাথে মিলে মিশে আপনার আনন্দময় দিনের কথা পড়তে। দেড় মাস পর যখন স্কুলে গেলেন তখন কি ফাইন আর শাস্তি পেতে হয়নি?

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নির্বাচনী পরীক্ষা ছিল তখন। সমস্যা হয়নি।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

শৈশবে স্কুল যারা পালিয়েছে,এটা কোনভাবে এদের জীবনের উপর প্রভাব ফেলেছে ?

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হ্যাঁ।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:




ক্লাস থ্রী মানে অনেক ছোট, এই বয়সে হারিয়ে যাবার ভয় থাকে। স্কুল পালানো সেতো অনেক দূরের কথা !

উচালি জিনিসটা কী; এটা কখনও জানা হয়নি।

জেনে আমাদের জানাবে, কখনো শুনিনি।

রূপক শৈশবে দুরন্ত ছিলো কিন্তু এখন শান্ত মনে হয়, আসলেও কি তাই?


০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমাদের বাড়ি থেকে স্কুল বেশি দূরে ছিল না। তাই হারিয়ে যাবার ভয় ছিল না। গ্রামটা তেমন বড় নয়।

রূপক শৈশবে দুরন্ত ছিল কিন্তু এখন শান্ত মনে হয়, আসলেও কি তাই? হ্যাঁ :)

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নাইনে থাকতে এক দুষ্ট বন্ধুর প্ররোচনায় স্কুল পালিয়ে ছিলাম। ভয়ে তির তির করে গা কাপছিল।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: স্কুল পালানো সাহসের কাজ :D গ্রামের সরকারি স্কুলে পড়ায় এত বিধিনিষেধ ছিল না।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: স্মৃতিকথা ভালো লগলো।তাও আবার শৈশবের।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:০১

দারাশিকো বলেছেন: খুব বেশি স্কুল পালাইনি - হাতে গোনা দুই তিনদিন মাত্র। আসলে স্কুল পালিয়ে কিছু করার ছিল না, কারণ আমার বন্ধুরা কেউ স্কুল পালাতো না, যারা পালাতো তাদের সাথে বন্ধুত্ব ছিল না। :(

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে B-)

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১৭

শায়মা বলেছেন: দাড়িয়াবান্ধা আর কাবাডি একই খেলা না?

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হা-ডু-ডু আর কাবাডি এক। দাড়িয়াবান্ধা না।

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১৮

শায়মা বলেছেন: স্কুল পালাইনি গেটে তালা দেওয়া থাকতো কিন্তু কলেজ পালিয়েছিলাম হা হা সেখানে কোনো তালা ছিলো না।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কলেজে বিধিনিষেধ কমই থাকে। শহরের হিসেব আলাদা অবশ্য।

৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৩৬

শার্দূল ২২ বলেছেন: তখন আমরা থাকতাম টঙ্গিতে, চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ি। মতিন স্যারকে আমি খুব ভয় পাই, তার অংক ক্লাশ মানে আমার কাছে পুরাই আতংক, ওনার চোখ দুটো মানে সাক্ষাৎ আগ্নেয়গিরি।তার ভয়ে একদিন ক্লাশ ফাকি দিয়ে রেললাইনে পাথর নিয়ে খেলছি। আব্বু পুবাইলে দিয়ে অফিসের গাড়ি করে কোথায় যেন যাচ্ছিলো এতদুর থেকে আমাকে দেখেই চিনে ফেললো। ধরে নিয়ে সোজা থানায় হাজতে । থানার সবাইকে বলে দিলো শার্দুলকে কেউ যদি লকাপ থেকে বের করে তার চাকুরি থাকবেনা। সারাদিন সব গুলো আন্কেল আমার সাথে। ভিতরে দুইজন আমাকে আপেল কমলা খুলে খুলে দিচ্ছে আর বাইরে গুলো এটা সেটা এনে দিচ্ছে। সবাই বলছে বাবা তুমি যা চাও সব আমরা এনে দেব শুধু বের করতে পারবোনা। বের করলে স্যার আমাদের আস্ত রাখবেনা। আমি মনে মনে ভাবি এইখাতির জেল হাজতে পেলে বের হতে কে চায়। স্কুল ফাঁকিতে এত সুখ আগে জানা ছিলোনা। সন্ধ্যায় আব্বুর সাথে বাসায় ফিরলাম। বাসায় যে লংকা কান্ড ঘটেছে ,আম্মু আব্বুর সাথে ৭ দিন কথা বলেনি, আমাকে চোর ডাকাত যেখানে থাকে সেখানে রাখার অপরাধে আব্বুর খাওয়া ঘুম হারাম করে দিয়েছে আম্মু, । সেসব দেখে জীবনে আর এই কাজ করার ইচ্ছে হয়নি।

জীবন থেকে নেয়া গল্প গুলো আমার পড়তে ভালো লাগে, আমাদের জীবন কত ঘটনা বহুল ,এসব লেখে শেষ করা যাবেনা। কে যায় অতীত ইতিহাস পাতিহাস নিয়ে ভাবতে।

শুভ কামনা

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার ঘটনা পড়ে বোঝা যাচ্ছে ভীষণ চাপে থাকতেন। মুক্ত পরিবেশ কম পেয়েছেন মনে হয়। আমার মা-বাবা অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।

১০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শায়মা ম্যাডামের মাথার উপর হাতুরি দিয়ে একটা বারি দেয়া উচিত। বলে যে দাড়িয়াবান্ধা আর কাবাডি একই খেলা।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: :D

১১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০৫

শায়মা বলেছেন: ঐ সাড়ে ভাইয়া একই খেলা আমি জানি। X(


শার্দূল তুমি জেলে গিয়েছিলে!!!! :#)

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: উড়ু উড়ু মন থাকলেও উনি বোধকরি মুক্ত পরিবেশের স্বাদ পাননি।

১২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:



কাবাডি আর হাডুডু একই খেলা।
দাড়িয়াবান্ধা না।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হ্যাঁ।

১৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১০

শায়মা বলেছেন: মনে পড়েছে!!!!!!!!!!!!!১

হা ডু ডু ডু ডু ডু ডু আর কাবাডি একই খেলা। :)

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: :|

১৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১১

শায়মা বলেছেন: হা-ডু-ডু এবং কাবাডির মধ্যে সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্যও আছে। কাবাডি হচ্ছে হা-ডু-ডু’র একটু পরিমার্জিত রূপ।
হা-ডু-ডু’র ইতিহাস:
হা-ডু-ডু খেলা এই অঞ্চলে কবে থেকে শুরু হয়েছে, তার কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। তবে হাজার বছরের বেশি সময় ধরে এই ধরনের খেলা চলে আসছে এই বাংলায় এবং ভারতীয় উপ-মহাদেশে।
হা-ডু-ডু থেকে কাবাডি
জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুসারে, ১৯৭২ সালে হা-ডু-ডু খেলাকে কাবাডি নামকরণ করা হয়। একই সময়ে এ খেলাকে জাতীয় খেলার মর্যাদা দেওয়া হয়। কাবাডির জন্য চূড়ান্ত করা হয় কিছু নিয়মকানুন।
হা-ডু-ডু বা কাবাডি খেলার ধরন:
সাধারণত হা-ডু-ডু খেলার মাঠের কোনো সুনির্দিষ্ট মাপ থাকে। মাঝখানে দাগ দিয়ে মাঠকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিভাগে একেকটি দল অবস্থান নেয়। অন্যদিকে কাবাডি মাঠের আকার হয় দৈর্ঘ্যে ১২.৫০ মিটার, প্রস্থে ১০ মিটার।
নিয়ম অনুসারে, এক পক্ষের একজন খেলোয়াড় অপর পক্ষের কোর্টে হানা দেয়। এ সময় সে শ্রুতিগোচরভাবে হা-ডু-ডু, হা-ডু-ডু বা কাবাডি কাবাডি কাবাডি শব্দ করতে করতে অন্য ওই পক্ষের যে কোনো একজন খেলোয়ারকে ছুঁয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করে। ওই পক্ষের চেষ্টা থাকে সবাই মিলে তাকে জাপটে ধরে আটকে রাখা। যদি ওই খেলোয়াড় দম ধরে রেখে নিজ কোর্টে ফিরে আসতে পারে, তাহলে তার দল পয়েন্ট পায়। আর যদি আটকে থাকা সময়ের মধ্যে খেলোয়াড়টির দম ফুরিয়ে যায়, তাহলে বিপক্ষ দল পয়েন্ট পায়।
কেনো হা-ডু-ডু, কাবাডির প্রচলন
কেনো বা কীভাবে খেলা হিসেবে হা-ডু-ডু বা কাবাডির প্রচলন হয়েছিল, তার কোনো ব্যাখ্যা কোথাও পাওয়া যায় না। নৃবিজ্ঞানীরাও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো মতামত দেননি। তবে ধারণা করা হয়, প্রাগৈতিহাসিক যুগে এক গোত্রের মানুষ অন্য গোত্রের আস্তানায় হানা দিয়ে ধনসম্পদ, গবাদিপশু, এমনকি নারী ও শিশুকে লুট করে আনতো। শত্রুর আস্তানায় হানা দিয়ে নিরাপদে ফিরে আসার কৌশলের চর্চা ও নিজেদেরকে ফিট রাখার তাগিদ থেকে এমন খেলার দিকে ঝুঁকে পড়েছিল ওই যুগের মানুষ।হা-ডু-ডু (কাবাডি) কেনো জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু বা কাবাডিকে কেনো জাতীয় খেলার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, সরকারি কোনো দলিলে এর ব্যাখ্যা নেই। এমনকি এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়া’তেও এর কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। তবে দুটি বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে এ খেলাকে জাতীয় খেলার মর্যাদা দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। গ্রামনির্ভর এই দেশে এক সময় ব্যাপকভাবে হা-ডু-ডু খেলার প্রচলন ছিল। গ্রামাঞ্চলে এটিই ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় দলগত খেলা। শুধু স্বীকৃত খেলার মাঠ নয়, গ্রামের পাশের পতিত জমি, বালুচরসহ যে কোনো সুবিধাজনক জায়গায় দাগ দিয়ে কোর্ট বানিয়ে তরুণরা এই খেলা শুরু করে দিত। তরুণরা তখন খেলার পাশাপাশি এটিকে এক ধরনের শরীর চর্চা ও শক্তিমত্তার পরীক্ষা হিসেবে নিত। অন্যদিকে গ্রামবাসী দলবেঁধে এই খেলা উপভোগ করতো। দেশজুড়ে খেলাটির এই জনপ্রিয়তার কারণে এটিকে জাতীয় খেলার ময়াদা দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এতটা বিশদভাবে জানা ছিল না। এখন জানলাম।

১৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি দুইবার স্কুল পালিয়েছিলাম। একবার যখন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি তখন। টিফিনের পরে আরও ছোটদের স্কুল বাসে উঠে বাসায় চলে যাই। কিন্তু স্কুলের পাস দিয়ে বাসটা যাওয়ার সময় একজন ম্যাডাম জানালা দিয়ে আমাকে দেখে ফেলেন। চোখ গরম করে আর রাগে কিড়মিড় করে কি যেন বলতে থাকে। আমি দেখলেও দূরে থাকার জন্য কিছু শুনতে পাই নাই। সম্ভবত বলেছিলেন কালকে স্কুলে আসো মজা দেখাব। কিন্তু কপাল ভালো পরের দিন মনে হয় ওনার আর খেয়াল নাই। ওনার ক্লাস অবশ্য ছিল না। আমিও ওনার থেকে দূরে দূরে ছিলাম।

আরেকবার স্কুল পালিয়েছিলাম ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময়। গণিত মাসিক পরীক্ষায় সরল অংক এসেছিল। ক্লাসের শুরু থেকে ৪০ মিনিট ধরে সরল অংক করে মিলাতে সফল হই নাই। আর কোন প্রশ্ন ধরতেও পারি নাই। রাগে দুঃখে কি করবো ভাবছিলাম। জীবনে কোনদিন এতো খারাপ পরীক্ষা দেই নাই। আরও কয়েকজন বন্ধুরও পরীক্ষা খারাপ হয়েছিল। তখন ৩/৪ জন মিলে ফন্দি করে স্কুল পালানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। ক্লাস থেকে বের হয়ে প্রিন্সিপ্যালের রুমের সামনে দিয়ে মাথা নিচু করে বসে বসে কোন রকমে পার হলাম যেন প্রিন্সিপ্যালের রূপ থেকে কিছু দেখা না যায়। তারপরে স্কুলের গেট খোলা পেয়ে বের হয়ে হেটে হেটে বাসায় চলে গেলাম।

সেইবার ২৫ মার্কের মধ্যে ০ (শূন্য) পেয়েছিলাম অংকে। পরে অংকের শিক্ষক খাতা দেখানোর সময় ভয়ংকর রাগী চোখে তাকিয়ে ছিলেন আমার দিকে। ভাগ্য ভালো মাইর ধর দেন নাই। পরে টার্ম পরীক্ষায় ৭৫ মার্কের মধ্যে ৬৯ পেয়েছিলাম। আমি পেয়েছিলাম সর্বোচ্চ মার্ক সেই পরীক্ষায়। এবার খাতা দেখানোর সময় সেই একই স্যার বিস্ময়ে আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন। :)

আসলে স্কুল পালানো ভালো জিনিস। মাঝে মাঝে স্কুল পালানো উচিত বাচ্চাদের। এটা এক ধরনের এডভেঞ্চার।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শহরের স্কুলে কড়াকড়ি বেশি থাকে। গ্রামের সরকারি স্কুলে এসবের বালাই ছিল না।

গণিতে আমার রাজ্যের ভয় ছিল। কোনোমতে টেনেটুনে পাশ করেছি। বেশি নাম্বার পেতাম ইংলিশ আর হিসাববিজ্ঞানে।

১৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:



জেইল আর হাজতও এক না আপু ।
শার্দূল হাজতে গিয়েছিলো জেনে শায়মাপু কত খুশি!!!!
নিশ্চয়ই একথাটা সেসময় বলেনি :)

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:১২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শার্দূল ভাই হাজতে জামাই আদরেই ছিলেন।

১৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শায়মা আপাকে ওনার আম্মা আব্বা ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখতেন। খুব পাজি ছিলেন তো তাই। এই কারণে দেশি কোন খেলা সম্পর্কে ওনার কোন ধারণা নাই। উনি শুধু জানতেন ঘরের মধ্যে আকাজ করতে আর মার খেতে।

শায়মা আপা বলেন, লেবু চোর খেলাটা কিভাবে খেলে। পারলে ২ টাকা দামের চকলেট খাওয়াবো। :)

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:১৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: উনার কাজ শিশুদের নিয়ে। তখন কতটুকু জানতেন কে জানে; তবে এখন খেলাধুলা বা শিশু সংশ্লিষ্ট সব জানার কথা।

১৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শার্দূল ভাইয়ের গল্প শুনে আমার একটা গল্পের কথা মনে পড়ে গেল। আমার বড় ছেলের বন্ধুর মায়ের গল্প। ওনার স্বামী ঢাকার একটা থানার ওসি। থানার ওসিরা ভীষণ ব্যস্ত থাকে সারাদিন এটা আমরা সবাই জানি। ওনাদের দম ফেলারও সময় থাকে না। ভাবির বাচ্চা তখন সম্ভবত ক্লাস ফোরে পড়ে। একদিন স্কুল থেকে ভাবির কাছে ফোন এসেছে যে তাড়াতাড়ি স্কুলে আসেন। স্কুলে গিয়ে দেখেন যে ওনার বাচ্চা প্যান্টে হাগু করে দিয়েছে। মিসরা সামলাতে পাড়ছে না। ভাবি গিয়ে কি কোন রকমে পরিস্থিতি সামলালেন। তাড়াহুড়ায় মোবাইল সাথে নিতে ভুলে গেছেন। অন্য কারও কাছে থেকে মোবাইল নিয়ে ওনার ওসি স্বামীকে ফোন দেয়ার প্রয়োজন বোধ করলেন। হয়তো চাচ্ছিলেন সেও স্কুলে আসুক। স্বামীকে ফোন দিয়েই উনি বললেন এই শোন তোমার ছেলে স্কুলে এসে প্যান্টে হাগু করে দিয়েছে। ঐ পাশ থেকে ওসি সাহেব বললেন কে বলছেন আপনি? কাকে চান? ভাবি বলল যে আরে আমি আকাশের মা। ওসি সাহেব বললেন কোন আকাশ? আমি কোন আকাশকে চিনি না। বলেই ফোন কেটে দিয়েছেন। ভাবির বাচ্চার অনেকগুলি নাম ছিল। আদর করে একেক সময় একেক নামে ডাকতেন। এই ঘটনার পরে ভাবি আর রাগ করে ফোন করেন নাই। শুনেছি এই রাগ ভাঙ্গাতে ৬ মাস সময় লেগেছে। :) এই গল্প বলেছে আমার বউ সেই ভাবি কাছ থেকে শুনে।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পুলিশ অভিভাবক বোধহয় এমন কড়া হয়। আমার এক স্টুডেন্টের বাপ পুলিশ। উনিও বেশ চাপে রাখেন বাচ্চাদের। আসলে উনাদের পেশাই এমন। আমরা সাধারণ মানুষ বোধহয় তেমন হতে পারি না।

১৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪১

শায়মা বলেছেন: @ মিররডল শুনো শার্দূল যে কত গল্পই বলেছে তার জীবনের তবে এই হাজতবাসের কথা বলেনি.... হা হা হা হা

@ সাড়ে ভাইয়া দাঁড়িয়াবান্ধা আমি জীবনে খেলিনি। তবে হাডুডু বা কাবাডি মেয়েদেরকেও খেলতে দেখিনি তবে ছেলেরা এক গাদা কাদা মাটি মেখে মাঠের মধ্যে গড়াগড়ি দিয়ে খেলে দেখেছি!!!

ভয়ংকর খেলা। দেখলেই মনে হয় পা ধরে দড়াম করে ফেলে দেবার জন্যই এই খেলার সৃষ্টি।

আবার নাকি জাতীয় খেলা।

মেয়েরা কি খেলে !

কি জন্য জাতীয় হলো?

মানে ইহা কি মহিলা বান্ধব খেলা!!! X((

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দাঁড়িয়াবান্ধা ছেলেমেয়ে সবাই খেলেছি। এটা বোধহয় কমন জেন্ডার 8-| এখন এটা খেলতে দেখা যায় না। হা-ডু-ডু বা কাবাডিও বিলুপ্তপ্রায়।

২০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫০

শায়মা বলেছেন:

তোমার দুই টাকা দামের চকলেট তুমিই খাও সাড়ে ভাইয়া!!! X((


তবে লেবু চোর কেমনে খেলে আমি জানি।

তোমাদের বরিশালের বাড়ির পাশের আসমানীদের বাড়িতে যে বাতাবি লেবু গাছ ছিলো। সেই গাছের বাতাবি লেবু চুরি করে তুমি ফুটবল খেলতে। সেটাই লেবুচোর খেলা।

এই যে তোমার ছোটবেলার ছবি

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এটা লেবু না জাম্বুরা? কনফিউজড।

২১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ শায়মা আপু - দাড়িয়াবান্ধা খুব মজার খেলা। কাবাডি ছেলে মেয়ে সবাই খেলে এটাও জানেন না। তাহলে দেখেন;

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেকদিন পর দেখলাম।

২২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ শায়মা আপু - আপনি তো কোন খেলাই পারেন না দেখা যাচ্ছে। পারতেন শুধু ঘরের কোণায় বসে আকাজ করতে আর মাইর খেতে। লেবু চোর খুব মজার খেলা। গত রোজার ঈদে আমার ছেলে মেয়ে, ভাতিজা, ভাগিনা, ভাতিজী, ভাগ্নিদের নিয়ে অনেক মজা করে খেলেছি লেবু চোর। এই খেলাটা অনেকটা চোর, ডাকাত, পুলিশ খেলার মত। আমি ছিলাম খেলার আকর্ষণ এবং কেন্দ্রবিন্দু। ছোট ছোট চিরকুটে বিভিন্ন ফলের নাম লেখা থাকবে। তার মধ্যে লেবুও থাকবে। বেটে দেয়ার পরে যে লেবু পাবে তার কাজ হবে চোখের ইশারায় অথবা হাত পা দিয়ে কোনভাবে ইশারা ইঙ্গিতের মাধ্যমে অন্য একজনকে বার্তা দেয়া যে সে লেবু পেয়েছে। কথা বলা যাবে না এবং অন্য কেউ যেন জানতে না পারে। ইঙ্গিত যে পাবে সে তখন বলবে 'সাক্ষী'। বাকিদের তখন একজন একজন করে বলতে হবে কে লেবু পেয়েছে। অন্য সবার চোখ, মুখ, হাসি থেকে অনুমান করে বলতে হবে। সঠিক বললে বেশী পয়েন্ট আর ভুল বললে শূন্য। বেশ মজার খেলা। হাসতে হাসতে অনেকেই গড়াগড়ি যায়। এটা বরিশালের একটা স্থানীয় খেলা। গ্রামে গিয়ে শিখেছি। কোথাও আত্মীয় স্বজন জড়ো হলে এই খেলা আমরা খেলি।

বরিশালে জাম্বুরাকে বলে সলম। এটা কি জানেন। বলেন আইতনা মানে কি?

২৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দুরন্ত ও ব্রিলিয়ান্ট ছাত্ররাই স্কুল পালায়। আপনার স্কুল পালানোর কাহিনিতে আপনার শৈশবও উঠে এসেছে। ভালো লাগলো।

ক্লাস পালানোদের আমি কোনোদিন বকা দিই নি। বরং আমি ওদের ভক্ত ছিলাম ক্লাস পালানোর বিভিন্ন অ্যাক্রোবেটিক কলাকৌশল ও চাতূর্য দেখে। বোকারা কোনোদিন এভাবে ক্লাস পালাতে পারে না।

ক্লাস থ্রি ছিল আমার জীবনে সবচাইতে কষ্টকর অধ্যায়। পড়া পারতাম না। বাড়ি থেকে বের হয়ে এক বাগের পাশে আড়ালে বসে থাকতাম। একদিন ধরা খাই আমার এক ক্লাস সিনিয়রের কাছে; সে বাড়িতে বলে দেয় :( আর ক্লাস ওয়ান-বি (প্লে গ্রুপ ট্রুপের মতো আর কী) থেকে যখন ক্লাস ওয়ানে উঠিয়ে দিয়েছিল, তখন হেড স্যারের বেধরক মারের ভয়ে স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছিলাম :(

আমার পড়ালেখা হবে, এমনটা ভাবি নি ক্লাস ওয়ানে প্রমোশন পাওয়ার পর, কিন্তু তারপরও পড়ালেখা করতে হলো, ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং :)


আপনার লেখা ভালো লাগে পড়তে। একটা সুন্দর ও নেচারাল ফ্লো থাকে লেখায়, পড়ার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি হয়।


০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার তোতলানো স্বভাব ছিল। মনে পড়ে একবার তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে নামিয়ে দিয়েছিল। আমিও বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছিলাম। কষ্টের কথা কাউকে বলতে পারতাম না।

২৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমি কখনো স্কুল পালাইনি। আমি এত বোকা যে, এগুলো আমার মাথায় আসতো না।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হয়তো বা ভয়ও পেতেন। বিধিনিষেধ বেশি ছিল।

২৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪৫

শায়মা বলেছেন: সলম তো শুনেছিলাম আইতো না যাইতো না শুনিনি। আমি জীবনে সবচেয়ে বেশি খেলেছি এক্কাদোক্কা আর ইচিং বিচিং চিচিং চা। হা হা এই কথা সত্যি আমি খেলাধুলায় একটু কম শক্তিশালী ছিলাম। আমার হাড্ডিও কচুগাছের ডগা মার্কা। একটুতেই ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায়।

হাত পা মাথা কিছুই ভাঙ্গতে বাকী নেই। :(

তবে হ্যাঁ আমার হাত পা মাথা ভাঙ্গার কাহিনী শুনলে সবার চোখ গুলুগুলু হয়ে যাবে।

খাট থেকে লাফ দিয়ে আলমারীর নীচে পা চলে গিয়ে ভেঙ্গে গেলো। বন বন দৌড়াতে গিয়ে বারান্দার কোনায় লেগে মাথা ফেটে গেলো.......... কি যে অবস্থা আমার!

বড় হয়ে এমনকি বুড়ি হয়েও এখনও পড়ি আমি। :) সিড়ি দিয়ে সড়সড়াৎ, রাস্তার উপর কড়কড়াৎ...... :)

২৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: জীবনে শখ করে এবং অভিজ্ঞতার জন্য একবারই স্কুল পালিয়েছিলাম। এবং ধরা খেয়েছিলাম।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সব কাজ সবাইকে দিয়ে হয় না। আপনি বরাবরই আলাভোলা ছিলেন।

২৭| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ২:২০

আমি সাজিদ বলেছেন: কতো স্মৃতি মনে পড়ে গেল! পোস্টে প্লাস।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২৮| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ২:২৫

আমি সাজিদ বলেছেন: অবশ্য আপনার মতোন এত সাহসী ছিলাম না। এইটের দিকে ক্লাস ফাঁকি দেওয়া শুরু করেছিলাম। বাসায় মার খেয়ে আবার সোজা। টেনের শেষের দিকে ক্লাস করতাম কম। তখন অবশ্য কেউ কিছু বলে নাই।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৪০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শিক্ষিত মা-বাবারা বুঝতে পারেন অনেককিছু। কী পড়ানো হলো, না হলো এসব জিগ্যেস করেন। আমার মা সংসার সামলে এতকিছু খেয়াল করতে পারেননি। স্কুল ছুটির পর বাড়িতে গেলেই হলো। সময় কোথায় কাটালাম উনি ধরতে পারেননি।

২৯| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩

রানার ব্লগ বলেছেন: গ্রামের ছেলেরা এইভাবেই তাদের শৈশব এবং কৈশর কাটায় !

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মনে হয় এরাই জীবনকে ঠিকমতো যাপন করে। শহরের বদ্ধ পরিবেশে মানসিক বিকাশ হয় না।

৩০| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫

ইসিয়াক বলেছেন: বন্ধুদের সাথে স্কুল পালিয়ে শ্যমলী সিনেমা হলে ববিতা / জাফর ইকবালের "অবুঝ হৃদয় " দেখতে গিয়েছিলাম।তখন ক্লাস এইটে পড়ি।সেটাই ছিল হলে বসে দেখা প্রথম সিনেমা। এরপর আর অবশ্য স্কুল পালানোর প্রয়োজন পড়েনি। সে সব অন্য গল্প।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ৮ম শ্রেণিতে পড়ার সময় বোর্ডিংয়ের বড় ভাইদের সঙ্গে হলে গিয়েছিলাম।

৩১| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: ভালই লাগল আপনার স্মৃথিচারন পড়ে। শৈশব- কৈশরতো এমনই।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দুরন্ত শৈশব-কৈশোর।

৩২| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমি খুব কমই স্কুল পালিয়েছি বা অনুপস্থিত থেকেছি।++++

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো ছাত্র ছিলেন নিশ্চয়ই।

৩৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি খাঁটি একজন গ্রামের ছেলে। সব রকমের গ্রামের অভিজ্ঞতা আপনার আছে। টিপিকাল গ্রামের ছেলেদের এই ধরণের অভিজ্ঞতা থাকে। খুব ভালো লাগলো আপনার অভিজ্ঞতাগুলি। গ্রামের ছেলেদের প্রতিকুল পরিবেশে বেচে থাকার যোগ্যতা বেশী থাকে। এরা শহরের ছেলেদের মত ফার্মের মুরগী টাইপ না। তাই আপনি চেষ্টা করলে ভবিষ্যতে জীবনে উন্নতি করবেন। আমিও অবশ্য সারা জীবনে শহরে কাটিয়েছি। কিন্তু আমার খুব শখ ছিল গ্রামের পরিবেশে থাকার।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জীবনের প্রথম ১৭ বছর পুরোপুরি গ্রামে কাটিয়েছি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম, সেটাও গ্রাম সাইডে। দু'বছর পর ময়মনসিংহ শহর। আবার কিছুদিন গ্রাম। তারপর থেকে শহর। শহর এখন খারাপ লাগে না। তবে গ্রামে ফিরতে ভালো লাগে। যারা সারাজীবন শহরে কাটিয়েছে, তাদের অবশ্য গ্রামে টিকতে কষ্ট হওয়ার কথা।

৩৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: রেজাল্টের দিন ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ দিন। রেজাল্ট খারাপ হলে অনেকেই স্কুল পালাতো আমাদের ছেলেবেলায়। পরে বাসায় কান্নাকাটির রোল পড়লে , তখন এসে হাজির হত। মাইরের বদলে তখন জুটত আদর স্নেহ। =p~

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এ পরিস্থিতিতে আমি পড়িনি। শিক্ষকেরাই যা করার করে ছাড়তেন। বাড়ির জন্য কিছু রাখতেন না।

৩৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:১১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমি অনেক ভীতু একজন মানুষ।

০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জীবনে এডভেঞ্চারেরও দরকার আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.