নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুই জন। সবমিলিয়ে নয় জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন। ওদিকে মাতামহও কিন্তু কম যান না। উনারও সাত ছেলে, তবে মেয়ে একজনই। তিনি আমার মা।
এত এত ছেলেমেয়ের তো এক বাড়িতে থাকা সম্ভব না। তার ওপর আবার বিয়ে-শাদী করেছেন কয়েকজন। তাদের সন্তানাদিও হয়েছে। বাড়িটাই যেন একটা মহল্লা। এই যখন অবস্থা, আমার এক কাকা সপরিবারে ময়মনসিংহ শহরে চলে গেলেন। আরেক কাকা চলে গেলেন রাজধানী ঢাকায়। একজন চলে গেলেন মালয়েশিয়ায়। সবচেয়ে ছোটোজন পড়ালেখার সুবাদে বাড়ির বাইরে থাকতেন।
আমার বাবাও তার গন্তব্য খুঁজে নিলেন। পুরাতন বাড়ি থেকে এর দূরত্ব অবশ্য খুব বেশি না; মাত্র দুই-তিন মিনিটের পথ। রাস্তার পাশেই একটা ঘন জঙ্গল। এর আশেপাশেই একটা মাটির ঘর তোলা হলো। বাবা-মা এখানে থাকা অবস্থায়ই আমার, আমার মেজো বোন আর ছোটো বোনের জন্ম। বড়ো বোনের জন্ম পুরাতন ভিটায় থাকা অবস্থায়ই।
ঘন জঙ্গল। তার পাশে গোরস্থান। ডানে-বামে দুইপাশে পুকুর। বাবা সারাদিন কাজের কারণে বাড়ির বাইরে থাকতেন। মাঝেমধ্যে কয়েকমাসের জন্য দূর-দূরান্তে চলে যেতেন। উনি মূলত নলকূপ স্থাপনের কাজ করতেন। এই গ্রাম থেকে ওই গ্রাম। এই জেলা থেকে ওই জেলা ঘুরে ঘুরে তাকে কাজ খুঁজতে হতো।
বড়ো বোন নানার বাড়ি থাকতেন। এদিকে আমার মা আমাদের নিয়ে পড়লেন মহাবিপদে। তিনটে ছোটো ছোটো সন্তান লালনপালন করতে হিমশিম খেতেন তিনি। মেজো বোনের বয়স তখন ছয়-সাত। সে আমার চেয়ে দু’বছরের বড়ো। ছোটো বোনের বয়স সবে এক। মেজো বোন ভদ্র-শান্ত স্বভাবের হলেও আমি ছিলাম দুষ্টুর একশেষ। মা রান্না করতে বসলে আমি চুপে চুপে জঙ্গলে চলে যেতাম। পাশেই একাধিক পুকুর; ওই সময়টায় পুকুরে ডুবে অনেক ছেলেমেয়ে মারা যেত। সংখ্যাটা এখনও যে কমেছে, তা কিন্তু না। তো মা বাড়ির বাইরে ছাগল বা গোরু চরাতে গেলে আমাকে শেকলে বেঁধে রেখে চলে যেতেন। আর আমার মেজো বোন কেঁদে কেঁদে বলত, আমার ভাইকে ছেড়ে দে।
অনেক ভেবেচিন্তে আমাদের বাড়ি বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। পুকুর-জঙ্গল থেকে একটু দূরে খোলা একটা জায়গা নির্দিষ্ট হলো। মাটির ঘর তোলা হলো। তবে আমার দুষ্টুমির কিন্তু শেষ ছিল না। বয়স সবে সাত-আট, তবে ততদিনে আমার বাঁদরামি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বাবা নলকূপ গাঁড়লেন। আশপাশের কাকি-ভাবিরা পানি নিতে এলে আমি কাঁচি নিয়ে তাদের দৌড়ানি দিতাম। মাটির কলস ভেঙে দিতাম। লোকজন ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে ওঠল।
মামারা সিদ্ধান্ত নিলেন বাবাকে সৌদি আরবে পাঠাবেন। মায়ের প্রবল আপত্তি ছিল। তবে কিছু করার ছিল না তার। বাবা দেশে থাকলেও সেই দূর-দূরান্তেই থাকতেন। বিদেশে গিয়ে দুটো পয়সা বেশি এলে তো সংসারেরই মঙ্গল।
বাবা বিদেশ চলে গেলেন। এদিকে আমরা পড়লাম অকূলপাথারে। বাবা তখনও কোনো কাজ পাননি। গ্রাম এলাকায় পড়েছেন। আমাদের সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে গেল। মা শাকপাতা, কচুর লতা এসব তুলে এনে আমাদের রান্না করে খাওয়াতেন। আলুর ভর্তা খেতে খেতে এই খাদ্যটার ওপর রাজ্যের বিরক্তি এসে গেল। মাছ-মাংস জুটানো তো দূরের কথা, একসময় ভাত খাওয়াও কঠিন হয়ে গেল।
নতুন যে ঘরটা তোলা হলো, সেটার দরজা-জানালা তখনও কিছুই লাগানো হয়নি। আর চালাটাও ছাপড়া। কথা ছিল বাবা বিদেশে গিয়ে টাকা-পয়সা পাঠাবেন, তারপর সব করা হবে। কিন্তু কোনো কিছুই করানো হলো না। আমরা চোখের সামনে ঘোর অমানিশা দেখতে লাগলাম।
একরাতে প্রচণ্ড ঝড় হলো। তার ওপর বজ্রপাত। মনে হচ্ছিল পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। মা, আমি, মেজো বোন আর ছোটো বোন তো ভয়ে প্রায় শেষ। মনে মনে প্রার্থনা করছি কখন সকাল হবে। এই যখন অবস্থা, ঘরের চালাটা হঠাৎ উড়ে গেল। আমরা দৌড়ে একটা গাছের নিচে আশ্রয় নিলাম। সেটা যখন ভাঙার জোগাড়, আমরা খোলা জায়গায় দাঁড়ালাম। আমার মা দিশে পাচ্ছিলেন না এসময় কাকে ডাকবেন। প্রচণ্ড তুফানের মধ্যে কারও বাড়িতে যাওয়ার সুযোগও ছিল না।
পরদিন আমি আর আমার বোনেরা আমাদের ঘরের চালা খুঁজতে লাগলাম। আমরা খুব কাঁদছিলাম এটা ভেবে যে, আমাদের থাকার কোনো জায়গা নেই। আমাদের সাহায্য করারও কেউ নেই। কাকারাও জানি না কী কারণে আমাদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখতেন। যাহোক, খুঁজতে খুঁজতে একসময় পাশের বাড়ির পুকুরে আমাদের টিনের চালাটা আবিষ্কার করলাম। মাকে দৌড়ে এসে বলতেই, মাও ছুটে এলেন। আমরা ভাবছিলাম কী করে এই চালা ঘরে লাগাব।
আমাদের সদ্য খনন করা পুকুরটা বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেল। যত মাছ সেখানে ছিল, আটকানোর সুযোগ রইল না। আমি আর দুই বোন শিউলি ও হ্যাপি জালি পেতে মাছ ধরার চেষ্টা করলাম বটে, একটা-দুটো পোনামাছ ছাড়া জালিতে কিছু উঠল না। বড়ো মাছগুলো লাফিয়ে চলে গেল।
মাছগুলো আটকানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারায় আমাদের খুব দুঃখ হতে লাগল। বাবা বিদেশে চলে যাওয়ার কিছুদিন আগে মাত্র পুকুরটা খনন করা হয়েছে, ভালোভাবে পাড়ও বাঁধা হয়নি। বৃষ্টি পড়লে কাঁচা পাড় ভেঙে পড়ে। যদিও পরবর্তীতে মা, আমি আর বোনেরা মিলে সেখানে ঘাস লাগিয়েছিলাম।
চলবে...
ছবি: প্রতীকী
২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:১২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এই দুটো তথ্য যোগ করে দিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে তাড়াহুড়ো করে লেখা, তার ওপর মনে থাকে না অনেককিছু। মাকে ফোন দিয়ে এসব কাহিনী নিয়ে আলাপ করলাম। তিনি খুব আবেগ তাড়িত হলেন।
২| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪১
ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার লেখার হাত খুব ভাল। কঠিন জীবন সংগ্রামের কাহিনী চমৎকার প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ননা। আপনি কি কখনও বই লিখতে চেষ্টা করেছেন? আমার মনে হয় আপনি পান্ডুলিপি ভাল কোন প্রকাশককে দিতে পারেন। কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় টাইটেল চমৎকার হয়েছে।
২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:২০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার কৈশোর আর বর্তমান সময়ের অনেক লেখাই আপনারা পছন্দ করেছেন। শৈশব নিয়ে কমই লেখা হয়েছে। এই সিরিজটায় (কাঁটালতা ঘরের দ্বারগুলায়) ভাবছি একেবারে শৈশবের ঘটনা তুলে আনব যতটুকু সম্ভব।
বইয়ের ব্যাপারে যা বললেন, খুব ভালো লাগল। এতদিন যা লিখেছি (জীবনকাহিনী), সব মিলিয়ে একটা বই করা সম্ভব। তবে সাহস হয় না। বই আদৌ কেউ কিনবে? তাছাড়া জানাশোনা প্রকাশকও নেই। পেলে লেখাগুলো ঘষামাজা করে পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করতাম।
৩| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: আত্মস্মৃতি পড়ে ভালো লাগলো। আপনার বর্ননা মাটির গন্ধের মতই মনোগ্রাহী।
আপনার লেখা পড়ে পথের পাঁচালীর অপুর কথা মনে পড়লো। সেই অপু যে দুইযুগের বেশি সময় পরে কাজলকে সঙ্গে নিয়ে নিশ্চিদিপুরে নিজের ভিটেমাটিতে ফিরে এসেছিলো।
২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:২৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আসলে ভদ্রলোকসুলভ গুছিয়ে লিখতে পারি না
৪| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: বাড়িটার প্রেমে পড়ে গেলাম , সত্যি । চাপাই আর গাজিপুরে দেখেছি । এসব সংস্কৃতি রক্ষা করতে হবে । এটা দিয়ে রিসোর্ট হবে ।
২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:২৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ময়মনসিংহ অঞ্চলে এখনও এসব বাড়ি আছে।
৫| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৮
ঢাকার লোক বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা ! জানিনা আপনার গ্রাম কোথায়, দেশের আর দশটা গ্রামের সাধারণ পরিবারের বেঁচে থাকার যুদ্ধেরই একটা ছবি আপনার অকপট লেখায় ফুটে উঠেছে ! বর্তমানে আধুনিক সুযোগ সুবিধা ঢুকে গ্রামের ছবি অনেকটা পাল্টেছে, তবে সবার ঘরে এর সুফল আসতে এখনো অনেক বাকি।
২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:২৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার বাড়ি ময়মনসিংহে। এদিকে এখনও গ্রামীণ ঐতিহ্য কিছুটা আছে। এখনও দারিদ্র্য আছে। এখনও মানুষ লড়াই করে বাঁচে।
৬| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৪৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: গ্রামের বাড়িতে খুব ছোটবেলার তেমন কোন স্মৃতি মনে করতে পারি না। খুব অল্প বয়সেই গ্রাম ছাড়তে হয়েছে, মূলত ঢাকায় বড় হওয়া, স্কুল-কলেজ যাওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরুনোর আগেই ছাড়তে হলো দেশ। মূলত আমার প্রাপ্ত বয়স্ক জীবনের বেশীর ভাগ সময়ই দেশের বাইরে। একটা সময় এ শহরের সব অলি-গলি চষে বেড়ানো আমার কাছে ঢাকা এখন মাঝে মাঝে বেশ অচেনা লাগে যদিও কিছু কিছু স্থানকে এখনো মনে ধরে রাখতে পেরেছি।
আপনার লিখা পড়ে খাবারের কথা মনে পড়ে গেল। ঢাকায় এসে এবার আলু ভর্তা, ডাল চরচরি, ডিম ভাজি, কালো জিরা ও ধনে পাতার ভর্তা, ভূনা খিঁচুড়ি বেশ মজা করে খেয়েছি। সত্যি বলতে কি মাছ, মাংস আমাকে খুব একটা টানে না।
১৯৮৮ সালের বন্যার আগে কোন এক রাত্রিতে প্রচন্ড ঝড়ে আমি বেশ ভয় পেয়েছিলাম, বিষয়টি এখনো আমার মনে পড়ে। এরপর বড় হয়ে বহু ঝড়-বাদল, বন্যা দেখেছি, বিষয়গুলো আমাকে অবশ্য ততটা নাড়া দিতে পারে নি। ছোটবেলার ঐ স্মৃতি এখনো আমাকে তাড়া করে। ধন্যবাদ।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গ্রামের পরিবেশ আর শহরের পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা। শহরে তো অবারিত স্বাধীনতা নেই। পুকুর নেই, নদী নেই, খোলা মাঠও কম। কেমন ঘিঞ্জি মারা পরিবেশ। তবে এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। আমার তো ঢাকা ছেড়ে যেতেই ইচ্ছে করে না। আপনি যে সময়ে ঢাকায় বেড়ে ওঠেছেন, সে সময়টা আরও পরিশুদ্ধ ছিল। দেশের বাইরে থেকে হঠাৎ দেশে এসে সব নতুন লাগা স্বাভাবিক।
খাবারের কথা বেশি বলব না। তবে বস আপনি একটু কম কম খাওয়াই ভালো। মাছ-মাংস তেমন না টানায় ভালো হয়েছে। আমারও আগ্রহ কমই। সাধ্যও বেশি নেই যদিও। আর বেশি খাওয়ার চেয়ে সুস্থ থাকা বেশি জরুরি।
শৈশবের ঝড়-ঝঞ্চা মনে দাগ কাটে। যেমন দাগ কাটত তখনকার ভৌতিক গল্পও। বড় হয়ে সব গা সওয়া হয়ে যায়। এখন তো বোমা মারলেও ভয় লাগে না ।
৭| ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু,
স্মৃতির কাঁটালতাগুলো মনের গহীন ঘরের দ্বারে উঠিয়ে দিয়ে গেলেন অবলীলায়, করে ফেললেন নষ্টালজিক। তরতর করে বয়ে চলা অনবদ্য লেখা।
একটা সময়কালের ছবি এঁকেছেন যেখানে অবারিত মাঠ আর বন ছিলো - ছিলো পুকুর , ছিলো জীবনযুদ্ধের যন্ত্রনার ছায়াও। গ্রামবাংলার মাটির ঘরের চার দেয়ালের আব্রুতে যে পারিবারিক টানা-পোড়েনের খেলা চলে, তা ও তুলে এনেছেন নিপুন লেখকের মতো।
আপনার এমন লেখা পড়তে পড়তে মন উড়ে গেছিলো সুদূর অতীতে - যেখানে চিরায়ত গ্রামবাংলার ছায়া দুলছিলো। এই কালে এসেও মন বলছিলো, কেউ যদি এসে বলতো , " তুমি যাবে ভাই , যা্বে মোর সাথে; আমাদের ছোট গাঁয়...."
লেখায় +++++++++
২৪ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শহরের যান্ত্রিকতায় আমরা মাঝেমাঝে হাঁপিয়ে ওঠি। তখন মুক্তি খুঁজি। যেহেতু বাঙালি, গ্রাম বাংলার পুকুর-নদী, খাল-বিল আমাদের আকৃষ্ট করে। আমরা মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়তে চাই।
৮| ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক কঠিন সময় পার করেছেন - পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় ...
আপনার কাকারা এতটাই দুরে সরিয়ে রাখতেন যে, এ দুঃসময়ে তাদের চালের নিয়ে একটু আশ্রয়ও দিলেন না!!!
২৪ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এই হিসেবটা আমি এখনও মিলাতে পারি না যে কাকারা কেন তখন দূরে থাকতেন। মনে পড়ে না আমি বা আমার বোনদের কখনও একটা চকলেট কিনে দিয়েছেন। এমন না যে সম্পর্ক খারাপ ছিল। এখন অবশ্য অতটা দূরত্ব নেই।
৯| ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের সবার জীবনেই এমন কঠিন কিছু সময় থাকে, আপনার মত সুন্দর করে তুলে আনতে সবাই পারে না।
২৪ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কতটুকু পারি, জানি না। তবে যখন বেশি মন খারাপ হয়, স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি তখন এসব লেখার চেষ্টা করি। মনকে স্থির করি।
১০| ২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২
মিরোরডডল বলেছেন:
রূপক, আমার বাবা চাচারাও সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন।
চিমটি!
নয়জনের কেউই বেঁচে নেই।
২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একজনও বেঁচে নেই! আহারে! আমার ফুফু একজন প্রয়াত হয়েছেন। উনি সবার বড়ো ছিলেন। সম্প্রতি এক কাকা মারা গেলেন। বাবা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। এখন কোনোমতে প্রাণে বেঁচে আছেন। হুঁশ-জ্ঞান কম।
১১| ২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মিরোরডডল বলেছেন:
মেজোবোন ভদ্র-শান্ত স্বভাবের হলেও আমি ছিলাম দুষ্টুর একশেষ।
ছোটবেলায় বাঁদরামি করলেও বড় হওয়ার পর রূপক কে কিন্তু খুব শান্ত আর ধীরস্থির মনে হয়।
জীবন থেকে নেয়া এরকম লেখা পড়তে ভালো লাগে।
পরের পর্ব বেশি দেরি না করাই ভালো, গ্যাপ হলে আর পড়া হয়না।
২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আসলে কী লিখব আর লিখব না, কতটুকু রাখব আর কতটুকু রাখব না- এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাই। তাছাড়া হুটহাট লেখায় অনেককিছু বাদ পড়ে যায়, পরে এডিট করে কিছু কিছু অংশ যোগ করি। এই সিরিজটা লেখার সময় ভাবছিলাম ঘটনার ব্যাপ্তি অনার্সে ভর্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত রাখব। অন্য শিরোনামে একটা অংশ লিখব অনার্স শেষ হওয়া পর্যন্ত। দেখা যাক লিখতে পারি কি না।
১২| ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৫
কামাল১৮ বলেছেন: এমন করে লিখতে সাহস লাগে।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আসলে আমার হারানোর কিছু নেই। কে ছোট মনে করল, কে বড় মনে করল এটা ভাবি না। যে ভালোবাসার আমার সর্বাবস্থা জেনেও বাসবে, যে না বাসার সে কখনও বাসবে না।
১৩| ২৯ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:২২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আপনার লেখা বরাবরই সুন্দর।
তারপর যদি হয় স্মৃতিচারণ !!
একটা একটা করে পড়া শুরু করলাম ....
০৪ ঠা জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মতামত জানাবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৪২
করুণাধারা বলেছেন: খুবই সুন্দর করে লিখেছেন। চমৎকার বর্ণনা। অসমাপ্ত পর্ব আশাকরি তাড়াতাড়ি শেষ করবেন।
আরেকটু বেশি থাকলে সুবিধা হতো, যেমন প্রথম যখন জঙ্গল পুকুরওয়ালা বাড়িতে গেলেন তখন আপনার বয়স কত ছিল? তিন/চার বছর? বোনেরা কত বড় ছিল? তারপর যখন এই বাড়ি ছেড়ে অন্য বাড়িতে গেলেন তখন কত বড় ছিলেন? পুকুরে চাল খুঁজে পেলেন তখন কি ৮/৯ বছর?