নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (প্রথমাংশ)
আমি আর মেজো বোন শিউলি পিঠাপিঠি ছিলাম। আর আমি ছিলাম মেজো বোনের ন্যাওটা। ও যেখানে যেত আমিও সেখানেই যেতাম। ওর কাছে থাকলে মা একটু নির্ভার থাকতেন। আর আমার বোন আমাকে সর্বাবস্থায় সমর্থন দিয়ে গেছে।
যাহোক, মেজো বোন তখন স্থানীয় নারাঙ্গী স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। আমি তার সাথে প্রতিদিন স্কুলে যাই। এ অবস্থায় হঠাৎ একদিন আমাকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করানো হলো। আমি আনন্দের সাথে স্কুলে যাচ্ছিলাম, কিন্তু কয়েকদিন পর থেকে আমার স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ একেবারে কমে গেল।
তোতলানো স্বভাব ছিল আমার। আমার মা ছাড়া অন্যরা তেমন কথা বুঝত না। কথা জড়িয়ে যেত। স্কুলে শিক্ষকগণ যে পড়া দিতেন, বোনের সহায়তায় মোটামুটি শিখে যেতাম বটে, তবে কাজ হতো না। বলতে পারতাম না। বললেও তারা বুঝতে পারতেন না। আমাকে বেধড়ক মার খেতে হতো।
একদিন গোসল করানোর সময় মা আবিষ্কার করলেন আমার পিঠে বেতের অসংখ্য দাগ। শরীরে কড় পড়ে গেছে। নরম শরীরে ছোপ ছোপ রক্ত জমে গেছে। একটা-দুটো থেকে পুঁজ বের হচ্ছিল।
যত যাই হোক, স্কুল তো আর কামাই করা যাবে না। একদিন আমি স্কুলে যাব না। স্কুলে যেতে একদম ভালো লাগে না আমার। আমি ঘরের পেছনে পালিয়ে ছিলাম। মা আমাকে প্যান্ট-শার্ট পরানোর জন্য খুঁজছেন। হঠাৎ আমাকে দেখে দৌড়ে ঝাপটে ধরতে যেতেই হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন।
জোরে জোরে কাঁদছিলাম আর তোতলাতে তোতলাতে বলছিলাম, “আমি স্কুলে যাব না, তাও পাঠাবে। পড়ে গেছে, উচিত বিচার হয়েছে।”
তৃতীয় শ্রেণিতে উঠেছি তখন। মেজো বোন পঞ্চম শ্রেণিতে। নামতা না পারার কারণে আমাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে নামিয়ে দেওয়া হলো। মেজো বোন কান্নাকাটি করল অনেক। তার কান্নায় শিক্ষকদের মন গলল। আমাকে তৃতীয় শ্রেণিতেই রাখল আবার। তবে শর্ত থাকল এর পর থেকে যেন নামতা ভুল না হয়।
বোন খুব চেষ্টা করল আমি যেন পড়ালেখায় ভালো করি। পরীক্ষায় আগের চেয়ে ভালো করতে লাগলাম। তবে ছোটোখাটো কারণে মারও খেতে হতো। প্রতিদিন মারের ভয়ে থাকতাম। সমাজবিজ্ঞান বইটা যিনি পড়াতেন, খুব নির্দয় ছিলেন তিনি। পিটিয়ে শরীর ফুলিয়ে ফেলতেন। মায়া-দয়া বলতে কিছু ছিল না উনার মনে।
দিন যেতে লাগল। একে একে কয়েকটা বছরও পেরোল। ঘরের পেছনে যে মেহগনি গাছটা, আমি প্রতিদিন সকালে তার সামনে গিয়ে দাঁড়াই। ছায়ার মাপ নিয়ে দেখি কতটুকু লম্বা হয়েছি। আগের চেয়ে ভালোই বড়ো দেখা যায়। দিন গুনতে লাগলাম কবে বড়ো হব।
তবে আমাদের অভাব কিন্তু কাটল না। আলুভর্তা আর ভাত আমাদের প্রতিদিনকার খাবার। মাঝেমধ্যে কচুশাক। বাবা বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতেন বটে, ধারদেনা শোধ করতে করতে আমাদের অবশিষ্ট আর তেমন কিছু থাকত না।
খেলোয়াড়রা যে সাদা কেডস পরে খেলেন, আমার মায়ের কাছে আবদার করলাম আমাকে যেন সেগুলো একজোড়া কিনে দেন। মা বললেন, বাবা এলে কিনে দেবেন। এগুলো যে কেবলই সান্ত্বনা, তখন না বুঝলেও এখন ভালোমতো বুঝি। বয়স ২৬ হওয়ার পর নিজের উপার্জনের টাকায় একজোড়া কেডস কিনেছিলাম।
যাহোক, বাবার জন্য খুব মন খারাপ হতো। বাবা আমাকে অসম্ভব আদর করতেন। ভাতের সাথে দুধ মাখিয়ে খাওয়াতেন। দুধে কবজি না ডুবলে আমি ভাত খেতাম না। আমার মনে পড়ত বাবা স্থানীয় বাজারে নিয়ে গিয়ে মিষ্টি কিনে খাওয়াতেন। খেতে না পারলে টেবিলের নিচ দিয়ে ফেলে দিতাম। না খেলে বাবা রাগ করতেন যে। পরে অভাবের দিনে আমার খুব আফসোস হতো কেন ওগুলো ফেলে দিতাম? কেন পকেটে পুরে নিয়ে আসতাম না? আবার গেলে পাওয়া যাবে তো?
বাবা এলে আবার বাজারে গিয়ে পেটপুরে মিষ্টি খাব। বাবা আমাকে ভালো জামা কিনে দেবেন। মাকে বলেছিলাম একটা কালো শার্ট কিনে দিতে, কিনে দেননি তিনি। বলেছেন, খারাপ ছেলেরা কালো শার্ট পরে। বাবা নিশ্চয়ই কথা এমন বলবেন না? তিনি আমাকে টাকা দেবেন আর আমি স্কুলে গিয়ে টিফিন পিরিয়ডে অনেক মজা কিনে খাব।
সকাল ১০টায় প্রতিদিন স্কুলে যেতাম। বাড়িতে ফিরতে ফিরতে বিকেল ৪টা বেজে যেত। এরমাঝে কোনোকিছু খাওয়া হতো না। বাড়িতে এসেই একবারে ভাত খেতাম। এতটা ধকল ছোটো শরীর সইত না। কিন্তু কিছু করারও ছিল না।
একদিন ঘর থেকে একশো টাকার একটা কচকচে নোট কাউকে না বলে প্যান্টের পকেটে পুরলাম। স্কুলে গিয়ে টিফিনের সময় ইচ্ছেমতো মজা খেলাম। তারপর বাকি টাকা কয়েন করে বাড়ি এসে আমার মাটির ব্যাংকে রেখে দিলাম।
ওই সময়ে আমাদের মতো গরিব মানুষের কাছে একশো টাকাই অনেক টাকা। টাকাটা খোঁয়া যাওয়ার পর মায়ের তো প্রায় মাথাপাগল অবস্থা। তন্নতন্ন করে সারা ঘর খুঁজলেন। আমাকে জিগ্যেস করলেন আমি টাকা নিয়েছি কি না। আমি ভয়ে অস্বীকার করলাম। মনে হলো মা বিশ্বাস করলেন না। মেজো বোনকে আমার মাটির ব্যাংকটা ঝাঁকি দিতে বললেন। ঝনঝন করে শব্দ হতে লাগল। মা আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকালেন।
চলবে....
ছবি: প্রতীকী
৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। সংশোধন করে নিয়েছি।
২| ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:০০
শায়মা বলেছেন: অপু দূর্গার গল্পগুলোও আসলে সত্যিকারের অপু দূর্গার জীবনেরই গল্প।
তোমার বোনের নামটাও এখানে দিলে আরও ভালো হত ভাইয়া।
৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:১০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লেখায় যোগ করে দিচ্ছি। মেজোবোনের নাম শিউলি।
৩| ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু,
হাহাকার করে যাওয়া স্মৃতিকথন!
সুন্দর আর অসংকোচ লেখা!
৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৪| ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫১
শ্রাবণধারা বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিকথা পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
আপনার প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় স্কুলে মার খাওয়ার ঘটনাটি মনকে বিদ্ধ করলো। আপনার পিটিয়ে শরীর ফুলিয়ে দেওয়ার স্মৃতিচারণ আমার নিজের জীবনে ঘটা অনুরূপ একটা ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিলো। তখন অবশ্য আমি আপনার চেয়ে অনেকটা বড়, ক্লাস সেভেনে উঠেছি মাত্র।
একদিন বাড়ির কাজ না নিয়ে যাওয়ায় আরবী শিক্ষকের কাছে এমনই প্রহৃত হলাম যে তারপর থেকে স্কুল ফাকি দেওয়া নিত্যদিনের কাজ হয়ে গেল। বাসা থেকে বই খাতা নিয়ে বেড় হতাম ঠিকই, কিন্তু স্কুলে না গিয়ে নির্জন সরকারী এক মৎসখামারে গিয়ে সারাদিন পুকুর-পাড়ে, গাছের নিচে বসে থাকতাম। বিকেল হলে বাসায় ফিরে ভাণ করতাম যে স্কুল থেকেই ফিরলাম। সেবছরই মাঝামাঝি সময়ে ভাগ্যক্রমে অন্য শহরে আরেক স্কুলে পড়ার সুযোগ হলে, স্কুল পালানো রোগটি বন্ধ হয়েছিল।
০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১২:০৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমি মাঝেমধ্যে পালাতাম বটে, কিন্তু পরদিন ঠিকই ধরা পড়ে যেতাম। কারণ, কে কে পালাল সেটা শিক্ষকগণ বের করে ফেলতেন। প্রাইমারিতে মারধরের শিকার হয়েছি বেশি চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত। পঞ্চম শ্রেণিতে উঠে মোটামুটি ভালো ছাত্র হয়ে যাই। হাইস্কুলে মারধরের শিকার হয়েছি। তবে নীল ডাউন হতে হয়েছে বেশি।
৫| ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: লেখাটি পরে মনটা ভারাক্রান্ত হল। আপনি জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন, আমাদের দেশে জীবন বড় কঠিন, একবার দরিদ্রের মাঝে আটকা পরলে সেখান থেকে বের হওয়া কঠিন!
০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১২:০৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কী যে সময় গেছে, মাঝেমধ্যে যায়। সব তো ব্যক্ত করা যায় না। জীবনটা সত্যিই এক যুদ্ধক্ষেত্র।
৬| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ২:১০
কামাল১৮ বলেছেন: পরবর্তি প্রজন্মের জন্য ভীতটা শক্ত করে যান।
০১ লা জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৪০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জি।
৭| ০১ লা জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৩৭
আনিসুজ্জামান বলেছেন: সত্যিই, জীবনটা খুব কঠিন। কিছু মুখোশধারী মানুষ এই জীবনটা আরো কঠিন করে তোলে। ভালো থাকুন ।
০১ লা জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সংগ্রাম করেই বাঁচতে হয়।
৮| ০১ লা জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৪২
আনিসুজ্জামান বলেছেন: এই কষ্টের সাথে বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই, আমি টিকে থাকতে পারতাম না।
০১ লা জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আগেরদিনের কথা এখনও অবাস্তব মনে হয়। আসলে পরিস্থিতি এমন ছিল যে মানিয়ে নিতেই হয়েছিল।
৯| ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৩৬
বিষাদ সময় বলেছেন: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
তবে আমাদের তানপুরার তারে ধুলো পড়ে না, দোতারার তারদুটো ছিঁড়ে যায়।
০১ লা জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার মনে হয় দুটোই হয় ।
১০| ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭
জোবাইর বলেছেন: বাংলার গ্রামীণ সমাজে একসময় এ দেশের বেশিরভাগ মানুষ এভাবেই গড়ে উঠেছে। ধীর গতিতে হলেও দেশের গ্রামীণ সমাজে এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যে কারণেই হোক ঘরে-বাইরে স্কুল-মাদ্রাসায় শিশুদের এভাবে অমানুষিক মারধর মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। দুঃখজনক হলেও এখনও পত্রিকার পাতায় অনেক সময় শিশু নির্যাতনের ঘটনা চোখে পড়ে।
আমারা যারা শিশুকালে শাসনের নামে ঘরে-বাইরে শিক্ষক-অভিভাবকের বেদম প্রহার ও নির্দয় আচরণ পেয়ে বড় হয়েছি তাদের নৈতিক দায়িত্ব শিশুদের প্রতি মানবিক হওয়া এবং যে কোনো ধরনের শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা।
রুঢ় জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা আন্তারিকতার ছোঁয়ায় সহজ-সরলভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
০১ লা জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গ্রামে-গঞ্জে পরিস্থিতি এখনও তেমনই আছে। গরিব মা-বাবার তেমন কিছু করার থাকে না। আবার তারা এসব মারধর স্বাভাবিক মনে করে।
১১| ০১ লা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
শায়মা বলেছেন: শিঘ্রী ৩ নং পার্ট দাও ভাইয়া।
০১ লা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ২-৩টা দিন সময় দেন । সময় পাচ্ছি না, তাছাড়া গুছিয়ে লিখাও একটু কঠিন। বহু বছর আগের ঘটনা তো।
১২| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৮:০২
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: তারপর?
এই টাইপ গল্পে একটা ভাব থাকে, বাস্তবতার ছোঁয়া থাকে...
মনে হয় হয়তো, নিজেরই কোন গল্প পড়ছি...
০৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পরের পর্ব দিয়েছি। গুছিয়ে লেখা একটু কষ্টসাধ্য। বহু বছর আগের স্মৃতি তো।
১৩| ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:৩৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আমাকে বেধড়ক মার খেতে হতো
রীতিমতো ফিজিক্যাল এবিউজ।
বাচ্চাদেরকে মার দেয়ার এই প্র্যাকটিসটা পার্মানেন্টলি বন্ধ করা দরকার।
নামতা না পারার কারণে আমাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে নামিয়ে দেওয়া হলো।
সিরিয়াসলি!! ক্লাস থ্রীতে পড়া বাচ্চার ভুল হতেই পারে।
একটা বছর জীবন থেকে পিছিয়ে যাওয়া শুধু নামতার জন্য??
আলুভর্তা আর ভাত আমাদের প্রতিদিনকার খাবার। মাঝেমধ্যে কচুশাক।
হয়তো সুলভ সহজলভ্য কিন্তু গরম ভাতের সাথে ডাল আর আলু ভর্তা একটা মজার খাবার।
কচুশাকও আরেকটা মজার খাবার।
পরে অভাবের দিনে আমার খুব আফসোস হতো কেন ওগুলো ফেলে দিতাম? কেন পকেটে পুরে নিয়ে আসতাম না?
আহা!! এটা পড়ে কিন্তু মনটা খারাপ হয়ে গেলো
১৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৪১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মারধর ওই সময় কমন ঘটনা ছিল, তার ওপর আমি ছিলাম নিতান্তই গরিব। আমাকে মারলে জবাবদিহিতা ছিল না।
আপনি নিত্যদিন ভালোমন্দ খান বলেই হয়তো গরম ভাতের সাথে ডাল আর আলু ভর্তা অত মজা লাগে । আমাদের আসলে বিকল্প ছিল না। এখন অবশ্য কচুশাক অথবা কচুর ডগা বা ডাটা দারুণ লাগে ইলিশ দিয়ে রাঁধলে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:২৬
করুণাধারা বলেছেন: অপু দুর্গার বাবাও বাড়ি ছেড়ে কোথায় গিয়ে কাজ করতেন...
গল্প ভালো আগাচ্ছে। পারলে ক্যাটসকে কেডস করে দিয়েন।