নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা আর আমাদের ক্ষয়ে যাওয়া বিবেক

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬


একটা গল্প প্রচলিত আছে এমন: রমজান মাসে বাংলাদেশে বেড়াতে এলেন উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিক। কোনো এক রোজাদারকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনারা সারাদিন না খেয়ে থাকেন কেন?
উত্তরে রোজাদার বললেন, আমরা স্র্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখি।
কোরিয়ান জানতে চাইলেন, গোপনে কিছু খেয়ে নিলেই তো পারেন। উপোস করার দরকার কী?
রোজাদার বললেন, স্রষ্টা সর্বত্র বিরাজমান। তিনি সবই দেখেন।
কোরিয়ান বিস্ময়াভিভূত হয়ে বললেন, তাহলে তো আপনাদের দেশে নিশ্চয়ই খুন-খারাবি, চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই কিছুই হয় না?

আমি জানি না এরপর বাঙালি রোজাদারের উত্তর কী ছিল। গত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে এলে আমার কাছে মনে হলো- এই দেশে মনে হয় চুরি-ডাকাতি বলতে কিছু নেই। এমন কিছু করলেই হিসাব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আসলেই কি তাই?

আমরা তো দেখেছি এ দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে বিগত বছরগুলোতে। দেশের বড় বড় প্রকল্পগুলোতে দুর্নীতি আর দুর্নীতি। এমন কোনো খাত আছে যেখানে দুর্নীতি নেই? যারা এহেন কর্মে জড়িত, তাদের টিকিটিও তো ছুঁতে পারে না এই তথাকথিত সচেতন জনতা। অনেককে তো দেখা গেছে বড় বড় চোরদের সঙ্গে ছবি তুলতে। তবে কি এদের আক্রোশ শুধু ছিঁচকে চোরদের প্রতি? বড় চোরেরা এদের কাছে পূজনীয়?

এতদিন দেখে এসেছি পড়ালেখা না জানা, মুটে, মজুরেরা চোরদের গণধোলাই দিয়ে মেরে ফেলত। এরা তো আইন-কানুন জানত না। অথচ যারা গতকাল ঘৃণ্য কাজটা করল, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। যারা নিজেদের দেশের সবচেয়ে মেধাবী দাবি করে। যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। এ বোধ কি মেধাবীদের ছিল না?

জানা গেছে, নিহত তোফাজ্জল হোসেন পাথরঘাটার তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি কাঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে প্রেমসংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এর কিছুদিনের মধ্যেই তার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় এবং মা ও একমাত্র বড় ভাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার পরিবারের কোনো সদস্য জীবিত নেই।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে ফজলুল হক মুসলিম হলে প্রবেশ করেন। ওই সময় চোর সন্দেহে তাকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টার দিকে হলের গেস্ট রুমে কয়েক দফা মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ক্যান্টিনে বসিয়ে ভাতও খাওয়ানো হয়। তারপর পুনরায় মারধর করা হয়।

দীর্ঘ সময় মারধরের ফলে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

এমন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে যারা মারল, তাদের বিবেক কী বলে? তারা কি কখনও নিজেদের ক্ষমা করতে পারবে? 

ছবি: ফেসবুক

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

কামাল১৮ বলেছেন: এরাই শিবির।চোর মেরে হাত পাকা করছে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এসব কাজে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-শিবির থেকে শুরু করে সাধারণ-অসাধারণ আরো অনেকেই সিদ্ধহস্ত। বিশেষভাবে কাকে দোষারোপ করব?

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা ছিলো না। সে যাইহোক, এভাবে পিটিয়ে মানুষ মারার তীব্র নিন্দা জানাই। শুক্ত হাতে ঐসব গুণ্ডাদের দমন করা উচিত। আইন এভাবে হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারোরই থাকা উচিত নয়। ধন্যবাদ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বড় চোরদের কিছু করতে না পারলেও তথাকথিত সচেতন নাগরিকরা ছিঁচকে চোরদের মারায় উস্তাদ। কোনো আইন-আদালত তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে পারবে বলে মনে হয় না।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৪

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: পুরো বিষয়টা ঘোলাটে। হল প্রভোস্ট এবং হল প্রসাষনের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কি করছিল? আপনি নিজে একজন শিক্ষক । আপনিই বলেন যে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি ছাত্ররা কাউকে পেটায় তবে কি তৎক্ষনাত শিক্ষক, প্রিন্সিপাল দৌড়ে এসে তা থামাবে না চুপ করে বসে থাকবে ?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দায় তো তাদের ওপরও বর্তায়। নিজেদের বিবেক বিসর্জন দেওয়াও নিশ্চয়ই সমীচীন নয়?

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

এম ডি মুসা বলেছেন: নৈতিক শিক্ষা অর্জন করতে হবে। সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত আমরা শিখতেই থাকব। কিন্তু প্রয়োগ ঘটাতে পারব না।

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৮

আমি সাজিদ বলেছেন: এভাবে কাউকে মারার অধিকার কেউ অধিকার দেয় নাই। যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশ নেমেছে, তাতে কালো দাগ পড়ে গেল। গাজীর ফ্যাকটরিতে মানুষ পুড়িয়ে মারা, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনি, সন্দেহ হলেই মব জাস্টিস, বিষয়টা অনেক স্পর্শকাতর। আওয়ামী হটিয়ে আওয়ামীর চেয়েও বেশী স্বৈরাচার হতে গেলে কেমনে হবে?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জাতিগত বৈশিষ্ট্য কি বদলানো যাবে? সে হোক বিএনপি, হোক আওয়ামী লীগ।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৯

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: নিউজটা দেখে আমার এত খারাপ লাগছে, একটা মানুষকে ভাত খাইয়ে মেরে ফেলছে। কি পরিমাণ ঠান্ডা মাথার খুনি। এদেশে বিগত ৫০ বছরে কিছু হয়নি আগামি ৫০ বছরে ও কিছু হবে না।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নিজেরা এই পরিস্থিতিতে না পড়লে এরা বুঝবে না।

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫১

ঊণকৌটী বলেছেন: একটা সময়ে মব কিলিং গা সয়ে যাবে, তখন মনে হবে এইটাই স্বাভাবিক, আর যারা যারা একে সাপোর্ট করছে, তারাই তখন চিৎকার করবে এর বিরুদ্ধে

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এগুলো আসলেই গা সওয়া হয়ে গেছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় সাধারণ ছাত্রদের দ্বারা এমন ঘটনা অনভিপ্রেত।

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১১

আমি সাজিদ বলেছেন: আমাদের নোংরা জাতিগত ট্রেইটের কারনে অন্য জাতির কাছে কম বৈষম্যের শিকার হই নাই, বেশীই হইসি। দেশের বাইরে ৩ বছর+ আছি। আমাদের চোর আর করাপটেড বলেই অন্য জাতিরা জানে দেখলাম। মন খুবই নীচু করে চলতে হয় মাঝে মাঝে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বদমাশদের কারণে ভালোরা নিগৃহীত হয়।

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সোনার ছেলেদের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চাওয়া অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:০৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: বড় চোরদের কিছু করতে না পারলেও তথাকথিত সচেতন নাগরিকরা ছিঁচকে চোরদের মারায় উস্তাদ। কোনো আইন-আদালত তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে পারবে বলে মনে হয় না।

তারা "তথাকথিত সচেতন নাগরিক" নয়। তাদের একটা পরিচয় আছে অবশ্যই। মস্তিষ্কের বিকাশ হয়ে থাকলে তারা লীগের নেতা হওয়ার কথা নয়। তারা চেতনাধারী সন্ত্রাসী।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৫০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জাবিতে একজনকে হত্যা করা হয়েছে, সে ছাত্রলীগ নেতা ছিল। ঢাবিতে একজন ছাত্রলীগ নেতা কী করে এখনও অবস্থানের সুযোগ পেল? হত্যাকাণ্ডে জড়িত বা উপস্থিত বেশিরভাগই সাধারণ ছাত্র। তারা কী করল? এক ছাত্রলীগ নেতাকে দায় দিয়ে বাকিদের তো ছাড় দেওয়া যায় না।

১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৫৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: জাবিতে একজনকে হত্যা করা হয়েছে, সে ছাত্রলীগ নেতা ছিল। ঢাবিতে একজন ছাত্রলীগ নেতা কী করে এখনও অবস্থানের সুযোগ পেল? হত্যাকাণ্ডে জড়িত বা উপস্থিত বেশিরভাগই সাধারণ ছাত্র। তারা কী করল? এক ছাত্রলীগ নেতাকে দায় দিয়ে বাকিদের তো ছাড় দেওয়া যায় না।

একমত। যারা এই ধরনের অপরাধের সাথে যুক্ত তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.