নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
একটা গল্প প্রচলিত আছে এমন: রমজান মাসে বাংলাদেশে বেড়াতে এলেন উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিক। কোনো এক রোজাদারকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনারা সারাদিন না খেয়ে থাকেন কেন?
উত্তরে রোজাদার বললেন, আমরা স্র্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখি।
কোরিয়ান জানতে চাইলেন, গোপনে কিছু খেয়ে নিলেই তো পারেন। উপোস করার দরকার কী?
রোজাদার বললেন, স্রষ্টা সর্বত্র বিরাজমান। তিনি সবই দেখেন।
কোরিয়ান বিস্ময়াভিভূত হয়ে বললেন, তাহলে তো আপনাদের দেশে নিশ্চয়ই খুন-খারাবি, চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই কিছুই হয় না?
আমি জানি না এরপর বাঙালি রোজাদারের উত্তর কী ছিল। গত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে এলে আমার কাছে মনে হলো- এই দেশে মনে হয় চুরি-ডাকাতি বলতে কিছু নেই। এমন কিছু করলেই হিসাব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আসলেই কি তাই?
আমরা তো দেখেছি এ দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে বিগত বছরগুলোতে। দেশের বড় বড় প্রকল্পগুলোতে দুর্নীতি আর দুর্নীতি। এমন কোনো খাত আছে যেখানে দুর্নীতি নেই? যারা এহেন কর্মে জড়িত, তাদের টিকিটিও তো ছুঁতে পারে না এই তথাকথিত সচেতন জনতা। অনেককে তো দেখা গেছে বড় বড় চোরদের সঙ্গে ছবি তুলতে। তবে কি এদের আক্রোশ শুধু ছিঁচকে চোরদের প্রতি? বড় চোরেরা এদের কাছে পূজনীয়?
এতদিন দেখে এসেছি পড়ালেখা না জানা, মুটে, মজুরেরা চোরদের গণধোলাই দিয়ে মেরে ফেলত। এরা তো আইন-কানুন জানত না। অথচ যারা গতকাল ঘৃণ্য কাজটা করল, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। যারা নিজেদের দেশের সবচেয়ে মেধাবী দাবি করে। যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। এ বোধ কি মেধাবীদের ছিল না?
জানা গেছে, নিহত তোফাজ্জল হোসেন পাথরঘাটার তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি কাঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে প্রেমসংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এর কিছুদিনের মধ্যেই তার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় এবং মা ও একমাত্র বড় ভাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার পরিবারের কোনো সদস্য জীবিত নেই।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে ফজলুল হক মুসলিম হলে প্রবেশ করেন। ওই সময় চোর সন্দেহে তাকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টার দিকে হলের গেস্ট রুমে কয়েক দফা মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ক্যান্টিনে বসিয়ে ভাতও খাওয়ানো হয়। তারপর পুনরায় মারধর করা হয়।
দীর্ঘ সময় মারধরের ফলে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এমন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে যারা মারল, তাদের বিবেক কী বলে? তারা কি কখনও নিজেদের ক্ষমা করতে পারবে?
ছবি: ফেসবুক
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এসব কাজে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-শিবির থেকে শুরু করে সাধারণ-অসাধারণ আরো অনেকেই সিদ্ধহস্ত। বিশেষভাবে কাকে দোষারোপ করব?
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা ছিলো না। সে যাইহোক, এভাবে পিটিয়ে মানুষ মারার তীব্র নিন্দা জানাই। শুক্ত হাতে ঐসব গুণ্ডাদের দমন করা উচিত। আইন এভাবে হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারোরই থাকা উচিত নয়। ধন্যবাদ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বড় চোরদের কিছু করতে না পারলেও তথাকথিত সচেতন নাগরিকরা ছিঁচকে চোরদের মারায় উস্তাদ। কোনো আইন-আদালত তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে পারবে বলে মনে হয় না।
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৪
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: পুরো বিষয়টা ঘোলাটে। হল প্রভোস্ট এবং হল প্রসাষনের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কি করছিল? আপনি নিজে একজন শিক্ষক । আপনিই বলেন যে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি ছাত্ররা কাউকে পেটায় তবে কি তৎক্ষনাত শিক্ষক, প্রিন্সিপাল দৌড়ে এসে তা থামাবে না চুপ করে বসে থাকবে ?
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দায় তো তাদের ওপরও বর্তায়। নিজেদের বিবেক বিসর্জন দেওয়াও নিশ্চয়ই সমীচীন নয়?
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৯
এম ডি মুসা বলেছেন: নৈতিক শিক্ষা অর্জন করতে হবে। সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত আমরা শিখতেই থাকব। কিন্তু প্রয়োগ ঘটাতে পারব না।
৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৮
আমি সাজিদ বলেছেন: এভাবে কাউকে মারার অধিকার কেউ অধিকার দেয় নাই। যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশ নেমেছে, তাতে কালো দাগ পড়ে গেল। গাজীর ফ্যাকটরিতে মানুষ পুড়িয়ে মারা, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনি, সন্দেহ হলেই মব জাস্টিস, বিষয়টা অনেক স্পর্শকাতর। আওয়ামী হটিয়ে আওয়ামীর চেয়েও বেশী স্বৈরাচার হতে গেলে কেমনে হবে?
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জাতিগত বৈশিষ্ট্য কি বদলানো যাবে? সে হোক বিএনপি, হোক আওয়ামী লীগ।
৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৯
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: নিউজটা দেখে আমার এত খারাপ লাগছে, একটা মানুষকে ভাত খাইয়ে মেরে ফেলছে। কি পরিমাণ ঠান্ডা মাথার খুনি। এদেশে বিগত ৫০ বছরে কিছু হয়নি আগামি ৫০ বছরে ও কিছু হবে না।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নিজেরা এই পরিস্থিতিতে না পড়লে এরা বুঝবে না।
৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫১
ঊণকৌটী বলেছেন: একটা সময়ে মব কিলিং গা সয়ে যাবে, তখন মনে হবে এইটাই স্বাভাবিক, আর যারা যারা একে সাপোর্ট করছে, তারাই তখন চিৎকার করবে এর বিরুদ্ধে
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এগুলো আসলেই গা সওয়া হয়ে গেছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় সাধারণ ছাত্রদের দ্বারা এমন ঘটনা অনভিপ্রেত।
৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১১
আমি সাজিদ বলেছেন: আমাদের নোংরা জাতিগত ট্রেইটের কারনে অন্য জাতির কাছে কম বৈষম্যের শিকার হই নাই, বেশীই হইসি। দেশের বাইরে ৩ বছর+ আছি। আমাদের চোর আর করাপটেড বলেই অন্য জাতিরা জানে দেখলাম। মন খুবই নীচু করে চলতে হয় মাঝে মাঝে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বদমাশদের কারণে ভালোরা নিগৃহীত হয়।
৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সোনার ছেলেদের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চাওয়া অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:০৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: বড় চোরদের কিছু করতে না পারলেও তথাকথিত সচেতন নাগরিকরা ছিঁচকে চোরদের মারায় উস্তাদ। কোনো আইন-আদালত তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে পারবে বলে মনে হয় না।
তারা "তথাকথিত সচেতন নাগরিক" নয়। তাদের একটা পরিচয় আছে অবশ্যই। মস্তিষ্কের বিকাশ হয়ে থাকলে তারা লীগের নেতা হওয়ার কথা নয়। তারা চেতনাধারী সন্ত্রাসী।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৫০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জাবিতে একজনকে হত্যা করা হয়েছে, সে ছাত্রলীগ নেতা ছিল। ঢাবিতে একজন ছাত্রলীগ নেতা কী করে এখনও অবস্থানের সুযোগ পেল? হত্যাকাণ্ডে জড়িত বা উপস্থিত বেশিরভাগই সাধারণ ছাত্র। তারা কী করল? এক ছাত্রলীগ নেতাকে দায় দিয়ে বাকিদের তো ছাড় দেওয়া যায় না।
১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৫৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: জাবিতে একজনকে হত্যা করা হয়েছে, সে ছাত্রলীগ নেতা ছিল। ঢাবিতে একজন ছাত্রলীগ নেতা কী করে এখনও অবস্থানের সুযোগ পেল? হত্যাকাণ্ডে জড়িত বা উপস্থিত বেশিরভাগই সাধারণ ছাত্র। তারা কী করল? এক ছাত্রলীগ নেতাকে দায় দিয়ে বাকিদের তো ছাড় দেওয়া যায় না।
একমত। যারা এই ধরনের অপরাধের সাথে যুক্ত তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা উচিত।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সংগঠন করা অপরাধীদের আপনি শনাক্ত করতে পারবেন, শাস্তিও দিতে পারবেন। কিন্তু আমার-আপনার মতো যারা সংগঠন করে না; মনে পশুত্ব লালন করে তাদের শনাক্ত করবেন কেমনে? এই সংখ্যা তো কম নয়। সমস্যা তো আমাদের গোঁড়ায়।
১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬
আষদফ বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং আমাদের "ক্ষয়ে যাওয়া বিবেক" নিয়ে আলোচনা সত্যিই বেদনাদায়ক। তবে, এই ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে সমগ্র সমাজ বা একটি নির্দিষ্ট প্রজন্মকে নৈতিকভাবে ভঙ্গুর এবং ক্ষয়প্রাপ্ত বলে অভিহিত করা সঠিক পন্থা নয়। একটি ঘটনা, যতটা ভয়াবহ বা নিন্দনীয় হোক না কেন, তার ভিত্তিতে পুরো সমাজের বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত নয়। বরং আমাদের উচিত প্রতিটি ঘটনা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা এবং সমস্যার মূল কারণগুলি চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খোঁজা।
প্রথমত, সমাজের একটি ক্ষুদ্র অংশের কার্যকলাপ দিয়ে পুরো সমাজকে বিচার করা ভুল। ঢাবির ঘটনাটি আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের একটি দিক প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু এটি পুরো সমাজের অবস্থা প্রতিফলিত করে না। আমাদের তরুণ প্রজন্মের অনেকেই সমাজের উন্নয়ন, শিক্ষা, মানবাধিকার রক্ষা এবং নৈতিকতার প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানে তাদের অবদান কখনো উপেক্ষা করা উচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে নিরলস পরিশ্রম করছে। তারা দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা প্রসার, এবং পরিবেশ রক্ষা নিয়ে কাজ করছে, যা প্রমাণ করে যে তাদের বিবেক এখনো ক্ষয়প্রাপ্ত হয়নি।
দ্বিতীয়ত, সমাজে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাকে ভিত্তি করে "বিবেকের ক্ষয়" বলে উল্লেখ করা আসলে সমস্যার গভীরে পৌঁছাতে ব্যর্থতা। সামাজিক অবক্ষয় বা নৈতিক বিপর্যয়ের পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে, যেমন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সামাজিক অসাম্য, শিক্ষার অভাব, অথবা ন্যায়বিচারের প্রয়োজনীয়তা। একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা একটি জটিল সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রেক্ষাপটের অংশ, যা শুধুমাত্র নৈতিকতার প্রশ্নের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। এই ধরনের ঘটনা সমাজে বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফল হতে পারে, যেখানে অপরাধীরা প্রায়শই শাস্তি এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাই, আমাদের মনোযোগ নিবদ্ধ করা উচিত সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রয়োজনীয়তা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দিকে।
তৃতীয়ত, এই ধরনের বক্তব্য সমাজে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে এবং তরুণ প্রজন্মকে হতাশায় নিমজ্জিত করতে পারে। যখন একটি প্রজন্মকে বা একটি সমাজকে বারবার "ক্ষয়প্রাপ্ত" বা "ভ্রষ্ট" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়, তখন তাদের মধ্যে উন্নতির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যেতে পারে। এটি আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করতে পারে এবং ভবিষ্যতের দিকে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার প্রেরণা নষ্ট করতে পারে। আমরা যদি আমাদের সমাজে সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে চাই, তবে আমাদের তরুণদের অনুপ্রাণিত করা উচিত, তাদের সঠিক পথ দেখানো উচিত এবং নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি না রেখে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।
অতএব, ঢাবির যুবক হত্যাকাণ্ড একটি জঘন্য অপরাধ এবং অবশ্যই এর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা দরকার। তবে, এই একটি ঘটনা দিয়ে পুরো সমাজকে নৈতিকভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত বলে ঘোষণা করা অযৌক্তিক এবং অতিরঞ্জিত। সমাজের কিছু নেতিবাচক দিক থাকা সত্ত্বেও, আমাদের প্রচুর সম্ভাবনা এবং ইতিবাচক দিক রয়েছে, যা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাওয়া যায়। বরং এই ধরনের ঘটনার মাধ্যমে সমাজের সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং একটি মানবিক, নৈতিক সমাজ গড়ে তোলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ন্যায্য কথা বলেছেন। আপনার মন্তব্যে সহমত। কিন্তু বাস্তবতা তো এড়ানো সম্ভব না। নজরুলের ভাষায় বলতে হয়, বন্ধু গো, আর বলিতে পারি না, বড় বিষ-জ্বালা এই বুকে!
দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে।
রক্ত ঝরাতে পারি না ত একা,
তাই লিখে যাই এ রক্ত-লেখা,
বড় কথা বড় ভাব আসে না ক’ মাথায়, বন্ধু, বড় দুখে!
অমর কাব্য তোমরা লিখিও, বন্ধু, যাহারা আছ সুখে!
১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১
আরইউ বলেছেন:
রূপক,
ভালো লিখেছেন।
এ বিষয়ে ঢাবিয়ানের পোস্টে একটা মন্তব্য করেছিলাম। কিন্তু ওনার সমালোচনামূলক কমেন্ট পছন্দ হয়নি, মুছে দিয়েছেন। প্রাসংগিক বিধায় মন্তব্যটা আপনার এই পোস্টে প্রমান হিসেবে রেখে দিচ্ছি।
ভালো থাকুন!
===
ঢাবিয়ান,
আপনি অনেক কিছুই লিখেছেন, কিন্তু আপনার বক্তব্য স্পষ্ট নয়। এই ঘটনাগুলোর দায়ভার অবশ্যই, এবং আবারও বলছি, ইউনুস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। সৈরাচার পতনের পর সরকারের পক্ষ থেকে যখন কড়া কোনো বার্তা দেওয়া হবে না, যখন অন্যরা দেখবে যা তা করে, ছাত্রলীগ, প্রতিবিপ্লব এসবের নাম দিয়ে অন্যায় চালিয়ে দেওয়া যাচ্ছে, সমন্বয়ক নামের “মেধাবীরা” সরকারের পাশাপশি একটি সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে, যাদের ভয়ে ইউনুস সরকারসহ, আইন, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা সবাই তটস্থ, তখন এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
আপনি বলেছেন, প্রক্টর কোথায় ছিল, প্রশাসন কোথায় ছিল, এসব। আপনি সম্ভবত কোথায় কী হচ্ছে তার খবরাখবর ঠিকমত রাখেন না, অথবা, আপনি শুধু নিউজ চেরি পিকিং করেন, যা আপনার শুনতে ভালো লাগে তাই পড়েন। বর্তমানে “মেধাবীদের” যে পরিমাণ ক্ষমতা ইউনুস সরকার আর সমন্বয়করা দিয়ে রেখেছেন তাতে কোনো শিক্ষক, প্রশাসনের সাহস আছে “মেধাবীদের” বিপক্ষে কিছু বলবে? বললে “মেধাবীরা” গায়ের চামড়া রাখতে দেবে? যখন এই কথিত মেধাবীরা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজেরা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে ভিসি, শিক্ষক, এডমিনের লোকজনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করছিল তখনই এই “মেধাবীদের” লাগাম টানা উচিত ছিল। এটা না করতে পারার ফলাফল হচ্ছে এসব। “মেধাবীরা” এখন কারোর কথা শুনবে না; দু’দিন পরে ওনাদের কথা না শুনলে, ইউনুসসহ তার ক্যাবিনেটের অন্যান্য সদস্যদেরও রাস্তায় ফেলে পেটাবে।
অবশ্য আপনাকে বলে লাভ নেই। অনেক কিছুই আপনার বোধ বুদ্ধির বাইরে। তা না হলে দেশের নাজুক একটা অবস্থায় আপনি ব্লগে লীগের ব্লগারদের তালিকা করার মতো জঘন্য কাজটা করতেন না, হয়ত! আপনার ঐ লিস্ট পড়ে কেউ যদি কোনো ব্লগারকে আহত করে তার দায়ভার যে আপনার উপর বর্তায় সেই বোধটুকু আপনার নেই, অথবা আপনি প্রতিহিংসাবশত ঐ অপকর্মটি করেছিলেন। যে কারণই হোক, এটা সিক মেন্টালিটি।
যাহোক, অপাত্রে অনেক কথা বলা হলো। আল্লাহ্ আপনাকে সুস্থতা দান করুন।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমি পড়েছিলাম সেখানে। যৌক্তিক কথা। আমি আপনার সাথে যোগ করতে চাই। দেশের অবস্থা আরো খারাপ হবে। আগে তো শেখ হাসিনাকে অন্তত গালমন্দ করা যেত। এখন তাও করা যাবে না। শুধু হা-হুতাশ করতে হবে। বাঙালি চরিত্র বুঝি তো। এখানে দেবদূত এসেও সুবিধা করতে পারবে না। তাও আশা রাখি অন্তর্বর্তী সরকারের বোধোদয় হোক। অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ দিয়ে আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক করুক। তথাকথিত মেধাবীদের ছাত্রলীগ হওয়া ঠেকাক।
১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮
মিরোরডডল বলেছেন:
কি ভয়াবহ!!!!
দেশে কোন আইন নেই?????
মানুষ কি করে আরেকজন মানুষকে এভাবে মারতে পারে!
আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া কখনোই ভালো কিছু না।
কবে যে দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হবে!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ট্রান্সফরমার চোর অভিযোগে গণপিটুনি দিয়ে যুবককে হত্যা । আরও একটি ঘটনা।
১৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই যারা এই হত্যাকাণ্ড দুটিতে জড়িত ছিল তাদের প্রত্যেককে কঠিন শাস্তি দিতে হবে।
আমরা ছোট চোর পিটিয়ে নিজেদের বীরত্ব দেখাই। কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকা যারা চুরি করে তাদের স্যার বলি।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কয়জনকে শাস্তি দেবে? আজকেও গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।ট্রান্সফরমার চোর অভিযোগে গণপিটুনি দিয়ে যুবককে হত্যা ।
১৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:১৭
নিমো বলেছেন: তাওয়া গরম থাকতেই, রুটি সেঁকতে হয়- বয়ানে সাড়ে চুয়াত্তর।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৩৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ওকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
কামাল১৮ বলেছেন: এরাই শিবির।চোর মেরে হাত পাকা করছে।