নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
এ বছর বেশ কয়েকজন নিকটাত্মীয় মৃত্যুবরণ করেছেন। সর্বশেষ গত গত সপ্তাহে মারা গেলেন দাদি। দাদা মারা যাওয়ার এক যুগ পর মৃত্যু হলো তার। এছাড়াও অসুস্থ আছেন কয়েকজন। যেকোনো সময় মৃত্যুসংবাদ শুনতে হতে পারে।
জীবনে এত এত জটিলতা যে, চলার পথ এত কণ্টকাকীর্ণ যে, কোনো মৃত্যু এখন আর হৃদয় স্পর্শ করে না। মনে হয় মৃত্যু অপেক্ষা বেঁচে থাকাটাই বেশি কষ্টকর। এত এত দায়িত্ব, এত এত দুর্ভাবনা যে, বেঁচে থাকার আগ্রহ আর অবশিষ্ট থাকে না।
দাদি বেশ কয়েক বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। জীবিত একমাত্র মেয়ের বাড়ি গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে কোমর ভেঙে যায় তার। তারপর থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হলো অনেকদিন। বিছানা থেকে উঠতেই পারতেন না। ছেলের বউয়েরা তার সেবাযত্ন করতেন। এরপর সেদিন তিনি লোকান্তরিত হয়েছেন।
সবশেষ জীবদ্দশায় যখন দাদির সাথে দেখা হয়, অনেকক্ষণ কথা বলেছিলেন আমার সাথে। অথচ এর আগে কয়েক বছর আমিসহ কাউকে চিনতেই পারতেন না।
মাত্র চল্লিশ দিন আগে এক আঙ্কেলের মৃত্যু হলো। সেদিন মাঝরাতে শুনি হঠাৎ উনার শ্বাসকষ্ট বেড়েছে। একটু পর খবর আসে উনি আর ধরাধামে নেই। অথচ একদিন আগেই ঢাকা থেকে ডাক্তার দেখিয়ে গিয়েছিলেন। ওষুধও খাওয়া শেষ হয়নি। খুব অনাদরে মৃত্যু হয়েছে তার। মরার সময় বলার মতো কেউ পাশে ছিল না।
ছয়-সাত মাস আগে এক কাকা মারা গেলেন। কিডনির সমস্যা ছিল। সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে বাঁচানোর। কাকাত ভাই বিদেশ থেকে টাকা-পয়সা পাঠিয়েছে। কিন্তু কিছু করার ছিল না। দুঃখ এখানে একটাই, কাকার তেমন বয়স হয়নি। আমার সাত বাবা-কাকার মধ্যে চতুর্থতম ছিলেন তিনি।
আজ মাকে ফোন দিলাম। জানালেন, আরেক আঙ্কেল মারা গেছেন। উনারও কিডনির সমস্যা ছিল।
ছবি: সংগৃহীত
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:০১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রাকৃতিক-সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সব ধরনের পরিবেশই নষ্ট হয়ে গেছে। ভালো থাকার উপায় নেই।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:২৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এবছর আমারও খারাপ গিয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে গুলি খেয়ে প্রায় চোখ হারানোর অবস্থা ছোট মামার। সদ্য ইন্টারে ওঠা কাজিন পায়ে গুলি খাইসে। দেশে আর থাকতে চাচ্ছে না। আমাদের বেশির ভাগ আত্নীয় স্বজন বিদেশ চলে যেতে চাচ্ছে। বাংলাদেশের অবস্থা সামনে আরো খারাপ হতে পারে এই ভয়ে।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার দেশ ছাড়ার ইচ্ছে ছিল না। এখন ভাবছি চলে যাব।
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ডিসেম্বর মাসে মানুষ জন্ম এবং মৃত্যু বেশি হয়।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এবার সড়ক দুর্ঘটনায়ও অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৪
মেহবুবা বলেছেন: কখনো কখনো এমন হয়; ২০০৯-২০১০ সনে আমাদের জন্য অনেক দুঃখের সময় ছিল। আসলে বয়স্ক আত্মীয় স্বজনের বিয়োগ ব্যাথা এক রকম। আর তরুন বয়সের কারো মৃত্যু অনেক ভারাক্রান্ত করে।
আল্লাহ্ ভাল জানে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া ছাড়া গতি নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:২৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
দেশে খাদ্যদ্রব্যে যেই পরিমাণ ভেজাল তা কল্পনাকেও হার মানায়। বাতাসে নষ্ট হয়ে গিয়েছে, পানি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কোনো সরকার এইসব দেখার সময় পায়নি। শুধু দেখেছে ক্ষমতা আর টাকা। নিজের দেশের অর্থ সম্পত্তি চুরি চামারি করে হয় জেলে থাকবে নয়তো প্রবাসে রিফিউজির জীবন যাপন করবে। - চলমান প্রক্রিয়া, এই প্রসেসিং চলতে থাকবে।
আপনার দাদীজানের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি।