নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
কয়েকমাস আগের কথা। আমার হোয়াটসঅ্যাপে অচেনা নম্বর থেকে একটা মেসেজ এলো। জানতে চাইল, অনলাইনে কোনো কাজ করতে চাই কি না। ডে অফ ছিল আমার। বাসায় বসেই ছিলাম। কৌতূহলবশত উত্তর করলাম, হ্যাঁ, কাজ করতে চাই।
এরপর একটা লিঙ্ক এলো। বলা হলো, এখানে ঢুকে কাজ শুরু করুন।
সাহস করে ঢুকলাম। দেখলাম বলছে, T-Sports এর চ্যানেল Subscribe করতে। এ আর এমন কী! করলাম Subscribe, করার পর বলল, আপনি ১৫০ টাকা পেয়েছেন।
এরপর টেলিগ্রামে একটা গ্রুপে জয়েন হতে বলল। বলা হলো, সেখানে বিকাশ নম্বর দিলে পেমেন্ট দেবে। টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট ছিল না আমার। খুলে ফেললাম এবং বিকাশ নম্বর দেওয়ার সাথে সাথেই ১৫০ টাকা ঢুকল অ্যাকাউন্টে।
এটা-ওটা নির্দেশনা দিচ্ছে; সে মতো কাজ করছি এবং কাজের স্ক্রিনশটও দিচ্ছি। হঠাৎ বলা হলো, অত টাকা ইনভেস্ট করলে অত টাকা দেবে। টাকার একাধিক Range ছিল। দেখলাম, গ্রুপে অনেকে টাকা ইনভেস্টের স্ক্রিনশট দিচ্ছে, টাকা পাওয়ার স্ক্রিনশটও দিচ্ছে। আমার খটকা লাগল এটা ভেবে, টাকা ইনভেস্ট করলে তো সাথে সাথে টাকা দেওয়ার কথা না, কিছু সময় তো নেবে।
আমি শুধু টাকা দেওয়ার কাজটা করলাম না, বাকি সব করছিলাম। তো পরদিন হাসপাতালে যাওয়া দরকার ছিল, তাই ওইদিন আর প্রতিযোগিতায় অংশ নিইনি। এর পরদিন দেখি আমি আর টেলিগ্রাম গ্রুপে নেই। আমাকে বের করে দিয়েছে।
দুই
বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে জনৈক মামাত ভাই ফোন দিয়ে জানতে চাইল, কবে বাড়ি আসবে? গেলে সে আমার জন্য অপেক্ষা করবে জানাল। আমি জানতাম না সে আমাদের বাড়িতেই আছে।
মাকে জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, সে দুদিন আগে এসেছে। আরও কয়েকদিন থাকবে।
মামাত ভাই আমি বাড়িতে না থাকলে খুব একটা আসে না। খালি বাড়িতে গিয়ে কী আর করবে? এবার যেহেতু কয়েকদিন থাকছে, মাকে কারণ জিজ্ঞেস করলাম। তিনি জানালেন, অনলাইনে কী এক বাজি খেলে ১১ লাখ টাকা গচ্ছা গেছে।
মামাত ভাইকে কিছু জিজ্ঞেস করলাম না। তবে ঢাকায় ফিরে আসার সময় হঠাৎ প্রসঙ্গটা উঠল। সে নিজে থেকেই সব খুলে বলল। যা বুঝতে পারলাম, আমার সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যে কাহিনী হয়েছে, তার সাথে প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছে। পার্থক্য একটাই- সে ফাঁদে পড়েছিল আর আমি পড়িনি।
অনলাইনে এ রকম ফাঁদে আরও অনেকেই পড়ছে ইদানীং। ক্যাসিনো খেলছে নাকি কেউ কেউ। খেলাধুলায় বাজি তো একেবারে কমন ঘটনা। ধার-দেনা করে, এমনকি জমি বিক্রি করে অনলাইন জুয়ায় জড়িত হচ্ছে অনেক মানুষ। এ সব ঘটনার পেছনে দারিদ্র্য যেমন জড়িত, লোভও কম দায়ী না। আগে থেকে সতর্ক না হলে সমূহ বিপদ। একবার জড়িয়ে গেলে আর পেছানোর সুযোগ নেই।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মোবাইল রিচার্জ।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:১২
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো বলেছেন ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মারাত্মক আসক্তি। ছেলে বুড়ো সবাই এই ফাঁদে পড়ছে।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪০
নতুন বলেছেন: এটা অনেক দিন থেকেই চলছে দুবাইতে ।
অনেকেই লোভে পরে টাকা খুইয়েছে। আমার কলিগের এক বন্ধু প্রায় ১৬ হাজার দিরহাম খুইয়েছে গতবছর।
আমাকে ম্যাসেজ দিলে আমি ভুল ভাল ইংরেজিতে জিঙ্গাসা করি কত বেতন দেবে, যদি ৩০ বা ৫০ দিরহাম ব্যংকে দেয় তবে করি। টাকা পাবার পরে বলি যে তোমরা যে স্ক্যামার আমি জানি। টাকার জন্য ধন্যবাদ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রথম কয়েকবার টাকা দেওয়ার পর রিটার্ন আসছিল। মামাত ভাই বুদ্ধি করে স্টপ করে দিলে কাজ হতো। লোভে পড়ে সব গেল। আমি শুরু থেকেই টাকার খেলায় আগাইনি। জানতাম একবার জয়েন করলে আর বেরোতে পারব না।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রচুর তরুন এখন অনলাইন জুয়ায় আশক্ত।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: টাকার লোভ সামলাতে পারে না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আপনি ব্লগার তো তাই আপনার সাথে পারেনি,১৫০ টাকা কি করেছেন পরে?