![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
নারীর বাড়ি দিনাজপুর। স্বামী ঢাকায় ব্যবসাপাতি করেন। পারিবারিক কলহের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাবার্তা বন্ধ ছিল কয়েকদিন। এরমধ্যে ফেসবুকে রংপুরের কাউনিয়ার শামীম নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই নারীর। পরে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদানের মাধ্যমে তাদের মধ্যে ইমোতে কথাবার্তা হয়। শামীম নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন।
গত ৫ মার্চ বিকেলে ওই নারী তার ১৫ মাসের ছেলেসন্তানসহ স্বামীর গচ্ছিত ১১ লাখ টাকা নিয়ে দিনাজপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে শামীম মোবাইলে ওই নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে সারাই ইউনিয়নের ধুমেরকুঠি এলাকায় আসতে বলেন। ওই নারী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অজ্ঞাত এক যুবক তাকে ধুমেরকঠি এলাকায় একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে যান। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। টাকা-সম্ভ্রম দুটোই শেষ।
২
গত বছরের জুনে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের গণারগাঁও গ্রামের আবু সাঈদ নামে এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে পরিচয় ও সম্পর্ক তৈরি হয় স্বামী পরিত্যক্তা ও তিন সন্তানের জননী এক নারীর। ওই নারী সিলেট নগরীর রিকাবীবাজার এলাকার বাসিন্দা। একপর্যায়ে ওই নারীর বাসায় আসা-যাওয়া শুরু করেন ওই পুলিশ সদস্য। বিয়ে করে বিদেশ যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন তিনি। পরবর্তীতে নারীর সহায়তায় একটি পাসপোর্টও তৈরি করেন আবু সাঈদ।
ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার ভিসার অনুমতি পেয়ে আবু সাঈদ ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেন। এ সময় ওই নারী বিয়ের জন্য চাপ দিলে নানা টালবাহানা শুরু করেন আবু সাঈদ। এখন নারীকে হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন। পুলিশ অভিযোগের একুশ দিন পর মামলা নিলেও আসামি ধরতে গড়িমসি করছে।
ওপরে যে দুজন নারীর বর্ণনা দেওয়া হলো, এরা কিন্তু অবুঝ না। কী বুঝে শুধু মোবাইলে পরিচয়ে এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারল? সেনাবাহিনী আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অথবা বড় চাকরি করে শুনলে লোভে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে? পত্র-পত্রিকায় প্রতিদিনই প্রতারিত হওয়ার খবর আসে। তাও লোকজনের হুঁশ হয় না। এই যে এদের দুর্ভোগ হয়; এগুলো দেখে কেউ যদি নির্বিকার থাকে অথবা ঠাট্টা-মশকরা করে সেটা দোষের হবে?
প্রেমিক বিয়ে করবে বলে ঝোঁকের বশে স্বামীকে তালাক দিয়ে বসে। পরে দেখা যায় আর বিয়ে করে না। পরে ছেলের বাড়িতে গিয়ে অনশন করতে হয়। কেন? আর ওই ছেলেগুলোই বা কেমন ক্রিমিনাল! তুই বিয়ে করবি না, তাহলে কেন মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে একটা ঘর নষ্ট করিস?
তুচ্ছ কারণে খুন-খারাপিও ঘটে যায়। পরে কিন্তু দেখা যায় কেউ ভালো থাকে না। জেল-জরিমানা-মৃত্যুদণ্ডও হয়। শুধু যে নেশাখোর আর খারাপ লোকেরাই এমন কাজ করে তা কিন্তু না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটের মতো জায়গায় এমন এমন ঘটনা ঘটেছো, তা অবিশ্বাস্য। কেন এরা এমন করে?
বিদ্যুৎ-সংযোগ না থাকলেও রাতের অন্ধকারে জোনাকি পোকার পশ্চাৎদেশে আলো জ্বলতে দেখা যায় অথচ কিছু কিছু মানুষের পশ্চাৎদেশে এত বিদ্যুৎ থাকা সত্ত্বেও কেন যে আলো জ্বলে না, আমি বুঝতে পারি না। আমার মনে হয় দেশের ঘরে ঘরে সরকারি উদ্যোগে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ পাঠানো উচিত। পুরো জাতিই মানসিক রোগে আক্রান্ত।
ছবিঃ সংগৃহীত
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠিকই বলছেন। আমার তো মনে হয় দেশের বেশিরভাগ মানুষ সুযোগের অভাবে চরিত্রবান।
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:১০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ফেসবুকের লেখক গবেষক পাঠক মাটক যে কোনো গ্রুপে যুক্ত হলে দেখেতে পাবেন দেশের শিক্ষিত মানুষের মাঝে কি পরিমাণ লম্পট “ডাস্টবিনের মাছির মতো ভনভন করছে”।
আমার ধারণা: ফেসবুক আর ইউটিউবকে ডাস্টবিন করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ মারাত্বকভাবে দায়ী।
দৃষ্টি আকর্ষণ: গাজী সাহেব, পোস্টটি পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:১০
যামিনী সুধা বলেছেন:
@ঠাকুরমাহমুদ,
পোষ্ট পড়লাম। ব্লগার রূপকের কমপক্ষে ২টি বই বের হয়েছে, এই ধরণের শিরোনাম দেয়া সঠিক হয়নি। বাংগালী সমাজ বিশৃংখালার ীিলাভুনিতে পরিণত হয়েছে।
৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:২৩
রানার ব্লগ বলেছেন: মানব কুলের ভাও বোঝা বড় দায়।
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিদিন কোথাও না কোথাও, কেঊ না কেউ প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে।
৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:১৮
ধুলো মেঘ বলেছেন: বিবাহিত নারী পুরুষের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টির ব্যাপারে সশ্যাল মিডীয়ার কিছু দায়বদ্ধতা আছে। সেটা তাদের পালন করা উচিত।
৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৪৩
নতুন বলেছেন: ওপরে যে দুজন নারীর বর্ণনা দেওয়া হলো, এরা কিন্তু অবুঝ না। কী বুঝে শুধু মোবাইলে পরিচয়ে এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারল? সেনাবাহিনী আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অথবা বড় চাকরি করে শুনলে লোভে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে? পত্র-পত্রিকায় প্রতিদিনই প্রতারিত হওয়ার খবর আসে। তাও লোকজনের হুঁশ হয় না। এই যে এদের দুর্ভোগ হয়; এগুলো দেখে কেউ যদি নির্বিকার থাকে অথবা ঠাট্টা-মশকরা করে সেটা দোষের হবে?
উপরের নারীরা অবুঝ। নাহলে এমন ফাদে তারা পড়তো না। পৃথিবিতে সবার বোঝার ক্ষমতা এক রকমের না। তাই মানুষদের প্রতারনার সাজা কঠিন হওয়া উচিত। আর প্রতারকরা ভালো মানুষগুলির বিশ্বাস অর্জনের জন্য সব কিছুই করে। তারপরে প্রয়োজন মিটলে সরে পরে। অনেক সময় পরিবারের অবহেলা থেকেও মানুষ বাইরে আশ্রয় খোজে, প্রতারকরা তাদেরই খোজে।
প্রেমিক বিয়ে করবে বলে ঝোঁকের বশে স্বামীকে তালাক দিয়ে বসে। পরে দেখা যায় আর বিয়ে করে না। পরে ছেলের বাড়িতে গিয়ে অনশন করতে হয়। কেন? আর ওই ছেলেগুলোই বা কেমন ক্রিমিনাল! তুই বিয়ে করবি না, তাহলে কেন মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে একটা ঘর নষ্ট করিস?
নারীর বাস্তব জীবনে অভি্গতা কম তাই তারা প্রতারকদের ভালো কথা বিশ্বাস করে। নারীদের সচেতনা বাড়ানোর জন্য আরো কাজ করা উচিত সবার।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বিষয় হচ্ছে: এই দেশে লম্পট হতে শিক্ষা অশিক্ষা লাগে না। শিক্ষিত মানুষের মাঝে প্রচুর লম্পট নারী পুরুষ দেখেছি। এই দেশে কি পরিমাণ নষ্ট লম্পট চরিত্রহীন নারী পুরুষ আছে তা জানতে হলে আপনাকে সরকারি হাসপাতালে জরুরী বিভাগে যেতে হবে অথবা থানা কোর্টে।
আপনার পোস্টে উল্লেখিত নারী পুরুষ উভয়ে সমান দোষে দোষী। এদের জন্য ইসলামী আইন কায়েম করা উচিত। ইসলামী আইন শুধু মাত্র চার বিবাহে আবদ্ধ রাখলে তা হবে আরেক লাম্পট্য।